জেনারেল রাইটিং = //আমার মা//
আসসালামু আলাইকুম আমি @jahidulislam01 বাংলাদেশ থেকে আজ শুক্রবার আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। মহান আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আমিও অনেক ভালো আছি এবং সুস্থ আছি আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার মা সম্পর্কে কিছু কথা নিয়ে হাজির হয়েছি আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে। ছোট থেকে আমি আমার মায়ের ওপর যত্নশীল যখন আমার বন্ধুদের সাথে ঘোরাঘুরির করার সময় ছিল তখন আমি মায়ের সেবা যত্নই করছি। আমার মা অনেক আগে থেকেই অসুস্থ অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি। তেমন কোন রোগ নেই অল্পতেই ভেঙে পড়ে অতিরিক্ত টেনশন করে তাই ডাক্তার বলেছেন হাইপার টেনশনের রোগী। আসলে মায়ের কথা বলে শেষ করার মত নয়। মা ছোট একটি শব্দ কিন্তু মায়ের বিষয় স্বয়ং কোরআনেও রয়েছে সন্তানের গায়ের চামড়া কেটে মায়ের পায়ের জুতা বানিয়ে দিলেও এক ফোঁটা দুধের ঋণ শোধ হয় না।সেই মাকে আমরা কত না অবহেলা লাঞ্ছিত বঞ্চিত করছি এখন বৃদ্ধাশ্রম গুলো দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে শুধু আমাদের মতো হতভাগা সন্তানদের জন্য।আমরা মাকে মায়ের স্নেহ মর্যাদা দিয়ে রাখি না তাই আমাদের আজকাল মা গুলো বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসা হয়। হয়তোবা আমি সাজিয়ে গুছিয়ে কথাগুলো বলতে পারছি না তারপরও চেষ্টা করছি সাজিয়ে গুছিয়ে কথাগুলো বলার জন্য। আমার সাথে বাস্তবে ঘটে যাওয়া কিছু কথা আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি।
আমি বন্ধুদের সাথে না ঘুরে মায়ের অনেক যত্ন নিয়েছি। আমরা দুই ভাই এক বোন সবার ছোট আমি বড় ভাই সৈনিকের চাকরি করে। বিয়ে হয়েছে কিন্তু আমার বড় ভাবি আমাদের বাড়িতে থাকতো না বোনটারও বিয়ে হয়েছে নিজের সংসার নিয়েই ব্যস্ত আমার বোন দুলাভাই তাকেও ঠিকমতো আসতে দেয় না আমাদের বাড়িতে। এখন শুধু পড়ে রয়েছি অসুস্থ মায়ের পাশে আমি জাহিদ। আমি মাকে আমার সাধ্যমতো যত্ন করতাম সকালবেলা উঠেই আমি রান্না বান্না সহ যাবতীয় কাজ করতাম বাড়ির এরপরে সর্বপ্রথম মাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে হাতমুখ ধুয়ে থালা-বাসন গুলো আমি নিজেই পরিষ্কার করতাম করে মাকে খেতে দিতাম। দুপুরবেলায় গোসলের পানি উঠিয়ে দিতাম আমি। আমার পিতা তিনিও ডায়াবেটিসের রোগী তিনি চলে যেত আমাদের ফসলের জমিতে কাজ করতে। আমি আমার পিতা মাতার উপর অনেক যত্নশীল আমি রান্নাবান্না সবকিছুই মোটামুটি করতাম মায়ের জন্য তারপরও মানসিক একটা টেনশন ছিল মা অসুস্থ। কোন সময় আমার চোখের জল শুকাতো না কারণ মা অসুস্থ মহান আল্লাহতালার কাছে সব সময় দোয়া প্রার্থনা করতাম আমি আমার মা যেন সুস্থ হয়ে যায়। খাবার-দাবারের কোন ঠিক ছিল না আমার তারপরও আমি আল্লাহতালার কাছে অনেক দোয়া করেছি মায়ের জন্য।
আমার অসুস্থ মায়ের ছবি আমার মা অনেক ভালো একটি মানুষ। তিনি না খেয়ে সব সময় সন্তানের জন্য টেনশন করত। মাকে অনেক বুঝিয়েছি তারপরও মা সন্তানের জন্য যে কোন বিষয় টেনশন করত। অসুস্থ ছিল সেই সময়কার ছবি আমার মায়ের আমার মায়ের বয়স ৪৬ কাজের চাপে এবং অতিরিক্ত টেনশনের কারণে মনে হচ্ছে যেন বয়স ৮০ হয়ে গেছে। এই ছিল আজ আমার মা সম্পর্কে কিছু কথা আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে ধন্যবাদ।
|
---|
আমি মোঃ জাহিদুল ইসলাম আমি মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা জুগীরগোফা গ্রামে আমি বসবাস করি। আমি একজন বাংলাদেশের সুনাগরিক, বর্তমানে আমার বিএ ফার্স্ট ইয়ারে পড়াশোনা চলছে। আমার মাতৃভাষা বাংলা, আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে অনেক ভালোবাসি। আমার শখ ভ্রমণ করা এবং আর্ট করা, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আপনাদের জন্য রইল প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
VOTE @bangla.witness as witness
আমরা আমাদের এই জীবনে কখনো মায়ের ঋন শোধ করতে পারবোনা ভাইয়া। মা আমাদেরকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসেন। আপনার পোস্ট পড়ে অসাধারণ লাগলো। খুবই ভালো লিখেছেন আপনি।
জি ভাই এই পৃথিবীতে একজন মানুষ নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসেন তিনি হচ্ছে মা সুন্দর একটি কথা বলেছেন ধন্যবাদ।
প্রথমেই আপনার মায়ের সুস্থ্যতা কামনা করছি। আপনিতো অনেক ভাগ্যবান ভাইয়া। আসলে আল্লাহ যার উপর রহমত হয় তাকেই এত বড় ভাগ্য দেয়। আপনার পোস্টি পড়ে অসম্ভব ভালো লেগেছে ভাইয়া। ঠিক বলেছেন টেনশন আর রোগে অনেক সময় মানুষকে বয়স্ক দেখা যায়। দোয়া করি আপনার মত এইরকম সন্তান যেন সবার পরিবারে থাকে। সেই সাথে আপনার মা বাবার দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
একদম ঠিক কথা বলেছেন সবার ভাগ্যে এমন জোটে না মায়ের স্নেহ এবং যত্ন করা।
মায়ের অসুস্থতা কিংবা মায়ের খারাপ সময় গুলো সন্তানের জন্য সবচেয়ে বেশি কষ্টের। মায়ের সুস্থতা আমরা সবসময় কামনা করি। ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে এবং আপনার অনুভূতি সম্পর্কে জেনে অনেক অনেক ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর ভাবে কথাগুলো লিখেছেন। আপনার লেখার মাঝে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো তুলে ধরেছেন।
ধন্যবাদ আপু বোঝা গেল আপনি আমার পোস্টটি সম্পন্ন পড়েছেন ধন্যবাদ।
শুনে অনেক ভালো লাগলো আপনি আপনার মাকে অনেক যত্ন নিয়ে থাকেন। যখন বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার সময় তখন আপনি আপনার মায়ের পাশে থাকেন এবং যত্ন নেন ।সকালে ঘুম থেকে উঠে রান্না বান্না এবং থালা-বাসন ধুয়ে আপনার মাকে হাত-মুখ ধুয়ে খেতে দেন ।আসলে এমন ছেলে থাকা গর্বের বিষয়। ধন্যবাদ ভাই আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
জি আপু আর আপনি তো সবই জানেন আমার বিষয়ে ধন্যবাদ।
আমরা সবাই মাকে কম বেশি ভালোবাসি। মায়ের ভালোবাসা পেয়ে জুনিয়ার বুকে এসেছি আর সে মা ছাড়া আমরা অচল। আমাদের সামনে যদি আম্মা অসুস্থ থাকে সত্যি খুবই কষ্ট লাগে। তবে আমি দোয়া করি প্রত্যেকটা সন্তান যেন মায়ের প্রতি ভালোবাসা বুঝতে পারে সেই বোধশক্তি এবং সেই মায়ার দৃষ্টি সৃষ্টি হয় সবার। সর্বদা দোয়া করি চাচির জন্য,আল্লাহ যেন তাকে সুস্থ সবল অবস্থায় আমাদের মাঝে রাখেন।
জি সে কষ্টের কথা বলে বোঝানো যায় না। ধন্যবাদ অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
অনেক খারাপ লাগলো আপনার লেখাগুলো পড়ে। আসলে আপনার বড় ভাইয়ের উচিত ছিল আপনার মাকে সাথে রাখার। সৈনিকের চাকরি করে তার ওয়াইফকে নিয়ে থাকেন মাঝেমধ্যে যদি মাকে নিয়ে যেত কয়েক দিন রাখতো তাহলে মা একটু সুস্থ থাকতো। তাছাড়া বোনও আসে না সেই জন্য অনেক টেনশনের মধ্যে থাকে তাই মনে হচ্ছে আমার। যাক আপনি তো আছেন আপনি ভালো যত্ন করতেছেন। আল্লাহ আপনাকে অবশ্যই সহায়তা করবেন। আন্টির অসুস্থতা কামনা করছি যেন খুব দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন।
ঠিক বলেছেন আপু আপনার কথাগুলো খুব ভালো লেগেছে ধন্যবাদ।