শৈশবের ফেলে আসা গল্প = ||বন্ধুর সঙ্গে টায়ার চালানোর কিছু গল্প||

in আমার বাংলা ব্লগ13 days ago (edited)

children-5833685_1280.jpg

Source

আসসালামু আলাইকুম আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগণ আমি@jahidulislam01 বাংলাদেশ আজ শুক্রবার, আশা করি আমার সকল বন্ধুরা অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন মহান আল্লাহতালার অশেষ রহমতে আমি অনেক ভালো আছি এবং সুস্থ আছি আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার শৈশব কালের স্মৃতি নিয়ে আমার বাস্তবে কিছু ঘটনা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের। যত দিন যাচ্ছে ততই বড় হচ্ছে ততই দায়িত্ব বেড়েই চলেছে। শৈশবের দিনগুলো অনেক মধুর ছিল। ছিলনা কোন টেনশন ছিল না পড়াশোনার প্রেসার শুধু খাবার আর খেলা করা দিনগুলো অনেক আনন্দময় ছিল অনেক বন্ধু-বান্ধব ছিল কিন্তু বাস্তব দুনিয়াতে যত দিন যাচ্ছে ততই মানুষ এর চাওয়া পাওয়া বৃদ্ধি পাচ্ছে বড় হলে থাকে না কোন বন্ধুত্ব সবাই সবার কাজকর্মে ব্যস্ত। কেউ কারো সময় দিতে পারছে না।

শৈশবকালে আমার একটি বন্ধু ছিল সব সময় তার সাথেই রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়াতাম সাইকেলের টায়ার নিয়ে। তার সাথে অনেক মারামারি খেলাধুলো সবই হতো। যেখানে যেতাম দুজন একই সাথে যেতাম তার নাম ছিল রোকন বর্তমানে সে মালয়েশিয়া রয়েছে কর্মরত জীবনে। আমার খুব কাছের একটি বন্ধু ছিল শৈশবকালের একদিন তার সাথে আমি মাঠে ঘাস কাটতে গিয়েছিলাম সাথে ছিল বিদ্যুৎ ভাই আমাদেরই কমিউনিটির একজন সদস্য। তিনি বসেছিল আমরা দুজন, পেঁপের ডানটি ভেঙে মারামারি করেছিলাম। ও আমার সাথে পারত না হঠাৎ করে আমার নাকে একটা কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়।আমি তাকে ধরতে পারছিলাম না মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলাম ধানের মাঠে। তারপরে আমি ওকে খুঁজতে গিয়েছিলাম ওর বাড়ি। পরে আমি বাড়ি এসে দেখি ও আমাদের বাড়িতে এসে বসে আছে। আসলে অনেক দুষ্টু টাইপের ছিল আমার বন্ধু। শৈশবের দিনগুলোর কথা মনে হলে যেন দুঃখ কষ্টে ভেঙে পরি সেই দিনগুলো যদি আবার ফিরে পেতাম কত না ভালো হতো। আমরা সবাই ফেলে আসা দিনগুলো আবারো পেতে চাই।

আমরা দুজন ছোট ওয়ানে পড়তাম, পড়তে যাওয়ার সময় ও আমরা দুজন দুইটি টায়ার নিয়ে যেতাম। টায়ার দুটি নিয়ে জঙ্গলের মধ্যে রেখে দিতাম আবার বাড়ি আসার সময় টায়ার চালাতে চালাতে দুজন বাসায় চলে আসতাম। দুজনের মধ্যে অনেক মিল ছিল আবার ঝামেলা হতো তখনই আবার একসাথে বেড়াতাম দুজন। বর্তমান সময়ে আমরা একে অপরের সাথে ঝামেলা হলে আর কথা বলা তো দূরে থাক দেখাই করি না। শৈশবের দিনগুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো ছিল। রোকনের বাড়ি আর আমার বাড়ি পাশাপাশি ছিল দুজন সব সময় একই সাথে খেলাধুলা করতাম। রোকনের মা আমার ভাবি হতো, সম্পর্কে পাড়া-প্রতিবেশী।
মজার বিষয় হচ্ছে ওকে আমি যদি ইয়ার্কি বসতো মারতাম তাহলে ও ইয়ার্কি বসতো কাঁদতো এক মিনিট। তারপরে আবার হাসতে হাসতে পালিয়ে যেত। রোকন এক বোন এক ভাই বর্তমানে এখন তাদের সুখী পরিবার এর আগে ছিল অনেক দুঃখ কষ্ট গরিব মানুষ। আমার বন্ধুর এখন বিদেশে রয়েছে ওর কথা খুব মনে হয়।

এই ছিল আজ আমার বন্ধু রোকনুজ্জামান রোকন এর সাথে শৈশবে টায়ার চালানোর কিছু স্মৃতি। আসলে শৈশব কালে আমরা কত না খেলাধুলা করেছি। কিন্তু বর্তমানে এখন সেসব খেলাধুলার নাম বর্তমান প্রজন্মের শিশুরা হয়তোবা শুনে না। আমরা কাবাডি গোল্লা ছুট হাডুডু এ ধরনের খেলা করেছি কিন্তু বর্তমানে এখন এই ধরনের খেলা গুলো বিলুপ্ত হয়ে ছে বলেই মনে করা যায়। এই ছিল আজ আমার শৈশব কালের কিছু বাস্তব ঘটনা আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকে এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবাই এই আশা ব্যক্ত করে সমাপ্ত করছি।

✨💞আমার নিজের পরিচয়💞✨

45406254-503f-44d8-8a5d-79dda79fe316.jpg

আমি মোঃ জাহিদুল ইসলাম আমি মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা জুগীরগোফা গ্রামে আমি বসবাস করি। আমি একজন বাংলাদেশের সুনাগরিক, বর্তমানে আমার বিএ ফার্স্ট ইয়ারে পড়াশোনা চলছে। আমার মাতৃভাষা বাংলা, আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে অনেক ভালোবাসি। আমার শখ ভ্রমণ করা এবং আর্ট করা, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আপনাদের জন্য রইল প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।


(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )

abb2.png

abb.png

bwith.png

VOTE @bangla.witness as witness

bwithness.png

SET @rme as your proxy

rproxy.png

Sort:  
 13 days ago 

খুব সুন্দর একটি স্মৃতিচারণ করেছেন আপনি। আমিও বেশ কিছুদিন ধরে ভাবছিলাম এই টায়ার খেলা নিয়ে একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। কিন্তু তার আগে আপনি পোস্ট শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে। শীঘ্রই আমিও উপস্থাপন করতে চলেছি এই বিষয়ে আলোচনা এবং অতীত কাহিনী। এত সুন্দর একটি পোস্ট পড়ার মধ্য দিয়ে যেন আমিও আমার স্মৃতি ফিরে পেলাম।

জি ভাই করবেন তাহলে তো অনেক ভালো। আপনার শৈশবের স্মৃতি আমিও পড়ে একটু আনন্দ পাব।

 13 days ago 

খুব সুন্দরভাবে অতীতের কথা স্মরণ করেছেন ভাইয়া। ছোটবেলায় এমন খেলাধুলা আমরাও করেছি। তবে আমাদের একটু কমই হতো পাশাপাশি আমাদের ভাইয়ারা বেশি খেলত। যাইহোক আপনার অতীতের স্মৃতি স্মরণ করতে দেখে আমারও বেশ কিছু স্মৃতি মনে আসলো। এত সুন্দর ভাবে ছোটবেলার স্মৃতি স্মরণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান বক্তব্য পেশ করার জন্য শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 12 days ago 

আপনার পোস্ট টি যতোক্ষণ পড়েছি ততক্ষণ হেসেছি ভাইয়া কারণ আপনার বন্ধু আপনার নাকে কামড়ে দিয়ে পালিয়েছে আর আপনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে গিয়েছিলেন এটা পড়ে।আসলে শৈশবের দিনগুলো অনেক মধুর ছিলো।একদমই ঠিক বলেছেন আপনি আগে মারামারি করে সাথে সাথেই আবার মিল হয়ে যেতো।জেনে ভালো লাগলো আপনার বন্ধু এখন দেশের বাইরে আছেন এবং সুখী পরিবার ওনাদের। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।

জি আপু ধরতে পারলে হয়তোবা অনেক পিটুনি দিতাম ওকে কিন্তু ও পালিয়ে গিয়েছিল।

 12 days ago 

ছোটবেলার স্মৃতি গুলো মনে পড়লে কেন যেন ওই সময়গুলোকে খুব ফিরে যেতে মন চায়। কিন্তু তা কখনোই সম্ভব নয়। আপনিও আপনার বন্ধুর সঙ্গে শৈশবের বেশ কিছু স্মৃতি শেয়ার করেছেন। আগেকার দিনে ছেলেদেরকে দেখতাম টায়ার নিয়ে এরকম খেলতে। যাই হোক আপনার বন্ধুটি এখন বিদেশে ভালো অবস্থানে আছে জেনে ভালো লাগলো।

জি আপু আমরা টায়ার নিয়ে অনেক খেলাধুলা করেছি। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আমার পোস্টটি পড়ে কমেন্ট করার জন্য।

 11 days ago 

মার্কডাউনগুলো ঠিক মতো হয় নি, পোষ্ট করার পর সেটা দেখে পুনরায় ঠিক করার চেষ্টা করুন।

ঠিক আছে ভাই।

 9 days ago 

আসলেই ভাই শৈশব জীবনটা অনেক মধুর ছিল। মনটা বারবার চাই আবার সেই শৈশব জীবনে ফিরে যেতে। কিন্তু চাইলেই যে সবকিছু ফিরে পাওয়া যায় না তা এখন বুঝতে পারছি। শৈশবে সেই টায়ার চালানোর কথা আজও আমার অনেক মনে পড়ে। কতই না প্রশান্তি পেতাম সাইকেলের নষ্ট টায়ার চালিয়ে। এখন লাখ টাকার গাড়ি চালিয়ে সেই শান্তিটা পায় না। ধন্যবাদ ভাই শৈশবের মধুর স্মৃতি পুনরায় মনে করিয়ে দেয়ার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.12
JST 0.027
BTC 65045.20
ETH 3523.22
USDT 1.00
SBD 2.37