গল্প পোস্ট= || শৈশবে ঘুড়ি উড়ানোর গল্প ||
আজকের বুধবার তারিখঃ জুন ১৯
আসসালামু আলাইকুম আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগণ আমি@jahidulislam01 বাংলাদেশ থেকে আজ বুধবার, সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক। আশা করি আপনারা অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন।মহান আল্লাহতালার অশেষ রহমতে আমিও অনেক ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার জীবনে বাস্তব ঘটে যাওয়া ঘুড়ি উড়ানোর গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। শৈশবে ঘুড়ি ওড়ানোর অনেক স্মৃতি লুকিয়ে আছে সেগুলো আপনাদের মাঝে পেশ করতে চাই আশা করি ভালো লাগবে চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
আমি তেমন একটা ভালো ঘুড়ি বানাতে পারতাম না তারপরও খুব চেষ্টা করতাম দিনে দুই একটি ঘুড়ি বানাতামি। ঘুড়ি উড়ার থেকে বেশি মজা পেতাম যে আমার ঘুড়ি চরকা মত ঘুরতো ঠিকঠাক মত উড়তো না। তারপরও মজার একটি কাহিনী হচ্ছে আমার বড় ভাইয়া অনেক ভালো ঘুড়ি বানাতেন তার বানানো ঘুড়ি আমার ওড়াতে ভালো লাগত না আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম নিজে হাতে যেদিন ঘুড়ি বানিয়ে উড়াতে পারব সেদিনই ঘুড়ি উড়াবো। এভাবে বেশ কিছুদিন কেটে গেল তারপরও আমি ঠিকঠাক মতো ঘুড়ি বানাতে পারতাম না পারতাম সিম্পল ঘুড়ি বানাতে যেমন চিলি ঘুরি। ভালো ভালো ঘুড়ি তেমন একটা বানাতে পারতাম না। তারপরেও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম।
আজ থেকে ৮,৯ বছর আগের ঘুড়ি ও আমার বাসায় রয়েছে। বড় ভাইয়া চাকরি পাওয়ার আগে ঘুড়ি বানিয়েছিল সেই ঘড়ি রেখেছিলাম যে ভাই আর সন্তান হলে উড়াবে। তাই ভাইয়ের সন্তান হয়েছে সেই সন্তান ঘুড়ি উড়াচ্ছিল অনেক ভালো লাগছিল আমার। বর্তমানে আমি অনেক ভালো করে ঘুড়ি বানাতে পারতাম সব ধরনের ঘুড়ি।
একদিন ঘুড়ি প্রতিযোগিতায় আমি ফার্স্ট হয়েছিলাম বড় ভাইদের সঙ্গে সেই দিনে আমরা একত্রে মিলে সবাই রাজহাঁস দিয়ে পিকনিক করেছিলাম অনেক আনন্দ হয়েছিল। আসলে কোন কিছু নিয়ে যদি প্রতিযোগিতা করা যায় তাহলে বেশ ভালই লাগে। আমার ঘুড়ি একদিন কেটে গিয়েছিল সুতা থেকে ঘুড়িটি আমার অনেক সখের ছিল। অনেক দূরে চলে গিয়েছিল তারপরও আমি ঘুড়ির পিছে পিছে ছুটে ছিলাম ঘুড়িটি পেয়েছিলাম ঠিকই কিন্তু আমার অবস্থা নাজেহাল ছিল অনেক দরিয়ে ছিলাম ঘুড়ির পিছনে।
এই ছিল আজ আমার শৈশবে ঘুড়ি উড়ানোর গল্প আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে আবার নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে ঈদ মোবারক ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই বলে আজ সমাপ্ত করছি ধন্যবাদ।
|
---|
আমি মোঃ জাহিদুল ইসলাম আমি মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা জুগীরগোফা গ্রামে আমি বসবাস করি। আমি একজন বাংলাদেশের সুনাগরিক, বর্তমানে আমার বিএ ফার্স্ট ইয়ারে পড়াশোনা চলছে। আমার মাতৃভাষা বাংলা, আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে অনেক ভালোবাসি। আমার শখ ভ্রমণ করা এবং আর্ট করা, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আপনাদের জন্য রইল প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
VOTE @bangla.witness as witness
ঘুড়ি ওড়ানোর ও বানানোর গল্পটি বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া।জেনে ভালো লাগলো যে আপনি নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন নিজের বানানো ঘুরি ওড়াবেন। ঘুড়ি প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছিলেন এবং রাজহাঁসের মাংস দিয়ে পিকনিক করেছেন জেনে ভালো লাগলো। ঘুড়ি কেটে গেলে সহজে পাওয়া যায় না আপনার ভাগ্য ভালো ঘুড়িটি পেয়েছিলেন খুঁজে। যতোই নিজের অবস্থা বেহাল হক দৌড়ে ঘুড়ি পাওয়ার পর নিশ্চয়ই খুশিতে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলেন।ধন্যবাদ পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।