ঘুড়ি বানানোর পদ্ধতি(১০%প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য)
আসসালামু আলাইকুম আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগণ আমি@jahidulislam01 বাংলাদেশ থেকে আজ শুক্রবার, জুন (৯-৬-২০২৩) আজ আমি আমার বাংলা ব্লগে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি, সেটি হচ্ছে,ঘুড়ি বানানোর পদ্ধতি। এই ঘুড়ি আমি ছোটবেলায় অনেক বানিয়েছি। ঘুড়ি উড়াতে অনেক বেশি ভালো লাগে আমার। আজ অবধি আমার ঘরে সাত বছর আগের ঘুড়িও রয়েছে তিনটা। গ্রাম্য ভাষায় সেই ঘুড়িটির নাম হচ্ছে দাউক ঘুড়ি।
ঘুড়ি বানানোর উপকরণ
ক্রমিক নাম্বার | উপকরণ |
---|---|
১ | সাদা পেজ |
২ | খিল |
৩ | সুতা |
৪ | কাঁচি |
৫ | বগুড়ার আঠা |
🌹ধাপ-১🌹
- প্রথমে আমি কাঁচি,সুতা, বড়ার আঠা এবং খিল, নিয়ে নিয়েছি। সেই মুহূর্তে একটি সেলফি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।
🌹ধাপ-২🌹
প্রথম আমি সাদা পেপার নিয়েছি। এবার আমি সাদা পেপার ভাজ করে নিয়েছি। নেওয়ার পরে কাঁচি দিয়ে সুন্দর ভাবে কেটে নিয়েছি। সেই মুহূর্তে একটি সেলফি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।
🌹ধাপ-৩🌹
- ভাজ করে নেয়ার পরে কাঁচি দিয়ে কাটার পরে এবার আমি ভাজ খুলে দেখছি অনেক সুন্দর ঘুড়ি বানানোর প্রসেস তৈরি হয়েছে।
🌹ধাপ-৪🌹
এবার আমি সোজা একটা খিল এবং ডি আকৃতির একটা খিল দিয়ে তীর ধনুক মত সাদা পেপারের ওপরে দিয়ে দিয়েছি।
🌹ধাপ-৫🌹
- এবার আমি পটি তৈরি করে নিয়েছি সাদা পেপার দিয়ে।
🌹ধাপ-৬🌹
পটি গুলো বওড়ার আঠা দিয়ে লাগিয়ে নিয়েছি। নেওয়ার পরে একটি একটি করে পটি ঘুড়ি বানানোর কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।
🌹ধাপ-৭🌹
- এবার আমি ঘুড়ির লেজ তৈরি করে নিয়েছি। আমি এবার ঘড়ি বানানোর শেষ মুহূর্তে চলে এসেছি প্রায়।
🌹ধাপ-৮🌹
এবার আমি ঘুড়ি বানানোর পরে ওটা দিয়ে ভাঁজ তৈরি করে নিয়েছি। এবার ঘুড়ি উড়ানোর সময় আমি ভাঁজ এর সুতার সঙ্গে সুতা বেঁধে ঘুড়ি উড়াতে হবে। এই ছিল আজ আমার ঘুড়ি বানানোর পদ্ধতি।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে ধন্যবাদ।
ঘুড়ি বানানো দেখে শৈশবের কথা মনে পড়ে গেল। আসলে শৈশবে কত ঘুড়ি বানিয়েছি তার কোন হিসাব নেই। শৈশবের সেই স্মৃতি গুলো কথা মনে পড়লে বারবার শৈশবে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে। আপনার ঘুড়ি বানানোর খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। ঘুড়ি বানানোর প্রক্রিয়া খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। এত সুন্দর ডাই পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে ভাইজান আপনি ঠিকই বলেছেন।শৈশবে আমরা অনেক কিছুই করেছি। ঘুড়ি ওড়ানোর মতই শৈশবে আমরা সবাই ফিরে যেতে চাই।
আগের দিনে ছোট ছোট বাচ্চারা এরকম ঘুড়ি নিয়ে খেলা করতো কিন্তু এখনকার বাচ্চারা তো সারাদিন মোবাইল ফোন নিয়েই ব্যস্ত থাকে তাই এসব জিনিসের সাথে তারা একদম পরিচিত নয়।অনেক দিন পর আপনার ঘুড়ি বানানো দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু আগে বাচ্চারা শৈশবে অনেক খেলাধুলা মজা মাস্তি করেছে।কিন্তু এখনকার বাচ্চারা ফোন নিয়ে ব্যস্ত।
আপনার এই ঘুড়ি বানানোর পদ্ধতি দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল, ছোটবেলায় ঠিক এরকম ভাবেই ঘুরি বানাতাম এবং প্রতিদিন বিকেল বেলা মাঠের মধ্যে গিয়ে ঘুড়ি উড়াতাম কতটা যে ভালো লাগতো সেটা হয়তো বলে বোঝাতে পারবো না। অনেকদিন বাদে এরকম একটা অনুভূতি মনের মধ্যে কাজ করছে। ধন্যবাদ ছোটবেলার স্মৃতি জাগ্রত করে দেওয়ার জন্য আর আপনার এই ঘুড়ি তৈরি প্রক্রিয়াটি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
ঠিক বলেছেন ভাই আমিও বড় ভাইদের সাথে ঘুড়ি উড়াতাম একসঙ্গে বসে। একদিন হঠাৎ করে ঘুড়ি উড়াতে উড়াতে পিকনিক করছিলাম যারা ঘুড়ি উড়াচ্ছিলাম সবাই মিলে।