//শৈশবে পটকা ফুটানোর গল্প//
![]() |
---|
আজকের সোমবার তারিখঃ জুলাই ১
বছরে আমাদের দুইটা ঈদ ঈদুল আযহা এবং ঈদুল ফিতর অনেক বেশি আনন্দ করতাম। বর্তমানে বড় হয়েছি তাই আর শৈশব কালের মত আনন্দ আসে না ঈদের কিছুদিন আগে। সকালে আমরা অনেক পটকা এবং হাওয়াই উড়িয়েছি। অনেক বন্ধু এবং বান্ধবী মিলে অনেকে অনেক আনন্দ করতাম বাবার কাছ থেকে ১০ টাকা নিয়ে দিসলাই বা ম্যাচের বারুদ কিনতাম দোকান থেকে কত না আনন্দ করতাম তখন। তখনকার কথা মনে হলে যেন মনটা আনন্দে ভরে যায় কিন্তু বর্তমানে এখন ঈদের দিনেও তেমন একটা আনন্দ হয় না শুধু ঈদগায় গিয়ে নামাজ পড়েই দিনটা শেষ। ছোটবেলায় দশ টাকায় কত আনন্দ ছিল এখন সেই আনন্দটা দশ হাজার টাকার পাওয়া যায় না।
তাই সেই শৈশবের কথা মনে উঠলে যেন কত না ভালোলাগা কাজ করে ভিতরে মন বলে যেন আবার সেই দিনগুলোর মধ্যে ফিরে যেতে। দিন দিন যত বড় হচ্ছে ততই মনে হচ্ছে দায়িত্বের বোঝা মাথায় এসে পড়ছে তারপরও যাদের পিতা-মাতা বেঁচে আছে তাদের দায়িত্বটা অনেকটাই কম। এবং যাদের পিতা-মাতা নেই তাদের দায়িত্বের বোঝা অনেক বেশি সংসারের দায়িত্ব এবং আনুষাঙ্গিক নানা দায়িত্ব। তাই আমাদের পিতা-মাতা ছায়ার মতো তারাও যতদিন আমাদের সঙ্গে ছায়ার মতো রয়েছে ততদিন আমাদের বোঝা নেই বললেই চলে তাই তাদের গুরুত্ব আমাদের কাছে অনেক বেশি হওয়া উচিত। শৈশব কালে তারা যেমন আমাদের অনেক আদর স্নেহ দিয়ে বড় করেছে ঠিক তারাও মুরুব্বী হলে তাদের আদর স্নেহ দেওয়া উচিত আমাদের সন্তানদের।
শৈশব কালে পটকা ফুটানোর কথা মনে পড়লে যেন আবারও সেই পটকা ফোটাতেও ইচ্ছে করে খুব। শৈশব কালে যেকোনো স্মৃতি মনে পড়লে যেন আবারও ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই দিনগুলোর দিকে। কিন্তু সময় এবং নদীর স্রোত কারোর জন্য অপেক্ষা করে না একবার চলে গেলে তা কখনো ফিরে আসে না জীবনে। তাই আমাদের শৈশব কালের মতই দিনগুলো উপভোগ করা উচিত হাসি আনন্দ দুঃখ বেদনা সব মিলিয়েই আমাদের জীবন আজকে এ পর্যন্তই আশা করি ভালো লাগবে আমার গল্পটি আপনাদের পড়ে।
|
---|
আমি মোঃ জাহিদুল ইসলাম আমি মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা জুগীরগোফা গ্রামে আমি বসবাস করি। আমি একজন বাংলাদেশের সুনাগরিক, বর্তমানে আমার বিএ ফার্স্ট ইয়ারে পড়াশোনা চলছে। আমার মাতৃভাষা বাংলা, আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে অনেক ভালোবাসি। আমার শখ ভ্রমণ করা এবং আর্ট করা, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আপনাদের জন্য রইল প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
VOTE @bangla.witness as witness