গল্প পোস্ট //শৈশবে আম চুরির গল্প//

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago
mango-322555_1280.jpg

source

সবাইকে আজকে আমার পোস্টে স্বাগতম!
আজকের সোমবার তারিখঃ জুন ‌২৪

আসসালামু আলাইকুম আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগণ আমি@jahidulislam01 বাংলাদেশ থেকে আশা করি আপনারা অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। মহান আল্লাহতালার অশেষ রহমতে আমিও অনেক ভাল আছি এবং সুস্থ আছি।আজ আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি সেটি হচ্ছে শৈশবে আমার আম চুরির কিছু গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলেছি।আশা করি শৈশব কাল সবার এমনই কেটেছে একটু দুষ্টামির মধ্য দিয়ে। শৈশবে আমি একটু দুষ্টু টাইপের ছিলাম আমাদের বাড়ির পাশেই একটি আমের বাগান রয়েছে বাগান আলার নাম ছিল জাফর মিয়া। তিনিও বাচ্চাদের সাথে অনেক দুষ্টামি করতো বাচ্চারা যখনই তিনার গাছে আম পাড়তে যেত তখনই তিনি অনেক চিৎকার দিয়ে চলে যেত বাগানে। আমরা দুই ভাই ছিলাম চাচাতো, নাম ছিল লিমন এবং আমি জাহিদ দুজনে মিলে অনেক দুষ্টামি করতাম আম পাড়া নিয়ে। তিনার গাছে আম চুরি হলেই আমাদের দুজনার দোষ অন্য কেউ পারলেও আমাদের দোষ।

অনেক গুলা আম গাছ ছিল এর মধ্যে একটি গাছের আম আমাদের দুজনার অনেক ভালো লাগতো সেই গাছের আম আমরা দুজন অনেক খেতাম। যখন স্কুল মাঠে খেলা করতে যেতাম তখনই আমরা দুজন আম খেতে খেতে যেতাম আমগুলো পেড়ে। দাদা একটু অন্যরকম ছিল যে কোন মানুষের কাছেই আমাদের দুজনার কথা বলতো যে আমরা দুজন নাকি তার বাগানের আম সব পেরে খেয়ে থাকি। আমাদের দুজনার কাজ ছিল স্কুল ছুটির পরে খেলাধুলা করা এবং মন চাইলে বাগানে গিয়ে আম গাছে ঢিল মেরে আম পেড়ে খাওয়া। লিমন আমার চাচাতো ভাই আমার ছোট আব্বার ছেলে, একদিন আমার ছোট আব্বা আমার এবং লিমনের মেরেছিল জাফর দাদার কাছে আম চুরি করে খাওয়ার জন্য।

তারপরও আমরা দুজন আম পেড়ে খাওয়া বন্ধ করিনি, যখন আমরা পিটুনি খেলাম তখন আমরা একটু চালাকি করে আম পারতাম। আগে দেখে আসতাম জাফর দাদা বাড়িতে আছে কিনা। যদি না থাকতো তখন আম পেড়ে খেতাম এবং কিছু আম ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে রাখতাম পরে খাওয়ার জন্য। এভাবে আমরা আম খেতে থাকি জাফর দাদা ও বুঝতে পারে না যে আমরা আম পারি কিনা। হাতেনাতে ধরা না পড়লে তো কোন সমস্যা নেই।

আমাদের দুজনার হাত বেশ তীর ধনুকের মতো সোজা ছিল ঢিল ছুঁড়লেই দুই থেকে তিনটি আম পড়ে যেত। বর্তমানে আমার চাচাতো ভাই এখন একটু হুজুর টাইপের হয়ে গেছে নামাজ কালাম পড়ে তেমন আর কারোর গাছে আম পাড়া তো দূরে থাক আমের দিকে তাকিও দেখে না। ঠিক আমারও একই অবস্থা কারো গাছে আম পেকে টুস টুস করলেও ঢিল ছুড়ে মারতে ইচ্ছে করে না। আসলে শৈশব কালে সবারই একটু দুষ্টামি থাকে। হয়তোবা আমাদেরও দু'ভাই এর ছিল। কিন্তু আমরা মানুষকে ক্ষতি করিনি গাছের ফল খেতাম শুধু অন্য কিছু নিয়ে দুষ্টামি করতাম না।

শৈশব কালের কথা মনে উঠলে যেন মন চায় আবার সেই দিনগুলোর মধ্যে ফিরে যেতে কিন্তু প্রকৃতি নিয়মে তা তো সম্ভব নয়। আগেকার দিনগুলো যেন মনে হয় অনেক মধুময় ছিল কত না খেলাধুলা কত না হই-হুল্লোড় আনন্দ-ফূর্তি ছিল কিন্তু যত বড় হচ্ছে ততই মনে হচ্ছে দায়িত্ববান হয়ে যাচ্ছে। দায়িত্বের বোঝা মাথায় চেপে বসছে। সেভাবে আর চাচাতো ভাই এবং বন্ধু-বান্ধবের সাথে খেলাধুলা ঘোরাঘুরি আড্ডা দেওয়া হয় না বাস্তব জীবনে তাল মিলিয়ে চলতেই দিন পার হয়ে যায়।

সবাই নিজে নিজের কাজকর্ম নিয়েই ব্যস্ত তেমনি আমিও। শৈশবে আমরা কত বন্ধুবান্ধব মিলে একত্রে পলানো খেলা এবং নানা খেলাধুলা করেছে। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মে এসে বিষয়গুলো দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে শিশুরা খেলাধুলার দিকে তেমন একটা আগ্রহী নয় শুধু স্মার্টফোন পেলেই হবে।

এই ছিল আজ আমার শৈশবে আম চোরের কিছু গল্প আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে ধন্যবাদ সবাইকে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনা করি আজকে এ পর্যন্তই।

✨💞আমার নিজের পরিচয়💞✨

45406254-503f-44d8-8a5d-79dda79fe316.jpg

আমি মোঃ জাহিদুল ইসলাম আমি মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা জুগীরগোফা গ্রামে আমি বসবাস করি। আমি একজন বাংলাদেশের সুনাগরিক, বর্তমানে আমার বিএ ফার্স্ট ইয়ারে পড়াশোনা চলছে। আমার মাতৃভাষা বাংলা, আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে অনেক ভালোবাসি। আমার শখ ভ্রমণ করা এবং আর্ট করা, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আপনাদের জন্য রইল প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।


(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )

abb2.png

abb.png

bwith.png

VOTE @bangla.witness as witness

bwithness.png

SET @rme as your proxy

rproxy.png

Sort:  
 4 months ago 

শৈশবে আম জাম কাঁঠাল লিচু বা অন্যান্য ফল চুরি করে খাওয়া হয় নাই এমন মানুষ হয়তো কমই পাওয়া যাবে।
তবে একটা বয়সে এসে এখন কিন্তু শৈশবের সেই স্মৃতিগুলো বার বার মনে পড়ে।
বারবার ইচ্ছে করে যদি আবার ফেরত যেতে পারতাম ওই বয়সে।
আসলে খাওয়াটা বড় ছিলনা বন্ধুরা মিলে একসাথে একটা মিশন কমপ্লিট অনেক আনন্দ হতো।
আপনার আম চোরের গল্পটি বেশ ভালো লাগলো।

 4 months ago 

আপনার পুরো গল্পটি পড়ে যা বুঝলাম যতো দোষ নন্দঘোষ। কেউ আম পারলে আপনাদের দুই ভাইয়ের নাম হতো।আসলে শৈশবের একটা বয়স থাকে এরকম যত মারা হোক বা যতো কথাই বলা হোক না কেন ওই অভ্যাসটা থেকে যায় এবং একটা সময় ঠিক হয়ে যায় যেমনটি এখন ভুল করেও কারো গাছে ঢিল ছুড়বেন না আর ওই সময় মার খাওয়ার পরেও লুকিয়ে চুরি করে খেতেই হবে এটাই বয়স। ধন্যবাদ ভাইয়া আম চুরি করে খাওয়ার গল্পটি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার জন্য।

 4 months ago 

শৈশবের আম চুরি করার গল্পটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আমিও এইরকম ছোটবেলায় অনেক আম চুরি করতাম। কিন্তু আগের মত এখন আর সেই রকম আম চুরি করা হয় না বা খাওয়া হয় না।তবে আপনার চাচাতো ভাই আগের থেকে এখন অনেক ভালো হয়েছে এটা জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.17
JST 0.029
BTC 69249.91
ETH 2520.40
USDT 1.00
SBD 2.56