আমার বাংলা ব্লগ || প্রতিযোগিতা -৫৭ || আমার ঘুড়ি তৈরির দক্ষতা
আসসালামু আলাইকুম আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগণ আমি@jahidulislam01 বাংলাদেশ থেকে আজ বৃহস্পতিবার মে, (২-৫-২০২৪) আশা করি আপনারা অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। মহান আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আমিও অনেক ভাল আছি এবং সুস্থ আছি। ঘুড়ি বানানোর শেষে আমি একটু অসুস্থ ছিলাম তাই আমি ঘুড়িটিকে উড়িয়ে দেখাতে পারিনি। আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। চলুন আমার ঘুড়িটি এক নজরে দেখে নেওয়া যাক। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে ইনশাআল্লাহ।
🌹ধাপ-১🌹
🌹ধাপ-২🌹
একটি খিল আমি সুন্দরভাবে তৈরি করে নিয়েছি। ছরি জাতীয় এটি আমরা আমাদের ভাষায় হেসো বলে চিনি। এইভাবে আমি সমস্ত খিল গুলো একটি একটি করে তৈরি করে নেব। নেওয়ার পরে সমস্ত ধাপ আপনাদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে আশা করি বুঝতে সমস্যা হবে না সাথেই থাকুন।
🌹ধাপ-৩🌹
আমি যেই ঘুড়িটি তৈরি করতে চলেছি এই ঘুড়িটির নাম হচ্ছে ডাউক ঘুড়ি। এই ঘুড়িটি আমি ছোটবেলায় অনেক তৈরি করেছি। এই ডাউক ঘুড়ির মোট চারটি খিল তৈরি করতে হয়। প্রতিটি খিল অনেক দক্ষতার সহিত তৈরি করতে হয়। ঘুড়ি তৈরিতে যদি কোন কমতি থাকে তাহলে ঘুড়ি ঠিকঠাক মতো উড়বে না। তাই আমি ঘুড়ি তৈরি করার সময় অনেক মনোযোগ সহকারে তৈরি করে থাকি।
🌹ধাপ-৪🌹
চারটি খিল তৈরির শেষে আমি খিল গুলোর একটি ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আশা করি আপনারা বুঝতে পারছেন প্রথম থেকে আমি নিজের হাতে ঘুড়ি তৈরি করছি।
🌹ধাপ-৫🌹
এবার আমি খিলের সমান্তরাল মেপে নিতে আরম্ভ করেছি। কারণ খিল গুলো সমান্তরাল কিনা সেটা মেপে নিতে হবে।
🌹ধাপ-৬🌹
সমান্তরালভাবে মেপে নেওয়ার পরে আমি ঠিক মাঝখানে একটি দাগ কেটে নিচ্ছি। কারণ ঘুড়ি বানানোর সময় আমি কোন কিছুতে কমতি করি না এর আগে আমি অনেক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি ঘুড়ি উড়ানোতে, আমি প্রতিযোগিতায় প্রাইজও পেয়েছি। বড় ভাইদের সাথে ঘুড়ি উড়িয়ে পিকনিক করেছি, অনেক আনন্দের দিন কাটিয়েছে ছোটবেলার মুহূর্তগুলো।
🌹ধাপ-৭🌹
খিল দুটোর ঠিক মাঝখানে আমি সুতা বেধেছি বাধার পরে আমি হাত উঁচু করে দেখেছি খিল গুলো সমান্তরাল আছে কিনা। হয়তোবা আপনারা দেখলে বুঝতে পারবেন খিল গুলো অনেকটাই সমান্তরাল হয়েছে।
🌹ধাপ-৮🌹
এবার আমি মাঝখানে মূল খিল টির সঙ্গে পাখা তৈরি হবে। সেই খিল বেঁধে নিয়েছি।
🌹ধাপ-৯🌹
মুল খিল টির সঙ্গে আমি দুইটি খিল সুন্দরভাবে সুতা দিয়ে বেঁধে নিয়েছি ঠিক সমান্তরাল ভাবে ।
🌹ধাপ-১০🌹
এবার আমি পাখার মধ্যে যে ভোগ তৈরি হয় সেটা আমি সুতা দিয়ে টানা ভাবে তৈরি করে নিচ্ছি সুতাটা আলো তাই কারণে বোঝা যাচ্ছে । একটা প্রবাদ আছে ঘুড়ি ওড়ানোর, চিলি করে ঢিলি মিলি, কোয়াড়ি করে টান, ডাউক মশায় উড়ে বলে আরো সুতো আন। কারন সে আরো সুতো আনতে বলে আরো উপরে উড়ার জন্য।
🌹ধাপ-১১🌹
এবার আমি ঘুড়ির খিলে যে জায়গায় সুতা বাধতে হয় আমি ঠিক ঠাক সুতা গুলো বেঁধে নিচ্ছি। আশা করি আমার সকল প্রাণপ্রিয় এডমিন মডারেটর আমার প্রিয় দাদা সকলেই অনেক ভালো লাগবে আমার ঘুড়ি বানানোর প্রক্রিয়াটি।
🌹ধাপ-১২🌹
এবার আমি বওড়া এবং রঙিন কাগজ সংগ্রহ করেছে অনেক খোঁজাখুঁজির পরে বওড়া পেয়েছি। দুঃখের বিষয় যে আমি ঘুড়ি তৈরি করেছি কিন্তু অসুস্থতার কারণে ঘুড়ি উড়াতে পারেনি অনেক খারাপ লেগেছে। আমার রোদ গরম লেগেছে পাতলা পায়খানা হচ্ছে।
🌹ধাপ-১৩🌹
এবার আমি সুন্দরভাবে ঘুড়ির রঙিন কাগজ দিয়ে ছাপিয়ে নিচ্ছিলাম সেই সময় একটি ফটো উঠিয়েছি। সব থেকে মজার বিষয় যে ঘুড়ি তৈরি ছোট থেকে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। খুব খারাপ লেগেছে যে আমি ঘুড়ি তৈরি করেছি কিন্তু আপনাদের মাঝে উড়িয়ে দেখাতে পারিনি আমার অসুস্থতার কারণে।আশা করি আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন পরবর্তীতে আমি বানানো ঘুড়িটি উড়িয়ে ভিডিওগ্রাফি আপনাদের মাঝে পোস্ট হিসেবে শেয়ার করব।
🌹ধাপ-১৪🌹
ঘড়ি সম্পূর্ণ তৈরির শেষে আমি একটি সেলফি উঠিয়েছি ঘড়ির সঙ্গে। দেখতে মানসম্মত ছিল যদি একটু ওড়াতে পারতাম সত্যি কি যে ভালো লাগতো। আল্লাহ তাআলা যা করেন ভালোর জন্যই করেন হয়তোবা কোন ভালো কারণ এর জন্য আমাকে অসুস্থ দিয়েছেন আল্লাহতালার নিয়ামত তিনটি এক নাম্বার বৃষ্টির পানি, দুই নাম্বার মেয়ে সন্তান, তিন নাম্বার অসুস্থতা,তিনটি আল্লাহতালার অশেষ নিয়ামত। আশা করি আমার ঘুড়ি বানানোর প্রক্রিয়াটি আপনাদের ভালো লেগেছে ধন্যবাদ।
প্রতিযোগীতায় অংশ গ্ৰহন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার তৈরি ঘুড়িটি দেখতে অসাধারন হয়েছে। তাছাড়া এমন ঘুড়ি ছোট বেলায় আমি ওনেক উড়াতাম। যাই হোক বিভিন্ন কালারের রঙিন কাগজ দেওয়ার জন্য ঘুড়ির সৌন্দর্য দারুন ভাবে ফুটে উঠেছে। ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
অসাধারণ হয়েছে এক কথায়।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর গোছালো ভাবে দেখিয়েছেন এই জিনিস টা আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে।আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো। অংশ গ্রহনের জন্য অভিনন্দন।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে ভালো লাগলো। তবে অসুস্থ থাকার কারণে ঘুড়িটা উড়াতে পারেননি। বেশ পরিশ্রম করে ঘুড়িটা তৈরি করেছেন দেখছি। দেখতে খুব সুন্দর হয়েছে। বওড়া জিনিসটা আগে কখনো দেখিনি এবং এই সম্পর্কে কিছু জানিও না। আপনার পোস্টে দেখলাম আজ।
যাই হোক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি ঘুড়ি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য প্রথমে আপনাকে জানাই আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আসলে একটি ঘুড়ি বানাতে কতটা পরিশ্রম হয় তা আমি বেশ ভালোভাবে জানি যেহেতু আমিও এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি। আপনার ঘুড়িটি দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
আপনার তৈরি করা ঘুড়িটা অনেক সুন্দর হয়েছে। তবে অসুস্থতার জন্য ঘুড়ি উড়াতে পারেননি শুনে খুব খারাপ লাগলো। তবে এটাই কামনা করি যেন সুস্থ হয়ে উঠেন। আপনি এখানে কিসের বওড়ার ব্যবহার করলেন এটা বুঝলাম না। আসলে বওড়ার নাম প্রথমবার শুনলাম। এটা সম্পর্কে কোন ধারণা এখনো আমার নেই। যাইহোক আপনার তৈরি করা ঘুড়িটা কিন্তু অনেক সুন্দর ছিল। এটা আকাশে উড়ালে দেখতে অনেক সুন্দর লাগতো। আপনি অনেক পরিশ্রম করে ঘুড়িটা তৈরি করেছেন, দেখেই বুঝতে পারতেছি।
প্রথমে আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এ কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার কনটেস্টে অংশগ্রহণ করা দেখে। দারুন ভাবে কনটেস্টের ঘুড়ি তৈরি করে দেখেছেন আপনি। আশা করি আপনার ঘুড়িটা বেশ উড়েছে।
আপনি আমার বাংলা ব্লগের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনি বেশ চমৎকার ভাবে কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে ঘুড়িটি বানিয়েছেন ও আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
বাহ আপনি তো খুব সুন্দর একটি ঘুড়ি তৈরি করেছেন। আপনার ঘুড়ি তৈরি আমার কাছে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। আসলে চেষ্টা করেছেন বিদায় এত সুন্দর একটি ঘুড়ি তৈরি করেছেন। যদি আকাশে উড়াতে পারতেন তাহলে আরো ভালো লাগতো। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঘুড়ি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হাতের কাছে আপনার দক্ষতা দেখে খুবই ভালো লেগেছে ভাইয়া। ঘুড়ি তৈরি করার ক্ষেত্রে যে আপনি একটা দক্ষ কারিগর তা আপনাকে দেখেই বুঝতে পারা যাচ্ছে। আমি জানি যে আপনি খুবই সুন্দর সুন্দর ঘড়ি তৈরি করেন যা খুবই ভালো উড়তে থাকে।
আপনি বেশ সুন্দর ঘুড়ি তৈরি করেছেন। আপনার এত সুন্দর ঘুড়ি তৈরি করতে দেখে আমার অনেক অনেক ভালো লেগেছে। আপনি দেখছি অনেক পরিশ্রম করেছেন এই ঘুড়ি তৈরি করার পিছনে। বেশ ভালো লাগলো আপনার ঘুড়ি তৈরি করতে দেখে।