অসহ্য গরমে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আপনাদের সাথে নতুন আরেকটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।
বৈশাখের এই কাঠফাটা রোদ্দুরে সবার দিনগুলো কেমন যাচ্ছে? খুব একটা ভালো যাওয়ার কথা নয়। বাসা থেকে বের হলে বোঝা যায় বাইরে রোদের তাপমাত্রা আসলে কতটুকু। তবে এ বছর নববর্ষকে বরণ করে নেওয়ার আগেই গরম এসে হাজির হয়েছিল। নববর্ষের প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকেই বেশ ভালই গরম পড়েছে সবখানে। আর নববর্ষ আসার সাথে সাথে তো গরম বেড়েই চলছে। আমাদের গাজীপুরে আজকের তাপমাত্রা প্রায় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে একটু বের হয়েছিলাম একটা জায়গায় যাওয়ার জন্য তবে এত রোদ ছিল তাই খুব বেশিক্ষণ বাইরে থাকার সাহস হয়নি। তার উপর মানুষে ভরপুর রাস্তাঘাট। সবাই বাড়ি থেকে ফিরছে। একে তো সূর্য মামার গরম আর অন্যদিকে মানুষের গরম। যাইহোক সেসব কথা থাক।
গতকালও বেশ ভালোই গরম ছিল। বিকেলের দিকে অতিরিক্ত গরমের কারণে ফ্লোরে শুয়ে ছিলাম। বিছানায় মনে হয় যেন কেউ আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এমন অবস্থা। গরমে বেশির ভাগ সময় আমি ফ্লোরেই কাটাই। যাইহোক, যখন শুয়ে ছিলাম হঠাৎ বারান্দা দিয়ে দেখি পাশের বিল্ডিং এর ছাদের গাছগুলো বাতাসে দুলছে আর পুরো আকাশ অনেকটা মেঘলা হয়ে আছে। তখন ভাবলাম এটাই উপযুক্ত সময় ছাদে যাওয়ার। গরমে শরীর ঠান্ডা করার জন্য একদম পারফেক্ট ওয়েদার। আর বৃষ্টি আসার আগ মুহূর্ত আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপনারাও নিশ্চয়ই এরকম ওয়েদার অনেক পছন্দ করেন। এই ওয়েদারটা একদম প্রশান্তির।
নববর্ষের এটা প্রথম বৃষ্টি বলা যায়। আমরা সবাই বেশ কিছুক্ষণ ছাদে সময় কাটিয়েছি। মেঘলা আকাশের কিছু ফটোগ্রাফি করেছি। প্রচন্ড বাতাস ছিল। কিছুক্ষণ বাতাসে থাকার পর শরীর একদম ঠান্ডা হয়ে গিয়েছি। এরপর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। গরমে একদম অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলাম। তাই ভাবলাম বৃষ্টির ফোটা একটু গায়ে পরুক। কিছুক্ষণ বৃষ্টিতে ভিজলামও। একদম পুরোপুরি ভাবে ভিজিনি। কারণ তখন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। তারপর দেখলাম বেশ ভালোই বৃষ্টি হচ্ছে তার ওপর আকাশে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। এই টাইমটা তো অবশ্য বাইরে থাকাটা একটু রিক্সের ব্যাপার। তাই তাড়াতাড়ি করে বাসায় চলে এলাম।
গতকাল বেশ ভালোই বৃষ্টি হয়েছে। তার সাথে বাতাস তো ছিলই। ছোটখাটো ঝড় বলা যায় অবশ্য। তবে হ্যাঁ সন্ধ্যার পর থেকে বাসার জানালা গুলো দিয়ে একদম ঠান্ডা বাতাস আসছিল বাসায়। প্রকৃতির এমন ঠান্ডা বাতাস শরীর এবং মন প্রশান্ত করার জন্য যথেষ্ট। অতিরিক্ত গরমে কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেয়েছিলাম। তবে আজ সকাল হতে না হতে একই অবস্থা। বাইরে রোদের দিকে তাকালে মনেই হবে না গতকাল সন্ধ্যায় এমন একটা বৃষ্টি হলো।
রিসেন্ট কয়েকটা বছর অনেক বেশি গরম পড়ছে। আমার মনে হয় না আগে এতটা গরম পড়তো। তবে এসব কিছুর জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। প্রকৃতি কে ধ্বংসের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছি আমরা নিজেরাই। তারই প্রতিদান দিচ্ছে প্রকৃতি। আমাদের সবারই এসব বিষয়ে সচেতন হওয়া অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল 💕💕
ধন্যবাদান্তে
@isratmim
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সত্যি আপু এই অসহ্য গরমে এমন বৃষ্টি হলে স্বস্তির নিঃশ্বাস পাওয়া যায়। আরো দু'দিন আগে আমাদের এদিকে এমন স্বস্তির নিঃশ্বাস পেয়েছিলাম।আসলে আপু এখন গরম অনেক পড়ছে। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আপু বর্তমানে প্রচণ্ড গরমে টিকা যায় না বলা যায়। আর একটা কথা ঠিকই আমাদের নিজেদের জন্যই এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা যেমন প্রকৃতির সৌন্দর্য গাছপালা কেটে নগরায়ন ও শিল্পায়ন করছি। গ্রিনহাউসে এফেক্ট এর কারণে কয়েক বছর ধরে অনেক গরমের সৃষ্টি হয়েছে। প্রকৃতি আমাদের বিরুদ্ধে এখন লড়ছে। তাই আমাদের উচিত বেশি বেশি করে গাছ লাগানো এবং প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য যা যা করতে হবে করতে হবে। আমাদের তাই করতে হবে। ধন্যবাদ আপু।
আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাহ তাহলে তো বেশ ভালো সময় কাটাচ্ছেন আপু বৃষ্টি দিয়ে ঠান্ডা করে দিল। আমাদের এদিকে এতো গরম বৃষ্টির কোন নাম গন্ধ নেই। ইদানিং এত গরম সূর্যের তাপ অনেক বেশি। বাইরে গেলে সেখান থেকে এসে আর সুস্থ থাকা যায় না মাথা ব্যথা শুরু হয়ে যায়। অবশেষে আপনাদের সেখানে বৃষ্টি হলো শুনে অনেক বেশি ভালো লাগলো। খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করলেন আপনি।
আপনি ঠিকই বলেছেন ইদানিং সূর্যের তাপ অনেক বেশি। বাহিরে গেলে আর সুস্থ থাকা যায় না। চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
প্রকৃতির কোন নিয়ম কানুন বুঝতেছি না। আমাদের গ্রামে রাতের বেলা নাকি কুয়াশা পড়ে। আর ঢাকায় গরমে পাগল হয়ে যাচ্ছি। দিনের বেলা সূর্যের গরম রাতের বেলা ছাদের গরম। তবে একটু বৃষ্টি হলে ঠান্ডা বাতাস পাওয়া যায়। বাসার ছাদের দিয়ে প্রকৃতির মাঝে দারুন কিছু সময় উপভোগ করেছেন। ধন্যবাদ।
আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এইটা কিন্তু ঠিক বলেছেন আপু হয়তো এমত অবস্থার জন্য আমরা অনেকটাই দায়ী। তবে এই প্রচন্ড গরমে এক ফোঁটা বৃষ্টি যে কতটা দরকার সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। আপনার ওখানে তো বৃষ্টি হয়েছে আমাদের এদিকে তো বৃষ্টির ছিঁটে ফোঁটাও নাই। যাক এইটা ভেবে ভালো লাগলো অন্তত আপনার ওখানে একটু হলেও তো স্বস্তি ফিরে এসেছিল।পরিশেষে সৃষ্টিকর্তার কাছে একটাই প্রার্থনা যেন উনি তাড়াতাড়ি রহমতের বৃষ্টি দেন। 🤲
পহেলা বৈশাখের পর থেকেই আপু প্রচন্ড গরম পড়া শুরু হয়েছে। তবে আপনাদের ওই দিকে তো তাও একদিন বৃষ্টি হয়েছে, আমাদের এদিকে তো কিছুই হয়নি। আপনারা কিছু সময়ের জন্য অন্তত প্রশান্তি পেয়েছেন, এটাই অনেক। তবে এটা সত্যি কথা যে, এই যে প্রচন্ড গরম পড়েছে, এর জন্য কিন্তু মূলত আমরাই দায়ী।