কাজিনদের সাথে করা একটি মিনি পিকনিক
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
কিছুদিন আগে আমি আমার নানু বাড়ি যাওয়ার মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আসলে এবার নানু বাড়িতে গিয়ে বেশ কিছুদিন থাকা হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটা দিন ভালোভাবেই কেটেছে আবার কয়েকটা দিন আমি বেশ অসুস্থ ছিলাম। যাই হোক, ডিসেম্বর মাস হওয়ার কারণে কম বেশি সবারই ছুটি ছিল তাই আমরা সব কাজিন একসাথে হতে পেরেছি। আমার নানু বাড়িতে মানুষ জন একটু বেশি তাই সবাই একসাথে হলে বেশ ভালো কিছু মুহূর্ত কাটে আমাদের। আর আমরা কাজিনরা একসাথে হলে খুব আনন্দ করি।
এবার আমরা কাজিরা সবাই মিলে পিকনিক, চড়ুইভাতি এসব করার প্ল্যান করেছিলাম। ছোটবেলায় নানু বাড়িতে গেলে এসব করা হতো তবে বড় হওয়ার সাথে সাথে এগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই ভাবলাম আমরা ছোটবেলার মুহূর্তগুলোকে আবারো ফিরিয়ে আনার। ছোটবেলায় কম বেশি সবাই আমরা এসব পিকনিক কিংবা চড়ুইভাতী করে থাকি। এগুলো করতে আসলেই বেশ আনন্দ হয়। আমি আজকে আপনাদের সাথে আমাদের করা একটি মিনি পিকনিকের কিছু মুহূর্ত শেয়ার করছি। পরবর্তীতে চড়ুইভাতী করার মুহূর্তগুলো শেয়ার করব।
![]() | ![]() |
---|
বাড়িতে যাওয়ার দুইদিন আগে আমার এক খালাতো বোন আমাকে কিছু ভিডিও পাঠায় এরকম মিনি পিকনিক গুলোর যেগুলো সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেওয়া। মূলত কয়েকদিন আগে এরকম মিনি পিকনিক গুলো ট্রেন্ডিং এ ছিল। আমিও বেশ কয়েকটি ভিডিও দেখেছি। আমি চেয়েছিলাম আমার ফ্রেন্ডের সাথে করবো। তবে করব করব ভেবে পরে আর করা হয়নি। আমার কাজিন আমাকে ভিডিওগুলো দেখানোর পর বলে আমরা সবাই বাড়িতে গেলে এরকম একটা মিনি পিকনিক করবো। আমিও সাথে সাথে রাজি হয়ে গেলাম। তারপর বাড়িতে যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন রাতেই আমরা এই পিকনিক নিয়ে প্ল্যান করে ফেলি। প্ল্যান ছিল পিকনিক কোথায় করবো বা কি কি আইটেম রাখবো সেগুলো নিয়ে।
তার পরদিন সকালের দিকে বাজারে গিয়ে আমি আর আমার আরো দুইজন কাজিন মিলে সবকিছু নিয়ে আসি। যেহেতু হঠাৎ প্ল্যান আর সেখানে আগে গিয়ে কেক অর্ডার দেওয়ার মত কেউ ছিল না তাই আমরা গিয়েই কেক নিয়ে আসি। তারপর কেকের দোকানে গিয়ে ভাবছিলাম কেকের উপরে কি লিখব। এই জিনিসটা আগে থেকে ভাবা হয়নি। তারপর কিছুক্ষণ চিন্তাভাবনা করে কেকের উপর এই লেখাটা দিয়ে দিলাম। যদিও লেখার স্টাইলটা আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগেনি। লেখাটা তেমন একটা সুন্দর করে লেখেনি। তবে যাইহোক আর কিছু করার ছিল না। বিকেলের দিকে আমরা এই পিকনিকের আয়োজন করি। প্রথমে ভেবেছিলাম ছাদের উপর করবো। তারপর আবার সেই প্লান ক্যান্সেল করলাম। যেহেতু গ্রামের বাড়ি তাই একটু খোলামেলা প্রাকৃতিক পরিবেশে করলে আরো বেশি ভালো লাগবে। তাই আমরা একটা খোলামেলা জায়গা সিলেক্ট করি। যেহেতু বিকেল এখন খুব ছোট তাই আমরা দুপুরের পরপরই সেখানে চলে যাই। এবং সেই সাথে খাবারের সবকিছু নিয়ে যাই।
খাবারের আইটেম হিসেবে আরো অনেক কিছু রাখতে চেয়েছিলাম। যাইহোক যেগুলির আয়োজন করেছি সেটা মোটামুটি ভালোভাবেই হয়েছে। খাওয়া দাওয়ার থেকে ও সবাই একসাথে মিলে সময় কাটানো টাই সবচেয়ে বেশি ভালো ছিল। সবাই মিলে ভালোই এনজয় করেছি এবং সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম।
এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল 💕💕
ধন্যবাদান্তে
@isratmim
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
পোস্টটি পড়ে আমি কিছুক্ষন যাবৎ ভাবছিলাম যে এটা আবার কেমন পিকনিক। আমরা তো পিকনিক খেলি অন্য রকম করে। তবে আপনাদের কাজিনদের এমন একটি পিকনিক এর আয়োজন কিন্তু আমায় মুগ্ধ করেছে। গ্রামের পরিবেশে খোলামেলা আকাশের নিচে এমন আয়োজন হলে কিন্তু মন্দ হয় না। ধন্যবাদ আপু এমন একটি পিকনিকের আনন্দটুকু আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য।
এরকম পিকনিক সম্পর্কে আমারও ধারণা ছিল না। তবে বেশ কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ ট্রেন্ড চলছিল এরকম পিকনিকের ভিডিও গুলো। তাই আমরাও এরকম একটি পিকনিক করে নিলাম। মুহূর্তগুলো ভালই কেটেছে আমাদের। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
পারিবারিক সম্পর্ক গুলোর মধ্যে কাজিনদের সাথে যেই বন্ধু সুলভ সম্পর্ক থাকে তা হয়তো অনেক মধুর। খুবই সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর মুহূর্তটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমরা সব কাজিন রা মিলে আসলেই খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছি। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
কাজিনদের সাথে বেশ আনন্দঘন একটি টাইম কাটিয়েছেন আপু।বাড়ি গেলে আমাদেরও এরকম ছোটখাট পিকনিক হয়ে যায়।ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
সবাই মিলে এরকম কিছু মুহূর্ত কাটাতে পারলে ভালই লাগে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।