জেনারেল রাইটিং // মানুষে মানুষে কেন এত ভেদাভেদ?
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সকলে ভালই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। প্রচন্ড তাপদাহের পরে জনজীবনে একটু শাস্তি ফিরে এসেছে। এই সবই আল্লাহতালার অশেষ মেহেরবানী, আল্লাহতালা চাইলে কি না করতে পারেন তারই ছোট্ট একটা প্রমাণ। এ পৃথিবীতে আল্লাহতালার সৃষ্ট আঠারো হাজার মাখলুকাতের মধ্যে আমরা মানুষরাই হচ্ছি সৃষ্টির সেরা জীব এটা আমরা সকলেই জানি। তার কারণ সকল জীবের চাইতে আমাদেরকে সেই গুণাবলী দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যা আর অন্য কোন জীবের মধ্যে নেই। আমাদের বিবেক বুদ্ধি আমাদের চলাফেরা আমাদের পরিবেশ সব দিক থেকে বিচার করলে ১৮ হাজার মাখলুকাতের সাথে মানুষ ছাড়া কোনটারই তুলনা করা যাবে না। আর এই জন্যই আল্লাহতালা মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব বলে আখ্যায়িত করেছেন।
আমি যতটুকু জানি আল্লাহ তাআলা সকল মানুষের বিবেক বুদ্ধি একই রকম করে তৈরি করে পাঠিয়েছেন তবে এক্ষেত্রে কেউ হয়তো তার বিবেক বুদ্ধির পুরোটাই বিকাশিত করতে পারে, আবার কেউ হয়তো সেটা পারেনা। তবে মানুষের মধ্যে স্বভাবগত,আকৃতিগত ও গায়ের রঙের পরিবর্তন রয়েছে। আমরা মানুষরা এই জিনিসটাকে পুঁজি করে অনেক অহংকার করে থাকি। কিন্তু আমরা এটা চিন্তা করি না যে আমরা রক্তমাংসের গড়া মানুষ, আমরা একই জাতি। যে জাতি তার বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে সৃজনশীলতার মাধ্যমে নিজেকে বিকশিত করার মাধ্যমে পৃথিবীতে আধুনিকতার ছোঁয়া এনে দিয়েছে। এই আধুনিকতায় আমরা এখন নিজেদেরকে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমরাই হইলাম সেই মানুষ জাতি।
কিছুই বিষয় আমি খুবই অবাক হই এবং নিজে থেকে অনেক চিন্তা ভাবনা করি যে আমরা মানুষেরা মানুষেরা কেন এত মারামারি, এত হিংসা, অহংকার, প্রতিহিংসা, একজন আরেকজনকে দেখতে না পারা এই বিষয়গুলো যখন আমার নজরে পড়ে তখন আমার কাছে খুব খুব খারাপ লাগে। তখন আমি নিজের মন থেকে চিন্তা করে মিলাতে পারি না যে আমরা তো সবাই মানুষ সবাই মিলে মিশে কেন চলতে পারি না, কেন একজন আরেকজনের ভালোটা দেখতে পারিনা, সব সময় কেন এই মন-মানসিকতা থাকে যে কিভাবে একজন আরেকজনের ক্ষতি করা যায়। হ্যাঁ এটা অবশ্য ঠিক সব মানুষ কিন্তু একই রকম নয় এক্ষেত্রে অনেক ভালো মানুষও রয়েছে যারা কখনো মানুষের ক্ষতি করার চিন্তা করেই না, বরং কিভাবে তার উপকার করা যায় কিভাবে তাকে কিছুটা সহযোগিতা করে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া যায়। সেই দিক থেকে বিচার-বিশ্লেষণ করে এটাই আমরা সবাই বলি যে পৃথিবীটা ভালোমন্দ মিলেই যেখানে ভালো আছে সেখানে খারাপও আছে।
তারপরও কেন জানি আমার কাছে এ বিষয়টা খুব খারাপ লাগে যখন দেখি একজন মানুষ আরেকজন মানুষের সাথে মারামারি করছে, যখন দেখি একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে গালাগালি দিচ্ছে, যখন দেখি একজন মানুষ আরেকজন মানুষের ক্ষতি করছে। এইতো কিছুদিন আগে আমার বাসার পাশে সে যে কি মারামারি একজন আরেকজনের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে দেখলেই যেন গা শিউরে ওঠে। কিভাবে পারে মানুষ এগুলো করতে? ইদানিং দেখি ইউটিউব ফেসবুকে মানুষ মানুষকে রাস্তাঘাটের সহযোগিতা করছে এবং সেগুলো ভিডিও আকারে শেয়ার করছে। এই বিষয়গুলো দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তবে আমি যতটুক জানতে পেরেছি মানুষকে সহযোগিতা যদি তুমি ডান হাত দিয়ে করো বাম হাত যাতে জানতে না পারে। কিন্তু এরা দেখি নিজেরা সহযোগিতা করছে আবার সে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এটা অবশ্য একদিক থেকে ভালো যে একজনের দেখে আরেকজন শিখছে এবং তাদের দেখে মানুষ উদ্বুদ্ধ হয়ে গরিব অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করছে। এতে করে অসহায় গরিব সাধারণ মানুষগুলো কিছুটা হলেও সহযোগিতা পাচ্ছে।
আসলেই পৃথিবীটা একটি বিচিত্র জায়গা আর এই বিচিত্রতা ফুটে উঠেছে আমাদের মানুষের মাঝে এই ভেদাভেদ থেকেই। আল্লাহতালা পৃথিবীতে মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ দিয়েছেন ধনী-গরিব। কিন্তু আমরা শুধু এই ধনী গরীব দুটির মাঝে সীমাবদ্ধ নই। আমরা ধনীরা এখানে গরীবদেরকে দেখতে পারিনা, তাদের সাথে নম্র বা ভালো ব্যবহার করিনা তাদেরকে খুব তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করি, অথচ এই ধনীরা যদি গরিবদের পাশে দাঁড়ায় তাদেরকে সহযোগিতা করে তাহলে তারা খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকতে পারতো। এরকম অনেক মানুষ আছে যারা এখনো রাস্তা ঘাটে শুয়ে থাকে, স্টেশনে শুয়ে থাকে অথচ এরকম বৃত্তশালী মানুষের জন্য আজ পৃথিবীটার এই অবস্থা। কিছু কিছু দেশে দেখা যায় মানুষ খেতে না পেয়ে দুখে দুখে মারা যাচ্ছে অথচ পৃথিবীটা এত বড় আর এত এত ধনী দেশ উন্নত উন্নত রাষ্ট্র থাকা সত্ত্বেও এসব দেশের মানুষ গুলো না খেয়ে মারা যাচ্ছে। এক দেশ আরেক দেশের সাথে যুদ্ধ করে কোটি কোটি ডলার অপচয় করছে অথচ মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে সে বিষয়গুলো দেখার কেউ নেই। এই বিষয়গুলো দেখলে এতটা ব্যথিত হয় হৃদয়, মন চায় নিজের সামর্থ দিয়ে চেষ্টা করি কিন্তু আল্লাহতালা যতটুক সামর্থ্য দিয়েছে ততটুকু চেষ্টা করে থাকি।
মানুষ মরণশীল এই পৃথিবীতে আমরা কেউ চিরদিন বেঁচে থাকবো না কিন্তু নিজেকে অমর করে রেখে যাওয়ার কিছু কাজ যদি আমরা বেঁচে থেকে করে যেতে পারি তাহলে সারা জীবন মানুষ আমাদেরকে মনে রাখবে। আর সেই জিনিসটার মধ্যে সবচেয়ে বড় বিষয় প্রাধান্য পায় গরিব অনাহারী মানুষগুলোর মুখে আহার তুলে দেওয়া, তাদের খোঁজ-খবর নেওয়া। আমরা যদি আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করি তাহলে এই মানুষগুলো অন্তত খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকতে পারবে, আর তাদের মনের আত্মতৃপ্তি থেকে আল্লাহতালা আমাদেরকে তার গায়েবি খাজানা থেকে পুরস্কৃত করবেন ইনশাল্লাহ। তাই আসুন আমরা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে যাই মারামারি হিংসা প্রতিহিংসা কারো ক্ষতি করা এগুলো থেকে বিরত থাকি নিজেই প্রতিজ্ঞা করি যে আজ থেকে এগুলো নিজের করবো না এভাবে যখন এক এক করে সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবো তাহলে একটা সময় এই ভেদাভেদ উঠে যাবে এটা আমার বিশ্বাস।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনার পোস্টটি পড়ে আসলে আমার কাছে। আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু পৃথিবী একটি বিচিত্র ময় জায়গা সেই জায়গাটি ফুটে উঠেছে আমাদের মানুষের মধ্যমে। ঠিক বলেছেন আপু আপনি প্রতিহিংসা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে আমাদের সকলকে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমার পোষ্টটি পড়ে এতটা অসাধারণ ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
মানুষে মানুষে কেন এত ভেদাভেদ? শিরোনামে সুন্সর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন, এজন্য ধন্যবাদ আপু।ভেদাভেদ বা বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্টা করতে গেলে আগে সাধারণ মানুষকে তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে হবে । আর একবার অধিকার সচেতন মানুষ সংগঠিত হয়ে রুখে দাড়ালে স্থায়ী সমাধান হবে। কিন্তু বড়লোকেরা তা করতে দিবেনা! যথার্থ বলেছেন মানুষ মরণশীল ।এই ভাবনা সবার থাকলেও এত ভেদাভেদ থাকতোনা। শুভ কামনা আপনার জন্য।
যথার্থই বলেছেন আপু, আপনার এই কথার সাথে আমিও একমত বড়লোকেরা এগুলো করতে দিবে না। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এতটা গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আসলেই মানুষ হচ্ছে মরণশীল, এই পৃথিবীতে কেউ আজীবন বেঁচে থাকবে না। একদিন না একদিন সবাইকে চলে যেতে হবে। নিজেকে অমর করে কেউ চিরদিন বেঁচে থাকবে না। আসলে চলে যাওয়ার আগে যদি কিছু একটা করে যেতে পারি, তাহলে জীবনে কারো সাহায্য হবে এবং তারা আমাদেরকে মনে রাখবে। সত্যি কথা বলতে মানুষে মানুষে কেন এত ভেদাভেদ এটা কেউই জানে না। কিছু কিছু মানুষ খারাপ রয়েছে আবার কিছু মানুষ ভালো। কিছু মানুষ রয়েছে অন্যের ক্ষতি করার জন্য বসে থাকে, আবার কিছু মানুষ অন্যের ক্ষতি করতে চায় না। যাইহোক আপনি খুবই সুন্দর একটা টপিক তুলে ধরে আজকের এই পোস্টটা লিখেছেন। ভালো লেগেছে পড়তে।
আসলে মানুষের ভেদাভেদ এই বিষয়টি আমার কোনভাবেই ভালো লাগেনা আমরা সবাই মানুষ জাতি আমরা চাই একে অন্যের উপকার করার মাধ্যমে বা সাহায্যে সহযোগিতা করার মাধ্যমে মিলেমিশে থাকতে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে এতটা গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আসলে মানুষে মানুষে অনেক ভেদাভেদ রয়েছে সবকিছু নিয়ে। বেশিরভাগ মানুষ বিভিন্ন রকমের বিষয় নিয়ে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে একে অপরের ভেতর। আমাদের সবার উচিত এরকম ভেদাভেদ সৃষ্টি না করে মিলেমিশে থাকা। হিংসা, মারামারি, অহংকার, ঝগড়া-বিবাদ এই সব কিছু ছেড়ে দিয়ে মিলেমিশে থাকা এবং সমাজের মানুষকে সাহায্য করা। আসলে কিছু কিছু মানুষ অন্যের ক্ষতি করতে চায়। এরকমের মানুষগুলো একে অপরের সাথে ভেদাভেদ সৃষ্টি করার জন্য বসে থাকে। যাইহোক ভালো লাগলো পড়ে।
আমার পোস্টটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
ঠিক বলেছেন পৃথিবী একটি বিচিত্র জায়গা। এইখানে মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ অনেক বেশি। অনেকে সৌন্দর্য এবং বিভিন্ন দিক নিয়ে অহংকার করে। তারা একবারও চিন্তা করো না সবাই রক্তমাংস গড়া মানুষ। যেমন গরিব বড়লোকের মধ্যে তফাৎ থাকে। আমরা যদি ভালো কাজ করে যেতে পারি তাহলে মানুষ অনেকদিন স্মরণ রাখবে। মরেও মানুষ সেই কাজের জন্য ওমর হয়ে থাকবে। তাই ভেদাভেদ ভুলে সবাই সবাইকে সম্মান করা উচিত। আপনার রাইটিং পোস্টে পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
আমাদের সকলেরই উচিত সকলের সাথে ভালো ব্যবহার করে সবাইকে সাহায্য সহযোগিতা করে সকলে মিলে এগিয়ে যাওয়া, তাহলে আমাদের পৃথিবীটা আরো সুন্দর হয়ে উঠতো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম। আপনার জন্য শুভকামনা অবিরাম।
আমরা মানুষ এবং আপনাদের মাঝে জ্ঞান বুদ্ধি সব আছে। কিন্তু আমরা মানুষে মানুষের সাথে ভেদাভেদ করে থাকে। মারামারি হিংসা অহংকার এগুলো আমাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। এগুলো যদি না থাকে তাহলে মানুষে মানুষে অনেক মিল থাকবে। মিলেমিশে সবাই একসাথে বসবাস করলে এই পৃথিবী অনেক সুন্দর হয়ে যাবে। আপনি খুব সুন্দর একটি মূল্যবান পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ঠিক বলেছেন আপনি মানুষে মানুষে যদি ভেদাভেদ না থাকতো তাহলে আমাদের পৃথিবীটা আরো অনেক অনেক বেশি সুন্দর হতো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে এতটা গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।