নাটক রিভিউ // শামস করিমের "বউ বিভ্রাট" নাটকের রিভিউ।।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও আল্লাহর মেহেরবানীতে ও আপনাদের দোয়ায় বেশ ভাল আছি। আসলে পড়ালেখার ব্যস্ততার কারণে এখন তেমন একটা নাটক সিনেমা দেখাই হয় না। তবে আমি আজকে যে নাটকটি রিভিউ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছি এই নাটকটি অনেক রোমান্টিক ও শিক্ষনীয় একটি নাটক এ নাটকের যারা অভিনয় করেছেন সবাই আমার খুব প্রিয়। এই নাটকের প্রধান চরিত্রে মোশারফ করিম আমার খুবই প্রিয় একজন অভিনেতা। যখনই সুযোগ পাই মোশারফ করিমের নাটকগুলো আমি খুব স্বাচ্ছন্দে দেখে থাকি আমার কাছে মোশারফ করিমের অভিনয়টা অনেক অনেক ভালো লাগে। আসলে মানুষ বেধে যেরকম একটা ভিন্নতা আছে তেমনি প্রতিটা মানুষের অভিনয় ক্ষেত্রে অনেক ভিন্নতা রয়েছে সেই ভিন্নতার মাঝে মোশারফ করিমের অভিনয় গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।

IMG_20230606_215736.jpg

তাহলে চলুন বন্ধুরা নাটকটি রিভিউ আকারে দেখে আসবেন। অবশ্যই এই রিভিউ দেখার পর আপনারা নাটকটি ইউটিউবে দেখে নেবেন আমার বিশ্বাস অনেক ভালো লাগবে।

নাটক রিভিউ
নাটকের নামবউ বিভ্রাট
কাহিনী ও চিত্রনাট্য পরিচালনামানস পাল
পরিচালনায়শামস করিম
অভিনয়েমোশারফ করিম, নিশাত প্রিয়ম, শরীফ হোসেন ইমন, পুষ্প পাপড়ি, জাহাঙ্গীর আলম মোক্তার।
সময়কাল০১:১২:০৯ মিনিট।
কাহিনী সংক্ষেপ
আবির গেরস্থ বাড়ির ছেলে আর কবিতা হচ্ছে আবিরের ফুফাতো বোন, সেই দিক থেকে বলতে গেলে তারা হচ্ছে মামাতো ফুফাতো ভাই বোন। আবিরের দাদার ইচ্ছা কবিতাকে আবিরের সাথে বিয়ে দিয়ে এ বাড়িতে রেখে দেওয়া। কিন্তু আবিরের ইচ্ছে হলো সে গ্রামের কোন সাধারণ মেয়েকে বিয়ে করবে না সেই শহরের স্মার্ট সুন্দর মেয়ে বিয়ে করবে এজন্য সে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়, প্রায় এক বছর হল সে আর গ্রামে আসে না। নাটকটির প্রথমে আমরা যা দেখতে পাবো তা হচ্ছে গ্রামের বাড়িতে নানা নাতনি মিলে উঠানে বসে কথাবার্তা বলছে তার সাথে নাতনি নানার জন্য পান বানিয়ে দিচ্ছে। তারা দুজনে আগেই একটা বিষয় নিয়ে পরিকল্পনা করে রেখেছে সেটি হচ্ছে আবিরকে শহর থেকে ফিরে আনার জন্য আবিরের দাদা তার ক্যান্সার হয়েছে এই বলে আবিরের কাছে খবর পাঠিয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে তারা আলোচনা করছে নানা নাত ধারণা করছে যে এরকম একটা খবর শুনে কি আবির বাড়িতে ফিরে আসবে। তখন কবিতা বলবো অবশ্যই ফিরে আসবে এর মধ্যে তাদের বাড়িতে কাজ করা ছেলেটি দৌড়ে এসে তাকে খবর দিল আবির শহর থেকে বাড়িতে আসছে। এ কথা শুনে তারা দুজনেই তাড়াহুড়া করে সেখান থেকে উঠে গিয়ে আদরের দাদা বিছানায় শুয়ে পড়ল এবং কবিতা পাশে বসে পাখা দিয়ে বাতাস করতে লাগলো।

IMG_20230606_220053.jpg

তারপর আমি বাড়িতে এসে দেখতেছি তার দাদা বিছানায় শুয়ে আছে সে খুব চিন্তিত ছিল এবং বিষয়টি কবিতাকে জিজ্ঞাসা করল কিভাবে এটা হল তখন আবির তার দাদাকে জিজ্ঞাসা করল ডাক্তার দেখিয়েছেন কিনা? এখন তার দাদা বলল যে তার বন্ধু ডাক্তার করিমকে দেখিয়ে ছিলাম এবং সেই তাকে আর মাত্র ১৫ দিন সময় বাঁচবো এটা বলেছে। এদিকে একটু অবাক হয়ে বলল করিম দাদা তো দাঁতের ডাক্তার সে ক্যান্সারের কি বুঝবে? এরপর দাদা নাতনি দুজনে একটু ঘাবড়ে গিয়ে দাদা তখন উত্তর দিল যে ক্যান্সার তার দাঁতের মাড়ি থেকে মাথার দিকে গিয়েছে এবং এটা পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়েছে তাই সে আর বেশি দিন বাঁচবে না তখন আবির সেটা বিশ্বাস করলো। এরপর আবিরের দাদা কবিতাকে এক গ্লাস পানি আনতে পাঠিয়ে দিল এদিকে তার দাদা তাকে বলল কবিতা খুব ভালো মেয়ে তাকে বিয়ে করে সংসারী হয়ে যাও। আমি মরার আগে আমার নাত বউয়ের মুখটা দেখে যেতে চাই। তখন বলল যে তুমি চিন্তা করো না আমি শহর থেকে তোমার নাত বউ নিয়ে এসেছি তুমি তাকে দেখে মরতে পারবে কোন সমস্যা নেই। তোমার কথা চিন্তা করেই বিয়ে করে তোমার নাত বউকে নিয়ে গ্রামে এসেছি।

IMG_20230606_220008.jpg

এদিকে গ্রামে আসার আগে আবির তার বন্ধুকে ম্যানেজ করে তার বন্ধুর স্ত্রীকে ১৫ দিনের জন্য ধার করে নিজের বউ বানিয়ে গ্রামে নিয়ে আসে। তারপর আবির তার দাদাকে তার ধার করা বউ লিজাকে এবং তার বন্ধুকে লিজার বড় ভাই হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। আবিরের দাদা ও কবিতা অনেকটা কষ্ট পেয়ে কষ্টটাকে বুকে চেপে রেখে দিল। কবিতা তার কষ্টকে বুকে চেপে তাদের মেনে নিয়ে তাদের থাকার জন্য রুমের ব্যবস্থা করে দিলো। কিন্তু আবিরের দাদা বিষয়টিকে মেনে নিতে পারল না তখন আবিরের ধার করা বউ লিজা বলল যে তাকে একটা সুযোগ দেওয়ার জন্য দাদা যেভাবে চায় সেভাবে তার সেবা যত্ন করে তার মন জয় করে নেবেন। এটা বলার পর আবিরের দাদা রাজি হয়ে তার ছেলের বউকে বিভিন্ন কাজ করার জন্য বলল। প্রথমে তাকে তার মাথা টিপে দিতে বলল কিন্তু আবির বিষয়টা বুঝতে পেরে তাকে বলল যে তুমি অনেক জার্নি করে এসেছো এখন যেয়ে রেস্ট নাও আমি দাদার মাথায় টিপে দিচ্ছি। এটা বলে লিজাকে পাঠিয়ে দিল সেখান থেকে। এদিকে কবিতা ও তার বান্ধবী মিলে আবির ও লিজার জন্য বাসর ঘরে ফুল দিয়ে ফু্লশয্যা তৈরি করল। ফুলশয্যা দেখে লিজার স্বামী কবির বিষয়টি মেনে নিতে পারছে না সে আবিরকে ডেকে বলল যে এসবের কি দরকার ছিল। কিন্তু এই কথার ভিতরে দিয়ে কবিতা ও তার বান্ধবীর সামনে আবির কে বলল তোর ভাবী কোথায় তখন তারা বিষয়টিকে একটু অন্যভাবে নিল। আবির সেটা বুঝতে পেরে বিষয়টিকে ধামা চাপা দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে গেল।

IMG_20230606_220115.jpg

এদিকে লিজাকেও তারা বউ এর মত করে সাজালো। তারপর আবির যখন তাদের সাজানো বাসর ঘরে গেল লিজার স্বামী সেটা সহ্য করতে পারছে না সে তাদেরকে বলছে দরজা খোলা রাখার জন্য। কিন্তু আবির বলল সেটা কোনভাবেই সম্ভব নয় তাহলে তাদের সব ঘোমর ফাঁস হয়ে যেতে পারে। তখন লিজার স্বামী বিষয়টি বুঝতে পেরে সেখান থেকে চলে গেল চলে। গেল ঠিকই কিন্তু সে দরজার সামনে থেকে সেখানে ঘুর ঘুর করতে লাগলো। আবিরের যখন ঘুম আসছিল না দরজা খুলে বেড়িয়ে আসতে লাগলো তখন দৌড়ে গিয়ে লিজার স্বামী লিজাকে দেখার জন্য ভিতরে ঢুকে গেল। এভাবে তারা সেই রাতটা শেষ করল।

IMG_20230606_220216.jpg

এদিকে সকালে উঠে আবিরের দাদা তার নাত বউকে পরীক্ষা করার জন্য গোবর ও পানি দিয়ে তাদের উঠান লেপে দেওয়ার জন্য বলল। লিজা এরকম কাজ কখনো করেনি তাই সে এটা করতে পারবে না তার দাদাকে সে বলল। কিন্তু আবিরের দাদা তো নাচোরবান্দা তাকে এটা করতেই হবে। তা না হলে তো তার যোগ্য নাত বউ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে না। কিছুটা বিরক্ত হয়ে যা বলেই ফেলল সে আপনার আসল বউ এলে তাকে দিয়ে এগুলো করিয়েন নকল বউয়ের কাছে এত আবদার কেন? এ কথাটা শুনে সবাই কিছুটা ঘাবড়ে গেল তখন বলল নকল কেন, এখানে নকল বা আসলে কথা আসে কেন? বিষয়টি আবির শুনতে পেয়ে সে এসে বলল আসলে লিজা যেটা বোঝাতে চেয়েছে তুমি তো লিজাকে এখনো নাত বউ হিসেবে স্বীকার করো নাই তাই সে নকল তাকে যদি স্বীকার করতে তাহলে সে হয়তো করতো। সেখানে আবির এসে তাকে বলল যে লিজা শহরের মেয়ে সে এই কাজগুলো কখনো করেনি। আবির বলল আচ্ছা দাদা তুমি বলো তুমি সবসময় হাত দিয়ে ভাত খেতে এখন তোমাকে যদি হঠাৎ করে দেওয়া হয় চাইনিজদের চপিস্টিক তাহলে কি তুমি ভাত খেতে পারবে? সেখান থেকে তার দাদাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে আবির নিয়ে গেল।

Screenshot_2023-06-06-14-53-18-327_com.google.android.youtube.jpg

IMG_20230606_220836.jpg

Screenshot_2023-06-06-14-59-05-166_com.google.android.youtube.jpg

Screenshot_2023-06-06-14-54-25-455_com.google.android.youtube.jpg

এদিকে লিজার স্বামী কবিতার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে কবিতাও কিছুটা দুর্বল হয়ে একজন একজনের সাথে কথাবার্তা বলছে। বিষয়টি লিজা গোপনে দেখতে পেয়েছে তাই দেখে লিজা অনেক কষ্ট পেয়েছে। এরই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য লিজা তার স্বামীকে দেখিয়ে দেখিয়ে আবিরের সাথে হাত ধরাধরি করছে এবং তার পা টিপে দেওয়ার জন্য তাকে বলছে। তাই দেখে কবির কিছুটা ক্ষেপে গিয়ে দৌড়ে এসে আবিরকে বলছে এটা কি হচ্ছে বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে তুই কিন্তু আমাকে বলতে পারতি আমি এসে লিজার পা টিপে দিতাম তখন ওই মুহূর্তে লিজা বলে ফেললো তুমি তো কবিতা হাত ধরা নিয়ে ব্যস্ত আছো তোমার কি সময় হবে এ কথা শুনে কবির সেখান থেকে লজ্জায় চলে গেল। যখন দুজনের মধ্যে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়ে গেল তখন কবির সিদ্ধান্ত সেখান থেকে নিজেকে নিয়ে চলে যাবে কিন্তু লিজা এখান থেকে কোনভাবেই যাবে না তখন কবির দৌড়ে গিয়ে আবিরের দাদার কাছে সব ঘটনা খুলে বলার জন্য যখন বলতে গেল তখন আবিরের দাদা তাকে বলল যে আমি সব কিছুই জানি, যে লিজা আবিরের বউ না লিজা হচ্ছে তোমার বউ। তখন কবির কিছুটা অবাক হয়ে গেল তখন সে আরো পুরোপুরি সবকিছু তাকে খুলে বলল।

IMG_20230606_220314.jpg

IMG_20230606_220253.jpg

IMG_20230606_220348.jpg

IMG_20230606_220331.jpg

এরপর সব কিছুই তখন খোলাখুলি হয়ে গেল তখন তারা উঠানে সবাই বসে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে শুরু করলো। আবির শুধু তার দাদাকে বোঝাতে চাইল যে সে শুধু দাদার শান্তির জন্য পরের বউকে ধার করে তোমার সামনে নিয়ে এসেছিলাম। তখন লিজা ও দাদাকে তার ক্যান্সার হয়েছে বিষয়টা যে নাটক সেটাও সে সবার সামনে বলে দিল। কিন্তু আবির লিজারের বিষয়টা সে কিভাবে জানতে পেরেছে জানতে চাইলে তখন লিজা বলল যে দাদা আর কবিতা যখন এ বিষয়টা নিয়ে কথা বলছিল তখন সে শুনে ফেলেছিল। এরপর আবিরের কবিতার উপর তার ভুল ধারণাটা সরে গেল। এরপর আবির কবিতাকে আপন করে নেওয়ার জন্য এগিয়ে আসলো। এদিকে লিজা আবিরের কাছে দৌড়ে এসে বলল কবির নাকি তাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে এবং তাকে সে তার সাথে নিয়ে যাবে না। আবির তা বুঝতে পেরে কবির কোথায় গিয়েছে কোথায় গেলে তাকে পাওয়া যাবে সে লিজাকে আশ্বস্ত করে কবিরের কাছে চলে গেল। পুরো বিষয়গুলা তারা সেখানে মীমাংসা করল এবং একজন আরেকজনের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিল। তারপর তারা দুজনে সেখান থেকে আসার সময় দুষ্টুমি করতে করতে বাড়ি ফিরল।

বিঃদ্রঃ সকল ছবি মোবাইলে স্ক্রিনশট নেওয়া।

নিজস্ব মতামত
এই নাটকটি নিয়ে আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো এই নাটকটি আসলে খুবই মজার একটি নাটক। যখনই আবির তার ধার করা স্ত্রী লিজাকে ভাবি বলে ফেলত সে সময় আমি খুব মজা পেয়েছিলাম। তবে এই নাটকের মাঝে গ্রাম বাংলার অনেক চিত্রই ফুটে উঠেছে তার মধ্যে ফুটে উঠেছে আগেরকার দিনের দাদা দাদীরা বা বাবা মা'রা তাদের যে একটা ইচ্ছা ছেলে তাদের পছন্দমত বিয়ে করবে সে বিষয়টা ফুটে উঠেছে। তবে নাটকের মধ্যে যেভাবে একজন আরেকজনকে তাদের ইচ্ছা পূরণ করার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে এই বিষয়টি আমাদের জন্য কোনভাবেই মঙ্গল বয়ে আনবে না। কারণ মিথ্যা কখনোই ইচ্ছা পূরণের সঠিক মাধ্যম হতেই পারে না। তাই আমাদের উচিত এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে সত্যের মাধ্যমে এ বিষয়গুলোর সঠিক মীমাংসা করা ।

রেটিংস
১০/৯
-
নাটকের ইউটিউব লিংক

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!

 2 years ago 

আপনি খুব চমৎকার নাটক রিভিউ করেছেন। ‌‌ নাটকটি দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে মোশারফ করিমের নাটক গুলো আমার কাছে সত্যিই খুব ভালো লাগে। মোশারফ করিমের ডায়লগ সত্যি খুব অসাধারণ। এই নাটকের কাহিনী সুন্দর সামাজিক প্রেক্ষাপটে তৈরি। এত সুন্দর নাটক রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

 2 years ago 

সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 2 years ago 

খুবই সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ পোস্ট করেছেন, যা পড়ে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। মোশারফ করিমের নাটক গুলো দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আর এরকম নাটকগুলো দেখতে যেমন ভালো লাগে, তেমনি রিভিউ ও পড়তে বেশ পছন্দ করি। এই নাটকটা খুবই মজার নাটক ছিল দেখেই বুঝা যাচ্ছে এবং রিভিউ পড়েও বুঝতে পারলাম। এই নাটকটা এখনো দেখা হয়নি, তাই ভাবছি সময় পেলে নাটকটা দেখে নেব। খুব সুন্দর ছিল সম্পূর্ণটা।

 2 years ago 

নাটকটি খুবই মজার ছিল। দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। সময় পেলে নাটকটি দেখে নেবেন আশা করি আপনার কাছে খুব ভালো লাগবে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

মোশারফ করিমের নাটক এমনিতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। যদিও এই নাটকটি আমি দেখি নাই। তবে আপনার পোষ্টের মধ্যে নাটকটি পড়ে অনেক ভালই লাগলো। সময় পেলে নাটকটি দেখার চেষ্টা করব। তবে নাটকের রিভিউ পড়ে খুব মজা পেলাম অন্যের বউ ধার করে নিয়ে এসে নিজের বউ বলে পরিচয় দিতে লাগলো। যদিও বউকে ভাবি বলে ফেলেছে এই কারণে ব্যাপারটি অনেকটাই ক্লিয়ার হয়ে গেল। তবে ঠিক বলেছেন গ্রাম অঞ্চলে আগেরকার এসব নীতি ছিল মানুষের মৃত্যুর আগে ইচ্ছাগুলো পূরণ করার চেষ্টা করত। যদিও নাটকের মধ্যে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে। অনেক সুন্দর করে নাটকটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

সময় পেলে নাটকটি দেখে নিবেন । আশা করি আপনার কাছে ভালো লাগবে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আপনি আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে শেয়ার করেছেন। বউ বিভ্রাট নাটকের রিভিউটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। সময় পেলে অবশ্যই নাটকটি দেখবো। দারুন একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

সুন্দরও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

খুব চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। নাটকটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজার ও হাস্যকর।
মোশারফ করিমের নাটক গুলো এমনিতে অনেক হাসির ও মজার হয়। সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।

 2 years ago 

মোশারফ করিমের নাটক আমার অনেক ভালো লাগে। আর আপনার নাটকের ভিডিওটি দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক হাস্যকর ছিল নাটকটি। এই নাটকটি আজো আমি দেখিনি তবে ইনশাল্লাহ দেখে নেব। শুভকামনা রইল আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.13
TRX 0.33
JST 0.034
BTC 111309.50
ETH 4299.15
SBD 0.85