বার্থডে উপলক্ষে পাওয়া গিফট

সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।

জন্মদিন আমাদের সবার জীবনেই খুব স্পেশাল একটা দিন। গতকাল অর্থাৎ ৬ এপ্রিল আমার বার্থডে ছিলো। এই নিয়ে চার বছর ধরে বার্থডে রোজার মধ্যে পড়ে যার কারণে তেমন সেলিব্রেট করা হয় না। আর এমনিতেও আমার আব্বু এসব দিন সেলিব্রেট করা পছন্দ করে না তাই সেলিব্রেট করাও হয় না। তবে আমার ফ্রেন্ডস রা কেক গিফট সব নিয়ে হাজির হয়ে যেত কিন্তু রোজার মধ্যে পড়ার কারণে সেসব হয়ে উঠে না। যাইহোক, বার্থডে সেলিব্রেট করতে না পারলেও গিফট কিন্তু ঠিকই পেয়ে যাই। আর আজকে বার্থডে উপলক্ষে পাওয়া গিফট গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।

রাত বারোটার পর থেকেই অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার প্রত্যেকটা জায়গায় উইশ করেছে। উপরে যে স্ক্রিনশট টি শেয়ার করলাম এই বার্থডে উইশ টি করেছিল আমার ছোট কাকা। উনি লন্ডন থাকে। দূরে থাকলেও আমাদের কাজিনদের বার্থডে গুলো তে গিফট দিয়ে দেয়। সকালের দিকে আমাকে ফেসবুকে উইশ করেছিল। এই লেখাটা পড়ে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আসলে পরিবারে সবার বড় হওয়া ছাড়া এত সুন্দর উইশ পাওয়া সম্ভব নয়। উইশ করার কিছুক্ষণ পরই ভিডিও কলে কথা হয়। কথার মধ্যেই বলে যে আমার জন্য বার্থডে উপলক্ষে কিছু টাকা পাঠাবে। এত দূরে যেহেতু গিফট দেওয়া সম্ভব নয় তাই আমার জন্য টাকা পাঠিয়ে দেয় এবং বলে আমি যেন আমার পছন্দ মত কিছু কিনে নেই।

আজকে সকালে গিয়ে এই স্নেকারস জোড়া কিনে এনেছি। ঈদ উপলক্ষে তেমন কোন কেনাকাটা আমার করা হয়নি। আর জুতা কিনার কোনো প্ল্যানই ছিল না। কিন্তু গিফট পাওয়ার পর মনে হল যে আমার আগের স্নেকারস জোড়া পুরোনো হয়ে এসেছে। তাই এটা কিনার সিদ্ধান্ত নিলাম। জুতা গুলো আমার বেশ পছন্দ হয়েছে।

আজ মার্কেটে গিয়েছিলাম আব্বু আম্মুর সাথে। তারপর ব্যাগের দোকানে গিয়ে আমাকে বলল ব্যাগ পছন্দ করার জন্য। ব্যাগ কিনারও প্ল্যান ছিল না। আর আমি এই ধরনের ব্যাগ তেমন একটা ব্যবহারও করিনা। ভাবলাম সুযোগ যেহেতু আছে তাহলে একটা পছন্দ করেই ফেলি। তারপর পছন্দ করে এই ব্যাগটা নিয়েছিলাম। ব্যাগটা আম্মু প্রথমে পছন্দ করেছিল। আমার কাছেও বেশ ভালো লাগলো তাই এটা নিয়ে নিলাম। এই ব্যাগটা আব্বু আম্মুর পক্ষ থেকে পাওয়া গিফট। আমার ছোট বোন ও গতকাল আমাকে কিছু চকলেট আর আইসক্রিম গিফট করেছে তবে ইফতারের পর আনার সাথে সাথে সবাই মিলে খেয়ে ফেলেছিলাম তাই আর ছবি তুলতে মনে ছিল না।

এই গিফট গুলো আমার ফ্রেন্ড রা দিয়েছে। গতকাল আমাকে হটাৎ ফোন দিয়ে বলে একটা সমস্যা হয়েছে আমি যেন এমার্জেন্সি দেখা করি। আমিও একটু ভয়ে ছিলাম কি না কি হলো পরে দেখি এই কাহিনী। ওরা প্রত্যেকবারই একেক রকম প্ল্যান করে গিফট দেয়। এখানে বেশ কিছু হিজাবের ব্রুজ ছিল। আর ছিল একটা রিং আর এক জোড়া কানের দুল।

এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল 💕💕

✅আমি ইসরাত জাহান মিম। আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। বাঙালি হিসেবে আমি গর্বিত, কারণ বাংলা আমার অহংকার। আমার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে কিন্তু বাবার ব্যবসার কারণে বর্তমানে অবস্থান করছি গাজীপুরে। আমি আমার পড়াশুনা এইচ এস সি পর্যন্ত করেছি এবং এখন পরবর্তী পর্যায়ের ভর্তি প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবারের একজন সদস্য এজন্য আমি অনেক উৎসাহিত ও আনন্দিত। আমি বই পড়তে পছন্দ করি, সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে বিভিন্ন নতুন নতুন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে ও প্রকৃতির কাছাকাছি থেকে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করতে। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২০ সালের ১৭ই ডিসেম্বর। স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। ✅