ঈদের দিনের কিছু মুহূর্ত
আসসালামু আলাইকুম
আসলে ঈদের প্রধান আনন্দ মূলত চাঁদ রাতেই হয়ে থাকে। চারদিকে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তবে শহরের দিকে তো অনেক ফাঁকা হয়ে যায় ঈদের আগেই। তাও যারা থাকে তারা পুরো এলাকা মাতিয়ে রাখে। আমি তো চাঁদ দেখা ছাড়া কোনো আনন্দ শুরুই করি না😆। চাঁদ রাতে সবাই বক্সে গান ছেড়েছে চারদিকে বাজি ফাটাচ্ছে আর আমি চাঁদ দেখার ঘোষণার অপেক্ষায় ছিলাম। যেহেতু মেঘলা ছিল তাই আমি দেখতে পারি নি। যাইহোক, তারপর আমি কয়েকজনকে মেহেদি দিয়ে দিলাম হাতে। যদিও খুব সুন্দর দিতে পারি না কিন্তু চেষ্টা করেছি কম বেশি দিয়ে দেওয়ার জন্য। আসলে হাতে মেহেদি না দিলে ঈদের ফিল আসে না। সবাইকে দিতে দিতে আমি নিজেই দিতে পারি নি। ৯ টার দিকে আমাদের পরিবারের সবাই মিলে কয়েকটি বাজি ফুটিয়েছিলাম।
এগুলো আমার হাতের মেহেদি ডিজাইন। ডান হাতে আমার ছোট কাকি দিয়ে দিয়েছিল আর অন্য হাতে আমি নিজেই দিয়েছিলাম তাও রাত প্রায় ২ টার দিকে। কারণ এর আগে আমাদের পাশের ফ্ল্যাটের একজনের হাতে লাগিয়ে দিয়েছিলাম তাই আরো দেরি হয়েছে আমার। আমি ভাবছিলাম সকালে উঠে মেহেদির রং কেমন হবে। যেহেতু অর্গানিক মেহেদি তাই রং হতে সময় লাগে।
সকালে দেখলাম মেহেদির রং ভালোই হয়েছে। তবে খুব বেশি রং হয় নি। তবে মেহেদি দেখা যাচ্ছিল এটাই অনেক😜।
ঈদের দিন খুব সকালেই ঘুম থেকে উঠা হয়। উঠে ফ্রেশ হয়ে সেমাই খেয়ে তারপর গোসল করে রেডি হয়ে গিয়েছিলাম। যেহেতু আমার দাদা দাদু সবাই একসাথেই থাকি তাই আমাদের ঈদের আগে কোথাও যাওয়ার ঝামেলা থাকে না একদমই। সবাই একসাথে গাজীপুরেই ঈদ করা হয় প্রত্যেকবার। সবাই নামাজ পড়ে আসার আগেই আমরা কাজিন রা মোটামুটি রেডী হয়ে যাই। এরপর সবাই আসলে সবাইকে সালাম দিয়ে সালামি আদায় শুরু হয়ে যায়। যেহেতু আমরা একসাথে থাকি তাই সালামি ভালোই উঠে😜। আমাদের পরিবারে সালামি দেওয়া নেওয়া ভালো ভাবেই হয়। এই এবার স্পেশাল ভাবে আমার ছোট কাকা এবং কাকীর পক্ষ থেকে ছিল। এই কার্ড টি আমার ছোট কাকি তৈরি করেছিল আমাদের সব কাজিনদের জন্য। কার্ড টি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিলো।
এরপর সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করে নেই। তারপর সবাই মিলে ছাদে গিয়ে পারিবারিক ফটোশুট করি। এবার ঈদে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি। কারণ পরেরদিন নানুর বাড়িতে যাওয়া লাগবে যার কারণে ব্যাগ রেডি করতে হয়েছে। যেহেতু খুব লম্বা জার্নি দিতে হবে তাই ঈদের দিন কোথাও যাই নি। আর ঈদে যেকোনো জায়গায় খুব ঝামেলা থাকে।
এই কার্ডগুলো অনলাইনে।এবার ব্যাপক সেল হয়েছে দেখলাম,হাতে বানানো দেখে ভালো লাগলো।অনেকদিন পর আপনার পোস্ট চোখে পরলো আমার।
আমিও অনেকদিন পর আপনার কমেন্ট পেলাম আপু। কার্ড গুলো অনলাইনে দেখে তো ভেবেছিলাম এভাবে কেউ সালামি দিলেও পারে। তারপর ঈদের দিন পেয়েই গেলাম।
আপনারা সব কাজিনরা মিলে দেখছি খুবই ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ঈদের দিন। সবাই মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়া ঘোরাঘুরি সত্যি ভীষণ ভালো লাগে এভাবে সব কাজিনরা মিলে ঈদ উদযাপন করতে। যদিও আপনাদের এবার ঈদে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি কিন্তু খুবই ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন আপনারা। আপনারা পারিবারিক ফটোশুট ও করেছিলেন। শেষে সবাই মিলে হাতের মেহেদির যে ফটোগ্রাফি করেছিলেন ওটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে দেখতে।
হাতের মেহেদির যে ফটোগ্রাফি সেটা আমাদের সবার খুব পছন্দের একটি ফটোগ্রাফী। আসলে একদম পারফেক্টলি ফটোটা উঠেছে। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
ঈদের দিন আপনার বেশ ভালই কেটেছে আপু। আপনার ছোট কাকীর দেওয়া ঈদ কার্ডটি খুব সুন্দর লাগছে। নিজের হাতে তৈরি করে অনেক সুন্দর ভাবে ওই উপহার দিয়েছেন। সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন এবং আমাদের সবার মাঝে সেই মুহূর্তগুলো তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এই কার্ড টি আমারও খুবই ভালো লেগেছে। সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
সত্যি বলতে পরিবারের সকলে মিলে একত্রে ঈদ আনন্দ উপভোগ করার মাঝে এক অন্যরকম ভালোলাগা ভালোবাসার কাজ করে সব সময়ই। আপনার ঈদ আনন্দ দেখে বেশ ভালো লাগলো খুবই সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন বিশেষ করে আপনার ছোট কাকা এবং কাকির গিফট বক্স আমার কাছে অনেক বেশি। সুন্দর এই মুহূর্তটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া, পরিবারের সবাই মিলে একত্রে ঈদ উদযাপন করার অনুভূতিটাই অন্যরকম। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন ঈদের আনন্দ চাঁদ রাতেই সবচেয়ে বেশি উপভোগ করা হয়। এই দিনটি ঘিরে আমাদের মধ্যে কত জল্পনা কল্পনা কাজ করে। আমরা আগে থেকে ঠিক করে রাখি মেহেদীর কোন ডিজাইন দেব, কেমন ড্রেস পড়বো আর কোথায় ঘুরতে যাব। আমরাও চাঁদ রাতে সবাই মিলে অনেক রাত পর্যন্ত মেহেদী পড়েছি আর আড্ডা দিয়েছি। ঈদের দিন কাটানো খুব সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ
আমার কাছেও চাঁদ রাত বেশি ভালো লাগে। কারণ ওই সময়টা তে অনেক বেশি মজা হয় এবং উৎসবমুখুর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
ওয়াও অসাধারণ ছিল আপনাদের ঈদের দিনের কিছু মুহূর্ত গুলো। সবাই মিলে অনেক আনন্দ তে মেতে উঠেছিল ঈদের দিনে । আসলে ঈদের দিনে আমরা সবাই নতুন পোশাক পরিধান করি। পিতা-মাতা ভাই বোন পরিবারের সকলে মিলে অনেক হইহুল্লোড় এবং আনন্দ করে থাকি। আপনারা সবাই মিলে অনেক সুন্দর ভাবে হাতে মেহেদী পড়েছেন মেয়েরা সাজুগুজু একটু বেশি পছন্দ করে। তার মধ্যে একটি অন্যতম হচ্ছে মেহেদী ডিজাইন হাতে পরা। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মুহূর্ত উপহার দেওয়ার জন্য।
হাতে মেহেদি পড়া আমিও খুব পছন্দ করি। সবাই মিলে আসলে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
সবাই মিলে একসাথে ঈদ করার মজাই আলাদা যদিও আমাদের তেমন আত্মীয় স্বজনের কাছে যাওয়া হয়নি এবার। আপনার ঈদের অনুভূতি পরে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপু সাধারণত ঈদের মধ্যেই সব আত্মীয়-স্বজন একসাথে হওয়ার একটা সুযোগ থাকে। কারণ সবাই কর্মব্যস্ত দিনগুলো থেকে ছুটি পায়। আপনাকেও ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু আকাশ মেঘলা থাকার কারণে চাঁদটি এবার দেখতে পায়নি। তবে চাঁদ দেখাটাই আসলে অনেক বেশি আনন্দের একটি বিষয়।
আসলে ঈদের চাঁদ নিজের চোখে দেখলে অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করে। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
কাজিন রা মিলে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আপু ঈদে।যৌথ ফ্যামিলি যেহেতু সালামি ভালোই উঠার কথা।আপনার ছোট কাকির দেওয়া কার্ড টি অনেক কিউট ছিল। ঈদে সবাই মিলে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি এবার,আপনার নানু বাড়ি যাওয়া ছিল এজন্য।ঠিকই বলেছেন ঈদে যেকোনো জায়গায় খুব ঝামেলা থাকে।ফটোশুট করেছিলেন সবাই মিলে ছাদে।সব মিলিয়ে ভালোই ছিল আপনার ঈদের মুহূর্ত।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
যৌথ ফ্যামিলিতে আসলেই অনেক বেশি মজা হয়। সবাই মিলে খুব ভালোভাবে ঈদ উদযাপন করেছিলাম। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি তো ঈদে অনেক ঘোরাফেরা করেছেন শুনে অনেক ভালো লেগেছে। আসলে ঈদের আনন্দটা শুরু হয় যখন আমরা নতুন চাঁদ দেখি তখন থেকে। অনেক জন কে ঈদের মেহেদী দিয়েছেন দেখেতো অনেক ভাল লাগলো। অনেক জায়গায় ঘোরাঘুরি করেছেন অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।
আপু, আপনি কিছুটা ভুল করেছেন সম্ভবত। আমি পোস্টে উল্লেখ করেছি আমি এই ঈদে কোথাও ঘুরতে যাই নি।