রেনডম ফটোগ্রাফি// বারান্দায় নিজের হাতে টবে লাগানো কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি (পর্ব-১)
"আসসালামু আলাইকুম"
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলেই আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে ভালই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহতালার মেহেরবানীতে ভালো আছি। আপনাদের মাঝে আমার বারান্দায় নিজের হাতে টপে লাগানো কিছু গাছের রেনডম ফটোগ্রাফির দুইটি পর্বে শেয়ার করবো। আজ আমি শেয়ার করব প্রথম পর্বের আটটি রেনডম ফটোগ্রাফির। আশা করি আমার এই রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ফটোগ্রাফি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। সত্যিকার অর্থে আমার বাংলা ব্লগে যখন কাজ করতাম না তখন এই ফটোগ্রাফির ব্যাপারে কোনরকম আগ্রহী ছিলাম না, কিন্তু দিন দিন ফটোগ্রাফি করতে করতে এতটা আগ্রহ হয়ে উঠেছি এখন যেখানেই যাই না কেন মোবাইলটা হাতে নিয়ে ফটোগ্রাফি করা শুরু করে দেই। শুধু যে আমার বাংলা ব্লগে পোস্ট করার উদ্দেশ্যে ফটোগ্রাফি করা হয় এখন কিন্তু তা নয়, এখন অনেকটা মনে আনন্দে ফটোগ্রাফি করে থাকি। তাহলে চলুন সবাই আমার বারান্দায় লাগানো টপে গাছের রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসবেন
ফটোগ্রাফিঃ ০১
- উপরের প্রথম ফটোগ্রাফিতে আপনার যে গাছগুলো দেখতে পাচ্ছেন সেগুলোর নাম হচ্ছে পুদিনা পাতা। সামনে রমজান মাস এবং এই রমজানে ইফতারের সাথে পুদিনা পাতা কাঁচা কেটে দিলে কিন্তু খেতে অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। সেজন্য প্রতিবছর আমি আমার বারান্দায় পাতা টপে লাগিয়ে থাকি। পুদিনা পাতা কিন্তু খেতে অনেক উপকারী তাই আপনারাও আপনাদের বারান্দায় বা পরিত্যক্ত জায়গায় এই পুদিনা পাতার চাষ করে নিজেদের চাহিদা পূরণ করতে পারেন।
ফটোগ্রাফিঃ ০২
- এই ফটোগ্রাফিতে যে গাছটি দেখতে পাচ্ছেন এটা একটি ক্যাকটাস গাছ। ক্যাকটাস আমার খুবই পছন্দের একটা গাছ। তাই আমি বারান্দায় কয়েক ধরনের ক্যাকটাসে চারা লাগিয়েছি এবং সে গাছ গুলো একেক করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। আমি প্রতিদিনই সময় করে গাছগুলোর খুবই যত্ন করে থাকি আপনারা গাছগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন কতটা যত্ন করে থাকি আমি।
ফটোগ্রাফিঃ ০৩
- এটাও আরেক ধরনের একটি ক্যাকটাস। এই গাছটি আমি খুবই ছোট্ট একটি গাছ লাগিয়েছিলাম। তারা এখন দেখেন কত বড় হয়ে গিয়েছে দেখতেও কিন্তু অনেকটা সুন্দর লাগছে সেই সাথে গাছের গোড়ায় আরো কিছু ক্যাকটাসের চারা দেখা যাচ্ছে সেগুলো পর্যায়ক্রমে আরো বড় হবে।
ফটোগ্রাফিঃ ০৪
- উপরের ফটোগ্রাফিতে যে গাছটি দেখতে পাচ্ছেন এটি হচ্ছে এলোভেরা গাছ। আমি আমার নিজের প্রয়োজনে এই গাছটি লাগিয়েছি। আমি প্রায় সময় আমার চুলে এলোভেরা দিয়ে থাকি আমার চুলগুলোকে সিল্কি করার জন্য, তাছাড়া আমি আমার মুখেও ব্যবহার করে থাকি। এছাড়াও এই অ্যালোভেরা দিয়ে তৈরি সর্বোচ্চ খেতে কিন্তু অনেক সুস্বাদু লাগে এবং অনেক উপকারী ও শরীরের জন্য।
ফটোগ্রাফিঃ ০৫
- এটিও আরেকটি অ্যালোভেরা গাছ আমি বেশ কয়েকটা টপে গাছ লাগিয়েছি। গাছগুলো খুব যত্ন করে থাকি তাই দিন দিন গাছগুলো অনেক চমৎকারভাবে বেড়ে উঠছে।
ফটোগ্রাফিঃ ০৬
- এই ফটোগ্রাফিতে যে গাছ গুলো দেখা যাচ্ছে এগুলো হচ্ছে ধনিয়া পাতা। এই ধনিয়া পাতাগুলোকে আমাদের গ্রাম অঞ্চলের বিলাতি ধনিয়াপাতা বলে থাকে। শুনে একবার আমার নানুকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম কেন এগুলোকে বিলাতি ধনিয়া পাতা বলে? আমার নানু আমাকে বললেন এগুলো নাকি আগে বিলেত থেকে এসেছে, বিলেত মানে বিদেশ।
ফটোগ্রাফিঃ ০৭
- এটিও একটি বিলাতি ধনিয়া পাতার গাছ। ধনিয়া পাতা গাছের উপরের অংশ খুব ছোট ছোট পাতা দ্বারা চমৎকারভাবে ফুলের মতো ফুটে থাকে, দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে তবে এগুলোর প্রতিটা পাতার মধ্যে কাটা রয়েছে এজন্য কিছুটা ভয় লাগে।
ফটোগ্রাফিঃ ০৮
- এখানে যে গাছ গুলো দেখতে পাচ্ছেন সেগুলো হচ্ছে পুঁইশাকের চারা। এগুলো আমার আম্মা কোথা থেকে বিচি এনে ফেলেছিলেন তাই সবগুলো একসাথে বেশ কয়েকদিন পরে উঠে গেছে। কচি কচি চারাগুলো দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে তাই আপনাদের মাঝেও শেয়ার করলাম। হয়তো এখান থেকে কোন একটি চারা অনেক বড় হয়ে বারান্দায় আরো সুন্দরভাবে বড় হবে। হয়তো এখান থেকেও অনেক সবজি পাব যেমন গত বছর অনেক গুলো পুঁইশাকের সবজি খেয়েছিলাম। তাই আশা করছি এইবারও এই চারাগুলো থেকে বেশ কিছু পুঁইশাকের সবজি পাব ইনশাআল্লাহ।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার নিজের বাসার বারান্দায় নিজের তৈরি টবে লাগানো বেশ কিছু গাছের রেনডম ফটোগ্রাফি। পরবর্তী পর্বে আরো বেশ কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব আশা করি আমার এই পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। সেই সাথে মন্তব্য করতে ভুলবেন না আমার ফটোগ্রাফি গুলো কেমন লেগেছে। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন, ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
ধন্যবাদান্তে
@isratmim
ডিভাইস নেম:- স্যামসাং গ্যালাক্সি A03s
টপ বারান্দায় ফুলের বাগান সত্যিই অসাধারণ যেমন সতেদ অক্সিজেন পাওয়া যাবে তেমন পরিবেশটা অনেক সুন্দর থাকবে।।
ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদেরকে দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন সত্যি অনেক ভালো লাগলো আসলে ফটোগ্রাফি করতে আমিও অনেক ভালবাসি।।
ঠিকই বলেছেন,টপ বারান্দায় ফুলের বাগান সত্যিই অসাধারণ যেমন সতেজ অক্সিজেন পাওয়া যাবে তেমন পরিবেশটা অনেক সুন্দর থাকবে। সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনার নিজের হাতে লাগানো টপ গুলোর থেকে অনেক সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগলো। আসলে নিজের হাতে কিছু লাগাতে পারলে ফুল এবং বিভিন্ন ধরনের গাছ মন থেকে শান্তি পাওয়া যায়। তবে আমার কাছে বেশি ভালো লাগলো এলোভেরা গাছ এর ফটোগ্রাফি। অনেক সুন্দর করে বর্ণনা দিয়ে ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আপনি ঠিকই বলেছেন বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগালে মন থেকে শান্তি পাওয়া যায়। আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে আমি খুবই আনন্দিত হলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু আপনার শখের বাগানের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। নিজের হাতে বাগান করতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আর আপনার গাছ গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। দারুন সব ফটোগ্রাফি আমাদের সকলের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ঠিকই বলেছেন নিজের হাতে গাছ লাগাতে আমার কাছেও খুবই ভালো লাগে তাই মাঝেমধ্যে বারান্দায় অনেক রকম গাছ লাগাই। আর আপনাদের ভালো লাগাই আমার এই কাজের সার্থকতা। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার ফটোগ্রাফি গুলার মধ্যে থেকে আমার কাছে পুদিনা পাতার ফটোগ্রাফি এবং ধনিয়া পাতার ফটোগ্রাফি খুবই ভালো লেগেছে।
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
একদম সত্য কথা বলেছেন এই প্লাটফর্মে কাজ করার পর থেকেই সবাই ফটোগ্রাফির প্রতি অনেকটা আসক্ত হয়েছে। আসলেই প্রকৃতির রূপ সৌন্দর্য আগে কখনো এইভাবে উপভোগ করা হয়নি এখন ফটোগ্রাফির পাশাপাশি সেই সৌন্দর্য উপভোগ করা হয়। আপনার করা ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর ছিল।
চমৎকার মন্তব্য করেছেন। চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাহ! বারান্দায় দেখছি ছোট করে বাগান তৈরি করে ফেললেন ছোট ছোট গাছের উদ্ভিদ দিয়ে। অনেকদিন পর ধনিয়াপাতা দেখলাম।আর বিলাতি ধনিয়া পাতা মনে হয় এইবারই প্রথম দেখলাম।।যদিও ধনিয়া পাতা অনেক বিলুপ্তির পথে। এখন আপডেট ধনিয়া পাতা বাজারে পাওয়া যায়। ফটোগ্রাফি দেখে ভালো লাগলো 🍃
ঠিকই বলেছেন, বিলাতি ধনিয়া পাতা এখন বিলুপ্তির পথে। এখন আপডেট ধনিয়া পাতা বাজারে পাওয়া যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার বারান্দায় করা টপের বাগানের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগছে।পুদিনা পাতা,বিলাতি ধনিয়া পাতা,এলোভেরা,ক্যাকটাস সব মিলিয়ে দারুন বাগান করেছেন বারান্দায় আপু।ধন্যবাদ সুন্দর ফটোগ্রাফি পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার শখের বাগান থেকে দারুন দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার তোলা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। পুদিনা পাতা কখনো খাওয়া হয়নি তাই এটা টেস্ট কেমন তাও জানিনা। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পুদিনা পাতা খেতে খুবই ভালো লাগে। এই গন্ধ খুবই দারুণ। পুদিনা পাতা খুবই উপকারী একটি পাতা। ধন্যবাদ আপনাকে । আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার নিজের বাসার বারান্দায় নিজের তৈরি টবে লাগানো বেশ কিছু গাছের রেনডম ফটোগ্রাফি দেখে আমি তো একেবারেই মুগ্ধ। বারান্দায় এরকম বিভিন্ন রকমের গাছ লাগালে দেখতে একটু বেশি আকর্ষণীয় লাগে। আপনি খুবই সুন্দর রেনডম ফটোগ্রাফি করেছেন। ফটোগ্রাফি করতে এবং দেখতে আমি ভীষণ ভালোবাসি। বর্ণনা সহকারে শেয়ার করেছেন দেখি একটু বেশি ভালো লাগলো।
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।