স্পেশাল রেসিপি // নারিকেল বাটা ও চিংড়ির শুটকি দিয়ে কচুর ফুলের ভুনা রেসিপি।
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে আরও একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি যেই রেসিপিটি শেয়ার করব সেটি হচ্ছে নারিকেল বাটা ও চিংড়ি শুটকি দিয়ে কচুর ফুলের ভুনা রেসিপি। কয়েকদিন আগে আম্মুর সাথে বাজারে গিয়েছিলাম একটা বয়স্ক করে লোক এই কচুর ফুল এবং কিছু ঢেঁকি শাক নিয়ে এসেছিল বিক্রি করার জন্য বাজারে। আম্মু তো কচুর ফুল দেখে খুব পছন্দ হয়ে গেল। অনেকদিন পর বাজারে পেয়েছে খুব একটা পাওয়া যায় না আমিও আর না করিনি। আমিও বললাম যে নিয়ে নাও আমার একটা রেসিপি হয়ে যাবে। পাশে একটা মহিলা এসে জিজ্ঞাসা করছে এগুলো কি? আমরা তো রীতিমতো অবাক হয়ে গেলাম। এখনো অনেক মানুষ আছে যারা নাকি কচুর ফুল চিনে না। তখন লোকটি তাকে বলল এগুলো কচু গাছের ফুল। মহিলাটি বলছে কচু গাছের আবার ফুল হয় এই প্রথম দেখলাম, তা এগুলা কি করে? তখন লোকটি বলল এগুলা রান্না করে খাওয়া যায়। আমরাও তখন বললাম হ্যাঁ এগুলো রান্না করে খাওয়া যায় অনেক মজা হয় খেতে। কিন্তু মহিলাটি এগুলো আর কিনে নিল না। বলল যেটা চিনিনা সেটা নিয়ে কিভাবে খাব।
যাইহোক আমরা কিনে নিয়ে আসলাম এক আঠি। কচুতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ আপনারা হয়তো লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন এই কচুর জাতীয় আইটেমগুলো কিন্তু বর্তমানে বাজারে এখনও সবচেয়ে কম দামে পাওয়া যায় বিশেষ করে কচুর শাক বা কচুর ফুল। আমরা এই কচুরফুল মাত্র ২০ টাকা দিয়ে এক আঠি কিনে এনেছিলাম। এই কচুর ফুল আমি এর আগে রান্না করিনি কিন্তু আমার আম্মু এই কচুর ফুল খুব মজা করে রান্না করতে পারে। তাই আম্মুকে পাশে রেখে আম্মুর থেকে জেনে প্রতিটা ধাপে ধাপে আমি এই নারিকেল বাটা ও চিংড়ি শুটকি দিয়ে কচুর ফুলের ভুনা রেসিপি তৈরি করেছি। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার আজকের এই রেসিপিটি ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
রেসিপিটির সর্বশেষ ফটোগ্রাফি
- কচুর ফুল এক আঠি
- চিংড়ি শুটকি
- নারিকেল বাটা
- লবণ
- পেঁয়াজ
- হলুদের গুঁড়ো
- মরিচের গুঁড়ো
- জিরার গুঁড়া
- রসুন বাটা
- কাঁচামরিচ
- সয়াবিন তেল।
- প্রথমে আমি কচুর ফুল গুলোকে ছোট ছোট করে কেটে নিলাম। তারপর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিলাম।
- এবার আমি নারিকেল গুলো ব্লেন্ডার দিয়ে ব্লেন্ড করে নিলাম।
- তারপর চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে চুলার আছ একবারে কমিয়ে প্রথমে আমি কচুর ফুলগুলো কড়াইতে ঢেলে দিলাম।
- তারপর আমি রসুন বাটা গুলো এর মধ্যে দিয়ে দিলাম।
- এরপর পরিমাণমতো লবণ দিয়ে দিলাম।
- তারপর দিয়ে দিলাম জিরা গুড়া গুলো।
- এরপর দিয়ে দিলাম হলুদ গুঁড়া।
- তারপর দিয়ে দিলাম মরিচের গুঁড়া, দিয়ে সবগুলো উপকরণ একসাথে মিশিয়ে ভালো করে নেড়ে ছেড়ে দিলাম।
- এবার দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো পানি তারপর আবারো ভালো করে নেড়েচেড়ে দিলাম।
- এরপর আমি দিয়ে দিলাম ব্লেন্ড করা নারিকেল গুলো। এই রেসিপিটার মধ্যে নারিকেল বাটা দিলে খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে।
- এর মধ্যে আমার মোটামুটি বেশ কিছু উপকরণ দেওয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। তারপর আমি একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে এগুলো সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম তারপর সিদ্ধ হওয়ার পরে...
- আবারো চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে এর মধ্যে পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল দিয়ে পেঁয়াজের কুচি ও মরিচ কুচি গুলো দিয়ে কিছুটা ভেজে নিলাম।
- এবার আমি শুটকি গুলোকে ভালো করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধৌত করে এর মধ্যে দিয়ে কিছুটা ভেজে নিলাম।
- তারপর এর মধ্যে কচুর ফুল গুলো ঢেলে ভালো করে নেড়েচেড়ে আরো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে, স্বাদটা কেমন হয়েছে চেক করে দেখলাম। দেখলাম যে অনেক সুস্বাদু হয়েছে তাই আমি চুলা থেকে নামিয়ে আমার রেসিপিটি সম্পন্ন করলাম।
দারুন স্বাদের একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।দেখেই বেশ মজার হয়েছে মনে হচ্ছে। কচু ফুল যদিও আমার কখনো খাওয়া হয়নি।কিন্তু আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেলো। আপনি নারিকেল দেয়াতে আরো বেশি মজার হয়েছে। আর সাথে শুঁটকি।সবকিছু মিলিয়ে দারুন মজার আইটেম আজ শেয়ার করলেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু মজার এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। সম্ভব হলে কচুর ফুল এভাবে একদিন রান্না করে খেয়ে দেখবেন। আশা করি আপনার কাছে খেতে ভালো লাগবে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন নারিকেল বাটা ও চিংড়ির শুটকি দিয়ে কচুর ফুলের ভুনা রেসিপি। আসলে আপনার তৈরি রেসিপিটি আমার কাছে একদম ইউনিক একটি রেসিপি মনে হচ্ছে। আসলে এই রেসিপি তৈরি করে আগে অনেক খেয়েছি কিন্তু এত রকমের উপাদান দিয়ে তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। তাই মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন রেসিপিটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
নারিকেল বাটা ও চিংড়ির শুটকি দিয়ে কচুর ফুলের ভুনা রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি খুবই দক্ষতার সাথে এই রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপি পরিবেশন দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক মজাদার হয়েছে। এত মজাদার রেসিপি ধাপে ধাপে পরিবেশন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ রেসিপিটি খেতে খুবই মজা হয়েছে। আমার কাছে তো বেশ ভালো লেগেছে খেতে। আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
নারিকেল বাটা ও চিংড়ির শুটকি দিয়ে কচুর ফুলের ভুনা রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে।এতো মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেকে ধন্যবাদ।
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমি কালকে কচু গাছের ফুলের ভর্তা রেসিপি শেয়ার করেছি। আজ আপনার রেসিপিটি দেখে বেশ ভালো লাগলো। শুটকি দেওয়াই মনে হচ্ছে খুব সুন্দর ফ্লেবার ছিল।
অনেকেই কচুর ফল সম্পর্কে অবগত নয়। তাই মহিলাটি এত অবাক হয়েছিল।
সুন্দরও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আসলে আপু নারিকেল বাটা ও চিংড়ির দিয়ে শুধু কচুফুল কেনো সব কিছুই অনেক মজার হয়।আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল। সত্যি এই ধরনের রেসিপি গুলো অনেক মজার হয়।প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
রেসিপিটি খেতে আমার কাছেও খুবই মজা লেগেছে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সম্পুর্ন নতুন ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। নারিকেল বাটা ও চিংড়ির শুটকি দিয়ে কচুর ফুলের ভুনা রেসিপি। এভাবে আমি কখনো খাইনি। আপনার পরিবেশন দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে ভীষণ মজা হয়েছে। ভালো লাগলো আপু রেসিপি পোস্ট দেখে।
সম্ভব হলে রেসিপিটি একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। আশা করি আপনার কাছে খেতে ভালো লাগবে। আর হ্যাঁ আমার রেসিপিটি খেতে খুবই মজা হয়েছে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
কচুর ফুল চিনেনা এমন মানুষ আজকে আমি প্রথম শুনেছি। কচু শাক খেতে যেমন ভাল লাগে তেমনি কচুর ফুল খেতে ভাল লাগে আমার। তবে আপনার রেসিপি দেখে একদম মুগ্ধ হয়ে গেছি আমি। অনেক চমৎকার ভাবে আপনি রেসিপিটি তৈরি করলেন নারকেল বাটা দিয়ে। আমার কাছে তো ভীষণ ভাল লেগেছে আপনার আজকের তৈরি করা রেসিপিটি। আশা করি খেতে অনেক ভালো লাগবে কচুর ফুলের এই রেসিপি।
আমার রেসিপি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমিও খুবই আনন্দিত হলাম। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
কচুর ফুল অনেকেই চেনে না আপু । আসলে কচুর ফুলে এমন একটা গন্ধ আছে ওই জন্য অনেকে আবার পছন্দও করে না। নারিকেল বাটা আর চিংড়ি শুটকি দিয়ে কচুর ফুলের ভুনা রেসিপি, এটা কিন্তু একেবারেই ইউনিক । আর দেখতেও কিন্তু বেশ ভালো লাগছে।
সুন্দরও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা অবিরাম।