শুভ নববর্ষ ১৪৩১

প্রথমেই সবাইকে বাংলা নববর্ষের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। শুভ নববর্ষ ১৪৩১। সবার নতুন এই বছর অনেক অনেক ভালো কাটুক এই কামনা করি। নতুন বছর সবার জন্য আনন্দ, সমৃদ্ধি ও সুস্বাস্থ্য নিয়ে আসুক।

সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আপনাদের সাথে পহেলা বৈশাখে কাটানো কিছু মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। কয়েকদিন আগেই ঈদুল ফিতর পালন করলাম। আর আজ বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। এই কয়েকটা দিন বেশ উৎসবমুখর পরিবেশ চারদিকে। পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালীদের সার্বজনীন উৎসব। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এই দিনটি উদযাপন করে। আর বেশ ঐতিহ্যের সাথে এই দিনটি উদযাপন করে। সবাই লাল এবং সাদা রঙের পোশাকে সেজে ওঠে। সকাল সকাল পান্তা ভাত দিয়ে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ বিভিন্ন ধরনের ভর্তা এবং ইলিশ মাছ খাওয়া হয়। শোভাযাত্রা বের হয়। বর্ষবরণের উপলক্ষে ঢাকায় যে শোভাযাত্রা বের হয় সেখানে কিন্তু অনেক বিদেশীরাও অংশগ্রহণ করে। এই ব্যাপার গুলো আসলেই খুব ভালো লাগে।

আজ খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছি। বর্ষবরণ উপলক্ষে আমাদের আশেপাশে অনেক জায়গাতেই অনুষ্ঠান করা হয়। আমাদের গাজীপুরে রাজবাড়ীর মাঠেও বেশ ভালো আয়োজন করা হয়। তবে এবার রাজবাড়ীর মাঠে যাওয়া হয়নি। এবার গিয়েছিলাম বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে। আমি এখানকার স্কুলে পড়াশোনা করেছিলাম এবং বর্তমানে আমার ছোট বোন এই স্কুলে পড়াশোনা করছে। প্রত্যেক বছরই অনেক বড় আয়োজন করা হয় সেখানে। আমরা সেখানকার স্টুডেন্ট হওয়াতে ঢুকতে তেমন কোন অসুবিধা হয় না তবে সাধারণ মানুষের জন্য সবসময় উন্মুক্ত থাকে না। যাই হোক, টাইম দেওয়া হয়েছিল ৭ঃ৩০ টায়। ঠিক এই টাইমে একটি শোভাযাত্রা বের হয়েছে। তবে দেরি হয়ে যাওয়ায় আমরা শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে পারিনি।

প্রত্যেকবারের ন্যায় এবারও পুরো এরিয়ার রাস্তা গুলোর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের আলপনা অঙ্কন করা হয়েছে। স্কুলে থাকতে আমরাও পুরো স্কুলে আলপনা অঙ্কন করতাম পহেলা বৈশাখের আগের দিন। এগুলো দেখলে এখন সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেখলাম প্যান্ডেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানকার বড় বড় কর্মকর্তারা পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে শুভেচ্ছা বার্তা দিচ্ছিল। যেহেতু আমার পুরনো জায়গা তাই মোটামুটি সবকিছুই চেনা এবং মানুষজন চেনা। স্কুলের পুরনো স্টুডেন্ট এবং টিচারদের সাথেও দেখা হয়েছিল। বেশ ভালো লেগেছিল মুহূর্তগুলো। সবাই খুব সুন্দর ভাবে সেজে এসেছে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে। আমি একটা সাদা ড্রেস পড়ে গিয়েছিলাম আজকে।

তারপর সেখানে গিয়ে দেখলাম সেখানে খাওয়া-দাওয়ার ও ভালোই আয়োজন করা হয়েছে। সবাই প্যান্ডেলে বসে খাওয়া দাওয়া করেছে। তবে আমি সকালে বাসা থেকে খেয়ে বের হয়ে ছিলাম তাই খাইনি। খাওয়া-দাওয়ার আয়োজনে ছিল পান্তা ভাত, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, কয়েক রকমের ভর্তা এবং পেঁয়াজু। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাঙ্গালির ঐতিহ্যবাহী খাবার গুলোই রাখা হয়েছে। খাওয়া-দাওয়ার মাঝেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যায়। অনেকে মিলে দলীয় সংগীত পরিবেশন করে। তারপর কিছু একক সংগীত কিছু নৃত্য পরিবেশন করা হয়। ছোটদের পারফরম্যান্স গুলো দেখে ভালোই লেগেছে। পহেলা বৈশাখে বাংলার সুন্দর গানগুলো শুনেছিলাম। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করার পর কিছুক্ষণ পুরো এরিয়াটাতে ঘুরাঘুরি করেছিলাম ছবি তুলেছিলাম। অনেক রোদ হওয়ায় খুব বেশিক্ষণ থাকতে পারিনি। তাই তাড়াতাড়ি করে বাসায় চলে আসলাম। সব মিলিয়ে ভালো একটা সময় কাটিয়েছি।

এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল 💕💕

✅আমি ইসরাত জাহান মিম। আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। বাঙালি হিসেবে আমি গর্বিত, কারণ বাংলা আমার অহংকার। আমার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে কিন্তু বাবার ব্যবসার কারণে বর্তমানে অবস্থান করছি গাজীপুরে। আমি আমার পড়াশুনা এইচ এস সি পর্যন্ত করেছি এবং এখন পরবর্তী পর্যায়ের ভর্তি প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবারের একজন সদস্য এজন্য আমি অনেক উৎসাহিত ও আনন্দিত। আমি বই পড়তে পছন্দ করি, সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে বিভিন্ন নতুন নতুন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে ও প্রকৃতির কাছাকাছি থেকে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করতে। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২০ সালের ১৭ই ডিসেম্বর। স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। ✅