হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাটানো কিছু মুহূর্ত
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আমার কাটানো কিছু মুহূর্ত শেয়ার করবো। সেখানে গিয়েছিলাম গত সপ্তাহের মঙ্গলবার।
আমি এই নিয়ে দুই বার বিমানবন্দরে গিয়েছি। ছোটবেলায় একবার গিয়েছিলাম। সবকিছু ভালো ভাবে মনেও ছিল না। তবে এখন তো সবকিছু অনেক বেশি উন্নত হয়েছে। আর নতুন করে যে টার্মিনাল - 3 টা হচ্ছে সেটার কথা আর কি বলবো। বাহির থেকে যতটুকু দেখলাম ইনডোর টা অনেক বেশি সুন্দর করে সাজানো হচ্ছে। তবে কাজ এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি।
অনেক কথা বলে ফেললাম তবে এখনও বিমানবন্দরে যাওয়ার কারণটাই বলা হয়নি। যাওয়ার কারণ হচ্ছে সেদিন আমার ছোট কাকা এবং কাকীর লন্ডনের উদ্দেশ্যে ফ্লাইট ছিল। আমাদের ফ্যামিলি তে উনারাই প্রথম দেশের বাহিরে যাচ্ছে। তাদের ভিসা আসার পর থেকেই আমরা সবাই এটা নিয়ে অনেক এক্সাইটেড ছিলাম যেহেতু এই প্রথম কেউ বাহিরের দেশে যাচ্ছে। তবে যাওয়ার দুইদিন আগ থেকে সবার মন খারাপ। এটা খুবই স্বাভাবিক। উনাদের ফ্লাইট ছিল রাত সাড়ে তিনটায়। যেহেতু রাতের বেলা তাই প্রথমে ভেবেছিলাম আমি যাবো না। আসলে রাতের বেলা হওয়ার কারণে বাসার ছোটরা কেউই যেতে পারেনি। এরপর আমার মেজো কাকা সেদিন সন্ধ্যায় আমাকে বললো যাওয়ার জন্য। যেহেতু গাড়ি রিজার্ভ করা তাই সমস্যা হবে না। তারপর আমিও খুব দ্রুত রেডী হয়ে গেলাম। ফ্লাইট রাতে হলেও আগে যাওয়া বেটার। আর ঢাকার রাস্তা নিয়ে কি বলবো। জ্যাম তো আছেই।
গাজীপুর থেকে যেতে যদিও খুব একটা সময় লাগে না তবে জ্যামের কথা চিন্তা করে আমরা প্রায় নয়টায় রওনা দিয়ে দেই। পৌঁছাতে প্রায় 11 টা বেজে গিয়েছিল। টার্মিনাল 2 তে গিয়ে আমরা গাড়ি থেকে নামি। তারপর সেখানে সবাই মিলে একসাথে কিছু ছবি তুলে প্রায় সাড়ে এগারোটায় আমার ছোট কাকা এবং কাকীকে বিদায় দিলাম। তবে আমরা উনাদের ইমিগ্রেশন পর্যন্ত বাহিরে অপেক্ষা করেছিলাম এবং এই ফাঁকে চারপাশের কিছু ফটোগ্রাফি করেছি।
ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বুঝতেই পারছেন মানুষের ভিড় কতটা। বিমানবন্দরে এই ভিড় দেখে বুঝাই যায় না আসলে এখন গভীর রাত। মানুষের ভিড় সবসময় এরকমই। কেউ কন্নামুখে প্রিয় মানুষদের বিদায় দিচ্ছে কেউবা হাসিমুখে তাদের রিসিভ করতে এসেছে।
ইমিগ্রেশন উনাদের খুব তাড়াতাড়ি কমপ্লিট হয়েছে। কোনো ঝামেলা হয়নি। তারা আমাদের ইনফর্ম করার পরপরই আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দেই। বাসায় পৌছতে পৌছতে প্রায় তিনটা বেজে গিয়েছিল। উনাদের লন্ডনের যাত্রাপথ ছিল সাড়ে ষোলো ঘন্টার। জার্নির সময়টা অনেক বেশি। তবে সুন্দর ভাবে পৌঁছাতে পেরেছে।
আজকের পোস্ট এখানেই শেষ করছি। পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে। সবাই ভালো থাকবেন। |
---|
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বাহ আপনি তো তাও দুইবার গিয়েছেন আর আমি এখনো ঢাকাতেই যেতে পারলাম না হাহাহা।ছোট বেলায় সব কিছু মনে থাকে না।এখন আবার গিয়েছেন এবং শুনেছি অনেক উন্নত করেছে এখন আরো অনেক কাজ হচ্ছে।ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বেশ সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন আপু। আমি কয়েকদিন আগে গিয়েছিলাম মামাতো ভাইকে দিয়ে আসার জন্য। বিমানবন্দরের বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বিমানবন্দরে কাটানো মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে এত সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সত্যি পরিবার ছেড়ে কেউ দেশের বাইরে গেলে খারাপ লাগা টা স্বাভাবিক। আপনার কাকা এবং কাকি আশাকরি ভালোভাবে পৌছে যাবে। আমি বিমানবন্দরের কাছেই থাকি। মাঝে মাঝে যায়। টার্মিনাল -3 টা সত্যি অনেক বড় এবং আধুনিকভাবে তৈরি করা হচ্ছে। আর বিমানবন্দরে এইরকম ভীড় থাকা টা স্বাভাবিক আপু।।
আমার কাকা এবং কাকিমা খুব ভালোভাবে পৌঁছে গিয়েছেন। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই লোকজনের ভিড় দেখে বোঝার কায়দা নেই এটা মাঝ রাত। লন্ডনে পৌঁছাতে ১৬ ঘন্টা সময় লেগেছে, আসলে এটা ওটা লম্বা যাত্রা ছিল। আপনার অনুভূতিটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আসলে আপু সব সময় বিমানবন্দরে লোকের ভিড় থাকে। কারো প্রিয়জন বিদায় নেই আবার কারো প্রিয়জন দেশে আসতেছে। যাইহোক এই নিয়ে আপনি দুইবার বিমানবন্দরে গিয়েছেন। যদিও আপনাদের ফ্যামিলির এই প্রথম কাকা কাকি বাহিরের রাষ্ট্রে যাইতেছে। তাদেরকে বিদায় দেওয়ার জন্য বিমানবন্দরে গেলেন। তবে আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে বিমানবন্দর অনেক উন্নতি হয়ে গেছে। আর আপু আপন মানুষগুলো যখন বাইরে যায় তখন এমনিতে অনেক খারাপ লাগে। যাই হোক খুব সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিকই বলেছেন বিমানবন্দর আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা অবিরাম।
আপু আপনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুইবার গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার কাকা কাকি লন্ডনের গিয়েছিল তাই তাদের সাথে বিমানবন্দর পর্যন্ত গিয়েছিলেন এটা খুবই ভালো ব্যাপার। আমিও এর আগে আমিও দুইবার করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়েছিলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বিমানবন্দরে গেলে বোঝা যায় মানুষের ভিড় কিরকম। তবে আগের বিমানবন্দর আর এখন বিমানবন্দর অনেক পার্থক্য হয়ে গেছে। যাইহোক প্রিয় কাকা এবং কাকিকে বিদায় দেওয়ার জন্য বিমানবন্দরে গেলেন। আসলে প্রিয় মানুষগুলোকে বিদায় দিতে অনেক কষ্ট হয়। যদিও অনেক বছর আগে আপনি বিমানবন্দরে গেলেন এইবার আবার গেলেন বিমানবন্দরে।এবং খুব সুন্দর করে বিমানবন্দরে যাওয়া কাকা কাকিকে বিদায় দেওয়ার অনুভূতি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
কাকা-কাকীর লন্ডনে যাওয়াকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দরে গেলেন।এই নিয়ে দুইবার গেলেন বিমানবন্দরে। আসলে কাউকে বিদায় দেয়া খুব কষ্টের।আপনি ফটোগ্রাফি করলেন।লোকজনের প্রচুর ভীড়। আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
যখন পরিবারের কাউকে বিদায় দিতে এয়ারপোর্ট যেতে হয় তখন খুব খারাপ লাগে। কিন্তু পরিবারের কেউ যদি বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসে,তখন রিসিভ করতে গেলে ভীষণ আনন্দ লাগে। বিদায়ের মুহূর্তটা আসলেই খুব কষ্টের। টার্মিনাল ৩ এর ভিতরে বেশ কয়েকবার যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল আমার। ভিতরে সবকিছুই অত্যাধুনিক ভাবে তৈরি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে লন্ডনের জার্নি বেশ লম্বা হয়। আপনার কাকা কাকী ঠিকমতো পৌঁছেছে, জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। যাইহোক এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।