আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার প্রিয় স্কুল ক্যাম্পাসের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লাগবে। শিক্ষা জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং স্মৃতিময় সময় কাটে আমাদের এই স্কুলেই। আমরা যতই বড় হই না কেন স্কুল জীবনের স্মৃতি গুলো কখনোই ভুলতে পারিনা। আমরা আমাদের শিক্ষা জীবনের সবচেয়ে বেশি সময় পার করি এই স্কুল জীবনেই। বিভিন্ন ধরনের অনুভূতি নতুন কিছু সম্পর্কে জানা সব কিছুই এখান থেকেই শুরু।
গতকাল প্রায় দুই আড়াই বছর পর আমি আমার সেই পুরনো স্কুল ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম। যদিও বাসা থেকে ক্যাম্পাস অতটা দূরে নয় কিন্তু সময়ের কারণে যাওয়া হয় না। গতকাল গিয়েছিলাম আমার ছোট বোনের ভর্তির জন্য। ও এবার ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছে। আমিও ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে এই স্কুলে পড়া শুরু করেছিলাম। এই স্কুলটাতে পড়ালেখার মান যেমন ভালো তেমনি কো কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস অনেক বেশি উন্নত। আমার কাছে মনে হয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখার পাশাপাশি কো কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিও প্রয়োজন। এটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি মূলত একটি আধা সরকারি প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, গাজীপুর এর অধীনে এই প্রতিষ্ঠানটি। আর বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। আর এই প্রতিষ্ঠানের রয়েছে নয়টি আঞ্চলিক কেন্দ্র। পুরো এরিয়াটা অনেক বড় আর অনেক সুন্দর করে সাজানো থাকে।
নিচের ছবিতে যতটুকু দেখা যাচ্ছে এর পুরোটাই স্কুল এর ভবন এবং মাঠ। মাঠ আরো একটি রয়েছি তবে সেটি স্কুল থেকে আরো একটু সামনের দিকে। ভবন মোট তিনটি।
অনেক সকালে যে গিয়েছিলাম এমনটা নয়। গিয়েছিলাম প্রায় দশটার দিকে তারপরও কুয়াশার জন্য খুব ভালো করে কিছু দেখাই যাচ্ছিল না। গত ৩-৪ দিন ধরে দশটা এগারোটা পর্যন্ত এরকম কুয়াশাই থাকে।
স্কুল ভবনের পাশেই রয়েছে এই শহীদ মিনার টি। একুশে ফেব্রুয়ারির দিন সব ধরনের অনুষ্ঠান মূলত এই জায়গাতেই করা হয়। আর একুশে ফেব্রুয়ারি দিনই এই শহীদ মিনারটি সুন্দর করে সাজানো হয়।
এটি হচ্ছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের অডিটিওরাম। জাতীয় দিবস গুলো বাদ অন্যান্য সব ধরনের কার্যক্রম, সম্মেলন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গুলো এই অডিটিওরামের ভিতরেই হয়। সামনের দিকটা এভাবে ফুল দিয়ে অনেক সুন্দর করে সাজানো থাকে।
এটি হচ্ছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের হেলিপ্যাড। আমি পুরো স্কুল জীবনের ৬ বছরে মাত্র চারবার এখানে হেলিকপ্টার ল্যান্ড করতে দেখেছি। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী এবং কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে কেউ এলে হেলিকপ্টার ল্যান্ড করতে দেখা যায়। তবে সব সময় এরকম সুন্দর ভাবে সজ্জিত থাকে। বিশেষ করে শীতকালে একটু বেশি সুন্দর করে সাজানো হয়।
এটি বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মিউজিয়াম। এখানে মূলত ধান নিয়ে বিভিন্ন গবেষণার ফলাফল রাখা হয়। তবে ভিতরে কখনো যাওয়া হয়নি, কারণ নিষেধ ছিল যাওয়া। সামনে দিয়ে BRRI লেখাটা খুব সুন্দর লাগে দেখতে। BRRI (ব্রি) হচ্ছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর সংক্ষিপ্ত নাম।
ডিভাইস নেম:- স্যামসাং গ্যালাক্সি A03s
এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। আশা করি সকলের কাছে ভালো লেগেছে। ফটোগ্রাফি গুলো কেমন হয়েছে তা অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ধরনের ভুল হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
স্কুল জীবন সবথেকে আনন্দের জায়গা। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্কুলের পরিবেশ ভীষণ সুন্দর দেখলাম। আপনার বোনকে এই চমৎকার স্কুলে ভর্তি করেছেন বলছিলেন। আপনার বোনের জন্য শুভকামনা রইলো। সবমিলিয়ে স্কুল প্রাঙ্গণ এবং ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের চমৎকার কিছু ছবি উপহার দিয়েছেন আপু।
স্কুলের পরিবেশটা অনেক নিরিবিলি এবং খুব সুন্দর। মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ঠিকই বলেছেন আপু,স্কুল জীবনেই আমরা সবচেয়ে বেশি সময় পার করি। আর সেখানে সুখ দুঃখের কিছু মুহূর্ত গড়ে ওঠে। আমিও অনেক বছর হলো স্কুলে যাই না। যদিও আমার ছোট ভাই বোনের স্কুলের ভর্তি কার্যক্রমের ক্ষেত্রে আমার আম্মু যায়। তবে আমি আমার বিয়ের পর একবার গিয়েছিলাম। সবার সাথে দেখা করে এসেছিলাম সেদিন। খুব ভালো লাগলো আপনার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো। আমারও স্কুলের কথা মনে পড়ে গেল।
আসলেই আপু সেখানে আমাদের বিভিন্ন ধরনের মুহূর্ত গড়ে ওঠে যেগুলো কখনোই ভুলা যায় না। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
স্কুল জীবন সবসময়ই আমাদের সারা জীবনের সোনালী অধ্যায়। ছোটবোনের ভর্তি করার উদ্দেশ্য অনেকদিন পরে গিয়েছেন স্কুল প্রাঙ্গণে জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো আসলে এই জায়গা গুলো যে আমাদের কত আপনার কত পরিচিত অনেকদিন পরে গেলে মনের ভিতর অনেক কথা আনাগোনা আর অনেক স্মৃতি জাগতে থাকে।। কুয়াশা ঘেরা ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ছিল।।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই জায়গাগুলোতে গেলে বিভিন্ন ধরনের স্মৃতি মনে পড়ে যায়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনি ঠিক বলেছেন স্কুল জীবনের স্মৃতি ভোলার মত নয়। আপনার স্কুল প্রাঙ্গণ অনেক সুন্দর। আপনার বোনকে একই স্কুলে ভর্তি করিয়ে ভাল করেছেন। স্কুলের এত বড় ক্যাম্পাস, এত বড় গ্রাউন্ড এগুলো ছাত্র ছাত্রীদের মানসিক বিকাশের জন্য দরকার। স্কুল প্রাঙ্গণের ছবিগুলো দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
আপনি ঠিক বলেছেন স্কুল জীবনের স্মৃতি ভোলার মত নয়। আপনার স্কুল প্রাঙ্গণ অনেক সুন্দর। আপনার বোনকে একই স্কুলে ভর্তি করিয়ে ভাল করেছেন। স্কুলের এত বড় ক্যাম্পাস, এত বড় গ্রাউন্ড এগুলো ছাত্র ছাত্রীদের মানসিক বিকাশের জন্য দরকার। স্কুল প্রাঙ্গণের ছবিগুলো দারুন হয়েছে। কুয়াশায় মনে হচ্ছে আরও সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ আপু।
মূলত চারপাশের পরিবেশ, পড়ালেখার মান এবং বিভিন্ন কো কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস সবকিছু পর্যবেক্ষণ করেই ওকে এখানে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রকৃত শিক্ষার জন্য আমি মনে করি এগুলো খুবই প্রয়োজনীয়। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Share on Twitter
স্কুল জীবনের স্মৃতি আসলে ভুলে থাকার মত নয়। স্কুল ক্যাম্পাসটি খুব সুন্দর লাগলো আমার কাছে। ছেটবোনকে ভর্তি করানোর জন্য স্কুল ক্যাম্পাসে আপনি অনেক দিন পর গেলেন। মনের মধ্যে অনেক স্মৃতি ভেসে উঠার কথা ই।শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
এই ক্যাম্পাসে বিভিন্ন স্মৃতি রয়েছে। তাই সেখানে গেলে স্মৃতিগুলো মনে পড়বেই। গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
বেশ ভালো মানের এই ইনস্টিটিউট। আরেকবার শুনেছি এর নাম। আপনার ছোট বোনের কি ভর্তি হয়েছে? যাই হোক ঠিক বলেছেন স্কুল ক্যাম্পাস কখনো ভুলা যায় না। ছোটবেলার সব স্মৃতিগুলো স্কুল ক্যাম্পাসের সাথেই জড়িত।হেলিকপ্টার ল্যান্ড করার জায়গাটা একটু বেশি সুন্দর।
হ্যাঁ, ও সেখানে ভর্তি হয়েছে। আসলেই স্কুল জীবন কখনোই ভুলা যায় না। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
স্কুল জীবনের স্মৃতি গুলো এখনও মনে পড়ে। তবে আমিও অনেকদিন স্কুল থেকে বাইর হওয়ার পর আর যায়নি। আপনি ছাড়ে দুই বছর পর স্কুলে গিয়েছিলেন। তবে স্কুল জীবনে সবার অনেক সুখ দুঃখ জড়িয়ে আছে। আপনি খুব সুন্দর করে স্কুল প্রাঙ্গণের ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। স্কুল জীবনে হেলিকপ্টার নামার সময় দেখতে অনেক ভালো লাগে এবং অনেক ধরনের অনুভূতি জন্মায়।এবং আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
সত্যিই আপু স্কুল জীবনে বিভিন্ন ধরনের অনুভূতি জন্মায়। এবং এই অনুভূতিগুলো কখনোই ভোলা যায় না। মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।