রেসিপি // মচমচে মজাদার ডালপুরি তৈরি রেসিপি।
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আপনি আপনাদের সাথে আরও একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি যেই রেসিপিটি শেয়ার করব সেটি হচ্ছে মচমচে মজাদার ডালপুরি রেসিপি। আসলে অনেকদিন ধরেই এই ডালপুরিটা খাওয়া হয় না, প্রায় সময় যখন বাইরে যাই তখন খেতে মন চায় কিন্তু অনেক সময় সময় সল্পতার কারণে আর খাওয়া হয়ে ওঠেনা। আমার বাবাকে মাঝেমধ্যে বলি আনার জন্য কিন্তু বাবা আবার এসব ভাজাপোড়া বিশেষ করে বাইরের দোকান থেকে কিনে খাওয়ার ব্যাপারে আমাদেরকে কিনে দিতে রাজি নয় তাই তিনিও নিয়ে আসেন না। যেহেতু খেতে মন চাচ্ছে তাই আর দেরি না করে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম বাসায় তৈরি করে সবাইকে নিয়ে খাব। তাহলে যেমন স্বাস্থ্যকর হবে সবাই মজা করে খেতেও পারবে। সত্যি বলতে খেতে অনেক মজা হয়েছে একেবারে দোকানে বানানোর মত হয়েছে। আশা করছি আপনাদের কাছেও আমার আজকের এই রেসিপিটি ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
রেসিপিটির সর্বশেষ ফটোগ্রাফি
- আটা
- মশারির ডাল
- কাঁচামরিচ
- লবণ
- হলুদ গুঁড়ো
- মরিচ গুঁড়ো
- আদা বাটা ও
- সয়াবিন তেল।
- প্রথমে আমি মশারির ডালগুলো পানি দিয়ে ধৌত করে নিলাম। তারপর একটি কড়াইয়ের মধ্যে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ডালগুলো চুলায় আগুন জ্বেলে মিডিয়াম আছে বসিয়ে দিলাম।
- এরপর আমি এর মধ্যে দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো হলুদের গুড়া।
- তারপর আমি দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো মরিচের গুড়া।
- এবার আমি এর মধ্যে দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো আদা বাটা।
- তারপর দিয়ে দিলাম এর মধ্যে কাঁচামরিচ কুচিগুলো।
- এরপর দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো লবণ। তারপর সবগুলো উপকরণ একসাথে মিশিয়ে ভালো করে জাল দিয়ে ডালগুলোকে সিদ্ধ করে নিলাম।
- তারপর আমি একটি চামচ দিয়ে ডালগুলোকে ভালো করে মিশিয়ে ডালের পুর তৈরি করে নিলাম।
- প্রথমে আমি একটি পেয়ালার মধ্যে পরিমাণ মতো আটা নিয়ে নিলাম। তারপর এর মধ্যে পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে ভালো করে মিক্স করে নিলাম।
- এরপর আমি এর মধ্যে পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল দিয়ে ভালো করে আটাগুলো মিক্স করে নিলাম।
- তারপর আমি আস্তে আস্তে এর মধ্যে পানি ঢেলে হাত দিয়ে মলে মলে আটার ডো তৈরি করে নিলাম।
- তারপর আমি তৈরি করা আটার ডোটি একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে প্রায় ৩০ মিনিট পর্যন্ত রেখে দিলাম।
- ৩০ মিনিট পর ঢাকনা তুলে আমি বড় আটার ডোটি থেকে পরিমাণ মতো করে ছোট ছোট বেশ কিছু ডো তৈরি করে নিলাম।
- প্রথমে আমি একটি পিড়ি বেলুন নিয়ে নিলাম।
- তারপর এর মধ্যে ছোট্ট একটি ডো নিয়ে কিছুটা চ্যাপ্টা করে তার ভিতরে পরিমাণ মতো ডালের তৈরি পূর গুলো দিয়ে আবার বন্ধ করে দিয়ে হাত দিয়ে মোলে আবারও ডো তৈরি করে নিলাম। এভাবে আমি সবগুলো এক এক করে তৈরি করে নিলাম।
- তারপর পিড়ি বেলুনের সাহায্যে ছোট ছোট করে প্রত্যেকটা ডোকে বেলে নিলাম।
- এবার আমি চুলায় একটা কড়াই বসিয়ে এর মধ্যে পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল দিয়ে নিলাম। তেল গরম হয়ে আসলে আমি এক এক করে বেলে নেওয়া ডালপুরি গুলো তেলে ভেজে নেওয়ার জন্য তেলে ছেড়ে দিলাম।
- তারপর আমি এক এক করে সবগুলো ডালপুরি ভালোকরে তেলের ভিজে নিলাম।
বড় ভাইদের না দিয়ে খেতে নেই 🙂
দেখে লোভ লেগে গিয়েছে 😋
ছবি দেখেই গরম গরম ডালপুরি রেসিপির লোভনীয়তা বুঝতে পারছি। সুন্দর উপস্থাপনার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সুন্দরও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
মচমচে মজাদার ডালপুরি তৈরি রেসিপি দেখি খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি খুবই সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করলেন ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মচমচে মজাদার ডালপুরি তৈরি রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে তাই খেতে ইচ্ছা করে এতো মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা অবিরাম।
ডালপুরি আমার খুবই ফেভারিট।
মাঝে মাঝেই বিকেলের নাস্তায় খাওয়া হয়।
তবে বাসায় কখনো প্রস্তুত করা হয়নি এরকম ভাবে।
আপনার প্রস্তুত প্রণালী এবং ফটোগ্রাফি দেখে খুব লোভ হচ্ছে।
নিশ্চয়ই খেতে খুব মজা হয়েছিল।
ঠিকই বলেছেন ডাল পুরি গুলো খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল। খেতে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বাহ চমৎকার লাগলো আপু আপনি অনেক মজার করে ডালপুরি তৈরি করলেন দেখে মনে হচ্ছে যে নিয়ে খেয়ে ফেলি এত লোভনীয় দেখাচ্ছে। আপনি ঠিক বলছেন আসলে দোকান থেকে কিনে না খাওয়া ভালো। আপনি এত সুন্দর করে ধাপে ধাপে তৈরি করে শেয়ার করলেন আমার কাছে অনেক সহজ মনে হয়েছে। অবশ্যই এক দিন আপনার রেসিপি দেখে তৈরি করে নিব।
সুন্দরও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা অবিরাম।
আহা কতদিন ডাল পুরি খাই না। বিশেষ করে বাবার বাসায় গেলে তখন এই ডালপুরি বেশি খাওয়া হয় ঢাকায় থাকলে তো ডালপুরি চোখেও দেখি না। এত এত খাবার এগুলো আর তখন খেতে ইচ্ছা করে না। আপনার ডালপুরির রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে বাসায় বানিয়ে খেতে হবে। লোভ লাগিয়ে দিলেন আপু এত সুন্দর ডালপুরির রেসিপি শেয়ার করে।
হ্যাঁ সম্ভব হলে এভাবে একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আশা করি আপনার কাছে ভালই লাগবে খেতে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার বাবার মতো অনেক মানুষই বাইরে দোকান থেকে এসব ভাজাপোড়া কিনে খেতে অনিচ্ছুক। যাইহোক বাড়িতে অনেক সুন্দর করে ডালপুরি বানিয়েছেন যেটা দেখে তো আমারও খেতে ইচ্ছা করছে আপু। আমার কাছেও ডালপুরি খাবারটা অনেক প্রিয়। সুন্দরভাবে ডালপুরি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
বাহিরে গিয়ে কিনে না এনে আমি মনে করি ঘরে তৈরি করে সবাই একসাথে মজা করে খাওয়াটাই ভালো। তাহলে রেসিপিটাও যেমন স্বাস্থ্যসম্মত হবে তেমনি মজা করেও একসাথে সবাই মিলে খাওয়া যাবে। আমার যদি কিছু খেতে ইচ্ছে করে আমি তো বেশিরভাগ সময় চেষ্টা করি ঘরে তৈরি করে নেওয়ার। আপনার আব্বুকে বলার পর তিনি না আনার কারণে আপনি ঘরে তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভালোই করেছেন। বুঝতেই পারছি খুবই মজা করে খাওয়া হয়েছিল সবাই মিলে।
ঘরের তৈরি খাবারগুলো আসলে স্বাস্থ্যসম্মত।আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু বিকাল বেলা এমন মুচমুচে ডাল পুরি দেখে লোভ লেগে গেলো। আপনি খুব সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে ডাল পুরি বানানোর রেসিপি শেয়ার করলেন। আমার কাছে বাসায় বানানো খাবার ভীষণ ভালো লাগে। দারুন স্বাদের এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
এটা ঠিকই বলেছেন বাসায় তৈরি করা খাবার গুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং খেতেও খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।