নাটক রিভিউ // বর্ণনাথের পরিচালনায় "বিদেশ বাড়ি ৩" নাটকের রিভিউ।।
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও আল্লাহর মেহেরবানীতে ও আপনাদের দোয়ায় বেশ ভাল আছি। আসলে পড়ালেখার ব্যস্ততার কারণে এখন তেমন একটা নাটক সিনেমা দেখাই হয় না। তবে আমি আজকে যে নাটকটি রিভিউ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছি এই নাটকটি অনেক শিক্ষনীয় একটি নাটক এ নাটকের যারা অভিনয় করেছেন সবাই আমার খুব প্রিয়। এই নাটকের প্রধান চরিত্রে জামিল হোসেন ও সিনথিয়া ইয়াসমিন আমার খুবই প্রিয় অভিনেতা অভিনেত্রী। যখনই সুযোগ পাই তাদের নাটকগুলো আমি খুব স্বাচ্ছন্দে দেখে থাকি আমার কাছে এই দুইজনের অভিনয়টা অনেক অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে যখন জামিল হোসেন নোয়াখালী ভাষায় কথা বলে অভিনয় গুলো করে থাকে নিজের আঞ্চলিক ভাষা হওয়াতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তারপর সিনথিয়া ইয়াসমিন উনার বিষয়টা হল আমি যতগুলো নাটক দেখেছি সবগুলো নাটক উনি খুবই ইমোশনালি অভিনয় করে থাকে যেটা এখন ওনার চেহারা দেখলে আমার কাছে মনে হয় যে উনি সব সময় মনে হয় এমনই থাকেন, আমার কাছে এটা অনেক ভালো লাগে। আসলে মানুষ বেধে যেরকম একটা ভিন্নতা আছে তেমনি প্রতিটা মানুষের অভিনয় ক্ষেত্রে অনেক ভিন্নতা রয়েছে সেই ভিন্নতার মাঝে এই দুইজনের অভিনয় গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।
তাহলে চলুন বন্ধুরা নাটকটি রিভিউ আকারে দেখে আসবেন। অবশ্যই এই রিভিউ দেখার পর আপনারা নাটকটি ইউটিউবে দেখে নেবেন আমার বিশ্বাস অনেক ভালো লাগবে, অনেক কিছু জানতেও শিখতে পারবেন।
নাটকের নাম | বিদেশ বাড়ি ৩ |
---|---|
গল্প রচনায় | জামিল হোসেন ও সুজিত বিশ্বাস |
পরিচালনায় | বর্ণনাথ |
অভিনয়ে | জামিল হোসেন, সিনথিয়া ইয়াসমিন, রেশমা আহমেদ, তামিন আজাদ, সেলজুক ত্বারিক, অধরা নিহারিকা ও সঞ্জীব আহমেদ সহ আরো অনেকে। |
সময়কাল | ৪৮:৫৪ মিনিট। |
মিরাজ ও সবুর তারা দুই ভাই। নাটকের শুরুতে দেখা যায় তাদের মা কিছু প্লেট ও এক বালতি পানি নিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢুকছে, এই অবস্থায় সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গিয়ে সবকিছু নিয়ে পড়ে যায়। মিরাজ তা দেখতে পেয়ে দৌড়ে ছুটে এসে তার মাকে তুলে নেয় এবং সে বলতে থাকে তুমি এই বয়সে কেন এগুলো করতে যাও আমরা দুই ভাই রয়েছি আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী আছে সে তো এগুলো করতে পারে। কিন্তু তার মা তাকে বলল যে না সে নিজেই এগুলা করতে পারবে তার সংসার তাকে দেখাশোনা করতে হবে। এভাবে মা ছেলে অনেকক্ষণ কথা বললাম এবং তখনই আমরা শুনতে পেলাম যে মেরাজ আর কয়েকদিন পরই বিদেশ চলে যাবে। যদিও আগে বিদেশেই ছিল কিন্তু বিদেশ থেকে সেই বাড়িঘর করেছে কিন্তু সে তার টাকা পয়সার কোন হিসাব পাইনি তার ছোট ভাই খুব সুবিধার নয়। সে তার টাকা পয়সা গুলোর কোন হিসাব-নিকাশ দিতে পারেনি এলোমেলো খরচ করে ফেলেছে। তাই এবার তার মা তাকে বলল যে টাকা পয়সা তার কাছে রাখতে হিসাব নিকাশ করে চলতে, যাতে সে আরো বড় করে বাড়ি ঘর করে বিয়ে করে নতুন বউ ঘরে আনতে পারে। ঠিক ওই মুহূর্তে মিরাজের এক বন্ধু এসে মিরাজকে ডাক দিল এবং সে তার সাথে কিছু কথা আছে বলে বাড়ি থেকে তাকে বের করে নিয়ে গেল। তারপর মিরাজ তার বন্ধুকে বলল কি এমন প্রয়োজন যে এত আর্জেন্ট আমাকে ডেকে নিয়ে আসলি।
তখন তার বন্ধু বললো যে পারভিন ফিরে এসেছে। পারভিন হল মিরাজের আগের গার্লফ্রেন্ড। মিরাজ বিদেশ থাকা অবস্থায় পারভিন তাকে ফেলে বলতে গেলে তার বাবা-মা তাকে জোর করে অন্যত্র বিয়ে দিয়েছিল তো সেখানে তার স্বামী নেশাগ্রস্ত ছিল এবং তার শ্বশুর শাশুড়ি কেউ ভালো ছিল না সেখান থেকে এজন্য সে ফিরে বাড়িতে চলে এসেছিল একেবারে জন্য। তারপর মিরাজ অনেকটা অবাক হয়ে গেল যদিও তার বিদেশ যাওয়ার জন্য আর কিছুদিন সময় রয়েছে তাই সে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল যে পারভীনকে সে বিয়ে করবে। মিরাজের বন্ধু তো তাকে ধমক দিয়ে বলল কি বলস সে ডিভোর্সি তাকে তুই বিয়ে করবি আর তোর বাড়ির সবাই তা মেনে নিবে? তখন মিরাজ বলল বাড়ির লোকজনকে মেনে নেওয়ার দায়িত্ব আমার এই কথা বলে তারা এখান থেকে চলে যায় এবং মিরাজ পারভীনকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসে।
মিরাজে বিয়ে করা দেখে তার ছোট ভাই অনেক ক্ষেপে যায় সে কোনভাবেই বড় ভাইয়ের বিয়ে মেনে নিতে পারছে না তার কারণ হলো সে তার শালিকাকে তার বড় ভাইয়ের সাথে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল কিন্তু সে ডিভোর্সি বলে তাকে বিয়ে করেনি। এ কারণে মিরাজের ছোট ভাই সবুর এ বিষয়টা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না এবং সে বারবার বলছে সে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছে কিভাবে তার মুখ দেখাবে। এদিকে মিরাজের মা মিরাজের বিয়ে করা দেখে খুবই খুশি হয়েছে এবং মূলত তার সম্মতিতে মিরাজ তাকে বিয়ে করে এনেছে। তাই তার মা তার ছোট ভাইকে বকাঝকা করছে আর বলছে যে তোর বড় ভাই বিয়ে করেছে তোর সমস্যা কোথায়? তুই তোর জায়গায় থাক তাকে তার জায়গায় থাকতে দে কিন্তু সে কোনভাবে রাজি হচ্ছে না। এসব দেখে মিরাজ বাসা থেকে বের হয়ে এসে ছোট ভাইকে বেশ রাগান্বিত হয়ে বলল বিয়ে করেছি আমি ডিভোর্সি মেয়ে তোর সমস্যা কোথায় আমাকে আমার মত থাকতে দে।
এদিকে মিরাজের ছোট ভাই সবুর ও তার স্ত্রী সহ এটাকে কোনভাবেই মানতে পারল না এবং সবুরের স্ত্রী তার বাবার সাথে কথা বলল এবং তার বাবা যদিও ভালো মানুষ না সেজন্যই তাকে ভালো পরামর্শ দেয়নি তাই তাদেরকে এমন পরামর্শ দিল যে মিরাজের নামে কোন খারাপ রটনা রটিয়ে দেওয়ার জন্য যেভাবে হোক এই বিয়ে ভাঙতে হবে এরকম একটা সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল। তারাও সেভাবে তাদের কাজ শুরু করল। ছোট ভাইয়ের সবুরের শশুর বড় ভাই মিরাজের বিয়ের খবর জানতে পেরে তাদের বাড়িতে আসলো বিষয়টিকে আরো জটিল করার জন্য। প্রথমে রাস্তায় মিরাজের সাথে ছোট ভাই শ্বশুরের দেখা হয়ে গেল এবং সে মিরাজকে অনেক রাগান্বিত সুরে অনেক কথা বলল। বিষয়টা শেখানোভাবেই মেনে নিতে পারছে না বিয়ে যেহেতু করবেই ডিভোর্সি মেয়েকে করলা তাহলে আমার ভায়রার মেয়ে কি দোষ করল? এ বিষয়টা নিয়ে আমি তোমার মায়ের সাথে কথা বলবো কেন তিনি এরকম একটি কাজ করলেন? এবং তিনি বাড়ি গিয়ে মিরাজের মায়ের সাথে এ বিষয় নিয়ে অনেক রাগারাগি করলেন। মিরাজের মা তখন বলল যে আপনার এ বিষয় নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলবে আমার ছেলেকে আমি বিয়ে করিয়েছি যাকে খুশি তাকে করাবো সেটা আপনার দেখার বিষয় না।
এদিকে হঠাৎ একটা লোক তাদের বাড়িতে আসলো এবং সে সবুর সাহেবকে খুঁজতে লাগলো বলতে লাগলো সবুর সাহেব কি বাড়ি আছেন তখন তার স্ত্রী বলল হ্যা আছেন আপনারা একটু দাঁড়ান। তখন সবুর বাড়ির ভিতর থেকে বেরিয়ে আসলো তখন সে তাকে পরিচয় দিল সে একজন ইঞ্জিনিয়ার সবুজ সাহেব নাকি তাকে ঢাকা থেকে ফোন দিয়ে ছিল তার বাড়ি বানানোর জন্য। তারপর সে তাকে তাদের বাড়ির সামনে খালি জায়গা টুকু দেখিয়ে বলল এখানে ২০ কাঠা জায়গা আছে ১০ কাঠার মধ্যে আমি বাড়ি করবো আমার বাড়িটা সামনের দিকে ফ্রন্ট সাইড থাকবে তখন ইঞ্জিনিয়ার বলল যে আপনি যেভাবে বলতেছেন সেভাবে যদি বাড়ি করতে যান তাহলে তো আপনার এই বাড়িটা পিছনে পড়ে যাবে। তখন সবুর ইঞ্জিনিয়ারকে রাগ হয়ে বলল আমি যেভাবে আপনাকে করতে বলেছি সেভাবে করবেন কার কি হবে না হবে সেটা আপনার দেখার বিষয় নয়। তখন ইঞ্জিনিয়ার বলল না ঠিক আছে। ইঞ্জিনিয়ার তার কাজ করে সেখান থেকে যাওয়ার সময় মা বিষয়টি দেখে অবাক হয়ে গেল। তখন সবুরকে ডেকে বলল এই লোকটি কে, কেন এসেছে? সে কিসের জন্য এই জমি মাফঝোপ করছে? সবুর তো কিছুই বলতে চাচ্ছে না এক পর্যায়ে তার মা যখন রেগে যাচ্ছে তখন সে তাকে বলবে যে সে এখানে বিল্ডিং করবে তখন তার মা তাকে বলে তুই এত টাকা কোথায় পাবি? তখন সবুর একটা কথাই বলল যে মা টাকা ইনকাম করতে গাধার মত খাটতে হয় না মাথায় বুদ্ধি থাকলে টাকা ইনকাম করা যায়। এই বলে সে বাড়ির ভিতরে চলে যায়।
সবুরের মা তার বড় ছেলে মিরাজকে খবর দিতে বলে পারভিনকে। মিরাজ বাড়ি আসার পর তার মা তাকে সবকিছু খুলে বলে। মিরাজ বিষয়টিকে খুব সহজভাবে নিয়ে তার মাকে বলল সে যদি বাড়ি করতে চায় করুক না তাতে আমাদের কি সমস্যা? তখন তার মা বলল আমি তো এই ছেলেকে নিয়ে আর পারছি না সে এত টাকা কোথায় পাবে আর তাছাড়া সে যেভাবে বাড়ি করতে চাচ্ছে সেভাবে করলে তো আমাদের বাড়িটা ঐ বাড়িটা পিছনে পড়ে যাবে। তখন মিরাজ বলল ঠিক আছে মা সবুর যেটা করতে চাচ্ছে তাকে সেটা করতে দাও। তখন তারা বিষয়টিকে সহজভাবে নিয়ে নিল।
ঠিক পরের দিনে পুলিশ সবুরকে ধরে নিয়ে আসলো তাদের বাড়িতে এটা দেখে তারা তো সবাই অবাক কি হয়েছে কি করেছে এই কথা বলে সবাই দৌড়ে আসলো। পুলিশ বলল যে আপনার ছেলেকে আমরা ধরেছি সে মানুষের কাছ থেকে অনেক টাকা নিয়েছে সে নাকি এই লোকগুলোকে বিদেশে পাঠাবে। আর সেই বিষয় নাকি আপনার বড় ছেলে নাকি তাদেরকে বিদেশ পাঠাবে একথা বলে সে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে নিয়েছে এখন তাদের সাথে আর কথাও বলে না দেখাও করে না এজন্য তারা আমাদের কাছে অভিযোগ করেছে তাই আমরা তাকে ধরেছি।
তখন সবরের মা সবুরকে বললো কিরে তুই না বলছিস টাকা বুদ্ধি খাটিয়ে ইনকাম করা যায় গাধার মত খাটা লাগেনা। এখন মানুষের কাছ থেকে এভাবে টাকা হাতিয়ে নিয়ে তুই বাড়ি করতে চাচ্ছিলি। অনেক কষ্টে যন্ত্রণায় তার মা পুলিশকে বলে আপনি ওকে নিয়ে যান শাস্তি দরকার আছে এ কথা বলে পুলিশ আপনাকে নিয়ে যায়। এদিকে তাদের মা মিরাজকে বলল তুই এ ব্যাপারে কিছু করবি না তুই এত টাকা কোথায় পাবি তো কয়দিন পরে বিদেশ চলে যাওয়ার দরকার সেভাবে তুই প্রস্তুতি নেয় কিন্তু মেরাজ বিষয়টা কোনভাবেই হালকাভাবে নিতে পারল না সে চিন্তা করছে সে তো তার ছোট ভাই তার সাথে একমত তার স্ত্রী পারবে না সেও তাকে রিকুয়েস্ট করছে তার ছোট ভাইকে ফিরিয়ে আনার জন্য কারণ ওরাই তো ছোট আর ছোট রাইতে অন্যায় করবে বড়দেরকে সেটা শুধরিয়ে নিতে হবে।
বয়রা কথা শুনে মিরাজ অনেক খুশি হয়ে গেল সে পরের দিন যে লোকটি তার ভাইয়ের নামে অভিযোগ করেছিল থানায় তার বন্ধুকে নিয়ে সে লোকটির কাছে চলে গেল এমন লোকটিকে অনেক রিকুয়েস্ট করে লোকটিকে একটি ভিসা দিয়ে বিদেশ নিয়ে যাবে দু-তিন মাসের মধ্যে এরকম আশ্বস্ত করে তাকে রাজি করিয়ে তার ছোট ভাইকে ছাড়িয়ে আনে। ছোট ভাইকে ছাড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে আসার পর সবাই তাকে দেখে অনেক খুশি হয়ে যায়। বড় ভাইয়ের এই আন্তরিকতা দেখে ছোট ভাই তার ভুল বুঝতে পারে এবং তার স্ত্রী যেন তার কাছে আসতে চায় তখন তাকে সে ধমক দিয়ে তাকে দূরে চলে যেতে বলে এবং তার ভাইকে বলে যে তাকে যেতেই বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় তার জন্য সে তার ফেরেশতার মতো ভাইকে কষ্ট দিয়েছে তার মত স্ত্রী তার না থাকলে ভালো হয়। তারপর সবাই তাকে বুঝিয়ে ঠিকঠাক করে নিলে পরের দিন মেরাজ চলে যাবে বিদেশে সে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে যাচ্ছে তার স্ত্রীকে বলে গেল যে আমার মায়ের সকল দায়িত্ব তোমার কাছে দিয়ে গেলাম তুমি আমার মাকে সব দিক থেকে দেখে রাখবে বলে এই নাটকের সমাপ্তি হলো।
বিঃদ্রঃ সকল ছবি মোবাইলে স্ক্রিনশট নেওয়া।
আসলে নাটকটিতে অনেক শিক্ষনীয় বিষয় রয়েছে প্রথমে আমি যেটা বলব সেটি হচ্ছে লোভ করে কোন কিছু সঠিকভাবে করা যায় না। তারপরে বলবো এখানে বড় ভাই মিরাজ বড় ভাই হিসেবে তার যে দায়িত্ব-কর্তব্য সেটা সে সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করেছে এবং ছোট ভাইকে ছোট ভাই মনে করে তার সকল অন্যায় অপরাধ ক্ষমা করে দিয়ে তাকে আবারও সুযোগ করে দিয়েছে এই বিষয়টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছে যে মা তার অভিনয়টাও আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আসলে মা'রা কষ্ট চেপে ধরে রাখে সেটাই এই নাটকে প্রকাশ পেয়েছে। বড় ভাইয়ের স্ত্রী ভাবী হিসেবে দেওরের প্রতি যে শ্রদ্ধা ভালোবাসা সেটাও এই নাটকের মধ্যে ফুটে উঠেছে। সর্বোপরিব বলবো ছোট ভাই যতই অন্যায় অবিচার করুক অপরাধ করুক সে তার ভুল বুঝতে পেরেছে ও সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে তার ভুল স্বীকার করেছে এটাও অনেক চমৎকার একটি বিষয় ছিল। তবে আমার কাছে একটা বিষয় ভালো লাগেনি সেটি হল ছোট ভাইয়ের স্ত্রী যার জন্য এত কিছু হল সে কারো কাছে কোনোভাবেই ক্ষমা চাইল না তারপরেও তারা তাকে সুযোগ করে দিল এই বিষয়টা আমৈ একদমই পছন্দ হলো না। এটা তুলে ধরলে আরো বেশি ভালো লাগতো।
- |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
নাটকটি আমি একবার দেখেছি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। কাহিনীটি ভীষণ ভালো এমন কাহিনী নাটক এখন প্রায় দেখাই যায় না। আপনি নাটকটি সম্পর্কে খুবই সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন এবং পুরো গল্পটি সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করেছেন। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দরও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিদেশ বাড়ি ৩ নাটকটা যদিও এখনো আমার দেখা হয়নি, তবে নাটকটার সম্পূর্ণ কাহিনী এই রিভিউর মাধ্যমে পড়ে খুব ভালো লেগেছে। এরকম নাটক গুলো আমার খুবই কম দেখা হয়। আসলে যে লোভ করে সে কখনো সঠিকভাবে কোন কাজ সম্পূর্ণ করতে পারে না। আর এই নাটকটাতে অনেক সুন্দর শিক্ষনীয় বিষয় রয়েছে যা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। সম্পূর্ণ কাহিনীটা রিভিউর মাধ্যমে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লেগেছে।
নাটকের রিভিউ আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমিও খুবই আনন্দিত হলাম। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি নাটক রিভিউ এর মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা নাটকটি দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে স্ত্রীর কাছে যে মায়ের দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছে এই বিষয়টি আমার কাছে নাটকের মধ্যে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে। তবে সময় পেলে অবশ্যই আপনার এই নাটকটি দেখার চেষ্টা করব আপু। নাটকটি কবে মুক্তি পেয়েছে এই বিষয়টি আপনি নাটকের মধ্যে শেয়ার করেননি যদি শেয়ার করতেন তাহলে আরও বেশি ভালো হতো।
আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা অবিরাম।
সময় স্বল্পতা ও ব্যস্ততার কারণে যদিও নাটক দেখা হয় না। তবে মাঝে মাঝে রিভিউ গুলো পড়ে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ দেয়ার জন্য।ভালো থাকবেন আপু।
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জামিল হোসেনের নাটকগুলো আমার খুবই ফেভারিট খুব সুন্দর নাটক করে থাকে সে ওর মধ্যে বেশ সুন্দর সামাজিকতা খুঁজে পাওয়া যায়, খুঁজে পাওয়া যায় গ্রামীণ পরিবেশের নানান দিক। আজকে আপনি অসাধারণ একটি নাটক রিভিউ করে দেখিয়েছেন। বেশ ভালো লেগেছে আপনার এই সুন্দর নাটক রিভিউটা।