রেসিপি // সুস্বাদু কালোজিরা ভর্তা রেসিপি।
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে আরও একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি যেই রেসিপিটি শেয়ার করব সেটি হচ্ছে সুস্বাদু কালিজিরা ভর্তা রেসিপি। আশা করছি আপনাদের কাছেও আমার আজকের এই রেসিপিটি ভালো লাগবে। ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি, কালোজিরা নাকি মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের ঔষধ হিসেবে কাজ করে থাকে। তাহলে বুঝা যায় এর কত কত গুণ রয়েছে তা কিন্তু বলে শেষ করা যাবেনা। যদিও কালোজিরা ভর্তাটা অনেকেই খেতে চায় না কিন্তু আমাদের বাসায় প্রায়ই তৈরি করা হয়। আমার কাছেও খুব একটা ভালো লাগে না কিন্তু আজকে যেভাবে কালোজিরা ভর্তা তৈরি করেছে খেতে কিন্তু অনেক ভালো লেগেছিল। এভাবে ভর্তা করে খেলে আমার বিশ্বাস খেতে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
রেসিপিটির সর্বশেষ ফটোগ্রাফি
- কালোজিরা
- পেঁয়াজ
- রসুন
- শুকনা মরিচ
- ধনিয়া পাতা
- লবণ
- সরিষার তেল ও
- শিলপাটা।
- প্রথমে আমি রসুন ও পেঁয়াজগুলো কুচি করে নিলাম। তারপর চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে পরিমাণমতো সরিষার তেল দিয়ে রসুন এবং পেঁয়াজ কুচি গুলো হালকা ভেজে নিলাম।
- এবার আমি কালোজিরা গুলো পানি দিয়ে ধৌত করে তারপর চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে সেগুলোকে ভেঁজে নিলাম।
- এবার আমি শুকনা মরিচগুলো ওই কড়াইতে হালকা করে ভেঁজে নিলাম।
- তারপর আমি একটি শিলপাটা নিলাম এরপর শিলপাটাই ভেজে নেওয়া কালোজিরা গুলো ঢেলে দিলাম। তারপর এগুলোকে শিলপাটায় বেটে নিলাম।
- তারপর আগে থেকে ভেজে রাখা শুকনা মরিচ গুলো শিলপাটায় দিয়ে বেটে নিলাম।
- এবার আমি আগে থেকে ভেজে রাখা পেঁয়াজ ও রসুনের কুচি গুলো শিলপাটার মধ্যে দিয়ে দিলাম।
- তারপর দিয়ে দিলাম এর মধ্যে পরিমাণ মতো লবণ।
- সবশেষে আমি এর মধ্যে আগে থেকে কেটে রাখা ধনিয়া পাতার কুচি গুলো দিয়ে দিলাম। তারপর এগুলোকে শিলপাটায় বেটে নিলাম। এরপর আমি আবার সবগুলো উপকরণ একসাথে হাতে মিক্স করে আবারো ও একবার শিলপাটায় বেটে নিলাম। এতে করে তৈরি হয়ে গেল আমার সুস্বাদু কালোজিরা ভর্তা রেসিপি।
- রেসিপিটি এখন পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
ধন্যবাদান্ত
@isratmim
আপু ঠিকই বলেছেন, অনেকেই আছে কালোজিরা ভর্তা রেসিপিটি খেতে চায় না। তবে কালোজিরা কিন্তু মহা ঔষধি গুনসম্পন্ন। আমার বাসাতেও মাঝে মাঝে কালোজিরা ভর্তা রেসিপি তৈরি করা হয়। তবে আমার মেয়ে একদম খেতে চায় না। কালোজিরা ভর্তা রেসিপি পেলে আমি কিন্তু বেশ মজা করেই খাই। তাই এই রেসিপিটি আমার খুব পছন্দের একটি রেসিপি। আর আমার পছন্দের রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সুন্দর ও গঠনমূলক মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মজাদার কালোজিরা রেসিপি দেখে জিভে প্রায় জল চলে এলো আপু। আমাদের বাসায় মাঝে মাঝে এই ভর্তার রেসিপি তৈরি করা হয়। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন কালোজিরা রেসিপি। ধন্যবাদ আপনাকে
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আপু আপনি সত্যি বলেছেন কালোজিরা অনেক রোগের উপকারী। এই কালোজিরার সাথে যদি গরম খিচুড়ি হয় তাহলে তো আর কিছুই লাগে না।তবে আমার অনেক পছন্দ। আসলে আর ্কেউ তেমন খেতে চায় না ইচ্ছে থাকলে অনেক সময় তৈরি করিনি। যাইহোক আপনার ভর্তা দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ, কালোজিরা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
শীতের সময় কালোজিরা ভর্তা আমার বেশি খাওয়া হয়। যেটা অনেক ঝাল আমি আবার ঝাল কম খেতে পারি যখন কালোজিরা ভর্তা দিয়ে ভাত খেয়ে থাকূ তখন যে আমার কি অবস্থা হয় বলে বোঝাতে পারবো না। ভালো লাগলো আপনার কালোজিরা ভর্তা রেসিপি দেখে।
আমার কালোজিরা ভর্তার রেসিপি দেখে আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমিও খুবই আনন্দিত হলাম। সুন্দর মন্তব্য জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
কালোজিরা ভর্তার একটি দুর্দান্ত রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব ভালো চি।এই কালোজিরা ভর্তা আমার আগে খাওয়া হয়নি।দেখি কোনো একদিন ট্রাই করবো রেসিপিটি।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
সম্ভব হলে এভাবে একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। আশা করি খেতে আপনার কাছে খুবই ভালো লাগবে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু কালিজিরার গুন বলে শেষ করা যাবে না। কালজিরা ভর্তা আমার খুব পছন্দ। আপনার রেসিপিটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
হ্যাঁ রেসিপিটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু আপনি তো দেখছি পুষ্টিগুনে ভরপুর একটি রেসিপি শেয়ার করলেন। কালোজিরা কিন্তু বেশ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। আপনার মত এত সুন্দর করে ভর্তা করে কখনো খাওয়া হয়নি। মনে হচ্ছে সাধ হয়েছিল তাইনা আপু? ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
কালোজিরা দিয়ে ভর্তা তৈরি করা যায় এটি আমার কখনোই জানা ছিল না। আপনার কাছ থেকে এই প্রথম এরকম একটি রেসিপি সম্পর্কে জানতে পারলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
কালোজিরা ভর্তা আমার ভিষণ প্রিয় একটি খাবার।কালোজিরা আমাদের শরীরের জন্যেও অনেক উপকারী। আপনার কালোজিরা ভর্তার রেসিপিটা বেশ হয়েছে। সুন্দর করে উপস্থাপন ও পরিবেশ করেছে।
ঠিক বলেছেন আপু কালোজিরা সকল রোগের ঔষধ হিসাবে কাজ করে। আপনার তৈরি করা কালো জিরা ভর্তা দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। আর এভাবে পিয়াজ রসুন বেশি করে দিয়ে ভর্তা করলে খেতে বেশ মজা লাগে কালোজিরে ভর্তা। আমার বেশ প্রিয় এই ভর্তা। মজাদার ভর্তার রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।