শ্রীনগর থেকে পেহেলগাম এর পথে|| কাশ্মীর পার্ট - ২|| ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
নমস্কার বন্ধুরা। কাল থেকে আমি আমার কাশ্মীরের গল্প শুরু করেছি। আগের দিনের পোস্টে আমি জানিয়েছিলাম কিভাবে আমি শ্রীনগর অব্দি এসে পৌছলাম ।অর্থাৎ কাশ্মীর এসে পৌঁছলাম ।এবার আমি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করব শ্রীনগর থেকে আমার গন্তব্য স্থল পেহেলগাম অব্দি রাস্তা ও কিছু গল্প ।
শ্রীনগর থেকে যাত্রা শুরু হল এবং কয়েক মিনিটের মধ্যেই বুঝতে পারলাম যে সত্যিই একটা অন্যরকম এলাকায় এসে পৌঁছেছি । চারিদিকের প্রকৃতি, রাস্তাঘাট, এমনকি মানুষজন ,সাথে বাড়িঘর , যাই দেখছি সবই যেন নতুন। রাস্তার ধারে প্রত্যেকটি বাড়ি অপূর্ব দেখতে ।বেশিরভাগই কাঠের আবার কোনো কোনোটা সিমেন্টের। কিন্তু সব বাড়ির চাল ত্রিকোণাকৃতি। এর কারণ হলো শীতের সময় যখন অতিরিক্ত বরফ পড়ে, বরফ গুলো যাতে পিছলে চালের দুই ধারে পড়ে যায় ,তাই এই ভাবে বাড়ির চাল তৈরি হয় ।
শীতের ওয়েদারে আশেপাশের গাছগুলিকে দেখতে অপূর্ব লাগছিল। প্রত্যেকটি গাছ অনেক অনেক বড় ।গাছের আকৃতি ,অঙ্গিভঙ্গি ,গাছের পাতা একেবারেই আমি যেখানে থাকি তার থেকে আলাদা। এটা হওয়াটাই স্বাভাবিক কারণ এটি পাহাড়ি এলাকা। সবথেকে বড় একটা কথা যেটা আমরা সকলে জানি না ,আর এখানে এসেই আমিও সেটা জানতে পেরেছি। সেটা আপনাদের সাথে একটু শেয়ার না করলেই নয়।
হোটেল এর রুমের জানলা দিয়ে
পুলবামা হত্যাকাণ্ডের পর থেকে,
আশা করছি আপনারা জানেন কিছু বছর আগে ২০১৯ সালে, ১৪ই ফেব্রুয়ারি ৪১ জন জবান সি আর এফ তাদের গাড়ি করে শ্রীনগরের মেন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল তাদের ক্যাম্পে । আর সাধারণত এভাবেই প্রত্যেকদিনই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়া আসা করেন তারা।কিন্তু সেদিন একটি অশুভ দিন ছিল হয়তো ।যার জন্য আতঙ্কবাদী দের হামলায় বোম ব্লাস্ট করে পুরো গাড়ির সমস্ত জয়ান দের আমরা হারিয়ে ফেলি। ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সেই ৪১ জনের এক একজন। আমাদের বাংলার ও ৩/৪ জন ছিলেন ।
খুবই খতরনাক এবং ভয়ানক এ ঘটনার পর থেকেই শুরু হয়েছে কাশ্মীরে একটি নতুন নিয়ম ।রাস্তা দিয়ে যখন ওরা পাশ করে ,গোটা কাশ্মীরে এই নিয়ম রয়েছে। রাস্তা দিয়ে যখনই ওরা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যায়। আশেপাশের প্রত্যেকটি চলমান গাড়ি স্টপ হয়ে যায় এবং যতক্ষণ না তারা বেরিয়ে যাচ্ছে ওয়েট করতে থাকে। এর সাথে সাথেই রাস্তায় উপস্থিত থাকে হাজার হাজার আর্মি তাদের রাইফেল নিয়ে অন ডিউটি । আমি এয়ারপোর্ট থেকে বেরোনোর পর পরই দেখতে পেয়েছি রাস্তায় একটু দূর দূর পরেই ডিউটি করছে প্রচুর নওজোয়ান সি আর এফ রোদের মধ্যে ।শুধুমাত্র সুরক্ষা এবং শান্তি বজায় রাখতে তারা ডিউটি করে চলেছে ।
আমরা যখন শ্রীনগর থেকে পেহেলগাম দিকে আসছি, এরকম তিনবার আমাদের দাঁড়াতে হয়েছে ,অন্তত পাঁচ মিনিটের জন্য ।তিনবার আমরা দাঁড়িয়েছি অর্থাৎ গাড়ি বন্ধ করে রাখতে হয়েছে ।আর আমরা দেখতে পেয়েছি জানলা দিয়ে রাস্তার উপর দিয়ে চলে যাচ্ছে প্রায় ছয়টা আর্মিদের গাড়ি। তারা চলে যাবার পরেই একটা বাঁশি বেজে ওঠে। আর তারপরেই প্রত্যেকটি গাড়ি স্টার্ট দেয় এবং ততক্ষন কিন্তু ডিউটিতে যারা দাঁড়িয়ে রয়েছেন তারা এই গাড়িগুলোর সুরক্ষার পুরোপুরি সচেতনভাবে খেয়াল রাখে।
শ্রীনগর এর চারিপাশে
আগের দিন রাতে বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে ভাত খেয়েছিলাম। আর প্লেনের মধ্যে ম্যাগি ,কোক খেয়েছি। খিদে পেয়েছিল ।তাই রাস্তার ধারে একটি রেস্টুরেন্টে দাঁড়িয়ে একটু ভাত ,অড়হড় ডাল, রাজমা এবং পনিরের তরকারি খেলাম ।এখানে প্রত্যেকটি জিনিসের দাম খুবই বেশি ।আর পুরো কাশ্মীর এ অড়হড় ডাল বেশি খাওয়া হয়। আমরা আবার রওনা দিলাম।
আমাদের গাড়ির ড্রাইভার কাকুর নাম "গুলাব " । আমি পদবী জানিনা।আমি গুলাব আঙ্কেল জি বলে ডাকা শুরু করে দিয়েছি অলরেডি। সাথে চলছে অনেক অনেক গল্প ।অনেক ভালো মানুষ। বাবার বয়সী হবেন। এনারা খুবই মিশুকে। যেতে যেতে উনি বলতে থাকলেন কোনটা কোন গাছ এবং আমরা কোথায় কোথায় পরবর্তীতে ঘুরবো সেসব নানা রকম কথা।
মাঝেমধ্যে গুলাব আঙ্কেলের ফোনে কল আসছিল ।আর আংকেল একটি অজানা ভাষায় কথা বলছিলেন ফোনে। হ্যাঁ সেটি হল কাশ্মীরি ভাষা ।তিনি যা বলছিলেন, তা আমি একটি বাক্য বুঝতে পারিনি ।কাশ্মীরি ভাষা শেখা কদিনের মধ্যে সম্ভব হবে না হয়তো। কিন্তু তবুও দু'চারটে লাইন অন্তত শিখে যাওয়ার ইচ্ছে আছে ।
কেশর ক্ষেত
গুলাব আঙ্কেল একটি ক্ষেতের পাশে এনে আমাদের দাঁড় করালেন। একটা বড় মাঠ মাঝে মাঝে বড় গাছ ।তিনি বললেন এটি হলো কেশরের খেত ।পুরো কাশ্মীরে এই কেশরের ব্যবসা চলে এবং কেশরের ক্ষেত রয়েছে শুধুমাত্র ভারতবর্ষের এই জায়গাতেই কেশর চাষ হয় ।আমি দেখতে পেলাম মাঠের দিকে ভালোভাবে চোখ রেখে ,ছোট ছোট বেগুনি রঙের ফুল উঁকি দিচ্ছে মাটি থেকে ।আমরা সবাই মিলে আস্তে আস্তে খুব যত্নসহকারে ক্ষেতের মাঝখানে এসে দাঁড়ালাম কয়েকটি ছবি তোলার জন্য ।কেশর হলো এই ফুলগুলির পরাগ রেণু ।ইচ্ছে আছে ফেরার পথে যখন বাড়ি যাব তখন কিছুটা কিনে নিয়ে যাব। কারণ এখানে কেশরের দাম সস্তা ।ছবি তোলার পরে আমরা আবার রওনা দিলাম।
কেশর এর ফুল
আংকেল বলতে থাকলেন নানান কথা। সাথে দেখালেন আবারও আখরোটের গাছ ।প্রত্যেকটি জিনিসই নতুন ছিল ।মনের ভেতরে উত্তেজনায় ভরপুর। আমি জিজ্ঞেস করছিলাম যে কখন আমরা বরফ দেখব ।প্রায় কিছুক্ষণ পরেই গুলাব আঙ্কেল আমাদের বলতে থাকলেন যে আশেপাশে গাছগুলি দেখছ, এগুলি হলো আপেল বাগান ,আপেলের গাছ।
আপেল
চারিদিকে তাকিয়ে দেখি রাস্তার দুই ধারে আমাদের ওখানে যেমন আম গাছ থাকে, ঠিক তেমনি সারিসারি আপেলের গাছ। আর আপেল ধরে আছে ।লাল লাল আপেল। আর গাছগুলোর হাইট অতটা বেশী নয়। আর কোন কোন জায়গায় দেখছি আমাদের ওখানে যেমন আম পারলে ঢিবি করে ফেলে রাখে ,ঠিক তেমনি আপেলগুলো ফেলে রেখেছে। এখান থেকেই আপেল দেশ এর সব জায়গায় পাচার করা হয় এবং এখানে আপেলের অনেক বড় ব্যবসা চলে। আবার কিছু কিছু জায়গায় দেখলাম অনেকে নিজের বাড়ির সামনে একটি করে আপেল গাছ লাগিয়েছে ।ঠিক যেমন আমরা কেউ কেউ আমাদের বাড়িতে আম গাছ লাগাই।
আমি, মা,বাবা,ভাই
কিছুটা যেতেই গুলাব আঙ্কেল একটি আপেল বাগান এ গাড়িটি থামালেন। আমি দেখে খুব খুশি ছিলাম।আমার মা তো প্রচন্ড আনন্দিত ছিলেন। এরকম কখনো দেখেননি ।আমরা সকলেই ভীষণ মজা পেয়ে গিয়েছিলাম ।গাছ থেকে আমরা টপাটপ কয়েকটা আপেল পারলাম ।যদিও বাগানের মালিকের পারমিশন নিয়ে। তারপরে আপেল গাছের সাথে কিছুক্ষণ ফটোসেশন হলো। তারপরে সব থেকে যেটা মনোরঞ্জক এবং জীবনে ভুলবার নয় ।সেটি হলো টাটকা আপেল গাছ থেকে আপেল পেরে তার জুস খাওয়া ।টাটকা পেরে সেই আপেলের জুস বানিয়ে দিলেন বাগানের কিছু দাদা ।
আপেলের জুস
সত্যি বলছি বন্ধুরা এরকম জুস আমি এর আগে কখনো খাইনি। আমাদের মার্কেটে আপেলের জুস যেটা পাওয়া যায় ,তার থেকে লাখ লাখ গুণ ভাল খেতে ।একদম ফ্রেশ ।ঠান্ডা ঠান্ডা আর সত্যিই অপূর্ব ।এই অনুভূতি বলে বোঝানোর নয় ।আগের দিন রাত থেকে জারনি করে এসেছি ।আমার ইচ্ছা করছিল না জুস খেতে ।প্রথমে মা একটি গ্লাস নিয়েছিল ।আপেল বাগানে একটি গ্লাসের জুসের দাম ছিল মাত্র ৫০ টাকা।মা এর থেকে এক চুমুক দিতেই আমার এত ভালো লেগে গেল যে আমরা সবাই একটা করে গ্লাস নিলাম। এই অনুভূতি আমি এখনও ভুলতে পারছি না ।
এইভাবে আমরা ধীরে ধীরে দেখতে পেলাম আমরা উঁচু র দিকে উঠছি ।পাহাড়ের ভিতর রাস্তা শুরু হল ।শুরু হলো উচ্চতা ।আস্তে আস্তে নিচের দিকে দেখতে পেলাম জলপ্রবাহ ।পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে মাঝখান দিয়ে নদী বয়ে যাচ্ছে। মাঝে কত পাথর। এই অপরূপ সৌন্দর্য এবং এই আবহাওয়ার কথা হয়তো আমি বলে বোঝাতে পারবোনা ।কাশ্মীর যে কত সুন্দর জায়গা ।তা কখনই এই পোষ্টের মাধ্যমে বলা সম্ভব নয়। ধীরে ধীরে দেখতে পেলাম কয়েকটা জায়গায় মার্কেট ।বাবা এবং গুলাব কাকা নিজেদের কাজের জন্য অর্থাৎ মিউজিয়ামের কাজের জন্য কিছুকিছু জিনিসের খোঁজ করছিলেন। এখানে প্রচুর জিনিস পাওয়া অসম্ভব ।অনেক দূরে দূরে যেতে হয় ।সেগুলি খুঁজতে খুঁজতে মাঝেমধ্যে গাড়ি দাঁড় হচ্ছিল।
তখনই দেখলাম রাস্তার দুই ধারে মাঝেমধ্যে দেখা যাচ্ছে কমলা লাল হলুদ এবং সবুজ এর মিশ্রণে ভরপুর একটা গাছ ।গাছের পাতাগুলো অপূর্ব। ঠিক বিদেশে যেমন ম্যাপল গাছ হয়। অনেকটা ওই রকমের ।কোন কোন গাছের কমলা ভাব এতই বেড়ে গেছে, যে দেখতে গাছটিকে অপূর্ব লাগছে। সবুজের মাঝে মাঝে এই কমলা ভাব দেখে অপূর্ব লাগছিল। কাকু কে জিজ্ঞেস করতে বললেন, গাছটির নাম চুনার ।
প্রাকৃতিক দৃশ্য
এইভাবে ধীরে ধীরে আমরা এগিয়ে যেতে থাকলাম এবং আরো আরো উচ্চতায় উঠতে উঠতে পৌঁছে গেলাম পেহেলগাম ।বাঁদিকে রয়েছে জলপ্রবাহ ।বরফ গলা জলের একটি নদী ।আর ডানদিকেই দেখলাম চারিদিক ঘেরা কিছু বিল্ডিং এবং জানতে পারলাম এটি হলো মিউজিয়ামের এরিয়া ।যেখানে আমার বাবার তৈরি স্কাল্পচার গুলো রাখা হয়েছে এবং সেগুলো নিয়ে কাজ চলছে ।এটি হলো একটি ট্রেকিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। এটাকে বলে মিনিস্ট্রি অফ ডিফেন্স এর কার্যালয়। আমি কিছুক্ষণের জন্য মিউজিয়ামের মধ্যে ঢুকে একটু দেখে এলাম ।
মিউজিয়াম এরিয়া
এবার একটা কথা বলি ২৪ তারিখে বাবা যখন এখানে এসে পৌঁছেছে ,এই যে সবুজ জায়গাটা দেখা যাচ্ছে, পুরো মিউজিয়ামের , বরফ দিয়ে ঢাকা ছিল। বরফ গলে সে জায়গায় এখন সবুজ হয়েগেছে। কিছুক্ষণ থাকার পরে আমরা আবার রওনা দিলাম ।কারন আমার স্নান হয়নি এবং কাল থেকে আমরা জার্নি করছি ,তাই আমাদের শরীর ক্লান্ত ছিল ।মিউজিয়াম থেকে ১০ মিনিট এর মধ্যেই আমরা পৌঁছে গেলাম আমাদের হোটেলে ।হোটেলটির নাম "উড স্টক "।
হোটেলে ঢুকে আমি বুঝতে পারিনি যে এর চারিদিকে প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং এর রুমের সুবিধা। আমি যখনই ঘরে ঢুকলাম ,ঢোকার সাথে সাথে দেখলাম আমাদের রুমের সামনে একটি বড় কাঁচের জালনা। পুরো একটি গোটা দেওয়াল জুড়ে একটি কাচের জানলা ।এবং এর জানালা দিয়ে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে তিন-চারটে পাহাড় এবং অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ।বিল্ডিং এর মাঝে অর্থাৎ হোটেলের নীচের জায়গাটুকু তে বরফ জমে রয়েছে ।আর মাঝখান দিয়ে কিছু কিছু গাছ, যেগুলোর ফুল ঝরে পড়েছে বরফের কারণে ।
বরফ দেখে তো আমি পাগল হয়ে গেছি এই প্রথম বরফ চোখে পড়ল ,যদিও মিউজিয়ামের বাইরে অল্প কিছু বরফ দেখেছিলাম ।বাবা ২৪ তারিখে যখন আসে ,তখন বরফ পড়ছিল। তারপরে বন্ধ হয়ে যায় এবং এই চার দিনে বড় বেশ কিছুটা হলেও গলে গিয়েছিল। কিন্তু হোটেলের বাইরে এত বরফ দেখে আমি ভীষণ লাফালাফি শুরু করে দিলাম। ভাবলাম কাল কখন সকাল হবে ।এবং আমি হোটেলের নিচে ওই জায়গাটায় যাব।
সূর্য অস্ত গেছে, জানলা দিয়ে বরফ
ফ্রেশ হলাম । গরম জলে স্নান করে নিলাম ।এত ঠান্ডা ।তখন মাইনাস ওয়ান টেম্পারেচার ।এখানে রুম হিটার চালিয়ে বসে রয়েছি ।গল্প করছি। তারপর রাতে ডিনার কমপ্লিট করেই আমরা আর বেশি দেরি না করে ঘুমিয়ে গেলাম।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।
বন্ধুরা আশা করছি আমার আজকের এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে। এই ছিল আমার ২৮ তারিখের গল্প ।২৯ তারিখের গল্প এবং সেই দিনের কিছু মুহূর্ত আমি অবশ্যই আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে থাকবো কাল থেকে। সকলের মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম ।আমার পোস্টটি ধৈর্য্য ধরে পড়ার জন্য সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
আশা করছি আমি অনেকটাই ভালোভাবে আপনাদের আমার অনুভূতি এবং এই এলাকার সমস্ত কিছু এই পোষ্টের মাধ্যমে বোঝাতে পেরেছি ।নমস্কার।
সত্যি আপু শ্রীনগরের চারিপাশে দেখে মুগ্ধ হলাম এত সৌন্দর্য। কেশর খেত ও ফুল আজকের নতুন দেখলাম আমি। খুবই ভালো ছিল ফটোগ্রাফি গুলো।আর আপেল জুস আপনি খেলেন। খুবই পুষ্টিকর। আমাদের মাঝে তুলে ধরলেন। খুবই ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনাকে প্রথমেই অনেক ধন্যবাদ জানাই কারণ আপনার জন্য আজকে আমি একেবারে এতটা কাছ থেকে কাশ্মীর দেখতে পাচ্ছ। কাছ থেকে বলতে ছবিতে। তবে মনে হচ্ছে ছবিগুলো যেন ফোনে তুলেছি এমন মনে হচ্ছে। তার জন্য আরও বেশি স্পেশাল লাগছে। আমি সত্যিই খুব খুশি আপনার সারপ্রাইজ পেয়ে। সত্যিই দারুণ একটি সারপ্রাইজ দিয়েছেন আপনি আমাদেরকে। আর আপনাকে দেখতে অনেক বেশী সুন্দর লাগছে। যদিও আপনাকে সব সময় সুন্দর লাগে। আর আমি সবচেয়ে বেশি চমৎকৃত হয়েছে কেশর দেখে। কারণ আমি আমার জীবনের প্রথম কেশরের ফুল দেখেছি এবং পরাগরেণু থেকে যে এগুলো হয় এটা আমার জানা ছিল না একেবারেই। তাই জন্য অনেক অনেক বেশি ধন্যবাদ। রুম থেকে বরফ পরা রাস্তাটা আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে।
আপনি যে সব পোস্টের একদম খুঁটিনাটি পড়ে তারপর মন্তব্য করেন এই ব্যাপারটা আমাকে খুব মুগ্ধ করে। অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো বোন। ❤️❤️
কেশর ফুল,কেশরের ক্ষেত,জানলার বাইরে বরফ পড়ার দৃশ্য, প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্যকে আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। সত্যি কথা বলতে এত সুন্দর মুহূর্তগুলোকে তুমি তুলে ধরেছো তোমাকে তার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। খুব মিষ্টি লাগছে তোমাকে।
খুব মজা করো। পরে আরো সুন্দর মুহূর্তগুলোকে আমাদের সাথে ভাগ করে নেবে এই অপেক্ষায় রইলাম।
আশীর্বাদ করবেন দিদি, সব কিছু ভালোভাবে কাটিয়ে আবার যেন সুস্থ শরীরে বাড়ি ফিরতে পারি। মারাত্বক ঠান্ডা এখানে। আর আমি যে কদিন থাকব, চেষ্টা করবো কাশ্মীরের অপরূপ দৃশ্য সবার সাথে ভাগ করে নেওয়ার।
কাশ্মীরের প্রাকৃতিক দৃশ্য টিভিতে দেখেছিলাম। আর এখন মনে হচ্ছে আমি সামনে থেকে দেখছি।এ সব কিছু আপনার জন্য দিদি। কেশর ফুল ও কেশরের ক্ষেত আপেল গাছ ও আপেল গাছ থেকে আপেল পারা আর জানালার বাইরের বরফ পড়ার দৃশ্য সত্যি অনেক সুন্দর। আর আপনি এত সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন যে এক কথায় অতুলনীয় দিদি। খুব মিষ্টি লাগছে এবং আপনার মা, বাবা ও ভাইকেও সুন্দর লাগছিল। আপনারা অনেক মজা করেন। পরে আর ও অনেক সুন্দর মুহূর্ত দেখার অপেক্ষায় রইলাম।আপনার মা ও বাবা কে আমার প্রণাম জানাবেন দিদি। আর আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
মা বাবা আপনার প্রণাম নিয়েছে দিদি 😊❤️। এখানে যা উপভোগ করছি এই অনুভুতি বলে বা ছবিতে দেখিয়ে প্রকাশ করার সাধ্য আমার নেই সত্যি। আশীর্বাদ করবেন দিদি।
আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শুনে সত্যি খুব ভালো লাগলো
কখনও কাশ্মীর যেতে পারবো কিনা জানি না
তবে আপনার কাছে থেকে জার্নি সম্পর্কে জানতে পেরে খুবই ভালো লাগছে
আর পেহেলগাম নামটা শুনেছিলাম
এটা যে কাশ্মীর এ সেটা জানতাম না
এখন জেনে গেলাম 🙂
অবশ্যই আসতে পারবেন দাদা। এই দিকে না আসলে জীবনের অনেক কিছু দেখাই বাকি থেকে যাবে 😊
সুন্দর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে কাটুক আপনার ভ্রমন। বেশ কিছু সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। ভূ স্বর্গ কাশ্মীর সত্যি তাই আপনার ছবি গুলোর মধ্যমে ফুটে উঠেছে। ভাল থাকবেন। শুভ কামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ দাদা এত চমৎকার ভাবে মন্তব্য করার জন্য। অনেক অনেক ভালো থাকবেন।
দিদি আপনার পুরা গল্পটাই পড়লাম
সত্তিই জীবনের একবার হলেও কাশ্মির যাবো।
এইভাবে আপেল এর সাথে ছবি তুলবো, বরফের সাথে ছবি তুলবো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এতো ভালো মোমেন্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমিও চাই, সবাই যেন একবার হলেও কাশ্মীর ঘুরে আসে। তার অনুভূতি গুলো কে যেন মনের ফ্রেমে বন্দী করে। অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।