একটু শপিং || ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন ।করোনাভাইরাস এর কারণে বহু দিন আমাদের কৃষ্ণনগরের শপিংমল টায় যাওয়া হয়নি। তবে ভাইরাস একটু সরে যাওয়ার পরে একবার গিয়েছিলাম। কিন্তু সেরকম ভাবে কালেকশন দেখতে পায়নি ।তাই খালি হাতে ফিরে এসেছি ।
অনেক দিন ধরেই মনে হচ্ছিল যে কবে যাব, আর কার সাথে যাবো। আমাদের বাড়ি থেকে সেই শপিংমল টা বেশ অনেকটা দূরে ।যেতে প্রায় কুড়ি পঁচিশ মিনিট লেগে যায় টোটো করে ।সেদিনকে সকালবেলাতে ও ঠিক ছিল না। হঠাৎ মনে হল আর বায়না ধরলাম মা-বাবার কাছে। কিন্তু তারাও বারণ করতে শুরু করল ।
তারপরে যখন আমি আমার পাশের বাড়ির বৌদিকে বললাম ।সে সাথে সাথে রাজি হওয়াতে বাবা-মাও আর বারন করলো না ।আমি হয়তো আমার আগের কিছু পোস্টে বলেছি যে এই বৌদি কিছু মাস আগে আমাদের পাশে বাড়ি করেছে। এবং ওরা এতই ভালো যে বলে বোঝাবার নয় ।ওদের সাথে একটা বেশ ভাল সম্পর্ক তৈরী হয়েছে ।
তাই বৌদির সাথে বেরিয়ে পড়লাম রেডি হয়ে। তখনো ভাবছি মনে মনে যে গিয়ে কি আদৌ কিছু কিনতে পারবো ।পুজোর সময় বা এটা-ওটা কেনাকাটা তে আমার প্রায় এই ভয়টা লেগে থাকে ,যে খালি হাতে ফিরতে হবে না তো। কারণ আমার সহজে কোন জিনিস পছন্দ হতে চায় না ।
তো যাই হোক তবুও গেলাম আমাদের বাড়ি থেকে ওখানে যেতে প্রায় ৫০ টাকা লেগে গেল। ফেরার পথেও আসার সময় ৬০ টাকা লেগেছে ।ওরকম খালি জায়গায় মানুষজন পেলে টোটোওয়ালা খুব দাম করে।
যাইহোক প্রথমে ঢুকলাম বিগ বাজারে বাজারে ।আমার সেরকম ভাল কিছু কালেকশন মনে হলো না। তবে হ্যাঁ সোয়েটশার্ট গুলোর কালেকশন বেশ ভালো ছিল ।
মলে বেশ অনেকগুলো দোকান রয়েছে ।তার মধ্যে ইজিবাই তে আমার সবথেকে বেশি কালেকশন মনে হলো। আর সেখান থেকে আমি দুটো টপ কিনলাম ।একটা টপ বৌদি কিনে দিলো। আর একটা আমি নিজে কিনলাম ।আমার খুব পছন্দ হয়েছে দুটোই। একটার দাম ৫০০ ,আরেকটার ৪০০ , তারপরে আমরা আরো এটা-ওটা দোকান দেখলাম।
সাথে আমি ওখানে থেকে একটি পামসু কিনেছি। সেই জুতোর ছবি তুলে রাখতে ভুলে গিয়েছি। তবে পরে অবশ্যই শেয়ার করব । কম দামে ওই জুতোটা পেয়ে গিয়েছি খাদিমস থেকে । মাত্র ৩০০ টাকায়। অফার চলছে যে গুরু।🤣🤪
বৌদির সাথে বেশ ভালই ঘোরাঘুরি হলো। সকাল সকাল বেরিয়ে ছিলাম এগারোটা নাগাদ ।বাড়ি ফিরতে ফিরতে একটা-দেড়টা বেজে গেছে ।ফেরার আগে আমি আরেকটি জিনিস কিনেছি - জিন্স। এতই ভালো যে বলে বোঝাবার নয়।দাম নিয়েছে এটার বেশি - ১২০০ টাকা।
সব মিলিয়ে বেশি খরচ হয়নি । আমি খালি হাতেও বাড়ি ফিরিনি। এটাই আমার ভাগ্য ভালো ছিল। বাড়িতে এসে মায়ের সাথে নানান রকম গল্প জুড়ে দিলাম বিগ বাজার নিয়ে যাতে খুব শিগ্রই আবার যাওয়া যায় ।
কারণ মায়ের মতে বলে অত দূরে গিয়ে কেউ জিনিস কিনতে চায় না। তাই জন্য ওখানে কালেকশনে তেমন আসে না ।
এই ছিল বৌদির সাথে আমার ঘোরাঘুরি ।আশা করছি আপনাদের সকলের আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। আর আমার কেনা ওই দুটো টপ ও আপনাদের ভাল লেগেছে ।
সকলে সুস্থ থাকুন। নমস্কার।
@isha.ish
ওয়াও দিদি, আপনি তো খুবই সুন্দর সুন্দর শপিং করেছেন আপনার বৌদির সাথে গিয়ে।দিদি করোনা ভাইয়ের কারণে আমরা অনেকেই ঘর থেকে বের হতে পারেনি। করোনা কিছুটা শিথিল হওয়ার কারণে আমরা আমাদের প্রয়োজন মতে বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছি। বৌদির সাথে আপনি শপিংয়ে গিয়ে খুবই সুন্দর সুন্দর টপস কিনেছেন দুটো টপ আমার খুবই ভালো লেগেছে। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে দ্বিতীয় টপটি আপনাকে খুব ভালো মানিয়েছে সত্যিই অনেক সুন্দর লাগছে দিদি আপনাকে। অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি আপনার শপিং পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
অনেক ধন্যবাদ আপনার মতামত ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
এটা পড়ে বেশ মজা পেলাম।এই কাজ আমিও করি।
সুন্দর লাগছে আপনাকে খুব।
হিহি, আমি তো জোর করে ধরে শোনাই।
শপিং করাটা সবার কাছেই খুব মজা লাগে, নতুন কাপড় পড়ার অন্যরকম একটা ফিলিংস। সাথে কোন বড় ভাই বা বৌদি থাকলে একটা সুবিধা হয় হচ্ছে তাদের কাছ থেকে দু-একটা শপিং এর জিনিস গিফ্টস পাওয়া যায়। বৌদি টপ কিনে দিল। আপনার সুন্দর সময় গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
হাহাহা, ভালোই ধরেছেন দেখি আমার খেল।
মাঝে মাঝে শপিং করলে মন টা কিন্তু ভালো লাগে। আপনার শপিং এর প্রতিটি জিনিস বেশ লাগলো আমার কাছে। আর আপনার পোস্ট গুলো দারুণ হয় সব সময় আপু মনি।
এটা একদম ঠিক কথা। আমার তো শপিং করলেই ভালো থাকে মন😜
আপু আপনার বৌদির সাথে শপিং করতে যাওয়ার অনুভূতির কথা গুলো খুবই সুন্দর ভাবে পোস্টে উপস্থাপন করেছেন। আপনার এই পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো আমার। করোনা ভাইরাসের কারণে আমিও অনেক দিন পর্যন্ত বাইরে বের হয়েছিলাম না। তবে এখন বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যাচ্ছি এবং শপিংমলেও যাইতেছি। কারণ করোনাভাইরাস এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আপু আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও আশীর্বাদ রইল।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।