মুড়ির মোয়া রেসিপি|| ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য|
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন।আজ দশমী। ছোট থেকে দেখে আসছি এই দিনে আমরা গুরুজনদের প্রণাম করি ,এমনকি পরিচিত আত্মীয়দের বাড়িতে গিয়েও আমরা তাদের শুভকামনা ও দশমীর শুভেচ্ছা দিয়ে আসি।
এখন আমি সকালবেলায় এই পোস্টটি দিচ্ছি । এখনও বিসর্জন হয়নি, তাই দশমী অথবা বিজয়া নিয়ে কিছু বলবো না। চলে আসি খাওয়া দাওয়ার কথায়।
ছোট থেকে এই দিনের মর্ম টা আমি এটাই বুঝতাম যে এই দিনে মানুষের বাড়ি গেলে মিষ্টি ,নিমকি ,নাড়ু মোয়া ,আরও বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায় ।আমি এবং আমার সমবয়সী সকলেই এই মজাতেই এর ওর বাড়িতে গিয়ে প্রণাম করে আসতাম। আর সাথে মিলতো অনেক ধরনের মিষ্টান্ন। বলতে গেলে এটা আমাদের কাছে একটা মজা ছিল ।😅😅😅😅😁😁😁😁
যখন বড় হয়েছি ,এই দিনের মর্ম টা পাল্টে গিয়েছে। বুঝতে পেরেছি যে আজকে বিসর্জনের দিন তার মানে আজ পূজো শেষ ।আজ থেকে নতুন জামা কাপড় পরা বন্ধ। মায়ের আজ বিদায়। এর সাথে বই খুলে খাতা খুলে প্রথমেই লিখে ফেলা -
শ্রী শ্রী দুর্গা সহায়
শ্রী শ্রী দুর্গা সহায়
শ্রী শ্রী দুর্গা সহায়
যাইহোক সময়ের সাথে সাথে আমাদের অনুভূতি গুলো এরকম পাল্টে যায় ।আজ আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি মুড়ির মোয়া বানানোর রেসিপি।
মুড়ির মোয়া এই দিনে আমরা প্রায় সকলেই কারোর বাড়িতে গেলে খেয়ে থাকি এবং আমাদের নিজেদের বাড়িতেই তৈরি করে থাকে। এটি আমার পছন্দের একটা খাবার। আর পুজোর সময় মোয়া না হলে পুজো কেমন যেন ম্যাচ ম্যাচ করে।
প্রথম ধাপ
প্রথমে গ্যাস অন করে বসিয়ে দিলাম একটি করাই।তার পরে তার মধ্যে দিয়ে দিচ্ছি ৩০০ গ্রাম আখের গুড়।গ্যাস এর ফ্লেম মিডিয়াম এ রেখে এর মধ্যে দিয়ে দিলাম হাফ কাপ জল। এবার একটা খুন্তি দিয়ে নাড়তে থাকুন।
নাড়তে নাড়তে আপনারা দেখবেন আস্তে আস্তে মিশ্রণ টি ঘন হয়ে আসছে। এই ভাবে ১০মিন ধরে নাড়তে থাকুন।
তারপর যখন ঘনত্ব বেড়ে যাবে, একটা অল্প করে জল নিয়ে তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা খুন্তি থেকে গুড়ের বিন্দু ফেলে দিন ।যদি সেটা সেই মুহূর্তে জমাট বেঁধে শক্ত হয়ে যায় তাহলে বুঝবেন যে গুড়ের চিট অথবা পাক টা ঠিক আছে।
দ্বিতীয় ধাপ
এবারে ৪০০গ্রাম মুড়ি নিয়েছি। তারপর ঐ গরম গুড়ের কিছু কিছু করে আমরা মুরির্ট সাথে মেশাতে থাকবো।তবে একবারে গরম দিলে হবেনা। উষ্ণ উষ্ণ গুড় হতে হবে।
তৃতীয় ধাপ
হাতে অল্প সরষের তেল নিয়ে মাখিয়ে নিয়েছি। হাতের তালুর সাহায্যে চেপে চেপে গোল করে মোয়া তৈরি করুন।
ব্যাস এইভাবেই তৈরি হয়ে গেল খুব সহজে মুড়ির মোয়া।
আশা করি,সকলের এই রেসিপি ভালো লাগবে। আর আপনারাও বাড়িতে চেষ্টা করুন। সকলকে প্রণাম। সকলে সুস্থ থাকুন।
নমস্কার
@isha.ish
মুরির মোয়া আমার খুব ভালো লাগে। মা মাঝে মাঝে তৈরি করে। তবে নানির হাতের মুরির মোয়া বেশি মজা লাগে।আপনি খুব সুন্দর করে মোয়া তৈরি করেছেন ও বেশ ভালো আলোচনা করেছেন। মনে হচ্ছে খেতে খুব টেস্ট হবে।
অনেক ধন্যবাদ আপনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকুন।
মুড়ির মোয়া রেসিপি বেশ সুন্দর উপস্থাপন করেছেন আপু। আর মুড়ির মোয়া আমার খুবই প্রিয় একটি খাবার। সাধারণত এগুলো উৎসবে ছাড়া তেমন একটা বাসায় তৈরি হয় না। বিশেষ করে রমজান মাসে ইফতারের পর এই মুড়ির মোয়ার খাওয়ার প্রচলন বেশি আমার বাসায়। তবে আপনার পোস্টটি দেখে এখন আমার এটি খাওয়ার ইচ্ছা জাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ, অনুষ্ঠান এর সাথে এগুলোর একটা সম্বন্ধ আছে বলা যায়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
কী জিনিস দেখালেন দিদি। মুড়ির মোয়া কিন্তু আমার খুব পছন্দের। আমার আম্মু খুব ভালো তৈরি করেন মোয়া। আপনার মোয়ার প্রস্তুত প্রণালি টাও কিন্তু খুব ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ এতো সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।।
হাহাহা, অনেক ধন্যবাদ দাদা পোস্টটি পড়ার জন্য। ভালো থাকুন
মুড়ির মোয়া খাইনা বহুদিন হলো। আগে গ্রামঞ্চলের দিকে থাকতে খেতাম খুব। বাড়িতেও তৈরি করা হতো, মুড়ির মোয়া খেতে বেশ মজাদার। রেসিপি ফাইন হয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।
আমার খুব পছন্দের মুড়ির মুয়া৷ এতো লোভ লাগছে আপু দেখে😁। ধন্যবাদ মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
খেয়ে নিন এখান থেকে। অবশ্যই একবার বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন।ধন্যবাদ আপনাকে
ওয়াও অসাধারন আপু। আপনি এত সুন্দর ভাবে পরিবেশন করেছেন দেখার মত ছিল। ছোটবেলায় খুব মোয়া খেতে ভালোবাসতাম। বাজারে যেতে আমার মা কিনে আনতাম আপনি খুব সহজেই মোয়া তৈরি করার পদ্ধতি টা আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করলেন। যা খুব সহজে আমরা ইচ্ছা করলে বাড়িতে বানাতে পারব। প্রয়োজনীয় উপকরণ সবকিছু অনেক ভাল ছিল খুব মার্জিত ভাষায় উপস্থাপন করেছেন। ভালো লাগলো আপু👌
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
সুন্দর ভাবে মুড়ির মোয়া বানিয়েছেন। আপনার হাতে মেহেদির রং বেশ ফুটে উঠেছে। মুড়ির মোয়া বানানোর ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
যাক, কেও তো মেহেন্দি লক্ষ্য করেছে😜
আপনাদের পূজা সফল হোক। পূজা নিয়ে কোন পোস্ট করলে আমি পড়ার চেষ্টা করি কারন আমি মানুষ হিসেবে সব জানা প্রয়োজন। আপু মুড়ির মোয়ার রেসিপিটা কিন্তু অসাধারণ হয়েছে। আমাদের দিলেন না একটু 🥺🥺🥺🥺
আপনাকেও ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। ভালো থাকুন।
আপু আপনার মুড়ির মোয়া দেখে আমার খেতে ইচ্ছা করছে। এটা বানানো কত সোজা কিন্তু আমি চেষ্টা করেও বানাতে পারি না ।আপনাদের পূজার সময় যে নাড়ু বানানো হয় সেগুলো খেতে আমার খুব ভালো লাগে। আগে যখন ছোট ছিলাম তখন হিন্দু বন্ধুর বাসায় গিয়ে অনেক খেতাম। এখন আর খেতে পারিনা ।আপনার রেসিপি টা দেখে অনেক ভালো লাগলো। এটি দেখে অবশ্যই ট্রাই করবো জানিনা হবে কিনা তারপরেও চেষ্টা করব ।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ,খুব সহজ, অবশ্যই বাড়িতে চেষ্টা করুন। আর মজা নিন। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন।
শুধু ভালো লাগে নি! রীতিমত টপাটপ খেয়ে নিতে ইচ্ছে করছে আমার। কি যে ভালো একটা রেসিপি দিলেন বলে বোঝানো সম্ভব না আপু। জাস্ট অসাধারণ।
হাহাহা, বানিয়ে ফেলুন দিদি বাড়িতে।
ধন্যবাদ আপনাকে