রবীন্দ্রজয়ন্তীর দিন - শেষ পার্ট
নমস্কার বন্ধুরা ।আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। রবীন্দ্র জয়ন্তীর দিনের শেষ পাঠ নিয়ে আজকে হাজির হয়েছি।আগের দিন বলছিলাম খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে যে ঠাকুরবাড়িতে কিভাবে সকলের জন্য খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল ।আজ তারপর থেকে শুরু করছি ।খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা সবাই বাইরে বেরিয়েছি ।ছবিগুলো দেখছিলাম ।রবি ঠাকুরের ছবিগুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিল।
প্রথমে একটা হাসির ঘটনা বলি একটা ছবিতে রবি ঠাকুর এবং মৃণালিনী দেবী ছিলেন। যেখানে দেবী একটা চেয়ারের উপর বসে ছিলেন এবং পাঞ্জাবি পড়ে রবি ঠাকুর তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ।দেখা মাত্রই আমি আর পল্লব মিলে শুরু করলাম। আমি সেখানে বসে পড়লাম যেমন ভাবে মৃণালিনী দেবী বসে আছে আর রবি ঠাকুরের মতো ভান করে দাঁড়িয়ে পরল পল্লব।কিন্তু পল্লবের পাঞ্জাবির সাথে ওড়না ছিলনা ।
শেরওয়ানির সাথে যেমন ওড়না থাকে সেই ওড়নার কথা বলছি। ওই মুহূর্তেই হঠাৎ করে চোখে পড়ল রুমের পাশ দিয়ে একটা ছেলে যাচ্ছে ।ধুতি পাঞ্জাবি পরে। তার পরনে লাল রংয়ের ওড়না। ঠিক যেরকম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পড়ে আছেন ।অবিকল সেরকম দেখতে একটা ওড়না। আমি কিছু না ভেবেই দৌড় দিলাম ।আমার পিছন পিছন পল্লব দৌড়াতে লাগলো। পল্লব আমার মতলব বুঝে গিয়েছিল যে আমি ওই ছেলেটার কাছ থেকে চেয়ে নেব ,এই জন্য ও মান সম্মানের লজ্জায় আমার পেছন পেছনে দৌড়াচ্ছিল আমাকে আটকাবে বলে ।
কিন্তু আমি কি আর এসব মানি !দাদাটার কাছে গিয়ে দাদাকে অনুরোধ করলাম যাতে কিছুক্ষণের জন্য ওড়নাটা আমাদের দেয় ।দাদাটাও বেশ কৌতুহল বোধ করল যে ওড়নাটা নিয়ে আমরা কি করব। আমাদের পেছন পেছন দাদাটাও চলে আসলো। আমি পল্লবকে দাঁড় করালাম আর ঠিক যেইভাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দাঁড়িয়ে আছেন ওইভাবে দাঁড় করালাম। ওড়নাটাও ওর গায়ে ঠিক ওইভাবে পরিয়ে দিলাম আর মৃণালিনী দেবীর মত আমিও বসে পড়লাম।
এই দেখে ওই দাদা এবং ওর বন্ধুরা এবং আমাদের বন্ধুরা ভীষণ হাসাহাসি শুরু করল। আর আমাদের ফটো তোলা হলো। বেশ মজার ঘটনা হয়েছিল এইটা ।তারপর ওই দাদা কে ওড়না ফেরত দিয়ে দিলাম।
এবার আমরা অনুষ্ঠানের ওখানে কিছুক্ষণ বসলাম । পর পর অনুষ্ঠানগুলো শুনতে লাগলাম ।ভীষণ ভালো লাগছিল অনুষ্ঠানগুলো শুনতে পেরে ।আমার খুব ভুল হয়ে গেছে, আগে থেকেই যদি নাম লিখতাম, নাম দিতাম ,তাহলে আমিও অনুষ্ঠানে গান গাইতে পারতাম ।আমার ভীষণ আফসোস হচ্ছিল যে কেন আগে থেকে নাম দিলাম না। আসলে আমি তো জানতামই না ।কবে নাম নেয়া হয়েছে।ব্যাপারটা হল বাড়িতে থাকায় কলেজে কখন কি হয়েছে আমরা কেউ বুঝিনি আমার বন্ধুরাও জানে না।
না হলে কোনো না কোনোভাবে আমার কানে এসে পৌঁছাতো। সবাই যখন গান পরিবেশন করছিল আমার ভীষণ আফসোস হচ্ছিল ।মনে হচ্ছিল শুধুমাত্র নামটা লেখাতে পারলেই আমিও গানটা গাইতে পারতাম এখানে, ঠাকুরবাড়িতে গান গাওয়ার অনুভূতিই আলাদা আর অত বড় বড় শিল্পীরা, ওই দিনে একত্রিত হয় ওখানে। খুব বড় একটা প্রাপ্তি হতো।
তবে খুব ইচ্ছা আছে পরের বছর চেষ্টা করতে অর্থাৎ আগে থেকে নাম লিখে রাখতে। যাই হোক। অনুষ্ঠান বেশ অনেকক্ষণ শোনার পর দেরি করলাম না আর ।৭:০০ টা বাজে যখন ,তখন ওখান থেকে ক্যাব বুক করলাম আর রওনা হলাম। আমার বন্ধুরা ওখানে তখনও ছিল। আমি বাড়িতে তাড়াতাড়ি ফিরে আসলাম কারণ বাবা-মা চিন্তা করবে। আমার মেস বাড়ি তে ঢুকতে ঢুকতে পৌনে আটটার মতো বেজে গিয়েছিল ।সব মিলিয়ে সময় ভালো গেছে।
ভালো লাগলো সবটা শেয়ার করে। সকলে ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
ভালো ছিলো।হা হা ছবি তোলার জন্য ওড়না চেয়ে নিলেন।আসলেই মৃণালিনী দেবী ও রবি ঠাকুরের মতই লাগছে🤪🤪।বেশ মজা পেলাম।ধন্যবাদ
হিহি । এই ঘটনা আমি জন্মে ভুলবো না।