কিছু গল্প স্বরচিত কবিতা র সাথে|| ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
প্রাণ এর স্থায়িত্ব কত টুকু,আমরা বুঝব কি ভাবে। মানুষ আর পরিস্থতি- কিছু না কিছু হাতের নাগালের বাইরে চলে যেতে থাকে প্রতিদিনই। কারোর না কারোর জীবনে এই পৃথিবীতে এই বাস্তব টাই ঘোরে। কিন্তু যা যায়, তা আর আসে না, যা আসে নতুন আসে। নতুন কিছু নিয়ে আসে।
আমাদের সকলের উচিত যা আছে, তা সুস্থ ভাবে বজায় রাখা,সেটা কোনো মানুষের সাথে সম্পর্ক হোক অথবা নিজের পরিস্থিতি।
আমার ঠাকুমা আজ থেকে নয় বছর আগে ২০১৩ সালে আজকের দিনে বিয়োগ হয়েছিলেন। ৩ মাস আগে ওনার হটাৎ করেই শরীর খারাপ হতে শুরু করলো, সুস্থ মানুষ হটাৎ অসুস্থ ।তারপর লিভার ক্যান্সার ধরা পড়লো। ডক্টর সময় দিয়ে দিয়েছিলেন, বাবা কে বলেছিলেন, কিছু করার নেই,বাড়ি নিয়ে গিয়ে রাখুন। ওনার সময় বেশি নেই।
বাবা কথা টা শুনে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিল। মানুষের হাতে ৫০ টাকা থাকলেও ,যদি কারোর জীবনের সময় থাকে, সে বেঁচে ফিরবে। আর লাখ লাখ টাকা দিয়েও এমন ভাবে একজন কে চোখের সামনে চলে যেতে দেখতে হয়।এটাই তো বাস্তব, জীবন সংক্ষিপ্ত , আজ আছে কাল কেমন থাকবে, কে জানে।
তাই জীবনের মর্ম টা বুঝুন । ক্ষুদ্র জিনিস কে নিয়ে বেশি চিন্তা ভাবনা করবেন না, যেটুকু সময় আছে নিজে ভালো থাকুন, অন্যকে ভালো রাখুন।
আজ ঠাকুমার এই দিনে এত গুলো বড় বড় জ্ঞানের কথা এই কারণেই বলছি, কারণ এই ঘটনা আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছিল। এগুলো আসলেই মর্মান্তিক কিন্তু জীবন কে একটা বড় কিছু শিক্ষা দিয়ে যায়।
আমি আমার পরিবারের কেও ওনার ছবি বাড়িতে রাখতে পারিনা, কারণ অসুবিধা হয়।
তবু ও আজ ইচ্ছা করেই আপনাদের সাথে সবটা ভাগ করলাম, নিজের মন হালকা হলো, আর আশা করছি আমার কথা শুনে সবার মস্তিষ্কে একটু টনক নড়ে উঠলো।
আমার ছোটোবেলা আমার দাদু আর ঠাকুমার ভালোবাসায় ভরপুর ছিল, ওনাদের আমি খুব ভালোবাসি । প্রতিটি ক্ষণে,আমার খারাপ সময় ,ভালো সময় ওনাদের আমি
স্মরণ করি। ওনারা আমার জীবনে বেশি বছর ছিল না ,আমি আমার ১৩ বছর বয়সের মধ্যে দু জনকেই হারিয়েছি। কিন্তু ওনাদের অধ্যায়, ওনাদের অবদান আমার শেষ নিঃশ্বাস অব্দি আমি স্মরণে রাখবো। আর চেষ্টা করে যাব নিজের কর্মের দ্বারা ওনাদের গর্বে ভরিয়ে তুলতে।
আজ ঠাকুমা র উদ্দেশ্যে আমার লেখা কবিতা
তুমি অন্ত এনেছ তোমার গঠনে।
অন্ত আনো নি তোমার মায়ায়।
তুমি সমাপ্তির ' র ' এর পরেও
রয়ে গেছো মনের চির ছায়ায়।
তুমি আমার স্মৃতির পাতায়
পাহাড়ী গাছের শক্ত গুঁড়ি।
তুমি আমার আদর মাখা
ছোট্টবেলার ঠাকুমার ঝুলি।
ঘুমপাড়ানি তুমিই আমার
তোমার হাতের আলতো বাঁধন।
আজ নয়টা বছর পরেও
তোমার স্নেহ করছে সাধন।
ভালো থাকুন সকলে। নমস্কার।
@isha.ish
এই মুহূর্তগুলো অনেক অমূল্য । মানুষ আজ আছে কাল নেই কিন্তু তাদের স্মৃতিগুলো তাদের অস্তিত্বকে ধরে রাখে। আমার দাদু আর ঠাকুমা দুইজনেই থাকে ইন্ডিয়াতে তাই দেখা করা কিছুটা হলেও মুশকিল , এক মাত্র ভিডিও কলেই সম্ভব এই পরিস্থতিতে। কিন্তু ছোটবেলায় তাদের সাথে কাটানো মুহূর্ত গুলোর ছবি দেখে নিজের মনকে সান্তনা দেই। সবার জীবনেই দাদু ঠাকুমা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকেন । আর মাত্র ১৩ বছর বয়সে তাদের হারানো সত্যিই দুঃখজনক ।😢
অনেক সুন্দর গুছিয়ে নিজের মনের কথা তুলে ধরেছেন দাদা। খুবই ভালো লাগে এমন ভালো মন্তব্য পেয়ে।
আসলে আপনার পোষ্টটি পড়ে আমি খুব মর্মাহত হলাম। আমি খুব আবেগী হয়ে উঠলাম। কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। বাস্তবতা আমাদেরকে অনেক কিছু শিক্ষা দেয়। আসলে বড়দের আদর সোহাগ যত্নগুলো এখনো মনকে খুব নাড়া দেয়। তাদের জন্য হৃদয় এখনো খুব ব্যাকুল হয়ে পড়ে। স্মৃতিগুলো বার বার ফিরে ফিরে তাদের কাছে যেতে চায়।
এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন।
খুব সুন্দর করে কথাগুলো বলেছেন দাদা। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ঠাকুরমা আসলেই অনেক আপন মানুষ,আপনি গল্পের সাথে সাথে খুবই সুন্দর একটি কবিতা ঠাকুমা কে নিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ।কবিতাটি খুবই সৃষ্টিশীল হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ দাদা। পাশেই থাকবেন ।
এটা একেবারে সঠিক বলেছেন দিদি। আমার এমনই পোড়া কপাল আমার জন্মের আগেই দাদা দাদি নানা নানি সবাই পৃথিবী ছেড়েছেন। এখন তাদের কথা ভাবলে একটু খারাপই লাগে। এবং টাকা থাকলেও সেটার কোনো মূল্য নেই যদি না প্রাণ না থাকে।
যাইহোক দিদি কবিতা টাও খুবই সুন্দর লিখেছেন। আমার বেশ ভালো লেগেছে।
কিছু জিনিসের অভাব কখনো পূরণ হয় না দাদা। অনেক ভালো থাকবেন ।
আপু আপনার কথা পড়ে অনেক খারাপ লাগলো। আমি বুঝতে পেরেছি আপনি ও আপনার পরিবার কতোটা কষ্ট পেয়েছেন। তবে এটা সত্যি কথা যে এই বিষয় গুলো আমাদের প্রতিনিয়ত বাস্তবমুখী করে চলেছে । অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু।পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
হ্যা দিদি। সময় তার নিজের স্রোতে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।