জগদ্ধাত্রী পূজা ঘোরাঘুরি পার্ট - ২ || ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। চলে এসেছি ঘোরাঘুরির দ্বিতীয় পার্ট এর গল্প শেয়ার করতে।
সত্যি বলতে পায়ে হেঁটে ঠাকুর দেখার মজাই আলাদা।সাথে যদি সমবয়সী অথবা দাদাদিদি থাকে।আমারও হয়েছিল সেই হাল। প্রায় নয় বছর পর আমার বোন এসছে। দাদা তো মাঝে মধ্যেই আসে।
তাই বোনের সাথে জমে থাকা গল্প আর হাঁটাহাঁটি করতে করতে ঠাকুর দেখা, সাথে ওর ব্লগিং। ওর আসলে ইউটিউবে চ্যানেল আছে আর ও ব্লগিং করে। তো ও মেইনলি এই জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্যই এসেছে।
আমরা সন্ধ্যে সাতটা থেকে ঠাকুর দেখা শুরু করেছিলাম। হাঁটতে হাঁটতে প্রথমে ষষ্ঠী তলা,তারপর কাঠুরিয়া পাড়া, তারপর চাষা পাড়া , গোলাপটি, উকিলপাড়া, কলেজস্ট্রিট, মালোপাড়া, পাত্র বাজার ,আরো অন্যান্য বারোয়ারী ও ক্লাবের ঠাকুর দেখতে থাকলাম।
রাস্তায় চারিদিকে ভিড়, আর সারা শহর রঙিন সাজে সেজে উঠেছে। একটা সময় হাঁটতে হাঁটতে পা ব্যথা হতে শুরু হলো।
এবারে বুঝলাম না ব্যপারটা যে, প্রত্যেকবারই আমাদের কৃষ্ণনগর এর সব বারোয়ারী কোনো না কোনো থিমের ওপর বেস করে পুজো হয় ,কিন্তু এবারে সেসব জায়গায় থিম ছাড়াই নরমাল প্যান্ডেল করে পুজো করা হয়েছে। হতে পারে করোনার জন্য।
তবে প্যান্ডেল না হলেও যে আকর্ষণীয় ভাবনা থাকে, সেটা হল প্রতিমা ।প্রতিমা কৃষ্ণনগরের শোভা। সেইরূপ দেখার জন্যই হাজার হাজার মানুষ কৃষ্ণনগরের পথে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে ছিল।
ছবিটা হেজি হলেও পছন্দের
আমাদের গোলাপটি বারোয়ারী তে প্রতিবছর দারুন প্যান্ডেল করে ,কিন্তু এবার সেরকম প্যান্ডেল হয়নি। তবে মণ্ডপে লায়িভ সানাই করেছিল। যেটা আমার খুবই ভালো লেগেছে।
প্রিয় গোলাপটি বারোয়ারী র প্রতিমা
উকিল বারোয়ারী র এবার থিম ছিল লাইব্রেরী । খুব সুন্দর লাগছিল। ওপরে হ্যাঙ্গিং বই গুলো।আর এই প্রতিমা কে আমরা মেজমা বলে ডাকি।
আমাদের বুড়িমা র মেজো বোন বলা হয়।
উকিল পাড়া
মেজো মা
দাদার সাথে
যেহেতু পুজোর আগের দিন বেরিয়েছি ।তাই অনেক ঠাকুরের সাজুগুজু সম্পন্ন হয়নি ।আমি অনেক ক্লাবে লক্ষ্য করলাম যে ঠাকুর তখনও সাজাচ্ছে।
এবার আমাদের পাত্র বাজারের ক্লাব স্বীকৃতি এর থিম হয়েছে বুর্জ খালিফা। যেটা কলকাতাতেও একটি প্যান্ডেলে আমি লক্ষ্য করেছি। আশা করি সেই প্যান্ডেলে তুলনায় এর প্যান্ডেল টি ছোটই হয়েছে ।তবুও লাইটিং এর সৌন্দর্যতা দেখে বেশ মজা লাগলো ।যেহেতু আমার কাকার মেয়ে কলকাতার ঠাকুর অলরেডি দেখেছিল। দুর্গা পুজোতে ওর মতে কলকাতার বুজ খালিফা বেস্ট ছিল। আমার খুব ইচ্ছে দুর্গা পুজোতে কলকাতায় থাকার ।জানিনা সেটা কবে সম্ভব হবে।
করোনা হয়তো নেই আর, এমন মনে হচ্ছিল রাস্তায় বেরিয়ে। আমরা ৪জন খুবই মজা করেছি।
আমরা তিন জন দুবাই তে
আমাদের কৃষ্ণনগরের সেরা আকর্ষণ বুড়িমা তখন সাজুগুজু করছে। মা এর দেড়শো কেজি সোনা আর দেড়শো কেজি রূপো।আলাদা করে আবার ওনার বাহন সিংহের ও অলঙ্কার রয়েছে। সকলে মানসিক করে মা এর কাছে, সকলের বিশ্বাস মা সকলের মন বাঞ্চা পূরণ করেন। মা এর সাজুগুজু দেখতেই এতো ভিড় ছিল সেদিন।
বুড়িমা সেজে উঠছেন
আশা করি আজকের পোস্ট আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে। সকলে সুস্থ থাকুন আর বাড়ি বসেই কৃষ্ণনগরের পুজোর মজা নিন।
নমস্কার।
সমবয়সী দাদা দিদি থাকলে আনন্দের কোনো শেষ থাকে না এটা একদম সত্যি। এবং আপনি যে খুব আনন্দ করেছেন তা বোঝাই যাচ্ছে। আপনাদের ওখানে অর্থাৎ কৃষ্ণনগরে ঠাকুরের প্রতিমা গুলো খুব সুন্দর যা দেখে ভীষণ ভীষণ ভালো লাগছে।প্রত্যেকটি মন্ডপ ও খুব সুন্দর। বিশেষ করে মেজমা ঠাকুর আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। ভালোই হলো আপনার জন্য কৃষ্ণনগরের প্রতিমা এবং প্যান্ডেল গুলো দেখে নিতে পারলাম খুবই ভালো লাগলো। আর হ্যা আপনাকে এবং আপনার বোনকে খুব মিষ্টি লাগছে দেখতে।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর আকর্ষণীয় জিনিসই হল প্রতিমা। প্রতিমা যেভাবে তৈরি করা হয় এবং যেভাবে রূপটাকে প্রদর্শন করানো হয়। সেটা একদমই আলাদা এবং অন্যান্য পুজোর থেকে ভিন্ন। অনেক ভালো লাগছে আপনাদের সকলের সাথে এইভাবে নিজের শহরের ঐতিহ্যকে শেয়ার করতে পেরে। অনেক ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য ।ভাল থাকুন।
অসংখ্য ধন্যবাদ বোন তোমাকে,এত সুন্দর সুন্দর প্রতিমা দর্শন করানোর জন্য। শুনেছি বুড়িমা পুরো ভারতবর্ষের সবচে পুরনো ঠাকুর। আপনার দয়ায় আপনাদেরও কৃষ্ণনগর এর বেশিরভাগ প্রতিমা দর্শন হয়ে গেলো।আর হ্যাঁ আটা শুনে ভালো লাগলো যে আপনি একটা সমবয়সী সঙ্গী পেলেন তাও আবার ৯ বছর পর।
অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য এবং আমার পোস্টটি ভালোভাবে পড়ার জন্য।