DIY- এসো নিজে করি|| তাঁর স্মরণে-হাঁদা ভোঁদার পেন্সিল স্কেচ||১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর "মৃত্যুঞ্জয়" কবিতা এমনি সৃষ্টি হয়নি, সত্যিই সেই মৃত্যুঞ্জয়ীদের আজও অস্তিত্ব আছে। আজ আমার এই পোস্ট সেরকমই এক মৃত্যুঞ্জয়ীর স্মরণে। যাঁর সৃষ্টি র আঙ্গুল ধরেই বাঙ্গালীর ঘরের ছেলে-মেয়েরা বড় হয়ে উঠেছে। তিনি হলেন আমাদের বাঙ্গালীর গর্ব ভারতীয় কমিকস শিল্পী - নারায়ণ দেবনাথ।
কমিকস বই এর পাতা আর রবিবারের টেলিভিশনের পর্দা ভরে যেত তাঁরই সৃষ্ট সেই চরিত্র গুলো দিয়ে ।হাঁদা ভোঁদা র কাণ্ডকারখানা , নন্টে ফন্টে র চালাকি , বাঁটুল দি গ্রেট এর সাহসিকতা আর বাচ্চু বিচ্চু চরিত্রে র ভাঁজে ভাঁজে জড়িয়ে থাকা হাস্যরস ছেলেবেলা হাসি মাখা করে তুলতো।
হাঁদা ভোঁদা র কাণ্ডকারখানা |
---|
আমার ভাই দের জেনারেশন এই আনন্দ গুলোর নাগাল পায়নি একেবারেই। তাই বড়ই আপসোস হয়।আমার ছোট থেকেই গল্পের বই , কমিকস এর প্রতি অতীব ঝোঁক ছিল।মনে আছে পড়ার বইয়ের মাঝে লুকিয়ে লুকিয়ে আমি" হাঁদা ভোঁদা"র কমিকস পড়তাম।মা এর কাছে ধরা খেয়ে প্রচুর কান মোলানি খেয়েছি।
ছোটোবেলা জীবনের একটা সুন্দর অধ্যায়।আর এই অধ্যায় সাজিয়ে তোলার জন্য ভালবাসা জানাই এই মহান ব্যক্তিত্বকে।গতকাল ওনার গত হওয়ার সংবাদ খুব মন চঞ্চল করেছিল ।কিন্তু এই স্রষ্টার কখনও অন্ত থাকতে পারেনা। তাই তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি এবং সেই পবিত্র আত্মাকে প্রণাম জানাই।
আজ তাঁর স্মরণেই তাঁর সৃষ্টি র পেন্সিল স্কেচ করেছি। কিভাবে করেছি দেখতে থাকুন-
আমার ড্রইং খাতা নিয়ে বসে পড়েছি। আর সাথে নিয়েছি ভাইয়ের পেন্সিল বক্স থেকে বের করে একটা সামান্য পেন্সিল আর রবার।
ড্রয়িং খাতার একটা পৃষ্ঠা কে দু ভাগ করে নিয়েছি, আর চারিদিকে মার্জিন এঁকে নিয়েছি ,ঠিক এইভাবে। যেভাবে নিচে দেখতে পাচ্ছেন।
আমি হাঁদা ভোঁদার কমিকস বই এর কভার ছবির স্কেচ করছি। সেই মতই আমি রাস্তা আঁকার চেষ্টা করছি। তারপর একটা লাইটের পোল আর পেছনের দিকে বাড়ি দেওয়াল এবং ভোঁদার মুখে র অংশ আঁকার চেষ্টা করেছি।
এবারে ভোঁদা র শরীরটা এঁকে নিচ্ছি আস্তে আস্তে। এখানে ভোঁদা দৌড়চ্ছে ,সেইরকম ছবি এঁকে নিচ্ছি ।ধীরে ধীরে হাত ও ভোঁদার হাস্যকর মোটা নাদুসনুদুস শরীরের স্কেচ করে নিচ্ছি।
এই অংশে আমি ভোঁদার পা এর স্কেচ করছি।
আমাদের ভোঁদার চোখ মুখ এঁকে নিলাম।
এবারে হাঁদা কে আঁকবো, তাই হালকা করে ওর বডি ড্র করছি। হাঁদা লাইট এর পোল এ উঠে আছে।
হাঁদাকে এবার ডিপ করে আঁকা শুরু করলাম, মাথার চুল, জামা প্যান্ট, পা এর চটি, পা এঁকে নিলাম।
সাথে হাঁদা র চোখ আর মুখ এর হাসি আঁকলাম, ভোঁদার দৌড়ানো দেখে হাঁদা যেভাবে মজা পাচ্ছে, সেটা তার মুখে ফোটানোর চেষ্টা করলাম।
এবারে পেনসিল এর সাহায্যে আলো ছায়ার কিছু কাজ করছি। সেড দেওয়া যেটাকে বলে।
ভোঁদা কে ষাঁড় এ তাড়া করেছে। তাই ষাঁড় এর মুখের হিংস্র গঠন আঁকছি।
পিঠের কুজ আর শিং আর চোখের কড়া দৃষ্টি আঁকার চেষ্টা করেছি।
এবারে বাড়ির দেওয়ালের পেছনের গাছ টা এঁকে নিচ্ছি।আর কমিকস বই এর কভার পেজ এ যেমন টাইটেল লেখা থাকে, তেমন লিখে দিয়েছি - হাঁদা ভোঁদা র কাণ্ডকারখানা।
কমপ্লিট স্কেচ |
---|
আমার হাসি মেশানো স্কেচ
আবারও শিল্পীর সৃষ্টি আমাকে হাসতে বাধ্য করলো। স্কেচ কমপ্লিট করে নিজেই চরিত্র গুলো কে দেখে হাসছিলাম আর ছোটোবেলা সামনে ভাসছিল।
আশা করছি আপনাদের সকলের আমার আজকের এই পোস্ট ভালো লাগবে। সকলের জন্য অনেক অনেক ভালবাসা । শিল্পীর স্মরণেই পোষ্ট আজকের মত শেষ করছি। ভালো থাকুন সকলে ।
এই কার্টুনগুলো টিভিতে দেখেছি বেশ ভালো লাগতো দেখতে। আপনি হাঁদা ভোঁদার চিত্রটি খুব চমৎকার এঁকেছেন। একদম হাঁদা ভোঁদার মত লাগছে দেখতে। আপনার আর্টের ষাঁড় তারা করা দেখে খুব মজা লাগলো।
হিহি, আমিও মজা পেয়েছি আঁকার সময়। ধন্যবাদ দিদি
নারায়ন দেবনাথ এর স্মরণে আপনি খুব সুন্দর একটি চিত্র অঙ্কন করেছেন। হাঁদা ভোদা থেকে শুরু করে নন্টে ফন্টে সবকিছুর মধ্যে দিয়ে উনি চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন আমাদের মাঝে। সত্যি ওনাকে নিয়ে যাই বলব মনে হয় অনেক কম বলা হবে এমন শিল্পী মনে হয় খুঁজে পাওয়া অনেক দুঃসহ। আপনার স্কেচটি দারুন ছিল। এত সুন্দর একটি স্কেচ অঙ্কন করে আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার আঁকা ছবিটি আমরা খুব সুন্দর লেগেছে দিদি। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার হাসিটা অসাধারণ। কি দেখবো বলেন্ত হাসি নাকি আর্ট।আচ্ছা যাই হোক আপু আপনার আর্ট অনেক সুন্দর হয়েছে।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।সেজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
যাক, কেও তো আমার হাসি দেখলো, হিহি। ধন্যবাদ দিদি।
আপনার হাতের তৈরি হাঁদা ভোঁদার পেন্সিল স্কেচ টি অনেক সুন্দর হয়েছে। আর দেখে খুব ভালো লাগলো আমার। আর যাই হোক সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে। আর তাই আপনাকে আমার পক্ষ থেকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব সুন্দর করে একেছেন দিদি,আপনার এই স্কেচ দেখতে মনে হচ্ছে বইয়ের পাতার একটি অংশ। মনে হচ্ছে যেন সেই কমিকসের বইয়ের এক পাতায় এই দৃশ্য ফুটে আছে। খুব সুন্দর করে একেছেন বলতেই হবে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগলো।
ছোটবেলা থেকেই নারায়ণ দেবনাথ এর কমিকস পড়তাম এবং নিজেকে খুব আনন্দিত করতাম। তিনি অসাধারন প্রতিভাবান লোক ছিলেন। তার অমর সৃষ্টি আমাদের আজীবন মনে থাকবে তিনি মারা গেছেন সত্যি কিন্তু বেঁচে থাকবেন কোটি কোটি ভক্তদের হৃদয়ের মাঝে। নারায়ণ দেবনাথ এ স্মরণে আপনি খুব সুন্দর ভাবে তার রচিত বিভিন্ন চরিত্র গুলো আমাদের মাঝ উপস্থাপন করেছেন দিদি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
অসাধারন ছবি এঁকেছেন দিদি। আসলেই আমাদের ছেলে বেলা টা কেটেছে ননটে ফনটে আর বাটুল দি গ্রেট। আমি এই দুইটাই দেখেছি। আমার কাছে ননটে ফনটে অনেক ভালো লাগে। সেদিন ওনার পরলোক গমন করার কথা শুনে সত্যি অনেক খারাপ লাগে। কত স্মৃতি মিশে আছে ছোট বেলার।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
নারায়ন দেবনাথ এর জন্য মন থেকে অনেক শ্রদ্ধা রইল। ছোট থেকেই তার কার্টুন দেখে বড় হওয়া। তার স্মরণে আপনি যে চিত্রাঙ্কন টি করেছেন সত্যিই অসাধারণ হয়েছে আপু। আপনি তো দেখি খুব ভালো আঁকেন। আশা করি পরবর্তীতে এমন সুন্দর চিত্রাংকন আপনার থেকে উপহার পাবো। ভালোবাসা রইলো আপু আপনার জন্য।
হিহি, মাল্টি ট্যালেন্টেড মানুষ আমি, 😜😜
সেদিন হঠাৎ করে তার চলে যাওয়াতে অনেকটাই হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম। সেই ছোটবেলা থেকেই তার কমিকস গুলো দারুন লাগতো আমার কাছে আর হাদা ভোদা, নন্টে ফন্টে, বাটুল আমার অনেক পছন্দের কার্টুনের মধ্যে অন্যতম ছিল। আর আপনার আজকেরে চিত্রকর্মটি দারুন হয়েছে দিদি। ধন্যবাদ জানাই আপনাকে তার স্মরণে আজকের এই স্মৃতিশারক টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।😢
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।