গাজরের হালুয়া বানানোর পদ্ধতি || ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। বেশ অনেকদিন পর আবারও আমার হাতের রান্নাবান্না নিয়ে আমি হাজির হলাম ।আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি আমার অত্যন্ত পছন্দের একটি খাবার । আমি আজকে শেয়ার করে নিচ্ছি গাজরের হালুয়ার রেসিপি।
আমি ভীষণ ভালোবাসি গাজরের হালুয়া খেতে। আর আমার পোস্ট আপনারা যারা প্রতিনিয়ত পড়ে থাকেন তারা হয়তো এটাও জানবেন আমি মিষ্টি প্রিয় মানুষ ।মিষ্টি খেতে আমার খুবই ভালো লাগে ।আর আমি প্রায় প্রতিদিনই মিষ্টি খাই। আমার বাড়িতে মিষ্টি প্রত্যেকদিন থাকবে। আর এই শীতের দিনে মিষ্টি ছাড়া তো চলে না।
গাজরের হালুয়া
বিশেষ করে রাতের বেলায় পাশের কয়েকটা বাড়ির পরেই অমল কাকার দোকানের নলেন গুড়ের রসগোল্লা, দুর্দান্ত লাগে। এই ঠান্ডায় গরম গরম রসগোল্লা তুলতুল করছে রসে। একদম বিন্দাস ।মিষ্টি আমার সামনে এনে দিলে আমি কখনোই তাতে ঘাড় নেড়ে না বলি না ।
মাঝেমধ্যে আমি বাড়িতেই মিষ্টি বানিয়ে থাকি নানান ধরনের ।কিন্তু কিছু মিষ্টি জিনিস বানাতে সময় খুবই কম লাগে আর খাটনি ও কম। তারই মধ্যে একটি হলো এই গাজরের হালুয়া ।এতে সময় কম লাগে এবং উপকরণও কম লাগে ।ঘরে প্রত্যেকদিন আমরা যে উপকরণ ব্যবহার করি ,সেই দিয়েই কাজ হয়ে যায়।
আমার পাশের বাড়ীর জেঠিমা গাজরের হালুয়া দুর্দান্ত বানান। ওনার হাতের তৈরী গাজরের হালুয়া আমার খুব ভালো লাগে , উনিই আমাকে এই রেসিপি শিখিয়েছিলেন।
ভিডিও লিংক
চলুন তাহলে আপনাদের এই রেসিপিটা শেয়ার করে ফেলি ।প্রথম কথা আমি আমার কিছু কিছু রেসিপির ভিডিও বানিয়ে থাকি। এই রেসিপির ভিডিও আমি বানিয়েছি এবং আমার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেছি। আপনাদের অসুবিধা হলে অথবা দেখার ইচ্ছা থাকলে এই নিচের লিংকের মাধ্যমে আপনারা দেখে নিতে পারবেন এই রেসিপির ভিডিওটি।
শুধুমাত্র আপনাদের সুবিধার জন্য এই ভিডিওটি করা। আর আমারও প্রত্যেকটি খাবারের ভিডিও করতে খুবই ভালো লাগে।
চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক নেওয়া যাক এই রেসিপি তৈরি করতে কি কি উপকরণ লাগছে।
উপকরণ |
---|
সিরিয়াল নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | গাজর | ১ কেজি |
২ | জল | হাফ কাপ |
৩ | দুধ | ২লিটার |
৪ | চিনি | ২ কাপ |
৫ | কাজু বাদাম এর গুঁড়ো | হাফ কাপ |
৬ | কিসমিস | ইচ্ছা মতো |
৭ | তেজ পাতা | ২ তো |
৮ | এলাচ | ৩ টে |
৯ | ঘি | ২ চামচ |
উপকরণ গুলো জানা হয়ে গেলো, এবার হালুয়া তৈরী শুরু করি।
প্রথম ধাপ |
---|
আমি ১কেজি গাজর নিয়েছি এবং গাজরগুলো কে ভালোভাবে ধুয়ে , ছিলে নিয়েছি চাকুর সাহায্যে এবং তারপরে ঝিরিঝিরি করে কেটে নিচ্ছি।
আমরা ১৫ জন মিলে খাব, এই কারণে আমি এতগুলো গাজর নিয়েছি। আপনারা চাইলে কম পরিমাণ গাজর নেবেন এবং সেই আন্দাজমতো বাকি উপকরণগুলোর পরিমাণ কমে যাবে।
দ্বিতীয় ধাপ |
---|
একটা প্রেসার কুকার নিয়ে তার মধ্যে ঝিরিঝিরি করে কেটে রাখা এই গাজরগুলো দিয়ে দিচ্ছি। তারপর এর মধ্যে দিয়ে দেব হাফ কাপ মতো জল আর প্রেসার কুকারের ঢাকনা বন্ধ করে দেবো।
এবারে গ্যাস অন করে একদম জোরে আঁচ রেখে প্রেসার কুকারের একটা সিটি হওয়া অবদি অপেক্ষা করবো।
তৃতীয় ধাপ |
---|
একটা সিটি পড়ে গেলে ,গ্যাস বন্ধ করে দেব।তারপর খানিক বাদে ঢাকনা খুলে প্রেসার কুকার থেকে সিদ্ধ হয়ে যাওয়া গাজর গুলোকে একটা থালায় নাবিয়ে নেব। এখানে গাজরের সাথে যে অতিরিক্ত জলটা রয়েছে, সেটা ঝরিয়ে নিতে হবে। তার জন্য আমি এখানে ছিদ্র ছিদ্র দেওয়া যে থালা পাওয়া যায় ,সেই থালার উপর গাজর গুলোকে ঢেলে দিয়েছি এবং নিচে একটি পাত্র রেখেছি ,যাতে জল পাস করে যায় এবং এইটা কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিতে হবে, যাতে অনেকটা জল গাজর থেকে ছেঁকে নিচের পাত্রে পড়ে।
চতুর্থ ধাপ |
---|
ততক্ষণে আমরা দুধ টা রেডি করে নেব। গ্যাস অন করে একটা কড়াই বসিয়ে আমি এর মধ্যে দুই লিটার দুধ ঢেলে দিলাম এবং গ্যাস জোরে দিয়ে খুন্তি নাড়াতে থাকবো, আর দুধটা জ্বাল দিতে থাকব ,যতক্ষণ নাহ দুধের পরিমাণ হাফ হয়ে আসছে।
দুধের পরিমাণ হাফ হয়ে গেলে গ্যাস মিডিয়াম করে দেবো।
পঞ্চম ধাপ |
---|
এবার ওভেন এর আরেক বার্নার এ আরেকটা কড়াই বসিয়ে ,গরম হতে দিলাম, তারপর দুই চামচ ঘি দিলাম।ততক্ষণে আমাদের গাজর এর অতিরিক্ত জল বেরিয়ে গেছে, সেই গাজর কড়াই এ দিয়ে, ঘি এ ভাঁজতে হবে।
গ্যাসে আঁচ মিডিয়াম রাখতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপ |
---|
এই ভাবে পাঁচ মিনিট ভাঁজার পর, গ্যাস অফ করে দেবো, এবং পাশেই যে দুধ জ্বাল হচ্ছে, তাতে ঘি এ ভাঁজা এই গাজর গুলো ঢেলে দেবো।
সপ্তম ধাপ |
---|
এবার ভালোভাবে দুধের সাথে গাজর টা কে মিশিয়ে নেওয়ার পর দিয়ে দেব দুই কাপ চিনি। আপনারা আপনাদের ইচ্ছা মত চিনি ব্যবহার করতে পারেন।
তারপর দিয়ে দেবো তেজ পাতা।
অষ্টম ধাপ |
---|
এবার আমি দিয়ে দেবো কাজু বাদাম গুঁড়ো, কিসমিস ইচ্ছা মত আর এলাচ । তারপর গ্যাস জোরে দিয়ে আরও জ্বাল দিতে থাকব।
আর এই ভাবেই কিছুক্ষন জ্বাল দেওয়ার পড়ে পায়েস এর মত তৈরি হয়ে যাবে অনেকটা। আর এই সময় গ্যাস আমি বন্ধ করে দেবো।আপনারা চাইলে আরও বেশি জ্বাল দিয়ে শুকনো করতে পারেন । কিন্তু আমার আবার এই গাজরের হালুয়া এই পায়েসের এর মত খেতে ভালো লাগে।
ফাইনাল লুক |
---|
কিছু ড্রাই ফ্রুটস দিয়ে সাজিয়ে নিয়েছি।
জেঠি মা র সাথে |
---|
আশা করছি বন্ধুরা আমার আজকের এই রেসিপিটা আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে ।সকলে অবশ্যই বাড়িতে চেষ্টা করুন একবার। আপনারা তো দেখতেই পেলেন কত সহজে এত সুন্দর একটা মিষ্টি খাবার তৈরি হয়ে গেল ।সকলের মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম ।ভাল থাকুন ।সুস্থ থাকুন ।নমস্কার।
কি বলবো আপু। এত অসাধারণ দেখতে লেগেছে আমার কাছে গাজরের হালুয়া টি। খেতে না কত মজা হয়েছে। আমারতো এক্ষুনি নিয়ে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করতেছে। আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে গাজরের হালুয়া। আর পরিবেশনটা এত অসাধারণ ভাবে করেছেন দেখতেও ভালো লাগছে। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো লেগেছে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দিদি।
আপনি খুব অসাধারণ ভাবে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
একবার বাড়িতে চেষ্টা করে দেখুন, দারুন লাগে খেতে।
গাজরের হালুয়া বানানোর পদ্ধতি আমার অনেক ভালো লেগেছে। রেসিপি তৈরি প্রক্রিয়া খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা আপনার জন্য।সামনে আরো অনেক ভালো ভালো রেসিপি আমাদের উপহার দিবেন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
গাজরের হালুয়া খেতে আমি অনেক ভালবাসি এবং শীতের সময় এটি তো আমার অনেক প্রিয় একটি খাবার। অনেকদিন হলো গাজরের হালুয়া খাইনি এই রেসিপিটা দেখে জিভে জল চলে এসেছে। রেসিপিটি আপনি আমাদের মাঝে খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন তা ছাড়াও প্রতিটি ধাপ অনেক সাজিয়ে গুজিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন । ধন্যবাদ আপনাকে দিদি এমন সুস্বাদু একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনার জন্য দোয়া রইল।
এখান থেকেই একটু খেয়ে নিন দাদা, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদি আপনার গাজরের হালুয়া বানানোর পদ্ধতি অনেক সুন্দর হয়েছে। দেখে তো লোভ সামলাতে পারলাম না খেতে ইচ্ছা করছে। আমিও শিখে নিলাম বাসায় তৈরি করে খাবো। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভালো থাকুন
অবশ্যই বাড়ীতে তৈরী করে দেখুন।
গাজরের হালুয়া তৈরি অনেক মজাদার এবং লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সকলের মাঝে অনেক চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন । যদিও আমি গাজরের হালুয়া কখনো খাইনি তবে আপনার এই রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। গাজরের হালুয়ার রেসিপি দেখে সত্যিই আমার জিভে জল এসে গেল। এত মজাদার এবং লোভনীয় একটি হালুয়া রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
মিষ্টি জিনিসটা আমারও খুবই পছন্দের। তবে আগের থেকে এখন অনেক কম খাই। তবে মনে হচ্ছে আপনি অনেক পছন্দ করেন মিষ্টি। গাজরের হালুয়া টা দারুণ তৈরি করেছেন। বেশ সুন্দর এবং ইউনিক ছিল এটা। এর আগে আমি কখনো খাইনি। তবে অনেক শুনেছি। খুবই সুন্দরভাবে রেসিপি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
অসাধারণ ছিলো আপনার গাজরের হালুয়ার রেসিপি। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আমি ২দিন আগেই গাজরের হালুয়া খেয়েছি। আপনার তৈরি করা হালুয়া আরো বেশি আকর্ষনীয় লাগছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই অসাধারণ রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এখান থেকেও একটু খেয়ে দেখুন।😜
এটা পারলে আপনার বলা লাগতো না। নিজে থেকেই খেয়ে ফেলতাম 🤣😛
গাজর দিয়ে হালুয়া বানানো সত্যিই মজাদার একটি রেসিপি দিদি । আপনি ভিডিও এবং ধাপে ধাপে খুব সুন্দর করে বলে দিয়েছেন । যে কেউ এখন আপনার ধাপগুলো ফলো করে বানাতে পারবে ঘরে বসেই । ধন্যবাদ দিদি আপনাকে
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
আপু, সুন্দর একটি রেসিপি দিয়েছেন। এই শীতের জন্য পারফেক্ট। এখন গাজরের সময়।আমিও মাঝেমধ্যে বানাই কিন্তুু এই শীতে এখনো বানাই নি।আপনার রেসেপিটা অনেক ইয়াম্মি হয়েছে।উপস্থাপনা ও সুন্দর ছিলো।
হ্যাঁ, এখনই তো এই হালুয়া খেতে হয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।