এলোমেলো কথোপকথন
ঋতুবদলের হাওয়ায় জীবনের গতিতেও যেন পরিবর্তন এসেছে। কখনো কালো মেঘ কখনো বা ঝড়-বৃষ্টি। আবার কখনো এক পশলা মেঘ এসে ঢেকে দিয়ে আড়াল করে দিচ্ছে উদিত হওয়া সূর্যকে। কোন ওষুধে যেন কাজ করছে না আর। ঠিক যেন শাড়ির আঁচলে আগুন লাগিয়ে নববধূ আপন মনে হেঁটে চলেছে। পুড়ে ছাই হবে তবু পালাতে রাজি নয় সে।
কি সব আবোল তাবোল বলে যাচ্ছি তাই না! জীবন টা মাঝে মাঝে বড্ড বেশি এলোমেলো হয়ে যায়। কিছুতেই যেন গুছিয়ে ওঠা যায় না। খুব একা হয়ে যায় সব কিছু। নিজের ছায়াটাও যেন নিজের পাশে থাকেনা। তবু বাঁচতে হবে । প্রকৃতিতে কখন এক ফালি রোদ হেসে উঠবে সেটা তো কেউ জানিনা। অপেক্ষা করতে দোষ টা কোথায়!
কুরচি রোজ সন্ধ্যা বেলায়
পুজোর ঘরে যায়।
পরিপাটি হয়ে পুজোর জোগাড় করে।
আলোয় ঘেরা হাত দু টো প্রদীপ জ্বালে।
সুগন্ধি ধূপের হাওয়ায় সারা বাড়ি খেলা করে।
তারপর জড়ো হাতে, এলো চুলের আবডালে
পিপাসার ঠোঁট দু টো কি যেন
বলতে লাগে।
কি বলতে থাকে, তা জগতের আজও অজানা ।
ঘরের চার দেওয়াল কান পাতে।
দরজায় মা এসে দাঁড়ায়।
কুরচি রোজ শঙ্খ দিয়ে ডাকে।
শব্দ কেবল কুরচি টের পায়।
- ঈশা
যা মন চাইছে তাই লিখে আজ পোস্ট করলাম। জানিনা ভালো লাগবে কিনা। আসলে কখনো কখনো করো কথাই শুনতে ইচ্ছে করে না। মনে হয় যা মন চাইছে তাই করবো। যা হবে হোক। নিজেকে সামলে নেব।
একদম ঠিক বলছেন দিদি জীবন টা মাঝে মাঝে খুব এলোমেলো হয়ে যায়। আপন মানুষ গুলোও কেমন জানি হয়ে যায়।
তখন নিজেকে খুব বেশি একা লাগে। নিজের ছায়াটাও পাশে থাকতে চায় না।
দিদি আপনার কুরচির পিপাসার এই লাইন গুলো অনেক ভালো লেগেছে। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল দিদি।
অনেক ধন্যবাদ অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
দিদি কথা গুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো ৷ সত্যি জীবনে কখন কি আসে তা বলা মুশকিল ৷কখনো নিজেকে একা লাগে ৷আবার কখনো আনন্দে দিন কাটে ৷ জীবনে সবি থাকবে দুঃখ কষ্ট সুখ আসলে এগুলো সবই জীবনের অংশ মনে হয় ৷
দিদি ওই যে লিখেছেন যে তবুও বাচতে হবে ঠিক তাই সবকিছুর অন্তরালে ও বাচতে হবে৷
ধন্যবাদ দিদি-ভাই কথা অনেক কিছু বুঝিয়ে দিল
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। সুন্দর করে গুছিয়ে মন্তব্য করেছেন।