কাশ্মীর পার্ট-৪|| আরো ভ্যালি || ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
নমস্কার বন্ধুরা ।আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন।
কাশ্মীরের চার নম্বর পার্ট নিয়ে আমি হাজির হয়েছি। আজ আপনাদের দেখাবো আরো ভ্যালি।
আরো ভ্যালি তে
বাবা, আমি ,ভাই , মা সকাল বেলায় সেদিন দেরি করে উঠেছিলাম।তারপর ব্রেকফাস্ট করে, ফ্রেশ হয়ে রেডি হলাম ঘুরতে যাওয়ার জন্য। মিউজিয়াম এই চাকরি করেন একজন,নাম সাইফি আহমেদ । তিনি মিউজিয়ামের অফিসিয়াল গাড়ি চালান। ওনার সাথে পরিচয় হলো।
বরফ খেলা
সাইফি আঙ্কেল বেশ ভালো। ওনার সাথে গল্প করতে করতে আমরা পাহাড়ের উচ্চতায় রওনা হলাম। আংকেল দারুন গাড়ি চালায়, হাতে ব্রেকিং পাওয়ার দারুন। যদিও পাহাড়ি অঞ্চলে যারা গাড়ি চালায়, তারা সকলেই খুব এক্সপার্ট।
আমার খাদ দেখলে ভয় লাগে , যখন গাড়ি টা একটু উচুতে উঠতে শুরু করলো, আমি চোখ বন্ধ করতে চাইছিলাম। কিন্তু বরফ ঢাকা প্রকৃতির রূপ আমাকে বাধ্য করে তাকিয়ে থাকতে।
যাওয়ার পথে
তবুও মাঝে মধ্যে ওই রাস্তার টার্নিং পয়েন্ট গুলোতে চোখ বন্ধ রাখতাম। আমি দার্জিলিং, সিকিম,গ্যাংটক গিয়েছি ,সেখানকার রাস্তা গুলো অনেক চওড়া । সে তুলনায় এখানে একটা রাস্তা থেকে ওপরের আরেকটি রাস্তার উচ্চতা কম।
যাইহোক, এভাবে চলতে চলতে ৩০ মিনিট পরই পৌঁছে গেলাম আমরা আরো ভ্যালি। ওখানে বেশ দোকান পাট আছে, কিছুক্ষন ধরে দেখাদেখি করলাম। কিন্তু যেটা পছন্দ হয়, সেটা আবার সাইজ এ হয়না, তাই ছেড়ে দিলাম। খানিকটা হেঁটে উচুঁ দিকে যেতে হয়, সেভাবেই হাঁটতে থাকলাম। তারপর আরো ভ্যালির পার্কে পৌঁছে গেলাম। অসাধারণ একটি জায়গা, বরফ ঢাকা, চারিদিকে পাহাড়ি।
আমরা সকলে খুব আনন্দ পেলাম। এভাবেই বরফ নিয়ে খেলা শুরু হল। ঈশান তো একটু করে বরফ নিচ্ছিল আর গোল্লা পাকিয়ে আমাকে মারছিল ছুঁড়ে ছুঁড়ে । ওখানকার কিছু ছবি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
ওখানে চাইলে ঘোড়ার পিঠে চেপে আরো উচুঁতে ওঠা যায়, কিন্তু আমরা সেটা করিনি।
আরো ভ্যালির সব কটি ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারে খুব ভালো লাগলো। সকলে ভাল থাকুন। নমস্কার।
@isha.ish
আপু সত্যিই খুব সুন্দর একটি জায়গা। আর আপনি খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। জানি না কখন আমার যাওয়া হবে কিনা কিন্তু আপনার তোলা ছবিগুলো দেখে আমার খুবই যেতে ইচ্ছে করছে। আপনার পোস্ট গুলো দেখে মনে হচ্ছে আপনার দিনগুলো খুব ভালোই আনন্দে কাটছে। আপনার সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হ্যা দিদি অবশ্যই সময় এবং সুযোগ করে একবার ঘুরে যাবেন। অনেক ভালো লাগবে। ভালো থাকুন।
বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা আজকেই আমি প্রথম আরো ভ্যালি দেখলাম। আমার এই আরো ভ্যালি দেখার সৌভাগ্য আজ হলো শুধুমাত্র আপনার কারণেই। সত্যিই আপনার কাজণে কাশ্মির দেখতে পাচ্ছি এতোটা কাছ থেকে। আমার খুব যাওয়ার ইচ্ছা এই কাশ্মিরে তবে জানিনা কোনোদিনো যেতে পারবো কিনা তবে আফসোস টা থাকবে না যে একবার কাশ্মির কেমন তা দেখলাম না।আপনাকে খুব সুন্দর লাগছে আপু আর জায়গাটা তো জাস্ট মারাত্মক।
আরে দিদি অবশ্যই আসবেন একদিন। হয় ফ্যামিলি নিয়ে না হয় মনের মানুষ নিয়ে 🥰। না হয় 2 টা কে নিয়েই। দারুন অনভুতি হবে। ভালো থাকুন।
হয়তো এজন্যই বোধয় কাশ্মীরকে পৃথিবীর জান্নাত বলা হায়।কতটা সুন্দর ছবি গুলো দেখেই অনুমেয় করা যায়।আমার প্রচন্ড ইচ্ছে আছে জীবনে একবার হলেও কাশ্মীর যাবো।আর আপনর তোলা ছবি হলো খুবই চমৎকার হয়েছে আর হবেই না বা কেনো কথায় আছে না সুন্দর কে যেভাবেই উপস্থাপন করেন না কেনো সুন্দর এই লাগবে😁।
যাইহোক আপনার উপস্থাপনা টাও জোস ছিলো।😢
খুব ভালো ভাবে বলেছেন সব গুলো কথা। আসলেই তাই সুন্দর সব সময় সুন্দর। অনেক ধন্যবাদ দাদা।
আহ হা দুইটা পাট মিস করে গেছি। কী সুন্দর দৃশ্য। এ যেন সত্যি স্বর্গ। সৃষ্টিকর্তা কত সুন্দরভাবে আমাদের পৃথিবী টাকে সাজিয়েছেন তা কাশ্মীর দেখলে বোঝা যায়। খুব আনন্দের সাথে সময় অতিবাহিত করেছেন। এবং কাশ্মীরের পাহাড়ি রাস্তায় গাড়ি চালানো কষ্টসাধ্য ব্যাপার। অনভিজ্ঞ লোক হলে দূর্ঘটনা ঘটা স্বাভাবিক।
মিস করার কিছু নেই তো, আগের পোষ্ট গুলো দেখে নিলেই হয়ে যাবে 😊। আর এমন পাহাড়ী এলাকায় যারা গাড়ি চালান তারা সবাই বেশ দক্ষ।
আমার খুব শখ কাশ্মীরে ঘুরতে যাওয়ার। খুবই সুন্দর জায়গা যা আমাকে মুগ্ধ করেছে। অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন এতো সুন্দর পরিবেশ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
অনেক ধন্যবাদ দাদা। সুযোগ করে ঘুরে আসবেন অবশ্যই।
হৃদয় মন সব যেন জুড়িয়ে গেলো, অপরূপ চমৎকার নৈসর্গিক দৃশ্যগুলো দেখে। ফটোগ্রাফি দেখেই আন্দাজ করতে পারছি বেশ বাস্তবটা আরো কত সুন্দর হতে পারে। যাবো যাবো অবশ্যই একবারের জন্য হলেও যাবো আমি, হৃদয়কে প্রশান্তি দেয়ার জন্য। ধন্যবাদ সুন্দর ফটোগ্রাফিগুলো শেয়ার করার জন্য।
হ্যা দাদা ঠিক তাই। হৃদয় মনকে প্রশান্তি দেওয়ার জন্য হলেও একবার যাওয়া দরকার। অনেক ভালো থাকবেন দাদা।
সত্যি দিদি অনেক সুন্দর জায়গা।এবং আপনার ফটোগ্রাফী গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।আমি শুনেছিলাম কাশ্মীর অনেক সুন্দর জায়গা।
এ যেনো সত্যি ঈশ্বরের অপূর্ব দান।দিদি আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্যে।
ঈশ্বর পৃথিবীতে কত অপরুপ দৃশ্য যে তৈরি করে রেখেছেন আমাদের জন্য তা আমরা কেউ এক জীবনে হইতো দেখে শেষই করতে পারবো না গো দিদি । অনেক ভালবাসা রইলো দিদি। ভালো থাকুন আর হাসি খুশি থাকুন।