এন্টারটেইনমেন্ট|| ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
আজকাল বন্ধুরা বলে, আমি নাকি জ্ঞানট্যান খুব ভালো দিচ্ছি । ট্রেনে বসে আছি। বাড়ি ফিরছি । দমদম থেকে ট্রেনে ওঠার পর , যতক্ষণ ভিড় ছিল। কাকিমা ,বৌদি আর দিদিদের ঝগড়া দারুন ভাবে চলছিল। সিট প্রথমেই পাইনি। তাই ওই জটলার মধ্যে আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল।
আমি সচারাচর যা করে থাকি, হেড ফোন লাগিয়ে ফাস্ট বিটের কোনো মিউজিক চালিয়ে রাখি। কিন্তু লেডিস কম্পার্টমেন্ট এ জায়গা ধরার খেলও খেলতে হয়। তাই সে কাজও শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্ভব হচ্ছিল না।এর ওর থেকে শুনতে হচ্ছিল , কে কোথায় নামবে।
অবশেষে কাঁকিনাড়া তে এসে বেশ কিছু কাকিমারা নেমে গেলেন। আর আমি জানলার ধারের সিট টা পেয়ে গেলাম। এবার হাই বিটের মিউজিকটা চেঞ্জ হল। বৃষ্টির পর আকাশটা সাদা আর নীলের খেলায় মগ্ন। দেখতে দেখতে সূর্য দায়িত্বসহকারে আকাশ বদলাতে এলো। আমিও বদলে গেলাম। নানান কথা ভাবতে লাগলাম।
ভাবাভাবির এটাই যে - জীবন তো গোটাই Entertainment। এক বছর / এক মাস / এক সপ্তাহ আগে যা নিয়ে কান্না করেছি, আজ তা কোথায়। সব তো ঠিক আছে। ভেবে হাসি যে কত ঝগড়া করেছি স্কুল জীবনে, এখনও করি। তখন কারণগুলো কি বড়ই লাগতো! এখন হাসি আর মনে হয় আলতু ফালতু।
খুব দ্রুত চলে যাচ্ছে সময় গুলো। খুব দ্রুত।ট্রেনে বসে , চোখের পলকে ঠিক যেমন স্টেশন গুলো পেরিয়ে যায় , সেভাবেই আমরা দ্রুত ছুটছি। আর একের পর এক সময় ফেলে আসছি। আর আমাদের এই গতিবেগ আটকানোর ক্ষমতা নেই কারোর।
ছোটো খাটো জিনিসগুলোই কত আনন্দ দেয় , জীবনের সময়টা অনেক। কে বলেছে সময় কম? সময় পর্যাপ্ত। কিন্তু আমরা কাজে লাগাই না। কিছু একটা নিয়ে ধরে বসে থাকি। আর এই ধরে বসে থাকা টপিক গুলো দুদিন পর হাওয়া।
এই তো কালকেই মেস বাড়িতে সবাই মিলে রান্না করলাম । আড্ডা দিলাম। দুপুরে ভূতের আওয়াজ চালিয়ে সবার ঘুম নষ্ট করলাম। তারপর কিছুক্ষণ ঝামেলা হলো। তারপর হাতিবাগানে দিক ভ্রষ্ট হয়ে ঘুরলাম। ক্লান্ত শরীর নিয়ে বাড়ি ঢুকে গেলাম। আর আজ এখন আমি ট্রেনে । কালকের ছোটো খাটো দুষ্টুমি গুলো ভেবে হাসছি।
যে যার স্টপেজে নেমে যাচ্ছে। আর আমরা যে যার মতো করে মজা নিচ্ছি। যারা কাছে আসে, সবার থেকেই কিছু নাহ কিছু পেয়ে যাচ্ছি। না চাইতেই ভালবাসা পাচ্ছি, আবার না চাইতেই ভালোবাসা ব্যাগে গুটিয়ে সেই মানুষগুলো কখন যে ছুটে পালাচ্ছে!
কি বকছি আবোল তাবোল। জাস্ট হারিয়ে যাওয়া সময়গুলো, হারিয়ে যাওয়া অনুভূতিগুলো , হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলো ভালো থাকুক তাদের জায়গায়। যেমন ভাবে স্কুলের গেটের সামনে দাঁড়ালে চোখে ভেসে ওঠে অনেক কিছু । ঠিক অমনি সে সব জায়গায় যদি কখনও আবার পা পড়ে, একবার পড়ে নেব আমার ইতিহাস।
লোকেশন
ডিভাইস - Samsung Galaxy A52
আপনার এই কথাটা আমার কাছে দারুণ লেগেছে। একেবারে সত্যি সহজ একটা কথা কিন্তু আমরা বুঝতেই চাই না। ট্রেনে জানালার ধারে সিট পাওয়া বেশ ভাগ্যের বিষয়। আপনার কথাগুলো আমার দারুণ লাগল দিদি অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
কথা গুলো যে দারুন লাগবেই কারণ কথা গুলো পজেটিভ। 🤭
যে আপু জীবন মানেই তো এন্টারটেইনমেন্ট। আর ট্রেনের ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকাটাও বেশ আনন্দের। যাহোক আপনার অনুভূতির কথাগুলো আপনি দারুন ভাবে শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। আর স্কুল গেটের দিকে তাকালে সত্যিই স্কুল জীবনের সকল স্মৃতিগুলো ভেসে ওঠে। দারুন অনুভূতি প্রকাশ করেছেন আপনি।
অনেক ভালো লাগলো মন্তব্য পড়ে। ভালো থাকুন।