জার্নি || ১০ % বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। আর আমার খবর ? আমি কি বলি? জীবনটা রূপকথা র মত দেখতাম। খেল তো এখন বুঝতে পারছি। সংগ্রাম বেঁচে থাকার লড়াই, টিকে থাকার লড়াই আর নিজেকে ভালো রাখার লড়াই কি সেটা একটু হলেও বুঝতে পারছি। এর জন্য আমার আপসোস নেই । বরং গর্ব বোধ হচ্ছে যে আমি বুঝতে পারছি।
জীবনটা সত্যিই অনেকটা জার্নির মত। ধরুন বহু দূরে যাচ্ছেন। অনেক সময়ের একটা জার্নি । আপনি জানলার পাশে চুপ করে বসে আছেন। হাওয়া দিচ্ছে অফুরন্ত । আর আপনি চলছেন। মানে গাড়ি চলছে। বাইরে কি দেখেন?
বাইরের জগতের সব কিছু চোখের পলকে পেছন দিকে ফেলে আসছেন , তাই নাহ? জীবনের গাড়িতেও এমন। আমরা একটা গাড়িতে বসে । যদি ধরি ঈশ্বর গাড়ির ড্রাইভার , তাও হবে। আবার যদি ধরেন। আপনি নিজেই। তাও হবে। ড্রাইভার কে এই নিয়ে আমার আলোচনা নয়। আলোচনা জার্নি নিয়ে। তাহলে জার্নিতেই মন দিই।
কত কিছু চোখের পলকেই চোখ এর বাইরে চলে যায়, জীবনেও এমন হয়।তাইনা? চোখের পলক নাহ পড়তেই , জিনিস টা কি ছিল। না বুঝতেই আমাদের নাগালের বাইরে চলে যাই। গাড়িতে যদি একটু আস্তে চলে। তাহলে জীবনের মতই আমরা আমাদের দৃষ্টি রাখি তার ওপর। কিন্তু সেটাও কখন যে হাত ছাড়া হয়ে যায় । বুঝিনা।
সময় কত নিষ্ঠুর ,তাই নাহ? খালি দৌড় করায়। গাড়িতে চলার সময় একজন গাড়িতে ওঠে, আবার সে আপনার সাথে কিছুটা দূরে যায়। আপনারা গল্প করেন। আবার সে নিজের গন্তব্যে নেমে যায়। আবার কিছুক্ষন পর আরেকজন আসে ।তার সাথেও আপনার গল্প হয়। সেও তার জায়গা মত নেমে যায়।
জীবনের জার্নিতেও আমাদের বহু মানুষের সাথে আলাপ হয়। যে যার সময় মত চলেও যায়। আবার নতুন কেও আসে। আসলে জার্নিটা কার? শুধু আপনার, একান্তই আপনার। আপনি চলছেন , আর কেউ আসছে , কেও যাচ্ছে। আবার হ্যাঁ অনেকে আপনার গন্তব্যের সীমানায় এসে তারপর চলে যায়।
আপনার জার্নি আপনাকেই কমপ্লিট করতে হয়। ঠিক তো?
তো জীবন ঠিক এমন জার্নি। কিন্তু দুই জন আছে। যারা আপনার সাথে প্রথম থেকে শুধু নয়। সবসময় আছে , থাকবেও। তারা হলেন মা আর বাবা। পৃথিবী কি? সেটা তাদের মাধ্যমেই জেনেছেন। আপনার জার্নি আপনার নিজের হলেও তারা আপনার ভেতর জুড়ে। তাদের ছাড়া আপনি আপনি নন। তাদের অনুপস্থিতিতেও তারা আপনার সারা শরীরে ,মনে। আপনার গঠনের কারণ আপনার মা বাবা।
তাই জার্নিটা এখন থেকেই বুঝতে শিখুন। যে যার স্টপেজে ঠিক নেমে যাবে। আপনাকে একা চলতে হবে । বহু দূর যেতে হবে। আশেপাশে যারা আসছে, যারা যাচ্ছে, যা দেখছেন, যা আপনার অনুভব হচ্ছে , এসব সব আপনার একটা অ্যাসেট।
জীবন মানেই মরণ আছে। একদিন আমাদেরও যেতে হবে । কেও থাকেনা। এটাই তো নিয়ম।আবার হয়তো আসবো। কিন্তু চোখ বোজা র আগে আমাদের মধ্যে থাকবে বস্তা বস্তা সম্পদ। আমাদের জীবন যা আমাদের দিয়েছে। সেই সম্পদ।
তো এগিয়ে চলুন। যে আসছে, সাথে নিন। আবার তার স্টপেজে তাকেও হাসি মুখে বিদায় দিন। আপনি আপনার মনে জোর তৈরি করুন। আপনাকে আপনার এই জীবনের জার্নি কমপ্লিট করতে হবে।দুই জন মানুষ - মা বাবা । আপনার সাথে জড়িয়ে আছে। তাই নিজের খেয়াল রাখুন।
জার্নি মানেই রাস্তা , রাস্তা যে ভালোই হবে। এমন না। খারাপ হয়। দুর্ঘটনা ঘটে। তবুও আমাদের চলতে হয়। সবাইকে চলতে হয়। আপনারাও তাই চলতে থাকুন। জীবন অনেক কিছু দেবে আমাদের। উপভোগ করুন আর নতুন নতুন শিক্ষা অর্জন করুন।
সবার ভালো হোক।
জি আপু আপনি ঠিকই বলেছেন গাড়িতে উঠলে চলার পথে আমাদের সাথে অনেকের দেখা হয়। একজন একজন করে লং ড্রাইভে আমাদের সাথে অনেকেরই কথাবার্তা হয়। আপনার জার্নিটি ভালো লাগলো আপু। আপনাকে ধন্যবাদ আপু সুন্দর মুহূর্ত টুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে। সুস্থ থাকুন।
কি বলব দিদি এত চমৎকার ভাবে জীবনটাকে নিয়ে লিখেছেন যা পড়ে এতটা মুগ্ধ হয়েছি বলার ভাষা নেই। আসলে এরকম লেখা আমার মনে হয় আমি এর আগে কখনো পড়িনি বা এভাবে আসলে কখনোই মনে হয় ভেবেও দেখিনি। আপনি একদম ঠিক বলেছেন জার্নি আমরা যেভাবেই চলাফেরা করি না কেন আমাদেরকে জার্নি করতে হবে আর এই দুর্গম পথ পাড়ি দিতে হবে একাই। অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি এত চমৎকার ভাবে বিষয়টিকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ভাল থাকবেন আশীর্বাদ রইল সবসময়।
কথা গুলো অনেক সহজ , শুধু বুঝলেই আর অ্যাপ্লাই করতে পারলেই কাজে দেবে ।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু জীবনে যদি ভালো থাকতে হয় কিংবা টিকে থাকতে হয় তাহলে সংগ্রাম করে লড়াই করে থাকতে হয়। জীবন মানে যুদ্ধ এই কথাটা একদমই সত্যি। জীবনের সাথে যুদ্ধ করেই কিন্তু টিকে থাকতে হয়। আর জীবনটা সত্যিই একটি জার্নির মত। আপনার লেখা গুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগলো আপু অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।
জীবন তো এমনি দিদি। খুব সুন্দর করে জার্নির মাধ্যমে জীবনের সংজ্ঞা দিয়েছেন। কতো মানুষ আসবে যাবে কিন্তু বাবা মা সবসময়ই পাশে থাকবে।
এটা করতে পারলেই হয়তো জীবনে ভালো থাকা যায়। ভালো লিখেছেন দিদি ❤️
ঠিক বলেছেন, যারা এটা করতে পারবে, তারাই ঠিকঠাক থাকতে পারবে।
মৃত্যু অনিবার্য । জীবনাদর্শন একেক জনের একেক রকম। যদি জীবন কে একটা জার্নির সাথে তূলনা করি তোমার মতানূসারে বোন ।তাহলে দেশ কাল পাত্র ভেদে মানুষের জার্নি একেক রকম হয়। একজন আমেরিকান তার জীবনের জার্নি যেমন অনুভব করে আমরা কিন্তু তা পারবো না। মূলত আমাদের কে কঠিন জার্নির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। ভগবান সত্যিই আছেন তিনিই সকল সমস্যার সমাধান করে দেন। আমাদের প্রতি মূহুর্তে শিক্ষা অর্জন করতে হচ্ছে কেউ শিক্ষা ধরে রাখছে কেউ শিক্ষা থেকে নেয়া অভিজ্ঞতা কাজে লাগাচ্ছে না। ফলে তারা পিছিয়ে পড়ছে। যা হোক দারুন একটি দর্শন টাইপ লেখা লিখেছো বোন। ভাল থাকবে। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ, নিজের জীবন থেকে চেষ্টা করেছি কিছু একটু লেখার। আর একেবারেই ঠিক বলেছো যে এক এক মানুষের জার্নি এক এক রকম।