রাখির দিনটা
রাখি মানে বন্ধন।আমার কাছে রাখি শব্দটা এলেই আমার দাদুর কথা প্রথমে মাথায় আসে।
ভারতবর্ষে ভাই বোন হোক অথবা যেকোনো সম্পর্কে এই রাখি বন্ধন উৎসব পালন করা হয় । সুসজ্জিত লাল ধাগা, যা আমরা কাছের মানুষের সুরক্ষার চিহ্ন স্বরূপ তাদের শুভ কামনায় তাদের হাতে বেঁধে দিই। বিভিন্ন ধর্ম অনুযায়ী ' রাখি' দাদা অথবা ভাই এর হাতে পরিয়ে দেওয়ার কথা আছে, যে নিয়ম অনুযায়ী দিদি বা বোন , তার দাদা অথবা ভাইয়ের হাতে এই রাখি অর্থাৎ সুরক্ষা কবচ পরিয়ে দেয় এবং দাদাভাই ও তার বোনের সুরক্ষার দায়িত্ব নেয়। সাথে রকমারি উপহার দেওয়ার রীতিও চালু আছে।
ছোটোবেলায় আমার ঠাকুরদাদার হাতে রাখি পড়াতাম। বাড়ি ভর্তি আমার অত দাদা, তাদের হাতেও পড়াতাম। তারপর স্কুলে বন্ধুদের হাতে পড়াতাম, ওরাও আমাকে পড়াত। রাখির দোকানে গেলে এখনও মনে পড়ে, আমি দাদুর জন্য বেছে বেছে সব থেকে ভালো রাখিটা কিনতাম।
তারপর দাদু চলে গেল, কোনো কোনো বার দাদাদের পড়াতাম না। মন খারাপ করতো। তাই বাড়িতে গোপাল ঠাকুরের সামনে রাখি রেখে দিতাম। দাদুর ছবির সামনে রাখি রেখে দিতাম। তারপর ঈশান এলো। ছোটো ভাই আমার। আমার অনেক আদরের। ভাই ফোঁটা, রাখির ধুম আবার শুরু হলো।
ও আসার পর থেকে খুব সাজিয়ে গুছিয়ে রাখি উৎসব পালন করি বাড়িতে। পিসতুতো দাদাকেও রাখি পড়াই।আগের বার মামারবাড়ীতে রাখির দিন পড়েছিল। আমার মামাতো বোনেরাও রাখি পালন করেছে। আগের বার নিজের হতে রাখি বানিয়েছিলাম।
এবারেও ভাগ্যিস বাড়িতে আছি। যদিও ক্লাস চললেও এই একটা দিনের জন্য ভাইয়ের জন্য বাড়িতে আসতেই হতো।সেদিন সকালে স্নান করে , লুচি আলুরদম করা হলো। মিষ্টি আনা হলো। তারপর গোপাল ঠাকুর কে পুজো দিয়ে , সামনে রাখি রেখে। তারপরে ভাই আর দাদা কে আসন পেতে বসিয়ে , ওদেরকে রাখি পড়ালাম এবং ওরাও আমাকে পরালো।তারপর খাওয়া দাওয়া। উপহারের তালিকা।
ঈশান কে এবার রাখিতে গাড়ী কিনে দিইনি বলে , ও দুপুর অব্দি রেগে ছিল।এই নিয়ে খুব মজা পেয়েছি আমি। ছোটো মানুষ রাগ করলে, রাগ ভাঙ্গাতে খুব মজা লাগে । কতো আদরটাই নাহ করতে হলো। শেষ কালে, ফুচকা খাওয়ালাম। তারপর ওর রাগ ভাঙলো।
আর এই ভাবেই রাখি পালন করলাম সেদিন। ভালো থাকুন সকলে। আর কাছের মানুষদের ভালো রাখুন। আমরা কদিনই বাহ আছি, মিলেমিশে থাকলে তো কত মজা!
দিদি নমস্কার,
দিদি ঠিক বলেছেন রাখি মানে বন্ধন ৷আর বন্ধন হলো সারা জীবনের জন্য ৷ভাই বোনের এই ভালোবাসা টা যেন সারা জীবন থাকে ৷আসলে ভাই বোন এমন একটা বন্ধন না বলে বোঝানো সম্ভব না ৷হাজারও ঝগড়ার পরেও দিনশেষ আবার ভাই বোন একি সাথে ৷সারাদিন দুষ্টামী আর মারপিট এর মাঝে ও যে কতটা ভালোবাসা লুকিয়ে আছে ৷তা যখন বোনকে বিয়ে দেয় তখন আমরা বুঝতে পারি ৷আর হ্যা দিদি ভালো লাগলো যে আপনি রাখি বন্ধন উপলক্ষে বাড়ি আসছেন ভাইদের রাখি পরিছেন ৷সত্যি বলতে কী জানেন আমার বোন নেই৷তাই বুঝি যে ভাই বোনের বন্ধন টা কী জিনিস ৷মাঝে মাঝে ভাবি আমারও যদি একটা বোন থাকতো ৷তাহলে আমিও আজ অন্য ভাইদের মতো বোনের হাতে রাখি পরতাম ৷যাই হোক উপর ওলার ইচ্ছা ৷তবে মন থেকে বলবো ভালো থাকুক সমস্ত ভাই বোনের সম্পর্ক গুলো ৷
এত বোন আছে এই কমিউনিটিতে! আমিও একজন। এত মন খারাপের দরকারই নেই। হাসিখুশি থাকতে হবে।
দেখে বুঝতে পারছি আপনি রাখির দিনটি খুব ইনজয়ের সাথে কাটিয়েছেন। রাখি সম্বন্ধে তেমন আমার একটি ধারণা নেই। তবুও আপনাদের পোস্ট পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম খুব ভালো লাগলো আমার।কারণ মানুষের জীবনে বিনোদন থাকাটা সব থেকে বেশি দরকার রাখি মনে হচ্ছে ভাই বোনের মধুর সম্পর্ক। আর আপনার পোস্ট থেকে সেটাই প্রকাশ পেয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মজা করেছি সেদিন অনেক। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
আসলে এই ধরনের দিনগুলো যদি বাড়িতে ভাইদের সাথে পালন না করা যায় তাহলে তো কোন মজাই থাকে না।
বাড়িতে থাকার কারণে খুবই চমৎকার ভাবে আপনি এই দিনটাকে ভাইদের সাথে উদযাপন করতে সক্ষম হলেন দিদি। রাখি ভাই বোনের ভালোবাসার সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি করে দেয়।
হ্যাঁ দাদা, ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব ভালো লাগলো আপনার আজকের পোস্ট। সব সময় ভাই-বোনের ভালোবাসাটা অমলিন হয় এবং সেখানে অন্য যে কোন কিছুই হার মানায়। ভাই বোনের এই ভালোবাসা যেন সব সময় টিকে থাকে ভালো থাকবেন।
অনেক ধন্যবাদ দিদি। আপনিও ভালো থাকুন।
আপু রাখি মানে ভাই বোনের মধ্যে দারুন একটি বন্ধন সৃষ্টি করা যেটা আজীবন থেকে যায়। রাখি বন্ধনের দিনে আপনার বিভিন্ন অনুভূতির কথাগুলো জানতে পেরে আমার খুবই ভালো লেগেছে। সারা জীবন অটুট থাকুক ভাই বোনের সম্পর্ক এটাই আমি কামনা করি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।