অফলাইন ক্লাস শুরু|| ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। চলুন কারেন্ট কিছু জার্নি আপনাদের শেয়ার করে ফেলি। একুশ তারিখ থেকে ক্লাস শুরু হলো। তাই আমি আমার বান্ধবী চয়নিকা ,আরেকজন সুপ্রিয়া কৃষ্ণনগর থেকে সকাল ৮.৪০ এর লেডিস স্পেশাল ধরব বলে ঠিক করলাম।
আগের দিনই বলেছিলাম, রুম খোঁজা হয়েছে কিন্তু ২৫ তারিখ এর পর ওখানে শিফ্ট হব। তাই একদিন ডেলি প্যাসেঞ্জার আমি। হে হে। যাইহোক সুপ্রিয়া সকাল সকাল গিয়ে টিকিট কেটে রেখেছিল। আমি আর চয়নিকা পরে টোটো নিয়ে স্টেশন এ গেলাম।
ওর বাড়িও ঘূর্ণি তেই। মানে আমার বাড়ির কাছেই। ওর সাথে আমি একই কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। তাই একটু চেনা। যাইহোক আমাদের বাড়ি থেকে টোটো করে ৮ টা র পর বেরোলাম। বেরিয়ে দেখি খুব কুয়াশা । অতিরিক্ত কুয়াশা। তবে ঠান্ডা আমার লাগছিল না।
আমি কোথাও বেরোলে স্নান করে বের হই। আর সকাল সকাল স্নান করে নিলে আর ঠান্ডা লাগেনা। ওদিকে চয়নিকা স্নান করে বার হয়না।তাই ওর ঠান্ডা লাগছিল। কি কুয়াশা আপনারা ছবি দেখেই হয়তো বুঝতে পারছেন।
টোটো করে কৃষ্ণনগর স্টেশন ২০ মিনিট লাগে। আমরা পৌঁছে ট্রেনে উঠে পড়লাম। সুপ্রিয়া জায়গা রেখেছিল।যদিও এই ৮.৪০ এর লেডিস স্পেশাল একদম ফাঁকা থাকে। তাই অসুবিধা হয়না।
আমার একেবারেই প্রথম এই ভাবে যাওয়ার অনুভূতি, এর আগে কখনও বন্ধুদের সাথে লেডিস স্পেশাল ধরে যাইনি। যাইহোক ট্রেনে উঠে ভালো লাগছিলো , কারণ ফাঁকা ছিল।কিন্তু ৮.৪০ পার হয়ে গেল। তাও ট্রেন ছাড়ে না। আসলে কুয়াশার জন্য এমন লেট হলো। ছাড়লো ৯.৭ এ।
আগের ট্রেন গুলোও অনেক লেট হয়েছে শুনেছি। আমার একটু পড়েই খিদে পেয়ে গেল। সকালে শুধু চা বিস্কুট খেয়ে বেরিয়েছি। মা ভাত খেতে বলে, খাই না। যাইহোক খিদে পেয়েছে বলে বাড়ি থেকে আনা ম্যাগি বার করতে গিয়ে দেখি চামচ আনিনি।কি এক জ্বালা।
চাউমিন হলে হাত দিয়ে খাওয়া যায়। আর এই ট্রেনে হাত নোংরা। হাত ধুয়ে যে খাব। আমার কেমন কেমন লাগছিল , কারণ ম্যাগি একটু নরম হয়।তাই আর খাওয়া হলো না। ট্রেন থেকে হকার দের কাছে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কিন্তু পাইনি।
এবারে দেখলাম , হটাৎ একজন ছোলা বিক্রি করছেন। ।ওনার কাছে চামচ আছে প্লাস্টিকের।
ওনাকে আমি চাইলাম, উনি বললেন, ছোলা নিলে চামচ দেব।এদিকে আমার ছোলা খেতে ভালো লাগেনা। আমি বললাম কয় টাকা দেবো বলেন, বললো দু টাকা দাও। আমার কাছে খুচরো ছিল না , তাই দশ টাকা দিলাম। উনি বললেন ওনার কাছেই নাকি খুচরো নেই।
তারপর দেখি বলছেন দশ টাকা থাক তাহলে, এই বলে পকেটে টাকা পুড়ছেন। আমার মাথা গরম হয়ে গেল। কি লোক রে বাবা। আমি বললাম টাকা ফেরত দাও। কিছু লাগবেনা।তখন আবার দিয়ে দিল।
মানুষের মনুষ্যত্ব খুবই কম এখন। যাইহোক বলেও লাভ নেই। ট্রেন থেকেই উপার্জন ওদের, আমার আর খাওয়া হলনা। দমদম নামলাম ১১.১৫ তে। তারপর বেরিয়ে দেখি অটোর জন্য লাইন দিতে হচ্ছে । চয়নিকা আর সুপ্রিয়া লাইন এ দাঁড়ালো ।আমি দেখলাম একটা কেক শপ আছে অর্থাৎ মিও আমর। ওখানে গিয়ে আমি একটা ভেজ প্যাটিস কিনলাম আর চামচ চাইলাম।
কাকু বলেন, মামণি চামচ দিয়ে কি হবে, ভেজ প্যাটিস এ তো চামচ লাগে না। আমি বললাম ওই চামচ নেব বলেই প্যাটিস কিনলাম। আপনি দেন । উনি দু তো চামচ দিলেন।ওদিকে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়লাম। আর লাইনে দাঁড়িয়েই ম্যাগি খাওয়া শুরু করে দিলাম।
অটো টে উঠতে উঠতে ম্যাগি খাওয়া শেষ। আমি একটু দ্রুত খাই। যাইহোক পেট টা একটু শান্তি পেল। তারপর ইউনিভারসিটির পাশেই একটা গলিতে অটো নামিয়ে দিল। গলি থেকে বেরিয়ে বা দিকের ফুট পাথ ধরে আমরা দু মিনিট হেঁটেই পৌঁছে গেলাম ইউনিভার্সিটি ।
যাওয়ার পথেই শুনেছিলাম সরকার আজ হাফ ছুটি ঘোষণা করেছে । ভাষা দিবস প্লাস একজন মন্ত্রী বিয়োগ হওয়ায়।
ইউনিভারসিটি ঢুকেই দেখলাম ওপেন প্রোগ্রাম হচ্ছে ভাষা দিবস উপলক্ষে। আর সারা ইউনিভার্সিটি সাজানো , আলপনা দেওয়া।
বাকী কথা পরের পোস্টে বলবো। আজকের মত শেষ করলাম।ভালো থাকুন । নমস্কার।
@isha.ish
দিদি লেডিস স্পেশাল এটা কি ট্রেনের নাম নাকি অন্য কিছু বুঝতে পারলাম না। আর একটা চামচ এর জন্য ঝামেলা কম হলো না। ভেবে অবাক হলাম যে কি রকম চালাক মানুষ এরা, দু টাকার চামচের জন্য 10 টাকাই রেখে দিতে চায়। সব মিলিয়ে ভালই মজা লাগল পোস্টটি পড়তে। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য
মানে হলো, ট্রেন টা পুরোটাই মেয়েদের জন্য। সব কটা বগি মেয়েদের।
হ্যাঁ, চামচ নিয়েও কত ঝামেলা !
ধন্যবাদ আপনাকে।