DIY- এসো নিজে করি|| সরস্বতী পূজার চাঁদ মালা তৈরীর পদ্ধতি|| ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন।আমিও ভালো আছি।
কিছুদিন আগে আমাদের বাড়িতে সরস্বতী পূজো ছিল। সেসব নিয়ে আমি আপনাদের সাথে অনেক গল্প করেছি। আমি যখন পূজোর বাজার করতে গিয়েছিলাম। তখন আমার একটাও চাঁদ মালা পছন্দ হয়নি ,তাই আমি কিনিনি।
ওই সময় ভেবেছিলাম বাড়িতেই তৈরি করে ফেলব ।কারণ বাড়িতে আমার আর্ট পেপার ,আরো বাকি জিনিসপত্রগুলো রয়েছে ।আর চাঁদ মালা বানাতে খুব একটা জিনিসের দরকার পড়ে না।
তাই আমি আজকে আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি -পুজোর সময় চাঁদ মালা কিভাবে বানাবেন অথবা সরস্বতী পূজাযর চাঁদ মালা বানানোর পদ্ধতি।
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি আমার পছন্দ মত সবুজ রঙের আর্ট পেপার নিয়ে নিয়েছি । যেহেতু আমি জানতাম ঠাকুরের সাজ সাদা রঙের এবং ঠাকুরের শাড়ি হলুদ রঙের হবে ,তাই আমি এখানে সবুজ রঙের আর্ট পেপার প্রথমে ব্যবহার করছি ।আপনারা আপনাদের পছন্দের মত রঙ ব্যবহার করতে পারেন। আমি কিছুটা পরিমাণ আর্ট পেপার কেটে নিয়েছি লম্বা করে।
দ্বিতীয় ধাপ
কম্পাসের সাহায্যে একটা সার্কেল এঁকে নিয়েছি আর তিনটে সার্কেল আমি কেটে নিয়েছি। যেহেতু আমার ঠাকুর টা ছোট তাই আমার চাঁদ মালা টাও ছোট হবে।
তৃতীয় ধাপ
এবারে আমি আর একটা হলুদ রঙের আর্ট পেপার নিয়ে নিয়েছি ।আর ওই সবুজ রংয়ের গোলাকৃতি পেপার গুলো থেকে ছোট আকারে সার্কেল আন্দাজ করে, হলুদ আর্ট পেপারের ওপর এঁকে নিয়ে, আমি তিনটে হলুদ গোলাকার আকৃতি পেপার কেটে নিয়েছি। এই হলুদ জায়গাটায় আমাদের লিখতে হবে।
আশা করছি ছবিগুলো দেখে আপনারা বুঝতে পারছেন ভালোভাবে।
চতুর্থ ধাপ
এবারে আমি গোলাকার সবুজ রঙের পেপার গুলো কে কয়েকবার ভাঁজ করেছি। আর ঠিক এইভাবে ছবিতে যেমন দেখছেন, ওরকম আকারে কেটে নিয়েছি। তারপর পেপারটা খোলার সাথে সাথেই একটা ফুলের মত আকৃতি দেখতে পাওয়া গেছে।
পঞ্চম ধাপ
তারপরে সবুজের মাঝখানটাতে ফেবিকল আঠা লাগিয়ে নিয়ে হলুদ রঙের গোলাকার পেপার টা কে তিনটে পেপারেই বসিয়ে দিয়েছি।
তৈরি হয়ে গেছে আমাদের চাঁদমালার মেন জায়গাটুকু ।
ষষ্ঠ ধাপ
এবারে হলুদের চারদিকে বর্ডার দেওয়ার জন্য আমি চারিদিকে আঠা লাগিয়ে নিয়ে, লাল রঙের উল দিয়ে দুবার উল সুতা কে হলুদ আর্ট পেপারের পাশ দিয়ে বসিয়ে নিচ্ছি।
সপ্তম ধাপ
তারপর আমার কাছে কিছু পুঁথি ছিল ,আমি চারদিকে পুতি বসিয়ে দিয়েছি ।আপনারা আপনাদের পছন্দমত কাজ এখানে করতে পারেন। আমি এভাবে আপনাদের খুব সহজে দেখালাম।
অষ্টম ধাপ
এবার হলুদ জায়গাটায় আমি লিখে নিচ্ছি পরপর সরস্বতী।
প্রথম গোলটা সর, আর তারপর স্ব ,আর তারপর তী।
নবম ধাপ
এবারে নিয়ে নিয়েছি সাদা রঙের সুতো। পরিমাণ মতো চোখের আন্দাজ করে ৪ ফিত্তে দিয়ে দু তো সেট করে নিয়েছি।
দশম ধাপ
এবার আমি ছোট ছোট ৩ টে কাগজ কেটে নিলাম।
একাদশ ধাপ
এবারে মেন গোল তিনটে কে উল্টো করে রেখে, তার
ওপর দুদিকে এই ভাবে সুতো বসিয়ে দিলাম।এবারে কাগজ গুলোতে আঠা লাগিয়ে ওই তিনটে গোলের ওপর ঠিক এই ভাবে আটকে দিলাম।
দ্বাদশ ধাপ
এবারে নিচের দিকে আমি ঠিক একই ভাবে দুটো কাগজের গোলাপ আঠা আর কাগজ দিয়ে আটকে দিয়েছি।
ফাইনাল লুক
আর খুব সহজে তৈরি হয়ে গেছে আমাদের ঠাকুরের চাঁদ মালা।
মা এর হাতেও ধরিয়ে দিয়েছি
আশা করছি আপনারা বুঝতেই পারলেন কত অল্প সময়ের মধ্যে ,খুব অল্প জিনিস নিয়ে আমি এত সুন্দর একটা চাঁদ মালা তৈরি করে দেখালাম। আপনারা বাড়িতে এটা চেষ্টা করে দেখতে পারেন। সরস্বতী পুজোর আগের দিন রাতের বেলায় আমি বসে বসে এই চাঁদ মালা তৈরি করেছিলাম ।আশা করছি আমার আজকের পোষ্ট আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে। সকলে ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন। নমস্কার।
আপনি খুব সুন্দর করে সরস্বতী পূজার চাঁদ মালা তৈরী করেছেন। মালা টি দেখতে আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। আসলে আপনি অনেক সময় নিয়ে অত্যন্ত দক্ষতার সহকারে চমৎকারভাবে মালা টি তৈরি কাজ সম্পন্ন করেছেন। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দাদা। ভালো থাকুন।
রঙিন কাগজ দিয়ে আপনি অসাধারণ ভাবে সরস্বতী পূজার চাঁদ মালা তৈরি করেছেন। আপনার সৃজনশীলতা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে প্রতিটি স্টেপ আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদি আপনি খুব সুন্দরভাবে সরস্বতী পূজার চাঁদ মালা বানিয়েছেন। দেখেই বুঝা যাচ্ছে আপনি অনেক দক্ষতার সাথে কাজটি করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ আপনার কাজের সত্যি প্রশংসা করতে হয়, এবং তার যথাযথ ব্যবহার ও করেছেন আপনি।
ধন্যবাদ দাদা সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি অনেক সুন্দর ভাবে সরস্বতী পূজার চাঁদ মালা তৈরীর পদ্ধতি করেছেন। মালাটি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। মালা তৈরি পদ্ধতি ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।
আপনার তৈরি সরস্বতী পূজার চাঁদ মালা আমার কাছে অনেক সুন্দর লেগেছে। আপনি অনেক সুন্দর করে এটা করেছেন। আপনার সৃজনশীলতার প্রশংসা না করে পারছি না। ধন্যবাদ
অনেক অনেক ধন্যবাদ।