কিছু ধারণা - বৃষ্টি || ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। আমিও ওই কোনরকম আছি। বাড়ীতে প্রায় ১৫ দিন সময় কাটানোর পর কলকাতা চলে আসি আবার। আসার কারণ নাহয় পরে কোনো পোস্টে ব্যখ্যা করবো।
আসার পর থেকেই তো ঝমঝম বৃষ্টি হঠাৎ হঠাৎ। এভাবে কলকাতায় থেকে বৃষ্টি উপভোগ করা হয়নি কখনও। গাড়িতে যেতে আসতে বৃষ্টি পেয়েছি। তবে কলকাতায় নিজের ঘর থেকে বৃষ্টি নেওয়ার অনুভূতি আলাদা।
ঘরের মধ্যের বৃষ্টি আর ঘরের বাইরের বৃষ্টির তফাৎ আছে। তফাৎ আছে সময় ও পরিস্থিতির। একই সময় একই বৃষ্টিকে এক একজন এক এক ভাবে অনুভব করে। কারোর মনে ফোয়ারা নামে প্রেমের। সে বলে ওঠে - উফফ, কী রোম্যান্টিক ওয়েদার!
কারোর বৃষ্টি মনের সাথে সাথে চোখ ভেজায়। কারোর আবার বৃষ্টি হলে গান গাইতে ইচ্ছা করে, কেও কেও জোরে হোম থিয়েটার এ রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনে। আবার ওই একই বৃষ্টির মধ্যে কারোর ঘুমের ঠেলায় ঘুম পাড়ানি মাসি পিসি ভয় পেয়ে যায়।
কেও আবার বৃষ্টি দেখলেই খিচুড়ি পাগল হয়ে যায়। খিচুড়ি খাবে বলে ছটফট করে।ওই একই বৃষ্টিতে কেও আবার চুপটি করে পুরোনো প্রেমের গোছানো স্মৃতির সাথে সময় কাটায়।
এ তো গেল ঘরের বৃষ্টি । বৃষ্টি তো বাইরে থেকেও অনুভূত হয়। কেও বৃষ্টিতে নাচে। কেও বৃষ্টি দেখলেই রাস্তায় নেমে পড়ে। কেও আবার বৃষ্টিতে ভুট্টা পোড়া খেতে বেরোয়। কেও আবার ফুচকা। কেও বৃষ্টিতে প্রিয় মানুষের সাথে এক ছাতায় বন্দী হতে ভালো বাসে।কেও আবার বৃষ্টির এক ফোঁটাও যাতে গায়ে না লাগে দোকানের সেডের নিচে আটিশুঁটি মেরে দাঁড়িয়ে থাকে।
কেও আবার সেডের তলায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টির দিকে দুই হাত বারিয়ে বৃষ্টির ঠান্ডা জলের ছোঁয়া উপভোগ করে।
কেও আবার বৃষ্টির জল নিয়ে খেলে। বৃষ্টিও যেন মজা নেয় সেই খেলায়।
তাহলে প্রকৃতির সব জিনিস যা একইরকম। সেই উপাদানগুলো আমাদের প্রত্যেকের কাছে এক এক ভাবে গৃহীত হয়। একই সময় সবাই একই সাথে সেই প্রকৃতির উপহার পেলেও , তফাৎ ব্যক্তিভেদে। তাই তো এই পৃথিবী মায়ার। সবাই একই রকম ভাবে ভাবলে পৃথিবীটা প্রাণহীন হয়ে যেত।
বেশ ভালো লাগলো ছোট্টখাটো উদাহরণ দিয়ে আপনাদের সাথে নিজের বৃষ্টি ধারণা শেয়ার করতে পেরে। সকলে ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। বৃষ্টিকে ভেজাতে থাকুন😅😜। নমস্কার।
@isha.ish
ঠিক বলেছেন দিদি।বাইরে যদি বৃষ্টির কারণে আটকা পড়ে যায় তখন বৃষ্টি টা বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে বাড়িতে থাকাকালীন বৃষ্টি টা আমি অনেক উপভোগ করি। রাস্তায় নেমে বৃষ্টির পানি দিয়ে খেলার বয়স নেই তবে আমি খিচুরি এবং গান অনেক পছন্দ করি এমন দিনে। এবং ঘুমটা অনিচ্ছায় চলে আসে। তবে আমার ঘুমটা মাসি পিসির ভয় ধরানোর মতো ঘুম না হা হা।
বয়স বলে যদিও কিছু হয়না। মনের পরিস্থিতির ওপর সব টা। হাহাহা।
বাহ বৃষ্টি নিয়ে অনেক গভীর ভাবনা লিখে প্রকাশ করেছেন তো! একদম বাস্তব কথা বলেছেন আপনি। আমাদের বাংলাদেশেও বেশ কিছুদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় অশনীর কারণে হয়তো এমন হচ্ছে।
আমি বৃষ্টি হলে বারান্দায় বসে ইউকেলেলে বাজাই। বেশ ভাল লাগে আমার। আবার মাঝে মাঝে আমার টুনটুনির সাথে ফোন এ কথাও বলি। 🥱 যাইহোক অনেক ভাল লাগলো আপনার লেখা পড়ে। ভাল থাকবেন
অনেক মিষ্টি একটা সময় কাটে বুঝেছি।আপনার টুনটুনি কে আমার তরফ থেকে ভালবাসা জানাবেন।ভালো থাকুন।
আপু আপনি বৃষ্টি নিয়ে গভীর ভাবনা প্রকাশ করেছেন। প্রতিটা ব্যক্তির জীবনে বৃষ্টি আলাদা আলাদা প্রভাব ফেলে। প্রত্যেকটা মানুষভেদে বৃষ্টিকে উপভোগ করার ধরন ভিন্ন ভিন্ন। যেমন বৃষ্টি আসলে আমার খুব ঘুম পায় এবং তেলেভাজা ও খিচুড়ি খেতে খুব মন চায়। আপু বৃষ্টি নিয়ে আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার ভাবনা গুলোকে ফুটিয়ে তুলেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ দাদা নিজের অনুভূতি ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
ছোটবেলার স্মৃতি মনে হয়ে গেল অপু। আমরা বৃষ্টির সময় ভেজার জন্য রাস্তায় বের হয়ে পড়তাম। অনেকে বৃষ্টিতে ভিজে বেড়াতাম রাস্তায় রাস্তায়। বৃষ্টি থেমে গেলে পুকুরে লাফ দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য গোসল করে তারপর বাড়ি ফিরতাম। এই বৃষ্টিভেজা অনুভূতি।
ওরে বাবা! হ্যাঁ অনেকেই বৃষ্টির জলে স্নান সেরে নেয়। আপনি সোজা পুকুরে!!