কিছু শিক্ষা - গুরুত্ব পূর্ণ
জীবনে সুখের স্পর্শ যেটুকু পেয়ে থাকি, তা যেমন যথেষ্ট , ততোটাই যথেষ্ট দুঃখ। যেভাবে জীবন এগোচ্ছে। সবটাই কিন্তু স্বাভাবিক। দুনিয়ার কোণায় কোণায় যদি একটু খুঁজতে যান, আপনার থেকেও বেশি কষ্ট পাচ্ছে কেও। মন খারাপের দিন গুলো, যুদ্ধের দিন গুলো তে যেমন মনে হয় - আমার সাথেই কেন এমন হচ্ছে, আমিই কেন ,,, কিন্তু ঠিক ওসব দেখার পরে অর্থাৎ আপনার থেকেও বেশি কেও কষ্টে, এটা দেখে আপনার মনে হতেই পারে আমার তো কিছুই না, আমি তো ভালো আছি তাও, সেই ব্যক্তি কি করে জীবন কাটাচ্ছে এত সংগ্রাম করে!
তো , সকলের সংগ্রাম ,সকলের আনন্দ দুঃখ সকলের জীবনের একটু সেতু। যে সেতু ধরে এগিয়ে যেতেই হবে। আর কাল পারাবার এভাবেই। এই সেতু যেমনই হোক । আমাদের অ্যাকসেপ্ট করতেই হবে। আর যত তাড়াতাড়ি আমরা সব কিছু অ্যাকসেপ্ট করতে শিখব। তত এই কাল পারাবারে সময় কম লাগবে। আমি যে নিজেও এত ভাষণ দিচ্ছি , আমিও জানি । যার সমস্যা হয়, সে কতটা ডাউন হয়ে থাকে। কিন্তু তবুও তো চলতে হবে , তাই নাহ?
কিছুর জন্য তো কিছু থেমে থাকবে না। আমার বাড়িতে কেও গত হয়েছে বলে, পাশের বাড়ির বিয়ের অনুষ্ঠান থেমে যাবে না। আমরা নিজের ওপর , অন্যের ওপর সারা পৃথিবীর ওপর, সময়ের ওপর দোষ দিই, যখন সমস্যা হয়। কেন, কারণ আমরা এক্সপেক্ট করি বেশি , নিজের ওপর এক্সপেক্টেশন, বাবা মা, ভাই বোন ,আশেপাশের সবার ওপর একটা এক্সপেক্টেশন । আর ব্যাস, তারপর আপনার মন মত কিছু না হলেই আপনি তাদের ওপর হতাশ।
এই জগতে কেও আমাদের ১০০ ভাগ দিতে পারবে না। আমরা নিজেরাও না। ঠিক একই ভাবে, আমরাও কাউকে ১০০ ভাগ দিতে পারবনা। হতাশ আমাদের সবাই যেমন করে। আমাদের দ্বারাও কেও না কেউ হতাশ হয়। তাই সবার থেকে এক্সপেক্ট করা ছেড়ে দিয়ে সবাইকে অ্যাকসেপ্ট করে নেওয়া বেশি বুদ্ধিমানের কাজ।
নাহলে প্রতিদিনের জীবনে আপনি বলতে থাকবেন যে, আজ আমি এর দ্বারা আঘাত প্রাপ্ত, কাল বলবেন আরেকজনের দ্বারা। আর আপনি বুঝতেও পারবেন না যে, আপনি এমন একটা ফিগার হয়ে যাবেন , অনেকটা ভিখারীর মত - তুমি আমাকে বোঝো, তুমি আমাকে ভালোবাসো। - এটাই আপনার বুলি হয়ে যাবে পৃথিবীর সব মানুষের ক্ষেত্রে।
পরমাত্মা বলছেন সত্য যেটা , সেটা সত্য। সেটাকে প্রমাণ করার কোনো প্রয়োজন নেই।তাই সব কিছু মেনে নিতে শেখ। আজ খারাপ সময় টাও তোমার নিজের , নিজের জার্নির একটা অংশ। এই খারাপ সময়টা টপকেই তুমি এগোতে পারবে। আবার ভালো সময় গুলোও তোমার। তাই এত আপসেট হওয়ার কিছু হয়নি।
আচ্ছা, একটা ছোট্ট উদাহরণ। খুব সহজ। মা বকলে কষ্ট হয় খুব। তাহলে পাশের বাড়ির কাকিমা এসে দুটো কথা শোনালেন, তখন মনে মনে গালি দিচ্ছি। কেন। তখন এত কষ্ট হচ্ছে না কেন। মা এর বকবকানি তে মেজাজ গরম হয়ে যায়। পাড়ায় ঝগড়া হলে অমন মেজাজ গরম হয় না কেন। একই তো ব্যাপার!! এও চেচাচ্ছে, ওউ চেচাচ্ছে। তাহলে?
আমরা জানি, পাড়ার ঝগড়া আমরা থামাতে পারবোনা। আমরা বললেও থামবে না। তাদের নিজস্ব ব্যাপার। আমাদের কন্ট্রোলের বাইরে। তাই আমরা বিরক্ত হইনা। ব্যাপারটা আমরা অ্যাকসেপ্ট করে নিজের কাজে মন দিই। কিন্তু মা , মা এর বেলায় এক্সপেক্টেশন চলে আসে, মা কেন এমন বলবে! কেন এভাবে চেঁচাবে। আর এখান থেকে আমরাও তালে তালে ঝগড়া লাগিয়ে ফেলি। মেনে নিয়ে শান্ত থাকার দরকার যেখানে। সেখানে আরো উল্টে আগুনে ঘি।
একটা মানুষ তখনি খারাপ কাজ করে, খারাপ আচরণ করে। যখন তার ভেতরে সে ভুগছে কিছু কারণে, সে মেন্টালি ইমোশনালি ভেঙে আছে। মানুষের অবস্থা দিয়ে কখনও মানুষকে যাচাই করা ঠিক না। আজ অবস্থা খারাপ থাকায় এমন আচরণ। কাল অবস্থা ঠিক থাকলে সেও বাজে থেকে ভালো আচরণ করবে।
এই সময় যেটা করা উচিত, আমাদের শান্ত থাকা উচিত। তার অবস্থা কে মেনে নেওয়া উচিত। যেটা আমরা করিনা। তার একদিনের অথবা কিছুদিনের বাজে আচরণের ওপর বেস করে মানুষটাকে বাজে বলে দিই। যেটা ভুল। চোর সাধ করে চোর হয়না। খেয়াল রাখতে হবে ব্যাপারটা।
সমাজ কখনও উঠতে সাহায্য করেনা। ডাউন হয়ে থাকা সবাই কে আরও নিচে নামিয়ে দেয়। আর এই সমাজ মানেই আমরা। তাই আপনি যখন জানেন, সামনের জন ভুল । তাহলে আপনি আপনার লেভেল ঠিক রাখুন। তার সাথে ঝামেলা করে তাকেও আরো নীচে নামাবেন কেন? আর নিজের মনুষ্যত্ব ভুলে যাবেন কেন।
দিন শেষে সবাইকে ক্ষমা করতে শিখুন। আর কাউকে আঘাত দিয়ে থাকলে ক্ষমা চাইতে শিখুন।অবস্থা মেনে নিতে শিখুন, আর সবার জন্য শুভ কামনা করুন ।সবার জন্য। সবার জন্য পজেটিভ ভাবুন।
সকলে সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন। কথা গুলো বুঝে থাকলে কাজে লাগান। তাহলেই হবে। আপনাদের সকলের মঙ্গল হোক। ওম শান্তি 🙏
ক্ষমা একটি বৃহৎ গুন, যে ক্ষমা করতে পারে সে সবসময় সুখে থাকতে পারে। তবে একটি বিষয় আমি লক্ষ করেছি সব সময় অন্যের দিকে না তাকানোই ভালো। আপনার কী আছে সেই বিষয়ে যদি আপনি সুখে থাকতে পারেন সন্তুষ্ট থাকতে পারেন তাহলেই আপনার জন্য যথেষ্ট। আপনার কথাগুলো সত্যিই অসাধারণ ছিল, এত ভালো মানের পোস্ট হওয়ার পরেও আশানুরূপ কমেন্ট দেখতে পাচ্ছি না। তাই খুবই হতাশ হলাম।
কোটেশন এর মধ্যে যেসব কথা লিখেছেন সেগুলো কি আপনার কথা?? যদি আপনার কথা হয়ে থাকে তাহলে কোটেশন এর মার্কডাউন ব্যবহার করবেন না। কারণ কোটেশন এর মার্কডাউনেরর মধ্যে কিছু লিখলে বুঝায়, আপনি অন্য কোথাও থেকে কপি করে এনে এখানে পেস্ট করেছেন।।
দাদা, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে যে আপনি এত মনোযোগ দিয়ে পোস্ট টা পড়েছেন। আর হ্যাঁ, অন্যের দিকে কম তাকানোই শ্রেয় যদি সুখে থাকতে হয়।
হ্যাঁ , দাদা আমার কথা । কিন্তু আমি বোঝাতে চেয়েছি যে এগুলো আমরা সবাই বলে থাকি, আমি আসলে এই ব্যাপার টাই ডেলিভারি দিতে ওভাবে কোটেশন ব্যবহার করেছি। তবে আপনার কথা যুক্তি যুক্ত। আমি এডিট করে নিচ্ছি। ধন্যবাদ দাদা😇
আপু আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। পোষ্টের ভিতর অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন, আসলেই এই জগতে আমরা কাউকে পুরোপুরি দিতে পারব না এবং কারো থেকে পুরোপুরি সাহায্য পেতে আশা করব না। কারণ এ জগত সবার জন্য একই ভাবে হয়ে থাকে না। আমরা কাউকেই পুরোপুরি খুশি করতে পারি না, কখনোই পারবোনা। কেউ আমাকেও পুরোপুরি খুশি করতে পারবে না। তার পরেও আমাদের সমাজ ব্যবস্থার কর্ম অনুসারে মেনে নিতে হবে এবং নিজেকে তৈরি করতে হবে,নিজের মতো করে। এবং ক্ষমা করতে শিখতে হবে। আপনি ঠিকই বলেছেন ক্ষমা পরম ধর্ম। ক্ষমা করতে শিখলে নিজের জীবনটা অনেক উন্নতি হবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুরো পোস্ট টি ধৈর্য্য ধরে পড়ে সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন। ভালো লাগলো।
যে দিদি উপরের লেখাটার সাথে আমিও একেবারে একমত। সত্যি দিদি আজকে যে পোস্টটি করেছেন দারুন ছিল প্রত্যেকটা কথাই একেবারে বাস্তব জীবনের সাথে মিল রেখেই আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন। আসলে আমাদের সকলের জীবনেই এই ঘটনাগুলো ঘটে থাকে আর আপনি যেটা বলেছেন আমাদের প্রত্যেককেই এক্সপেক্ট না করে একসেপ্ট করা উচিত। অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আমার বিশ্বাস যে কেউ এই পোস্টটি পড়বে এবং সে যদি সঠিকভাবে চিন্তা করে তাহলে অবশ্যই তার কাজে লাগাতে পারবে।
শেষের লাইনটা ঠিক বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিকই বলেছেন আপু জীবনের খারাপ সময়টাকে আমাদের মেনে নেওয়া উচিত ।কারণ খারাপ সময়টাই ভালো সময়ের পথ প্রদর্শন করে আমাদের। ভালো লাগলো আপনার গল্পটি পড়ে।