পাহেলগাম মিউজিয়াম ডেকোরেশন এর কিছু ছবি || ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
নমস্কার বন্ধুরা ।আশা করছি সকলের সুস্থ আছেন। বেশ অনেকদিন পর কাশ্মীর নিয়ে আবার একটা পোষ্ট করতে চলে এসেছি ।আপনাদের সাথে কিছু ছবি আমার শেয়ার করা হয়নি।
আমার পোস্ট যারা প্রতিনিয়ত পড়েন তারা হয়তো জানবেন আমি অক্টোবর মাসে কাশ্মীর গিয়েছিলাম। কাশ্মীর যাওয়া হয়েছিল আমার বাবার কাজের সূত্রে। প্রথমে বাবা কাশ্মীরের যান এবং তারপরে ওখানে গিয়ে বাবা যখন দেখেন বরফ পড়ছে , বাবা আমাদের ফ্লাইট এর টিকিট বুক করে দেন ,এবং তারপরে আমরা ওখানে পৌঁছে যাই।
মানুষের ভাগ্য বলে একটা কথা থাকে, আর এটা যেন সেদিনকে আমার বিশ্বাস হয়ে গিয়েছিল খুব ভালোভাবে। দুদিন আগেও ভাবতে পারিনি কাশ্মীর যাওয়া হবে ।আমি যদিও বাবার যাওয়ার আগে থেকেই জেদ করছিলাম ,কিন্তু এই যে এটা আসলেই বাস্তবে পরিণত হবে, তা আমি স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি। আর এই অনুভূতিগুলো আপনাদের সাথে আগেই শেয়ার করে ফেলেছি ।
সেখানে গিয়ে আমরা অনেক ঘোরাঘুরি করেছি, সেই ছবিগুলোও আপনাদের সাথে আমি সব শেয়ার করেছি। বাকি থেকে গিয়েছিল কিছু ছবি।বাবা যে মিউজিয়ামে কাজের ব্যাপারে ওখানে গিয়ে ছিলেন ,সে ব্যাপারে ও আমি কিছু পোস্ট করেছিলাম ।
আমার বাবার তৈরি কিছু মূর্তি পেহেলগাম অর্থাৎ কাশ্মীরের পেহেলগাম বলে একটি অঞ্চলের একটি গভর্মেন্ট মিউজিয়ামে বসেছে।মিউজিয়ামটি মাউন্টেনিয়ারিং মিউজিয়াম ,সেই মিউজিয়ামে সব মূর্তি আমার বাবার তৈরি , এখান থেকে সমস্ত মূর্তি গুলো তৈরী করে পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু সেট করার সময় আমার বাবাকে থাকতে হবেই । তাই সেই পারপাসে সরকার থেকে বাবা ওখানে উপস্থিত ছিলেন।
বাবার তৈরি মূর্তিগুলো যখন ওই মিউজিয়ামের একটা একটা করে সেট করে বসানো হচ্ছে ,সেই মুহূর্তে আমি ওখানে ছিলাম ।এবং কিছু ছবি আমি তুলেছিলাম। তার মধ্যে কিছু ছবি আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে শেয়ার করেছি। বাকি কিছু ছবি থেকে গিয়েছিল ।যেগুলো আজকে শেয়ার করছি বেশ অনেক দিন পর ।
আপনারা যদি চান আমার পুরনো পোষ্টগুলো একবার দেখে ঘুরে আসতে পারেন ।কাশ্মীর জায়গাটা নিয়ে আমি খুব ডিটেলসে অনেকগুলো পোস্ট করেছিলাম ।কাশ্মীর নিয়ে এই প্রত্যেকটা ছবি যা যা দেখছেন সবই মিউজিয়াম এর ভেতরে তোলা ।যে কটা মূর্তি দেখছেন পেটি দিয়ে প্যাকিং করে বাঁধা ,সেগুলো সবকিছুই বাবার তৈরি ।
বাকি যে মূর্তি গুলো রেডি হয়ে গেছে সেগুলো ও বাবার তৈরি ।এই মূর্তি গুলো তখন বসানো হচ্ছিল নির্দিষ্ট জায়গায়।বাবা শুধু ফিগার তৈরি করে দিয়েছেন, এদের কে নাচারাল পোশাক পড়ানো হচ্ছিল তাই। সবুজ রঙের জ্যাকেট পড়ছে যে মূর্তি টি একদম অরিজিনাল লাগছে আমার কাছে।
এভাবে মিউজিয়াম সাজাতে দেখতে সত্যিই ভালো লাগছিল আমার । আমি কাশ্মীর এর আমার ঘোরাঘুরি থেকে শুরু করে সবকিছু নিয়েই অনেক অনেক পোস্ট করেছি, তাহলে এই কিছু ছবি বাকি রাখতে যাব কেন, তাই জন্যই আপনাদের সাথে শেয়ার করে ফেললাম। অনেকটা দেরি হয়ে গেল। তবুও বেশ ভালই লাগলো শেয়ার করতে গিয়ে যখন এই ছবিগুলো বের করে দেখছিলাম। মূর্তিগুলো সত্যিই অসাধারণ তৈরি হয়েছে ।
আপনাদেরও আশা করছি ভাল লাগবে এই পোস্ট । সকলের মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম। সকলে ভাল থাকুন ।সুস্থ থাকুন। নমস্কার।
@isha.ish
ওয়াও,,মনে হচ্ছে কাকু একজন দক্ষ এবং সেই সাথে গুণী শিল্পী ও বটে।আর আমি তো ওই হলুদ শার্ট পরা মূর্তি টিকে প্রথমে মানুষ ভেবে বসে ছিলাম🤪পোস্ট টি না। পড়লে জানতাম এই না😍
হাহাহা,আমিও তাই ভেবেছিলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আবার অনেকদিন পর পেয়ে গেলাম!
আপনার বাবার কাজ গুলো আমার অনেক প্রিয়।এতো নিখুঁত হাতের কাজ।
অনেক ধন্যবাদ দিদি।
পাহেলগাম মিউজিয়াম ডেকোরেশন এর কিছু ছবিগুলি অনেক সুন্দর ছিলো। আর আপনার পোস্ট গুলো প্রায় প্রায় পরে থাকি এবং কাশ্মীরে যাওয়ার পোস্টটিও পরেছিলাম। কাশ্মীর মানেই এক অন্যরকম ভালো লাগা। আমার খুব ইচ্ছে জীবনে একবার হলেও কাশ্মীরে যাওয়ার। আপনার বাবার হাতের কাজগুলো দেখছি অনেক ভালো এবং নিখুঁত। সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল দিদি🥰🥰
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন।
এটা শুনে খুবই ভালো লাগলো দিদি আপনার বাবার তৈরিকৃত মূর্তিগুলো একটি মিউজিয়ামে শোভা পাচ্ছে । আপনার কাশ্মীরের আগের এপিসোডগুলো পড়েছিলাম অনেক ভাল ছিল দিদি ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মিউজিয়ামটি বেশ ঘোরাঘুরি করলাম দেখলাম। মিউজিয়ামে ঘুরতে খুবই ভালো লাগে কারণ মিউজিয়ামে অনেক কিছু দেখতে পাওয়া যায়। বিশেষ করে মূর্তিগুলো আপনার বাবার তৈরি জেনে অবাক হলাম। আপনার বাবা এত সুন্দর কারু কাজ করতে পারে জানা ছিলনা। আবার আপনার বাবার তৈরি মূর্তি গুলো মিউজিয়ামে রেখেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। সব মিলিয়ে পোস্টটা অনেক বেশি উপভোগ করলাম।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে,ভালো থাকুন।