কাশ্মীর থেকে যা যা শপিং করেছি || পার্ট- ১ ||১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
নমস্কার বন্ধুরা ।আশা করছি সকলের সুস্থ আছেন ।বেশ অনেকদিন হলো ।আমি পুজো নিয়ে পোস্ট লিখছিলাম। চলুন আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করি নতুন কিছু। আমি বেশ অনেকদিন আগে বলেছিলাম যে, কাশ্মীর থেকে আমি যা যা শপিং করেছি, সেই নিয়ে একটা পোস্ট লিখব। তো চলে এসেছি আজকে সে সব জিনিস নিয়ে ।
প্রথম কথা আমরা ছিলাম কাশ্মীরের পেহেলগামে। আমাদের হোটেলের সামনে যে রাস্তা। তার দুই পাশ ধরে পরপর অনেকগুলো দোকান ছিল ।এক একটা এক এক ধরনের দোকান ।জামা কাপড়ের দোকান থেকে শুরু করে জুতোর দোকান ,এছাড়াও ছিল টুকিটাকি উপহার দেওয়ার মতো দোকান ,সাথে ছিল জুয়েলারি দোকান, আর মাঝে মাঝে ছিল কিছু রেস্টুরেন্ট আর খাবারের জিনিসের দোকান।
হোটেল থেকে নেমেই বাঁদিকের রাস্তা ধরে আমরা কখনো যাইনি ।ওই রাস্তায় যাওয়া নাকি বারণ ।কেন বারণ তা নিয়ে আমি কোন প্রশ্ন করিনি কারোর কাছে ।তবে ডান দিক থেকেই ওই মার্কেট শুরু হয়, আমি কাশ্মীর থাকা অবস্থায় তিনদিন মার্কেটে বেরিয়েছি। তারমধ্যে যা যা কিনেছি, আমি আপনাদের সকলের সাথে সেটাই শেয়ার করছি।
১.
প্রথমেই দেখাই একটি দুর্দান্ত শাল। যেটি আমার অতিরিক্ত পছন্দ হয়েছে বলতে পারেন ।ওখানে জিনিসের দাম আমি খুব একটা কম দেখলাম না। এই শাল গুলির দাম এখানে অনেক বেশি জানি। তবে কাশ্মীরে সে তুলনায় যতটা কম হওয়া উচিত ছিল ,ততটা কম ছিলনা ।এই শালটির দাম ভারতীয় টাকাতে সাড়ে চার হাজার টাকা দোকানদার বলেছিলেন ।দাম দর করে আমরা ৩৯০০ টাকায় কিনেছি। আমরা প্রথম দিনই এই দোকানে গিয়েছিলাম। এই দোকানের কালেকশান দারুন ছিল।
২.
ওই দোকান থেকেই আমি আরো অনেকগুলো জিনিস কিনেছি। তার মধ্যে এই বাম হাতের নেভি ব্লু কালারের সোয়েটার (নিক ঢাকা ) কিনেছিলাম, আর দাম মাত্র নিয়েছিল ৭০০ টাকা। সোয়েটার টি এতই সুন্দর এবং কাপড়ের কোয়ালিটি খুবই ভালো। হাত দিয়ে পাতলা মনে হলেও , ভীষণ গরম দেয়।
সাথে দেখুন ডানদিকে আমি একটি কালো রঙের জ্যাকেট পড়ে আছি। সেটিও আমি ওই দোকান থেকে কিনেছিলাম। অনেক বার্গেনিং করতে হয় ওইসব জায়গায় গিয়ে। কারণ ওরা টুরিস্ট দেখে প্রচুর প্রচুর দাম চাপায় ।তার মধ্যে এই দু বছরে ভাইরাসের কারণে সেরকম টুরিস্ট ওনারা পায়নি ,তাই দাম দ্বিগুণ বলছিল ।তাও আমরা অনেকক্ষণ ধরে বার্গেনিং করে তারপরে এই জিনিসগুলো হাতায় করেছি বলতে পারেন।
তো এই কালো রংয়ের জ্যাকেটটি ভীষণ সুন্দর এবং এরকম জ্যাকেট আমাদের এখানে কিনতে গেলে দুই হাজারের ওপর দাম হয়ে যাবে কিন্তু সে জায়গায় ওখানে আমরা মাত্র ১০০০ টাকায় এই জ্যাকেটটি পেয়ে গেছি।
৩.
এই সুন্দর গলার হার টি আমার দারুন লেগেছে বলতে পারেন। আমি জুয়েলারি বলতে ওখান থেকে এই একটিমাত্র জিনিস কিনেছি । এটি জার্মান সিলভারের ।আর খুবই সুন্দর দেখতে আপনারা বুঝতেই পারছেন ।এটা আবার ভেতরে অনেকটা ফাঁকা জায়গা রয়েছে। আপনি চাইলে এর মধ্যে, বিশেষ করে মেয়েদের পক্ষে এটা খুবই মনে হয় হেল্প ফুল ।এখানে চাইলে মেয়েরা সেফটিপিন, ক্লিপ ,আবার কোন বাচ্চা চাইলে চকলেটও রেখে দিতে পারে ।😜এতটাই এর মধ্যে জায়গা রয়েছে। আমার খুবই ভালো লেগেছে ।আর আমার মন মনে হয় শাড়ির সাথে এটি খুবই মানাবে।
৪.
এরপরে এই যে শাল টি আপনি দেখতে পাচ্ছেন তার কাপড়ের কোয়ালিটি এত সুন্দর যে ,আপনারা হাত না দিলে বুঝতে পারবেন না । দাম নিয়েছে ১১০০ টাকা। এরকমই দেখতে আর একটি হলুদ রঙের শাল মা কিনেছে। ওটার দাম নিয়েছে ৯০০ টাকা।
৫.
এই যে এত সুন্দর বাক্সটি দেখতে পাচ্ছেন ,এটি কিন্তু পুরোপুরি আখরোট কাঠের তৈরি ।আপনারা চাইলেই এটা ধোয়ামোছা করতে পারবেন। এটির দাম ছিল সাড়ে ৪৫০ টাকা ।কিন্তু অনেকক্ষণ ধরে দাম দর করার পর এটা আমাকে মাত্র ৩২০ টাকায় দোকানদার দিয়ে দিয়েছেন।
৬.
এই সুন্দর কাশ্মীরি কানির কাজ করা কুর্তি বেশ গরম দেয় আর আমার খুবই পছন্দ হয়েছে কুর্তি ।এটি জাম কালার বলতে পারেন ।আর এটা মাত্র ৬০০ টাকা নিয়েছে কাশ্মীরে। এরকম জিনিস এখানে পাওয়া দুর্বিষহ।
৭.
যেহেতু এয়ারপোর্টে লাগেজ এর ভার অতিরিক্ত হয়ে গেলে এক্সট্রা চার্জ হবে ।তাই জন্য আমরা সবার জন্য ভারী কিছু নিয়ে আসতে পারিনি ।মা নিজের আশেপাশের এবং আমাদের আত্মীয় স্বজন অর্থাৎ কাকিমা জেঠিমা দের জন্য আখরোট কাঠের তৈরি এই সিঁদুরের কৌটা গুলি কিনেছেন ।
দুর্দান্ত এই কৌটো ধোয়া যাবে, আর আমার খুবই পছন্দ হয়েছে ।এর দাম ওনারা ৭০ টাকা করে বলছিলেন ,কিন্তু অনেক দাম দর করার পর ৫৫ টাকা করে এগুলো কেনা হয়েছে।
এই ভাবেই আমি আরেকদিন পার্ট টু পোস্ট করব ।যেহেতু অনেক কিছু কিনে ফেলেছি তাই একটা পোষ্টের মাধ্যমে বলতে পারলাম না। আশা করছি সমস্ত জিনিস গুলো আপনাদের ভাল লেগেছে আর আপনারা বুঝতেই পারছেন ওখানে গেলে আপনাদের কতটা দাম-দর করে জিনিস কিনতে হবে।
ভালো থাকুন সকলে। নমস্কার।
@isha.ish
সবকিছুর মধ্যে আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে কুর্তিটি। জাস্ট অস্থির হয়েছে আপু। আর মেয়ে বলেই হয়তো সব বাদ দিয়ে ওই কুর্তিতেই চোখটা আটকে গেলো আমার। এটাই ধর্ম। কি বলেন আপু। 🤪
আর বেশি ভালো লেগেছে ওই জুয়েলারিটা। খুব দারুণ হয়েছে ওইটা।
হ্যাঁ, আমারো অনেক পছন্দের ওই কুর্তি। অমন এদিকে পাওয়াই যাবে না।
অনেক ধন্যবাদ দিদি,এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
আপনি যে প্রথম কাশ্মীরি শাল টা পছন্দ করেছেন দামটা আপনার কাছে বেশি হোক কিংবা কম হোক সালটির ডিজাইন খুবই সুন্দর। এবং কি ও অনেক ভাল সেটা দেখে বোঝা যাচ্ছে। বলতে হবে আপনার চয়েজ আছে। আপনার কানিজটি বেশ দারুন লাগছিল। আপনি কাছে সোয়েটারটা নিয়েছিলেন সেটিও দারুন ছিল। আমি বলব কাশ্মীরে আপনার কেনাকাটা দিনটা অন্যরকম ছিল। আপনার ফটোকপি গুলা সেই হয়েছে। মনে হচ্ছে যেন নায়িকা ভূমিকা চাওলা কোথাও দাঁড়িয়ে আছে। আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অনেক ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য ।হ্যাঁ দাদা সত্যিই সব কটি জিনিস আমার অত্যন্ত পছন্দের হয়েছে। ভালো থাকুন।