বই মেলার গল্প || ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন।আমিও ভালো আছি। আজ আবারও আমি চলে এসেছি গল্প করতে। গল্প হল বই মেলার গল্প।একেবারেই নতুন একটা অভিজ্ঞতা ,যেহেতু আমি কলকাতার বই মেলা দেখিনি আগে।
রবিবার ছিল দিন টা, বাড়ি থেকে সকাল ৯.৫০ এর ট্রেন ধরে রওনা হলাম । আমি ছুটিতে বাড়ি এসেছিলাম, যাইহোক মেস বাড়ীতে ঢুকতে ঢুকতে ১২ টা পার হয়ে গেল।তারপর ফ্রেশ হয়ে একটু রেস্ট নিলাম। ভাবিনি যে বই মেলা যাবই। হ্যাঁ, আমার বন্ধু তারিক আর আমার পাশের রুমের দিদি শরিফা দির সাথে আমার প্ল্যান করা ছিল যাব বলে। কিন্তু মেস বাড়ি এসে দেখি দিদির শরীর টা খারাপ আছে। এবারে ওই গরম রোদে দিদি কে নিয়ে বেরোনো সমস্যা।
তাই প্ল্যান একটু চেঞ্জ হল আর আমরা একটু দেরি করে বেরোলাম। আমরা বেরোতে বেরোতে ৩ টে বেজে গেল। আমি আর শরিফা দি রেডি হলাম। আমার বন্ধু যেহেতু সিঁথির মোড়ে থাকে। ওখানে চলে গেলাম। তারপর তিন জন মিলে আমরা রওনা হলাম দমদম স্টেশনের দিকে। দমদমে খুব ভিড় ছিল।যেতে হবে বিধান নগর।
বিধান নগর এর জন্য দমদম এ গিয়ে টিকিট কাটলাম। এদিকে প্লাটফর্মে ট্রেন এ উঠবো, কিন্তু ভিড়ের চোটে আমি আর শরিফা দি ট্রেন এ উঠতে পারলাম না কিন্তু ওদিকে তারিক উঠে গেল। ট্রেন ছেড়ে দিল। আমরা আবার দুই মিনিট পরে আরেকটা ট্রেন আসল, সেটাই উঠে পড়লাম। পরের স্টেশন বিধান নগর তাই বেশি দেরি হল না। তারপর তিন জন এক জায়গায় হয়ে গেলাম।আর অটো ধরলাম সেন্ট্রাল পার্ক যাবো বলে ।
তারপর অটোতে আরো কিছুটা সময় গেল। পৌঁছে গেলাম তারপর। গিয়েই দেখি বেশ বড় সরো জায়গা h
জুড়ে মেলা বসেছে। অনেক গুলো গেট । আমি তিন নম্বর গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুললাম একটু ঢং করে। আর তারপর বাকি দুজন ও তুললো। হেহে, ছবি ছাড়া জীবন বৃথা।
তারপর প্রবেশ করলাম। এত এত লোক যেহেতু সেদিন ছিল মেলার শেষ দিন। তাই লোক অনেক ছিল। আমরা ঢুকে গেলাম আর আমার চোখে সব ধোঁয়া হয়ে ভাসছিল। এত এত বই।আমাদের কৃষ্ণনগরেও মাঠ জুড়ে বই মেলা হয়। কিন্তু তাই বলে এত বড় নয়। এত বিরাট মেলা যে বলে বোঝাবার নয়।
আমি এত বই একসাথে কখনও দেখিনি , চারিদিকে কত কবি সাহিত্যিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। এত এত লোকের মাঝে করোনা শুধু ছিল না। হেহে। বাকী সব ছিল। এটা ওটা বই দেখতে থাকলাম। সব স্টল এ যাওয়া সম্ভব হয়নি। কারণে কিছু বিখ্যাত স্টল এর সামনে এত বড় লাইন ছিল যে, বলার ভাষা নেই । তাই আমরা ঢুকতে পারিনি।
পুরো মেলা টা হেঁটে ঘুরতে গিয়ে এত পায়ে ব্যাথা করছিল।কিন্তু তবু হাঁটছিলাম। ছবি ও তুলছিলাম।আর তারপর কিছু বই কিনলাম। এক এক টা দোকান থেকে এক এক টা।তারপর একজায়গায় বাউল গান হচ্ছিল সেটা শুনছিলাম। কিন্তু আশ্চর্য জনক ভাবে গানের স্টেজ এর সামনে একটা কুকুর আরামে ঘুমোচ্ছিল।
যেটা দেখে আমার সব থেকে বেশি মজা লেগেছে। এত এত আওয়াজ এত ভিতর এমন কে ঘুমোতে পারে, আমাদেরও এরকম হওয়া দরকার কিছু ক্ষেত্রে ।যাইহোক বই কেনা হলো ।আমরা তিন জন বই কিনে তারপর খাওয়া দাওয়ার জায়গায় গেলাম।
ফ্রাইড রাইস,ছিল চিকেন খেলাম আরও এটা সেটা।সব মিলিয়ে বেশ মজা হল। আমাদের ফিরতে ফিরতে রাত হলো। আমার বাড়ির সামনে বড় ঝিল রয়েছে, সেই ঝিলের পাশে সান বাঁধানো জায়গায় বসে বেশ অনেকক্ষণ ধরে হাওয়া খাচ্ছিলাম। কোল্ড ড্রিংকস খাচ্ছিলাম।
খুব ভালো একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে সেদিন। কখনও মুহুর্ত গুলো কে ভোলা যাবেনা।আশা করছি আমরা ছবি গুলো দেখে আপনারা সবাই সব ব্যাপারটা বুঝতে পারছেন।
ছবি গুলো দেখতে থাকুন।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। কেমন লাগলো অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। নমস্কার।
@isha.ish
আপনার পোস্টটি দেখে খুবই ভালো লাগলো।আপনি বইমেলা খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। বইমেলার আলোকচিত্রগুলো খুবই অসাধারণ হয়েছে। আপনি বইমেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেছেন। এবং অনেক কিছু উপভোগ করেছেন। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে , খুব ভালো লাগলো জেনে যে আপনি এত সুন্দর করে সব টা পড়েছেন।
বই মেলায় যাবার এত ইচ্ছা ছিল আমার, কিন্তু ভাগ্যের রোষানলে পড়ে আর যাওয়া হলনা। বলতে গেলে এই দিক থেকে আপনার বছরটা সার্থক! বই কেনা, খাওয়া দাওয়া আর এত জার্নি করে মেসে গিয়ে আবার আরো একটা জার্নি করে বইমেলায় যাওয়া! আমার জন্য একদিনে এটা অসম্ভব; তবে হয়ত বইয়ের প্রতি অনেক ভালবাসাই আপনাকে এই কাজ নির্দ্বিধায় করতে উৎসাহিত করেছে। দিনটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দিদি আর বইগুলোর কিন্তু রিভিউ চাই!
একদম ঠিক বলেছেন। আসলেই বই এর প্রতি টান হলেই এমন হয় গো।অনেক ধন্যবাদ।
এর আগে দাদা এবং বৌদি এবং আরও কয়েকজনকে দেখেছিলাম কলকাতা বইমেলা নিয়ে পোস্ট করতে। আপনাদের একটা জিনিস আমার ভালো লাগে। আপনারা কোথাও যেতে ট্রেন এর ব্যবহার অনেক বেশি করে থাকেন। বইমেলা প্রাঙ্গণ টা অনেক সুন্দর। চারিদিকে যেন জ্ঞানের ছড়াছড়ি। শুধু বই না খাওয়া দাওয়া অন্যান্য বিনোদনেরও বেশ ভালো ব্যবস্থা ছিল দেখছি। অনেক ভালো লিখেছেন দিদি।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।খুব সুন্দর করে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য।ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।