DIY- এসো নিজে করি ||গোপাল ঠাকুরের জামা তৈরী || ১০%বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন।আজ আমি DIY ইভেন্ট এর জন্য শেয়ার করতে চলেছি -
কিভাবে খুব সহজে গোপাল ঠাকুরের জামা তৈরী করবেন সেই পদ্ধতি
গোপাল ঠাকুরের জামা রাস্তাঘাটে বাজারে প্রচুর কিনতে পাওয়া যায় ।কিন্তু যদি আপনি খুব সহজেই অল্প কিছু সামগ্রী দিয়ে সুন্দর একটি জামা তৈরি করা শিখে ফেলেন ,তাহলে কি নিজের বাড়ির গোপাল ঠাকুর এর জন্য জামা কিনতে দোকানে যাওয়ার দরকার পড়বে !???তাই আমি যেভাবে পোস্টটিতে ধাপে ধাপে জামা তৈরি করা শেখাচ্ছি ,একটু ভালো করে লক্ষ্য করুন। একবার শিখে ফেললেই মনে হবে কত সহজ।
প্রথম ধাপ
প্রথমেই নিয়ে নিন আপনার পছন্দ মত রঙের কাপড় ।দেখুন আমি একটু পিচ্ছিল গোলাপি রঙের কাপড় ব্যবহার করেছি। আর আমাদের বাড়ির গোপাল ঠাকুর টা যেহেতু খুবই ছোট ।তাই আমি একদমই ছোট জামা তৈরি করতে চলেছি ।প্রথমেই গোপাল ঠাকুরের নিচের ঘের এর অংশ তৈরি করতে হবে ।তাই ওই বড় কাপড় থেকে কাঁচি দিয়ে একটা লম্বা ,গোপাল ঠাকুরের মাপ অনুযায়ী কাপড় কেটে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
যেহেতু কাপড়টা পিচ্ছিল তাই কাপড় থেকে সুতো বেরিয়ে যেতে পারে, তাই জন্য আমি একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে, কাপড়ের দুই পাশের অংশ একটু হালকা আঁচ দিয়ে নেব।
তৃতীয় ধাপ
এইবার আমি নিয়ে নিয়েছি একটা আঠা- ডেনড্রাইিট, এই আটাতে সাধারণত খুব ভালো কাজ হয়। পরবর্তীতে এই জামা কাটতে হলেও আঠা উঠে যাবে না। আমি এখানে আমার পছন্দ মত জামা তৈরি করার জন্য আরেকটি গোলাপি রঙের লেস ঠিক ঐ কাপড়ের মাপ অনুযায়ী কেটে নিয়েছি। তারপরেই আঠার সাহায্যে পিচ্ছিল কাপড়ের ওপর লেসটা বসিয়ে দেব ।আপনারা চাইলে সেলাই করেও দিতে পারেন।
চতুর্থ ধাপ
এবার কাপড় টিকে ঘেরের মত আকৃতি দিতে, দেখুন আমি কিভাবে সূঁচ এবং সুতোর সাহায্যে আস্তে আস্তে কাপড়ের ডানদিকের অংশগুলোতে কুচি দিতে দিতে সেলাই করে যাচ্ছি। আমি হয়তো মুখে ভালো বোঝাতে পারছি না ।আপনারা ছবির দিকে ভালভাবে নজর দিন। আমি কিভাবে কাজটা করেছি তাহলে বুঝতে পারবেন।
পঞ্চম ধাপ
ঠিক এই ভাবেই কুচি দিতে দিতে সেলাই করে একটা গোল আকৃতি তৈরি হবে। তারপরে বাকি কাপড়টিকে আমরা কেটে ফেলবো ।
কিন্তু একটা জিনিস মাথায় রাখবেন ।কাপড় টির কুচি দিতে দিতে সেলাই করে ,কাপড় এর দুই ভাগ যেন সেলাই করে ফেলবেন না। কারণ জামাটা ঠাকুরের গায়ে পড়াতে হলে ওই দুটো পার্ট ফাঁকা রাখতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপ
আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমি এখানে একটা গোলাপী রঙের রিভন নিয়ে নিয়েছি। এবারে গোপাল ঠাকুরের সাইজ অনুযায়ী জীবন টাকে কেটে নিয়ে ইংরেজি অক্ষর "ভি "এর আকৃতি দেব। তারপর ওই ভি এর নিচের অংশ ঘেরের মাঝখানের ফাঁকা জায়গা দিয়ে ঢুকিয়ে ঘের টির সাথে সেলাই করে নেব।
এবং ভি এর খোলা দুই প্রান্ত ঘেরের দুই দিকের সাথে আটা দিয়ে অথবা সেলাই করে আটকে দেব।
সপ্তম ধাপ
জামাটি তৈরি হয়ে গেছে। জামাটি কে আরো সুন্দর করতে আমি এখানে পাথর বসানো একটি ট্রেন কে দু টুকরো করে কেটে দুই হাতা তে আঠা দিয়ে বসিয়ে দিচ্ছি। সাথেই আমার কাছে দুটো আর্টিফিশিয়াল সাদা রংয়ের ও বেগুনি রংয়ের গোলাপ ফুল ছিল সেটা কেউ যে আমার সাথে আঠা দিয়ে আটকে নিচ্ছি।
ব্যাস এই ভাবেই খুব সহজেই তৈরি হয়ে গেল আমাদের বাড়ির ছোট লাড্ডু গোপাল ঠাকুরের সুন্দর জামা।
বন্ধুরা আশা করছি আমার আজকের পোস্ট আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে ।আপনাদের মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম। আমার পোস্টটি পড়ে কোন অসুবিধা বা প্রশ্ন থাকলে আপনার অবশ্যই বলতে পারেন।
নমস্কার।
@isha.ish
বাহ্! অনেক সুন্দর হয়েছে বিষয়টা। গোপাল ঠাকুরের জামা আপনি সুন্দর পদ্ধতিতে তৈরি করেছেন। গোপাল ঠাকুরকে বেশ সুন্দর লাগছে।
হ্যাঁ দাদা, খুবি কিউট লাগছে ওকে, অনেক ধন্যবাদ দাদা।ভালো থাকুন।
গোপাল ঠাকুরের জামা তৈরী অনেক সুন্দর ভাবে করেছেন। আপনার চিন্তাধারা অসাধারণ অনেক দক্ষতা খাঁটিয়ে এত সুন্দর একটি জিনিস আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে পরিবেশন করেছেন। পরিবেশন করার পর্যায়টি ভাষাটি খুবই সাবলীল ছিল যা আমাদের বুঝতে সক্ষম হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।ভালো থাকুন
কাপড়টি খুব কিউট হয়েছে আপু।দেখেই মনে হচ্ছে খুব ছোট্ট খাট্টো একটা জামা যা দেখেই ইচ্ছে করছে হাতে নিয়ে একটু আদর করে হাত বুলিয়ে দি। সেই সাথে কাপড়টির কালার ও অনেক বেশি সুন্দর।
ঠিক বলেছেন দিদি,অনেক ধন্যবাদ আপনাকে উৎসাহিত করার জন্য।
আপু আপনার প্রতিভার জন্য প্রশংসা করার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা। তবে আপু আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে গোপাল ঠাকুরের জামা তৈরীর প্রক্রিয়া গুলো দেখে। আপনার জন্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন অবিরাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।ভালো থাকুন।
গোপাল ঠাকুরের জামা তৈরী করেছেন অনেক সুন্দর হয়েছে। তবে জামার কাপড় টি অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য শুভকামনা রইলো দিদি
অনেক ধন্যবাদ দাদা আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন।
বাহ্ আপু সত্যি খুব সুন্দর করেছেন। বলতে গেলে অসাধারণ ভাবে আপনি হাতের কাজটি করেছেন। সত্যি অনেক ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
অনেক সুন্দর হয়েছে।এক কথায় অসাধারণ দিদি।অনেক সুন্দর আপনার হাতের কাজ। আমি একদিন তৈরি করবো আমার গোপালের জন্য জামা আপনার বানানো দেখে। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
অবশ্যই চেষ্টা করুন বৌদি।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন
অসম্ভব সুন্দর হয়েছে, চমৎকার নৈপূণ্য দেখিয়েছেন আপনি আপু। সবচেয়ে বেশী ভালো লেগেছে আপনার সুন্দর উপস্থাপনা, যা দেখে দেখে যে কেউ বানাতে সক্ষম হবে। অনেক অনেক শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
দাদা, প্রতিবারের মতো এবারও আপনার সুন্দর মন্তব্য আমাকে অনুপ্রেরণা যোগালো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।