মধুমিতা কে সারপ্রাইজ দেওয়ার গল্প || ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। আমার কথা আর কি বলি, এই প্রথম বার, কালকে আমি পোস্ট করিনি । আমার আজ অব্দি শত কাজ এর চাপ থাক, অবস্থা খারাপ থাক। আমি পোষ্ট করেছি যে করেই হোক। কাল আমি এমন ফ্যাসাদে পড়ে গিয়েছিলাম যে ,পোস্ট করার সময় পার হয়ে গেছে।
আমি ভীষণই দুঃখিত এই ব্যাপারে, কিন্তু দুঃখ পেয়ে লাভ কি,সে সময় তো আর ফিরে পাবনা। একদিন এমন হতেই পারে। তবে আবার যেন না হয় সেটাই খেয়াল রাখার। কারণ আমার দিন আপনাদের ছাড়া অসম্পূর্ণ।
তাহলে বন্ধুরা, আজকে আমি শেয়ার করছি কিছু খুশির মুহুর্ত।
আমার ছোট্ট বেলার বান্ধবীর জন্মদিনের এক ঝলক।
মধুমিতার জন্মদিন ছিল আগের শনিবার, আমি বাড়িতে এসছিলাম শুক্রবারে। তো আসার পড়েই আমি এবং আমাদের ছোটো বেলাকার বান্ধবীদের যে গ্রুপ আছে অর্থাৎ পর্ণবি , অহনা, অনামিকা র সাথে কথা বললাম ফোনে। মধুমিতা যে বাড়ি এসছে।তার খোঁজ আমি আগেই জোগাড় করেছি। অনামিকা বাড়ি আসতে পারেনি। তাই ও বাদ চলে গেল।
আমি , অহনা আর পর্নবি মিলে প্ল্যান করলাম মধুমিতা কে সারপ্রাইজ দেওয়ার।সকাল বেলা তে মুখেই উইশ করেছি সবাই। আসলে যে যার লাইফে এখন খুব ব্যস্ত। যেটুকু সময় পায়, বাড়িতে আসে, রেস্ট করে আবার ইউনিভারসিটি দৌড় দেয়।
তাই আমাদের গেট টুগেদার সেরকম হয়ে ওঠেনা। এক জনের ছুটি তো আরেকজনের নেই।এই জন্য সমস্যা দাঁড়ায়।এভাবে অনেক বছর হল আমরা এক জায়গায় এভাবে জন্মদিন সেলিব্রেট করিনি। তাই এবারে যখন হাতে সুযোগ আছে। ব্যবহার করে ফেললাম।
প্ল্যান মাফিক আমি ওর জন্য পায়েস রান্না করলাম সুন্দর করে। সব থেকে প্যাথেটিক ব্যাপার, ওর মা অর্থাৎ কাকিমার আগের বছর পুজোর সময় হটাৎ স্ট্রোক করলো, তারপর হুট করে মানুষ টা আর নেই। ছয় দিন নার্সিংহোম এ ছিল। তারপর সব শেষ।
ছোটো থেকে আমার বাড়িতে ওর যাওয়া আসা। আর আমারও ওদের বাড়িতে যাওয়া আসা। কাকিমার আদর অনেক পেয়েছি। হটাৎ এই রকম ঘটনা আমাদের থমকে দিয়েছিল। পাশে থেকেছি ।মা হারানোর যন্ত্রণা স্ব চক্ষে দেখেছি। কাকুর কষ্ট দেখেছি। সেগুলো বলার মত নয়।
যাক গে। ওকে খুশি করতেই, যেহেতু কাকিমা নেই , তাই আমি পায়েস করেছিলাম ওর জন্য।আর প্ল্যান মাফিক পর্নবী আর অহনা কেক আর অনেক চকলেট একটা পার্স কিনলো।সাথে আমি আরও আমার গাছ থেকে দুটো ফুল তুলে নিলাম।
তারপর একসাথে সবাই মিলে যাওয়া হলো ওর বাড়ি। ও দরজা খুলতেই চমকে গেল। সবাই সবাইকে অনেক আদর করলাম। এত দিন পর দেখা হলে যা হয়। তারপর আমরা তিন জন মিলে সব গুছিয়ে নিলাম।মধু আসল।প্রথমে ওকে পায়েস খাওয়ালাম। ও খেয়ে খুব খুশি, আমাকে বললো যে ও এত ভালো খেতে পায়েস আগে কখনও খাইনি।
ওর যে ভালো লেগেছে, আমিও খুশি হলাম। তারপর কেক কাটা হলো।জন্মদিন সেলিব্রেট হলো। ওর বাড়িতে ওর পিসতুতো দাদা দিদি আর বাবা ছিল, ওরাও আমাদের সাথেই ছিল জন্মদিন সেলিব্রেট করার সময়।
বেশ অনেকদিন পর দেখা হওয়ায় হাজার ধরনের গল্প শুরু হলো। গল্পের ঝুলি খুলে গেল। গিয়াছিলাম বিকেল ৫ টায়, ফিরলাম ৯ টায়। সেলিব্রেট করার পর মধুমিতা যেহেতু তৈরি ছিল না ,ও কেমন যেন শুরু করে দিলো ।ও রেডি হয়ে বাইরে যাওয়ার ধান্দা নিল ।ও আর দাদা মিলে বাইরে বেরিয়ে গেল আমরা শত বারণ করা সত্ত্বেও শুনলো না।
১০ মিনিট পরে খাবার দাওয়ার নিয়ে এলো। খেতে খেতে অনেক গল্প হল। সব মিলিয়ে এতদিন পর সব বান্ধবীরা এক জায়গায় হয়েছিলাম, একেবারেই একটা অন্যরকম সময় কাটলো সেদিন। আমি জানি ওর জীবনে যা হারিয়ে গেছে, সেটা কোনভাবেই পূর্ণতা আর পাবে না। তবুও ভগবানের কাছে এটাই কামনা ও ভালো থাকুক। সুস্থ থাকুক এবং ওর মুখের হাসিটা বজায় থাকুক। আমরা সবাই ওকে অনেক ভালবাসি। নিজের ছোট বোনের চোখে দেখি ।ওর ভালো হোক।
আশা করছি বন্ধুরা আমার আজকের পোষ্ট আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে। সকলের মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম ।সকলে সুস্থ থাকুন এবং ভাল থাকুন। নমস্কার।
@isha.ish
আপনার বান্ধবীর জন্মদিনের প্রতিটি মুহূর্ত ছিল আনন্দময় এবং খুব সুন্দর। এছাড়া জন্মদিনের উপলক্ষে আপনি আপনার ছোটবেলার বান্ধবীদের সাথে একসাথে দেখা করতে পেরেছেন। সব মিলিয়ে আপনার দিনটি ভালই কেটেছিল। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সত্যিই অনেক দিন পরে পুরনো সব বন্ধুরা একসাথে আনন্দ করেছিলাম। অনেক ধন্যবাদ দাদা।
প্রথমেই আপনার বান্ধুবিকে জানাচ্ছি জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। সারপ্রাইজ দেয়াটা সবার কাছেই ভালো লাগে। সারপ্রাইজ এর প্ল্যান করার মধ্যেও একটা আলাদা মজা আছে। আপনার বান্ধুবির সাথে আপনাদের খুব ভালো সময় কেটেছে তা দেখেই আন্দাজ করতে পারছি। সবাই মিলে এভাবেই হাসি খুশি থাকবেন সব সময়। দোয়া ও ভালোবাসা রইলো আপনাদের জন্য।
একদম মনের কথা বলেছেন দাদা, এই সারপ্রাইজ প্ল্যানিং করতে বেশ মজা লেগেছে আমার। অনেক ধন্যবাদ দাদা।
আপু "আমার বাংলা ব্লগ" কম্মুনিটির মেম্বারদের প্রতি আপনার ভালোবাসা দেখে মনটা ভরে গেল। একদিন পোস্ট করতে পারেন নি,এজন্যই আফসোস করছেন। আর আমরা তো মাঝে মাঝেই পোস্ট করা বাদ দিই। আপনারা আপনাদের বান্ধবীর জন্মদিনে সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।আপনার বান্ধবী আপনাদের দেখে সত্যিই অবাক হয়ে গিয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে জন্মদিনের সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করি সব সময় এই পরিবারের সাথে থাকার জন্য। আমার কাছে ভালোবাসা এবং ভালো থাকার আরেক নাম আমার বাংলা ব্লগ। অনেক ধন্যবাদ দাদা।
ভালো লাগলো আপু,আসলে বন্ধু মানেই একে অপরের খোজ খবর নেওয়া।খাবার লাগলো আপনার বান্ধুবীর মা নেই। যাই হোক সারপ্রাইজ টা কিন্তুু ভালো ছিলো।আমারো ভালো লাগে সারপ্রাইজ দিতে।ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
যতটা পারি সবাই মিলে মধুকে আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করেছি দিদি। অনেক ভালো থাকবেন।
আপনার বান্ধবী কে কে সারপ্রাইজ দেওয়ার গল্পটি আমার ভীষণ ভালো লাগলো দিদি। আসলে বন্ধুবান্ধব জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাদের সাথে কাটানো প্রত্যেকটি মুহুর্ত অনেক মজার হয়ে থাকে। আর ছোট বেলার বন্ধুরাই হয় প্রকৃত হয়। আপনাদের মধ্যকার সম্পর্ক যেন সারাজীবন এরকমই থাকে। শুভ কামনা রইলো আপনাদের জন্য।
আসলে ছোটো বেলার বন্ধুর আলাদা একটা জায়গা আমাদের সকলের জীবনেই থাকে।
প্রথমেই আপনার বান্ধবীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই।
তিনি দীর্ঘজীবী হোন এবং সুস্থ থাকুন 🤍
আর আপনার পোস্ট তো বরাবরই ভালো কিছু বলার নেই 💜
শুভ কামনা রইল আপনার জন্য 💌
❤️
অনেক ধন্যবাদ দাদা। এভাবে পাশে থাকবেন সব সময়।
দিদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনি খুবই সুন্দর একটি সারপ্রাইজ আনন্দঘন মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন, আপনার বান্ধবীর জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল শুভ জন্মদিন জানায় দিদি আপনার বান্ধবীকে, শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল দিদি আপনার পরিবারের জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত উৎসাহিত করার জন্য।