কালি পূজো || ১০ % বেনিফিট @shy-fox এর জন্য

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

নমষ্কার বন্ধুরা আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন।আমিও ভালো আছি। কিছুদিন আগে আমার পুরোনো কলেজের কথা শেয়ার করতে করতে বলেছিলাম যে ওখানে অনুষ্ঠানের মাঝেই আমাকে চলে যেতে হয়েছিল অন্য জায়গায়। কোথায় গিয়েছিলাম সেটাই বলবো আজ ।

20220530_135748.jpg

সেদিন আমার বাবার এক বন্ধুর বাড়ি কালি পুজোর নিমন্ত্রণ ছিল । আমার বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে - ধুবুলিয়া নামের একটা জায়গা , স্টেশনের পাশেই জেঠুর বাড়ি। জেঠু জ্যোতিষি। জ্যোতিষ চর্চার গল্প তো বিখ্যাত ভারত জুড়ে। আমার তো মনে হয় আমাদের দেশেই এই তন্ত্র মন্ত্র জ্যোতিষ চর্চা অত্যাধিক। যাইহোক এই নিয়ে বহু মতভেদ আছে। তাই আর কথা তুলছি না।

20220530_143820.jpg

তো ওনার বাড়িতে বেশ একটা কালি মন্দির আছে, ফলহরিনী অমাবস্যার দিন কালি পুজো হয় ওখানে। অনেক লোকজন খাওয়া দাওয়া করে। আমরা কোনো বার যাইনি। সেবারই আমার বাবার জেদ। যাবেই। তো কলেজের প্রোগ্রামের মাঝ পথ থেকে আমাকে চলে যেতে হলো। বাবা গাড়ি নিয়ে কলেজের সামনে চলে এলো। তারপর মা আমি ভাই আর বাবা মিলে রওনা হলাম।

20220530_135002.jpg

গিয়েই দেখি বাড়ি ভর্তি লোকজন। যা হয় পুজোর জায়গায়। তারপর অত লোকজন ডিঙিয়ে ওই গরমের মধ্যে পৌছে গেলাম মন্দিরের সামনে। ঢাক বাজছিল ।পুজো হচ্ছিল। কত মেয়ে বউদের ভিড়। তারপর আমি মন্দির প্রাঙ্গণে উঠলাম। প্রণাম করবো বলে।

20220530_135038.jpg

উঠতেই যা দেখলাম। সামনে থেকে আগে কখনও দেখিনি। দেখি জেঠুর মেয়ে ঐশী সেজেগুজে ঠাকুরের মত বসে আছে। হাতে আবার পদ্ম । আলতা রাঙা পা খানি ছুঁয়ে সবাই প্রণাম করছে। একটু হতবাক হলাম এবং নিজে বুঝেও নিলাম যে কুমারী পুজো হয়েছে।

20220530_135146.jpg

তারপর ঠাকুর দর্শন করলাম। অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছে মা এর মূর্তি। যাইহোক তারপর আমি ঐশীর গেল ধরে একটু আদর করে দিলাম আর বললাম খুব মিষ্টি লাগছে, একদম লক্ষ্মী ঠাকুরের মতন। এত লোক এসে ওকে প্রণাম করছে, বাচ্চা মেয়ে ওই গরমে এত সেজে গুজে আছে, ওর কোনো বিরক্তি নেই। এটা দেখে আমি আরই অবাক হচ্ছিলাম।

20220530_143840.jpg

তারপর হোম হলো। কিছুক্ষণ ওখানে হোম দেখে খাওয়ার জায়গায় গেলাম। রান্না তো দারুন হয়েছিল। খিচুড়ি , মিশালি তরকারি, পোলাও, আলুরদম, চাটনি,দই, পায়েস, মিষ্টি, আইসক্রিম।

20220530_152248.jpg

আমি তো ভীষণ ভালবাসি পোলাও খেতে। তাই খুব মজা হলো । আইসক্রিম টাও আমার পছন্দের ছিল - টু ইন ওয়ান।খাওয়া দাওয়া করে জেঠীর সাথে কিছুক্ষন গল্প করে তারপর আবার রওনা হলাম।

20220530_152755.jpg

আসলে তাড়াহুড়োর কারণ হলো আমার ভাই। ভাই এখন সাঁতার শেখে।রোজ আমাদের বাড়ির পাশে জলঙ্গী নদীতে যায়, সাঁতার শিখতে। আমি যেহেতু পারিনা। তাই মা বাবা ওকে শিখিয়ে দিচ্ছে। সাঁতার শিখে রাখা সত্যিই জরুরী।

20220530_153816.jpg

ওখান থেকে আমি আর মা মার্কেটে নামলাম আর ওদিকে বাবা ঈশান কে নিয়ে সাঁতার এর জন্য নদীতে গেল।খুব ভালো একজন ট্রেনার আছে ওদের সাঁতার শেখানোর। পরে আমি আর মা মার্কেটের কাজ শেষ করে আবার ওই ও যেখানে অর্থাৎ যে ঘাটে সাঁতার শিখছে, সেখানে গেলাম।

[লোকেশন(https://w3w.co/misplacing.coconut.massively)

20220530_154506.jpg

20220530_155032.jpg

20220530_171645.jpg

20220530_171824.jpg

20220530_171830.jpg

লোকেশন

এই তো ছিল গল্প। যাইহোক আশা করছি আমার আজকের পোষ্ট আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে। সকলে ভালো থাকুন।
@isha.ish

Sort:  
 2 years ago 

মায়ের দর্শন পেলাম বোন তোমার মাধ্যমে। কুমারী পূজো তো দারুন সাজিয়েছে । পূজো মানেই তো খিচুড়ি লাবরা চাটনি মিষ্টান্ন। তবে হ্যা আইসক্রিম আমাদের এখানে চল নেই। চল নেই বলতে কেউ ঐ আইটেম টা করে না। তবে কোলকাতাতে হয় সেটা জানি। বোন সাতার টা তুমিও শিখে নাও নতুবা সমস্যা পড়তে হবে। সুন্দর একটি দিনের গল্প পড়লাম। ভাল থাকবে ।

 2 years ago 

হ্যাঁ, দাদা, কিন্তু আমার জলে আতঙ্ক , জলাতঙ্ক বলতে পারো। হিহি। নদীতে নামলেই মাথা ঘুরে পড়ে যাই। খুব ভয় লাগে। মনে হয় যে ডুবে যাবো অথবা নিচু কিছু আছে, যা আমাকে টেনে নেবে।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 67706.36
ETH 2616.68
USDT 1.00
SBD 2.72