জগদ্ধাত্রী পূজা- ঠাকুর দেখা || পার্ট - ১|| ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

নমস্কার বন্ধুরা। আশা করি সকলের সুস্থ আছেন। চলে এসেছি আমাদের ঐতিহ্য পূর্ণ শহর কৃষ্ণনগরের বিখ্যাত একটি পুজো অর্থাৎ জগদ্ধাত্রী পুজোর ফাস্ট পার্ট এর কিছু গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করতে।

আমি আর আমার বোন

20211113_154145.jpg
প্রথম কথা কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো একচুয়ালি একদিনে কমপ্লিট হয়ে যায়। কিন্তু ঠাকুর দেখার ধুম শুরু হয় তার আগেরদিন থেকে। তো আগের দিন অর্থাৎ ১২ই অক্টোবর এর কথা আজ লিখছি।এইবারের সবথেকে মজার জিনিস হল আমার বাড়িতে অনেকদিন পরে আমার কাজিনস এসেছে।
20211112_201022.jpg
বোন আমারই বয়সী আমার থেকে দুই তিন মাসের ছোট হবে। আর দাদা আমাদের থেকে বড়। তো এবারে আমি ধরেই নিয়েছিলাম পুজোটা জমজমাট হতে চলেছে। ওদের আসার কোনো শিওরিটি ছিল না ,তবুও ওদেরকে পেয়ে আমি খুবই হ্যাপি ছিলাম।

আমাদের বারোয়ারী র প্রতিমা

20211112_201112.jpg
ওদেরকে আমি বারবার বলেছিলাম তাড়াতাড়ি রওনা দিতে ,ওদের বাড়ি একচুয়ালি বসিরহাট এ। তো ওখান থেকে ডাইরেক্ট এখানে আসার মত ট্রেন নেই। ওদের দুটো ট্রেন চেঞ্জ করে আসতে হয়েছে। তো সেই কারণেই আমি সকালবেলায় ওদের তাড়াতাড়ি রওনা দিতে বলেছিলাম ।কিন্তু ওরা রওনা দেয় নি ।আর যার ফল খারাপ হয়েছে।

জয় মা জগদ্ধাত্রী

20211112_201130.jpg

আমি জানি কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে ট্রেনের ভিড় থাকবে ,আর রাস্তায় নো এন্ট্রি ও হতে পারে। তো সেই রকম ভাবেই ফলস্বরূপ ওরা সেই শাস্তিটা পেয়ে গেছে। সারা ট্রেন ওরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এসেছে ।প্লাস এদিকে আমার বাড়ি অব্দি পৌঁছাতে ওদের অনেক সমস্যা হয়েছে ।

ষষ্ঠী তলা বারোয়ারী

20211112_202949.jpg

অ্যাটলিস্ট প্রায় সাড়ে ছটা, পৌনে সাতটা নাগাদ ওরা আমার বাড়ি আসলো। ওরা বাড়ি আসার সাথে সাথে আমি রেডি হতে শুরু করলাম। ওরা একটু ফ্রেশ হলো। বোন একটু সাজুগুজু করে নিল। তারপর ওই ক্লান্ত শরীরে ওদের পথে নামিয়ে দিলাম ঠাকুর দেখার জন্য।😜

20211112_202521.jpg

ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে প্রথমে গেলাম আমাদের ঘুর্ণী শিবতলা বারোয়ারী তে। আমাদের বাড়ি থেকে এক মিনিট হেঁটে লাগে বলতে গেলে । এবার থিম ছিল বেনারসের একটি শিব মন্দির। থিমের থেকে প্রতিমা বেশি আকর্ষণীয় ।কৃষ্ণনগরের মধ্যে এরকম প্রতিমা অন্য কোন মন্ডপে হয় না।

20211112_202513.jpg
তারপর টোটো নিয়ে গেলাম ষষ্ঠী তলা বারোয়ারী র রাস্তা তে। আমাদের কৃষ্ণনগর এই সময় প্রত্যেকটি রাস্তায বন্ধ থাকে।এদিক থেকে ওদিক সেইভাবে টোটো চলাচল করে না ।বাইক ,সাইকেল আর হেঁটে হেঁটে ঠাকুর দেখা। যাইহোক ষষ্ঠী তলা থেকে আমাদের হাঁটা শুরু হলো।
20211112_202728.jpg

এইভাবে হেঁটে হেঁটে আশে পাশের বেশ অনেকগুলো ঠাকুর দেখে নিলাম। এইভাবে একটা পোষ্টের মাধ্যমে সবকটা ঠাকুরের ছবি আমি দেখাতে পারব না ।সাথে আমাদের কাটানো মুহূর্তগুলো শেয়ার করা অসম্ভব। তাই আজকের মত ফাস্ট পার্ট এখানেই শেষ করছি।

কাঠুরিয়া পাড়া ( সোনা মা)

20211112_203446.jpg
ঠিক এই ভাবেই সেকেন্ড পার্ট নিয়ে কালকে পোস্ট লিখব। সকলের মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম।
20211112_203922.jpg

মা মহামায়া সকলের মঙ্গল করুক। নমস্কার
@isha.ish

Sort:  
 3 years ago 

হুম বুঝতে পারছি আপু, বেশ আনন্দময় সময় পার করছেন। কাজিনস পেয়ে তো আনন্দের মাত্রাটা দ্বিগুন হয়ে গেছে ঠিক বলছি না।

ফটোগ্রাফিগুলো বেশ দারুণ তুলেছেন, যদিও আপনি খুব ফটোগ্রাফি করেন সব সময়ই। বুঝতে পারছি অনেকগুলো জায়গায় ঘুরেছেন, তাই পরবর্তী ফটোগ্রাফিগুলো দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

 3 years ago 

একদম ঠিক বলেছেন দাদা আর যেখানে বোনের কথা আসে সেখানে তো কোন কথাই নেই ।আর অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আমি ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসি কিন্তু প্রফেশনালি না ।ভাল লাগে তাই করি। ভালো থাকুন দাদা।

 3 years ago 

আসলে যে কোন কাজ করলে এজন্য হাতে সময় নিয়ে বের হওয়াটাই উচিত। উনাদের জন্য সত্যি খারাপ লাগছে যে এতটা পথ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আসতে হয়েছে ।সব মিলিয়ে আপনি সবসময় খুব সুন্দর হবে উপস্থাপনা করেন। তবে আপনার আজকের পোস্টে আমার কাছে একটু মনে হয়েছে আপনি কিছু কিছু কোডিং ব্যবহার করেন নাই হয়তোবা ব্যস্ত ছিলেন তাই। তারপরও সব মিলিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন আপনি।

 3 years ago 

খুবই ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে দিন অতিবাহিত করেছিলাম। আর সব থেকে বড় কথা পুজোর সাথে আমি প্রত্যক্ষভাবে অত্যন্ত জড়িত। তাই জন্য ব্যস্ততার মধ্যেই আমাকে পোস্ট লিখতে হয়েছে ।আর হয়তো একারণে কিছু ভুল ত্রুটি হয়ে গেছে ।এর জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী ।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্টটি ভাল করে পড়ার জন্য এবং ভুল ত্রুটি গুলি কি লক্ষ্য করার জন্য।

 3 years ago 

পুজোতে বেশ ভালো ঘুরাঘুরি করেছেন। পুজোর প‍্যান্ডেলগুলো বেশ সুন্দর ছিল। এবং আপনারা দেখছি ট্রেনে বেশি যাতায়াত করেন। আপনাদের ট্রেন সার্ভিস মনে হয় খুব ভালো।

পোস্ট টা ভালো ছিল দিদি।

 3 years ago 

না দাদা আমি ট্রেনে যাতায়াত করি ই না বলতে পারেন। আমাদের পার্সোনাল গাড়িতে যাতায়াত করি ।তবে আমার বোন এবং দাদা ট্রেনে যাতায়াত করে বেশি।

 3 years ago 

দিদি প্রথম পিকচারটা সত্যিই অনেক সুন্দর হয়েছে।আপনি এবং আপনার বোনের ছবি খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে।যাহোক সবাইকে একসাথে পেয়েছেন খুবই ভালো লাগলো। একসাথে আনন্দ উদযাপন করেছেন। খুবই মনমুগ্ধকর ছিল মুহূর্তটা।আর মানুষ খুব আনন্দ যাপন করছে ভালই লাগছে। আপনি সমস্ত ছবি খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।

 3 years ago 

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।

 3 years ago 

আপনার জগদ্ধাত্রী পুজোর ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর করে করেছেন। এবং কি আপনার পূজো উপভোগের সাথে সাথে আপনাকেও আমরা এক পলক দেখা হয়ে গেলো,হাহাহা। আপনাকে দেখার সাধ ছিল সেই স্বার্থ পূরণ হলো আপনার পুজোর ফটোগ্রাফিক সাথে। উপর আলোচনা আপনি অনেক সুন্দর করে করেছেন এবং আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ রইল আপু।

 3 years ago 

পুজোর ছবি গুলো হয়তো একটু বেশি পরিমাণে দিয়ে ফেলেছি। আলোচনা টা একটু কম হয়ে গেছে ।তবু আপনার যে ভালো লেগেছে ।জেনে আমারও খুব ভালো লাগলো।

 3 years ago 

এমন বোন পেলে মজা করাটা একেবারেই বাধ্যতামূলক কাজ।কি ঠিক বললাম তো?
আপনাকে দেখতে খুব মিষ্টি লাগছে আপু আর আপনার কাজিনকে দেখতেও মিষ্টি লাগছে। ভালোই ঘুরোঘুরি করলেন দেখছি।

 3 years ago 

অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি এত ভাল মন্তব্য করার জন্য আর যে নিজে মিষ্টি একজন,তার তো সারা পৃথিবীতে মিষ্টি মনেই হবে। 🥰🥰🥰🥰🥰

 3 years ago 

আপু ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে দিনটি অনেক মজা করে কাটিয়েছেন। মজা করার সাথে সাথে অসম্ভব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। প্রত্যেকটি প্রতিমা ই আশ্চর্যজনক সুন্দর। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি দিনের গল্প এবং এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 3 years ago 

অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য ।আমার সত্যিই ভালো লাগলো আপনার কমেন্ট পড়ে।

 3 years ago 

কাজিনস সাথে ঠাকুর দেখা। প্রথম পর্বের সমস্ত ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে দারুণ লেগেছে। আমার কাছে মনে হচ্ছে অ্যামাজিং লাইফ। জিটি সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।

ভালো লাগলো ব্লগ টি পর্যবেক্ষণ করে

 3 years ago 

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। সুস্থ থাকুন।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 56934.21
ETH 3091.02
USDT 1.00
SBD 2.38