সৃষ্টির পথ || ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আজ থেকে প্রায় আটত্রিশ বছর আগের কথা ।ঠিক একই ঘরে একই জায়গা !মাথার ওপরে ছাদ হয়তো ওই সময় এতটা জোরালো ছিলোনা। ছিলো টালির চাল ।ফাটা দেওয়ালের গা জুড়ে তখন ছুটত আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন ।ছিল না খাসা খাসা রংবেরঙের রং তুলি ,দামি কাগজ ,অজস্র মাটি অথবা আঁকিবুকি করার মত আসবাবপত্র । তবুও মাটির চটা মেঝের উপর বসেই ,ভাঙ্গা জানলার ফাঁক ফোকর দিয়ে দেখতে পাওয়া যেত একটা ছেলেকে ,দিনরাত কাজ করতে।

IMG-20220429-WA0021.jpg

এই ভাবেই সময় গড়িয়েছে গড়গড় করে। যে ছেলে বসেছিল দিনরাত এই ঘরটায়। যে ছেলেটি কাজ করে গেছে এই ৩৮ টা বছর একনাগাড়ে ।চারিদিকের সবকিছু কে আঁকড়ে রেখেই নিজের মত করে নিজের পৃথিবী গড়ে তুলেছে ,সেই ছেলে আজও এই ঘরে ।চোখে মুখে বয়সের ছাপ ।চেহারাই ভারী , মাথার ওপরে জোড়ালো ছাদের সাথে এখন জোরালো দায়িত্ব ।

এখন মাটির চটা মেঝে শান বাঁধানো ।খুব শীগ্রই সিমেন্ট থেকে পাথরে পরিণত হবে ।ছেলেটি ৩৮ বছর আগেও যেমন ছিল ,এখনো সেই থেকে গেছে ।পরিশ্রম কমেনি ।কমেনি পরিশ্রম করার শতশত ফলগুলো। শুধু এবার কিছু রেখে যাওয়ার,দিয়ে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা।

IMG-20220429-WA0023.jpg

যেখান থেকে গড়ে ওঠা, সেই জায়গাটিকে খুবই আদরে, খুবই যত্নে সুন্দর করে তুলেছে অক্লান্ত পরিশ্রম করে। সারাবাড়ি তছনছ হয়ে গেলেও চারিদিকের দেওয়াল ভাঙ্গলেও, নতুন দেওয়াল উঠলেও ওই ঘর একই রকম রয়ে গেছে। একটু চোট লাগতে দেয়নি ওই দেয়ালগুলোতে। বরং আরো সুন্দর করে যত্ন করে সমৃদ্ধ করে তুলছে বাবা ।যেখান থেকে আমাদের শুরু কিভাবে সেই জায়গাটি কে শ্রদ্ধা ভক্তি করতে হয় ,বাবার কাছ থেকে শেখা ।ছোটখাটো জিনিসগুলোকে এভাবেই তো বাঁচিয়ে রাখতে পারা যায়।

IMG-20220429-WA0019.jpg

অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফসল গুলোকে আরো সমৃদ্ধ করে তুলতে বড় একটা গুরুদায়িত্ব দিতে হবে এবার। ঠিক একই ঘরে তার হাত ধরেই গড়ে উঠছে আরেকটি শিল্প । ছোট্ট ঈশান বাবার সাথে বসে ধীরে ধীরে বুঝে নিচ্ছে সেই মাথার ওপর থাকা টালির ছাদ আর মাটির মেঝে তে বসে বসে করা কাজের পরিশ্রম গুলো । এভাবেই টিকে থাকুক সৃষ্টি।

IMG-20220429-WA0015.jpg

আশা করছি আমার আজকের পোষ্ট আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে। বাবা আর ঈশানের কথা শেয়ার করে ভালো লাগলো। সকলে সুস্থ থাকুন। ভালো থাকুন।

@isha.ish

Sort:  

চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের কাছে শেয়ার করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তার গুনো গান বলেও লিখে শেষ করা যাবেনা। সে অনেক মহৎ তো একজন মানুষ। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মহাত্মার মানুষকে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। শুভকামনা রইল

 2 years ago 

ধন্যবাদ!

 2 years ago 

আপনার পুরো লেখাটি পড়লাম, কেমন যেন নিজের মধ্যে একটা অনুভূতি কাজ করলো, নিজের কাজের প্রতি কি চমৎকার ভালোবাসা, যুগ যুগ ধরে নিজের প্রতিভার ওপর কাজ করে যাচ্ছেন, এবং সেই কাজের প্রতি এতটাই ভালোবাসা এতটা শ্রদ্ধা যেটার প্রভাব আপনাদের জীবনে ও পড়েছে, আরো বেশি খুশি হলাম আপনার ছোট ভাই এই কাজের প্রতি আগ্রহ দেখে, আমি মন থেকে দোয়া করছি আপনাদের পারিবারিক এই কাজের মর্যাদা যুগ যুগ বেঁচে থাক, আপনার ছোট ভাই আর একটু বড় হলে তাকেও একটি আইডি খুলে দেবেন, আমরা এই চমৎকার কাজগুলোকে আপনার ছোট ভাই এর মাধ্যমে দেখতে চাই।

 2 years ago 

খুব সুন্দর করে মন্তব্য করলেন দাদা। আসলেই আপনার হয়তো পোষ্ট টা পড়ে ভালো লেগেছে। বুঝতে পারছি।

 2 years ago 

আপনি লেখা টি অত্যন্ত চমৎকার ভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছে যা তাৎপর্যপূর্ণ। ছোট ঈশান বাবার পাশে বসে তার বাবার কাছ থেকে কাজটি শিখে নিয়েছে। কাজটি করতে যে কি পরিমাণ পরিশ্রম হয় সে সম্পর্কেও ধারণা পায়। এভাবে একটু একটু করে নতুন একজন শিল্পী তৈরি হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

এভাবেই বেঁচে থাকুক শিল্প গুলো।এটাই চাওয়া

 2 years ago 

এভাবেই বুঝি ভালোবাসার কাজ গুলো হস্তান্তর হয় শুধুমাত্র ভালোবাসা হিসেবেই!সত্যিই কেমন যেনো ভাবুক হয়ে গেলাম লেখাটি পড়তে পড়তে।

 2 years ago 

একদমই তাই!মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো।

 2 years ago 

সৃষ্টি সুখের উল্লাসে। প্রতিটি বাবাই এভাবেই তার সন্তানদের জন্য পরিশ্রম করে যায়। যেখান থেকে শুরু সেই জায়গা টুকুকে যত্নে রাখতে হয়। শ্রদ্ধার সহিত প্রনাম করতে হয়। হোক সেটি মাটির মেঝে কিংবা টালির ছাদ। ভাঙ্গা জানালার ফাঁক দিয়ে যাকে দেখা যেত সেই মানুষ টি আজ তার সন্তান কে সেই বেড়ে ওঠার ভিত টুকু বুঝিয়ে দিয়ে প্রকৃত শিক্ষা দান করছে। সে বুঝে উঠুক নতুন রং করা দেয়াল সৃষ্টির পেছনের রহস্য। অতীতের ভিত টুকু কে আকড়ে ধরে সে বেড়ে উঠুক নতুন সৃষ্টি সুখের উল্লাসে। প্রার্থনা করি ঈশান বড় হয়ে উঠুক প্রকৃত জ্ঞান সঙ্গে নিয়ে। ধন্যবাদ বোন। শুভেচ্ছা রইল।

 2 years ago 

আপনি প্রতিটা মন্তব্য এত ভাষার ছলে করেন যে মন টা ভরে যায়। খুব ভালো লাগে আপনার মন্তব্য পড়তে। ভালো থাকুন দাদা।

 2 years ago 

আপনার লেখাটি পড়ে ভাল লাগল দিদি। ছোট্ট ইশান বাবু তার বাবার সাথে বসে একটু একটু করে শিখে নিচ্ছে হস্তশিল্পের কাজগুলো। এভাবেই সৃষ্টি হয় নতুন কিছু। অনেক ভাল লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে

 2 years ago 

অনেক ধন্যবাদ দাদা । মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 62555.95
ETH 2435.55
USDT 1.00
SBD 2.64