দোলপূর্ণিমার দিন || ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। শুভ দোল পূর্ণিমার শুভেচ্ছা জানাই সকলকে।সকলের জীবন রঙে রঙিন হয়ে উঠুক ।শুধুমাত্র আজকের দিন নয়। সকলের জীবন সুস্থ থাকুক ।ভালো থাকুক ।সুখ শান্তি বজায় থাকুক। এটাই আমার কামনা ।দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে আমার বাড়িতে প্রতিবারেই প্রতিবছরেই গোপাল পূজা হয় ছোট করে ।মা নিজের হাতে করেই ব্রাহ্মণ ছাড়াই পুজো করে।সাথে বাবাও থাকে ।আমিও থাকি।
অনেক সকালবেলা উঠেই মা পূজার জোগাড় শুরু করে দেয় ।আমাদের একটা ছোট্ট গোপাল ঠাকুর রয়েছে পিতলের। যেটা কুরুক্ষেত্র থেকে বাবা বহু বছর আগে এনেছিল। সেটাকেই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে পুজো দেওয়া হয় ।আগের বছর আমি বেশ ধুমধাম করে পুজোটা করেছিলাম ।নিজের হাতে নানান ধরনের মিষ্টান্ন রান্না করেছিলাম ।কিন্তু এবছর সে সুযোগ হয়নি। যেহেতু কালকেই আমি বাড়ি ফিরেছি কলকাতা থেকে। তাই কোনোরকমে পুজো টা সেরে নিয়েছি।
সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠতে ভীষণ অসুবিধা হচ্ছিল ।কালকের সারাদিনের জার্নি আমার শরীর থেকে যাচ্ছিল না ।সকাল ছয়টা থেকে ডাকাডাকি শুরু করলেও ঘুম ভাঙতে ভাঙতে আটটা বেজে গেছে। প্রতিবছরই আমরা পুজো শেষ করে একটা আশ্রম এ যাই। সেই আশ্রম টার নাম শংকর মিশন। ভেপডাঙ্গা ফেরি ঘাটের পাশেই আশ্রম টা অবস্থিত ।এই আশ্রমের আরেকটি শাখা আমাদের কৃষ্ণনগরে আছে।
প্রতি বছর সেই বাচ্চাদের সাথে রং খেলতে খুবই মজা লাগে ।গতবছর করনার কারণে আমরা যেতে পারিনি। তার আগের বছর মনে আছে আমার ছোট বোনটা যখন এসেছিল, সাথে করে নিয়ে গিয়েছিলাম। আটটার পর ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে সারা বাড়ি জুড়ে আবিরের আলপনা দিয়ে ফেললাম ।প্রথমে আমাদের বারান্দায়, তারপর আমাদের উঠোনে তুলসীতলা আবির দিয়ে সাজালাম ।পূজোর ঘরটাও সাজালাম।
মা পূজা শুরু করল। ততক্ষনে আমি এদিকে রেডি হয়ে নিলাম। কালকে রাতেও আমি ভেবেছিলাম আর যাওয়া হবে না। যেহেতু শরীরের অবস্থা ভালো নেই ।সকালবেলাতেও ইচ্ছা করছিল না যেতে ।কিন্তু পুজোটা শেষ হওয়ার পর শরীরটা বেশ ভালই লাগছিল। তাই আর দেরি না করে আমরা যাওয়ার প্ল্যান ঝটপট করে ফেললাম।
আমাদের গাড়ি করে আমাদের বাড়ি থেকে যেতে সময় লাগে ৪৫ মিনিট মত। মুড়োগাছা গ্রামের রাস্তার ভেতর দিয়ে আরো অনেকটা ভেতর দিকে একেবারেই একটা গ্রামের মধ্যে ঢুকে যায় ।পুরোপুরি চারিদিকে বাড়িঘর থাকে না। এমন একটা জায়গা শুধু মাঠ আর মাঠ ।গ্রামবাসীদের বাড়ি অনেক দূরে দূরে। মিশনের পাশেই গঙ্গা বইছে, শ্মশান আছে।চারিদিকের মনোরম আবহাওয়া মনটাকে শান্ত করে দেয়। তাই তো বারে বারে ছুটে যাই প্রত্যেক বছর।
এভাবেই বেশ অনেকদিন পর পৌঁছে খুবই ভালো লাগলো জায়গাটা । আবারও খোলা আকাশের নিচে সবুজ এর মাঝে বসন্তকে উদযাপন করতে পেরে মনটা হালকা হল। যাওয়ার সাথে সাথেই আবিরের প্যাকেটগুলো বার করে রং মাখামাখি শুরু হল। ওখানে একটা জিনিস ভালো ।কেউ জোর করে রং দেয় না ।যার রং খেলতে ইচ্ছা করে সেই রঙ খেলে। আমাদের মতো আরো অনেক পরিবার সেখানে উপস্থিত থাকে।
আমার ছোট ছোট ভাইরা ওখানে রয়েছে প্রায় ২০০ জন ।সকলের সাথে মজা করে রং খেলতে সত্যিই মজা হয় ।ওখানে পৌঁছানোর পরে ছোলার ডাল, লুচি আর মিষ্টি খাওয়া হলো ।তারপর শুরু হয়ে গেল রংখেলা। মিশনের ভেতরে মন্দিরে পুজো চলছিল। পুজোর কিছু ছবি আমি এখানে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।
চারিদিকে রঙে রঙিন হয়ে ওঠা প্রকৃতির মাঝে ছবি তুলতে কার না ভাল লাগে ,তাই আমি অনেক ছবি তুলেছি। সেই ছবিগুলো এই একটা পোস্ট এর মধ্যে দিয়ে শেষ করতে পারবো না। তাই এই একটা পোস্টে আমি চাইছি না আজকের বসন্ত উৎসবটাকে সেরে ফেলতে।
পরবর্তী অর্থাৎ কালকের পোস্টে আমি আমার সমস্ত ছবিগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব ।আশা করছি আপনারাও আজকে রং খেলেছেন। একটু হলেও আবির মেখেছেন। আমার সাধারণত রং পছন্দ হয়না। আবির পছন্দ হয় ।আবির মাখার পরে ধুয়ে নিলেই উঠে যায়। এই কারণে আমার ভালো লাগে। রং আমার একেবারেই পছন্দ নয়।
যাইহোক আজকের মত এখানেই পোস্ট শেষ করছি। সবকিছুর পরে এখন আমি বর্তমানে ভীষণ ক্লান্ত ।আপনারা সকলে ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন এবং রং খেলতে থাকুন।
নমস্কার।
@isha.ish
আপনাকে দেখে বোঝা যাচ্ছে আজকে কি পরিমান আনন্দ করেছেন। রং মেখে তো একেবারে রঙিন হয়ে গেছেন সেই সাথে আপনার পোস্টটাও পুরো রঙ্গিন করে তুলেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে সবাই একদম রং খেলে রঙ্গে ডুবে গেছে মনে হচ্ছে।আপনার আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো আমাদের শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো আপনার প্রতি।
খুব সুন্দর ভাবে মন্তব্য করেছেন। হাহাহা, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, দোল উৎসবের কাটানো আনন্দমুখর সময়টুকু আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য। দোল উৎসবে আবির দিয়ে নিজের মুখকে রাঙিয়ে নিয়েছেন, দেখে খুব ভালো লাগলো। দোল উৎসবে আপনি যেমন খুবই আনন্দ উপভোগ করেছেন এরকম আনন্দ যেন সব সময় উপভোগ করতে পারেন এই প্রত্যাশা করছি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকুন।
দিদি আপনাকে দোলযাত্রার শুভেচ্ছা। আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে আপনি খুব আনন্দ করেছেন আজকে দোল পূর্ণিমার দিনে। সত্যিই আপনার এই আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আমাদেরও খুব ভালো লাগছে। শুভকামনা আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।ভালো থাকুন।
প্রথমেই দোল পুনিমার শুভেচ্ছা। ছবি দেখেই মনে হচ্ছে খুব ভালো ভাবে আবির দিয়ে দোল পূনিমা উদযাপন করেছেন।ভালো ছিলো ধন্যবাদ আপনাকে
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি দোল পূর্ণিমার দিনটি অনেক সুন্দর ভাবে উদযাপন করেছেন। দোল পূর্ণিমা দিনে আপনি সুন্দর ভাবে আপনার সময় কাটিয়েছেন এবং অনেক আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছেন এটা বোঝাই যাচ্ছে। আপনার কাটানো মুহূর্ত ও অনুভূতি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। অনেক সুন্দর একটি পোষ্ট সকলের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে উৎসাহিত করার জন্য।
🙏
এই দলপূর্নিমায় আপনি যে রকম রঙিন সাজ গ্রহণ করেছেন ঠিক তেমনি আপনার পোস্ট টিও রঙের রঙিন হয়ে আছে।আজ আপনি অনেক আনন্দ করেছেন।যা আপনার মুখের হাসিতে ফুটে উঠেছে।এভাবেই হাসি খুশি কাটুক আপনার আগামী দিন গুলো।
একদম, অনেক মজা করেছি আমি।
🙏
দোলপূর্ণিমার উপলক্ষে আজকের আয়োজন ভীষণ উপভোগ করেছেন দেখলাম।
ভীষণ দারুন দেখাচ্ছে প্রথম ছবিটিতে ।
আর ভীষণ আনন্দ অনুভূতি ছড়িয়েছে পুরো পোস্টে। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য 💌
🥰
পরিবারকে নিয়ে অনেক দিন পর ভালো একটা সময় কেটেছিল সেদিন দাদা। অনেক মজা করেছি। অনেক ভালো থাকবেন দাদা।
অনেক দিন পর মন্তব্যের উত্তর পেয়ে খুশি।
ভালো থাকবেন।
দোল পূর্ণিমার শুভেচ্ছা। মনে হচ্ছে একটা হলুদ পাখি। আমি তোমার ছবি দেখে বুঝতে পারছি অনেক মজা করেছো। তোমার প্রতিটি ছবি অনেক সুন্দর হয়েছে।এই দোলের দিন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি আমার এই মিষ্টি বোনের মুখে যেনো এই হাসি সারা জীবন এমনি ভাবে থাকে।আমার অনেক অনেক ভালবাসা নিও
❤️❤️❤️
😊
এমন মিষ্টি করে তুমি মন্তব্য করো দিদি 🥰🥰। এভাবেই আমার পাশে থেকো সারা জীবন। এই পরিবারে এসে তোমার মত একটা দিদি পেয়ে আমি ইশ্বরের কাছে চির কৃতজ্ঞ গো। অনেক ভালোবাসি তোমাকে। অনেক অনেক ভালোবাসা তোমার জন্যও।