হোলির ক্যামেরাবন্দি মুহুর্তগুলো || ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য

নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। কালকের পোস্টে সব ছবি একসাথে দেইনি ।তাই আজ দিচ্ছি। যেটুকু বলেছিলাম,তারপর থেকে বলছি ,আজকেও বহুবজায়গায় রং খেলা হয়েছে। অনেকেই কালকে রং খেলেছে আর আজকে আবির ।

যাইহোক কালকে রং খেলা শুরু হওয়ার পর অনেক ছবি তুলেছিলাম। সেগুলোর কিছু কিছু তোমাদের সাথে শেয়ার করে নিলাম। রং খেলা হয়ে গেলে প্রত্যেকবার সবাই গঙ্গায় যায় স্নান করতে , পাশেই যেহেতু গঙ্গা। আগে থেকে দুটো নৌকা ভাড়া করা থাকে। সকলে মানে মহারাজ থেকে শুরু করে বাচ্চারা আর আমাদের মত যারা আসে তারাও।

ওরা নৌকা করে মাঝ নদীতে যেখানে চর পড়েছে, সেই চর এ গিয়ে নামে। আর সবাই মিলে নদীতে স্নান করে। এই আনন্দের মুহুর্ত আমি দেখেছি নৌকায় বসে বসে। জল দেখে আমার বিরাট ভয়। আমি সাঁতার জানিনা। আমি তাই নদীতে স্নান করিনা।যতবার গিয়েছি , আমি আর আমার মতন কিছু জল ভীতু মানুষ নৌকা য় বসে থাকি , বাকি স্নান করা অব্দি।

তারপর সকলের স্নান শেষে, আমরা আবার ফিরে আসি। আমি যেহেতু স্নান করিনা নদীতে, তাই কিছু বছর হল, গঙ্গায় যাই না। ওরা রং খেলা শেষ করে যায়, স্নান করে আসে।আমি এক আশ্রমে ভালো বাথরুম আছে, সেখানে স্নান করি , নাহলে বাড়ি এসে করি।

যাইহোক, এবারে বাবা , ঈশান আর পিসেমশাই গেলো গঙ্গায়, আমি আর মা আশ্রমে ছিলাম। যতক্ষণ ওরা গঙ্গায় ছিল আমরা এদিকে ফটো তুলছিলাম। একটা জায়গায় দোলনা বাঁধা ছিল।আরামে বসে ছিলাম সেখানে। গাছেদের মাঝে কি ঠান্ডা হওয়া শরীর জুড়িয়ে দিচ্ছিল।

আমি দোলনায় দল খাচ্ছিলাম।মা ছবি তুলছিলো। হটাৎ মা বললো দেখ ঈশা বেজি। আমি দেখে হতবাক। ওটা বেজি না। গো সাপ। এই প্রথম আমি এই সাপ দেখলাম। একদম অদ্ভুত দেখতে। জিভ টা অনেক বড়। আর দেখে মনে হচ্ছে কুমির। আমি ভয়ে আঁতকে উঠেছিলাম প্রথমে।

সেটা আবার আমার থেকে একটু দূরে ছিল, তাই অত ভয় পাইনি। কিন্তু ওর আমার কাছে আসতেই বেশি টাইম লাগতো না। আমি দোলনা থেকে নামলাম না। দোলনা থেকেই বসে বসে ওর ছবি তোলার চেষ্টা করলাম।বাপরে বাপ, ভয়ানক দেখতে ছিল।

যাইহোক তারপর ছবি তোলার ওই হুজুক টা কমে গেল।ভয় হতে লাগলো, ঝোঁপ ঝার থেকে আবার যদি ওটা বেরিয়ে আসে। তারপর ওরা আস্তে আস্তে দেখলাম আসছে। দলবদ্ধ ভাবে সবাই আসছে। তারপর প্রতিবছরের মতো দুপুরের আহারের ব্যবস্থা হলো।

লোক দিয়ে আগে থেকেই রান্না চলে। তবে অবশ্যই নিরামিষ। অনুদান সরকার থেকে আসে আর আমাদের মত বাইরের কিছু মানুষ দেয়। যাইহোক, প্রথমে সব বাচ্চারা খেতে বসলো। আমি তখন বারান্দায় চৌকি তে বসে কবিতা লিখছিলাম। হে হে।

যাইহোক তারপর ওদের খাওয়া হয়ে গেলে আমরা বসলাম। ছিল ভাত, মিশালী সবজি, আলু পোস্ত, ডাল, পূজোর ভোগ, চাটনি, পায়েস, দই, মিষ্টি।খাওয়া দাওয়া শেষ করে উঠে আবার কিছুক্ষন রেস্ট নিলাম।তারপর মহারাজ এর খাওয়া হয়ে গেলে , মহারাজ কে প্রণাম করে তারপর রওনা হলাম বাড়ির দিকে ।

শরীর খুব ক্লান্ত ছিল, আগের দিন ফিরেছি, সকালে বেশি ঘুমোতে পারিনি। বাড়ি এসে আবার স্নান করতে হল। ভাগ্যিস আমার মাথায় বেশি রং পড়েনি। যেটা আমার মা এর মাথায় পড়েছিল।আমি তাই কোনরকমে স্নান করলাম।আবির তাই ,বেশি অসুবিধা হয়নি তুলতে।

তারপর তো স্নান সেরে ঘুম। ঘুম থেকে উঠে দেখলাম মা বাবা ঈশান নামকীর্তন শুনতে যাবে। রেডি হচ্ছে। আর আমি বাড়িতে একা রয়ে গেলাম ।আপনাদের সাথে হোলির মুহুর্ত গুলো শেয়ার করলাম

এই তো ছিল গল্প। আশা করছি আমার আজকের এই পোস্ট আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে।সকলে ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। নমস্কার।
@isha.ish