ভাগ্নি কে মেহেন্দি পড়ানো || ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। বেশ অনেকদিন পর আবার আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি নতুন ধরনের একটা পোস্ট। আমি খুব মেহেন্দি করতে ভালোবাসি। দুই চার বছর আগেও নিজের হাতে নিজেই মেহেন্দি করতাম ।মাঝেমধ্যেই কোন অনুষ্ঠান ছাড়াই হাতে মেহেন্দি থাকতো আমার।
আর এই ভাবেই করতে করতে নানান কলকা আমার শেখা হয়ে গিয়েছিল। তারপর পাশের বাড়ির চেনা কোন দিদির বিয়ে হোক অথবা কোন অনুষ্ঠান বাধুক, সবাই মিলে আমাকে ধরত মেহেন্দি করে দেওয়ার জন্য।
সে সময়টা তখন ছিল, কিন্তু এখন সেই সময় আর নেই। সেই সুযোগ আর হয়না , তাই কেউ বলতে পারছে না। কালকে বেশ অনেকদিন পর একজন আবদার করার সাহস পেল।
আমার দিদির মেয়ে হঠাৎ ফোন করে বলল ,মাসি !তোমার কাছে মেহেন্দি করব ।আসলে গতকাল আমার পিসির বাড়িতে একটা অনুষ্ঠান রয়েছে।
সেজন্যই আমার পিসতুতো দিদির মেয়ে এই বায়না ধরল, আমি কাজের মধ্যে ব্যস্ত ছিলাম।তাই বললাম সাথেসাথে বাড়ি চলে আয়। ত্রিশ মিনিটের মধ্যে করে দেব। তারপর আমাকে বেরোতে হবে।
ওর বাড়ি আমার বাড়ি থেকে বেশি দূরে নয় ।কম করে দশ পনের মিনিট হবে ।ও চলে এলো। আর মেহেন্দি করাতে বসে গেলাম। মেহেন্দির কোম্পানির মধ্যে আমি এর আগেও বলেছি কাবেরী মেহেন্দি,আমার বেশ ভালো লাগে ।
কারণ এর রংটা খুব ভালো হয় আমাদের এলাকায় অর্থাৎ আমার মনে হয় পশ্চিমবঙ্গের অনেক জায়গায় মানে সব জায়গাতেই এই মেহেন্দি রয়েছে।
ও দুই হাতে করার জেদ করছিল, কিন্তু আমি ওকে এক হাতে করে দিয়েছি ।ছোট মানুষ দুই হাত ভর্তি করে করলে ,কেমন একটা লাগে। আর ডান হাতে করে নানান ঝামেলা ।খাওয়া-দাওয়ার সময় একটা ঝামেলা রয়েছে।
তারপর যখন আবার মেহেন্দি টা উঠতে শুরু করবে ।তখন খেতে গেলে মেহেন্দির রংটা উঠে পেটে গিয়ে পেট খারাপ হতে পারে।
তাই আমি ডান হাতে মেহেন্দি করা কখনোই পছন্দ করিনা। আর কাউকে বলিও না করতে। কিন্তু মানুষের সখ মানুষের জায়গায় ।বেশিরভাগ মানুষই দুই হাত ভর্তি করে মেহেন্দি করে। কালকে ত্রিশ মিনিটের মধ্যেই ওকে একহাতের অর্থাৎ বা হাতের ওপর নীচ মেহেন্দি করে দিলাম।
তারপর আমাকে রেডি হয়ে নিজের কাজের জন্য মার্কেটে বেরোতে হলো। আরো ও বাড়ি চলে গেল। যারা এই কাজগুলো করে ।তারা প্রত্যেক দিন যেহেতু করছে। তাদের একটা আলাদা স্পিড হাতে চলে আসে এবং তারাও নানান ধরনের কলকা করে।
আসলে সব কিছুই অনুশীলনের ওপর নির্ভর করে। আপনি যত প্র্যাকটিস করবেন, জিনিসটা আরো ভালো হবে ।আমি বহুদিন ধরে মেহেন্দি করা ছেড়ে দিয়েছি। তাই হয়তো এখন মেহেন্দি করতে গেলে একটু হাতটা কেঁপে ওঠে ।সময়ও বেশি লাগে ।আর কল্কা মনে আসতে চায়না।
তবে করার পর আমার নিজেরও খুব ভালো লাগলো। আর আমার ভাগ্নির তো খুবই পছন্দ হল ।তাই ভাবলাম আপনাদের জন্য ছবিগুলো তুলে রাখি। আর আপনাদেরকে শেয়ার করতে পারলে আমারও ভালো লাগবে। আর আশা করছি এই দেখে আপনাদেরও ভাল লাগবে। চাইলে অনেকেই এরকম করে মেহেন্দি করতেও পারেন।
তাহলে বন্ধুরা আজকের মত এখানেই শেষ করছি। সকলে ভাল থাকুন ।সুস্থ থাকুন। নমস্কার।
@isha.ish
আমিও মেহেদি পরাতে খুব বেশি ভালোবাসি।আসলেই কিন্তু খুব সুন্দর হয়েছে।
খুব ভালো লাগলো জেনে। একদিন অবশ্যই দেখাবেন সুযোগ হলে। 🥰
আপনি অনেক সুন্দর করে হাতে মেহেদি পড়াতে পারেন দিদি। এর আগের দিনের পোস্টটিও আমি দেখেছিলাম সেদিন আপনি আপনার বৌদির হাতে মেহেদী পরিয়ে দিয়েছিলেন। অনেক সুন্দর হয়েছিল সেদিন এর টা আজকের টিও অনেক সুন্দর হয়েছে।
উড়িব্বাস! তাই! ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোষ্ট ফলো করার জন্য।
আপু আপনার মেহেদী ডিজাইন খুব ভাল লেগেছে প্রশংসনীয় বলা যায়।মেহেদী হাতে দিতে কার না ভাল লাগে আমি ও হাতের উপরে অংশে দিতাম মাঝে মাঝে ভাল লাগে আর হাতের সৌন্দর্য বাড়ায়।আপনার জন্য শুভ কামনা রইল আপু।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনি কিন্তু এক ঢিলে দুই পাখি মারেন। আপনার ভাগ্নিকে অনেক খুশি করলেন এবং আমাদেরকেও সুন্দর একটি পোষ্ট উপহার দিলেন। মেহেদি লাগানো দেখে খুবই মুগ্ধ হলাম। মেহেদির ডিজাইন খুবই অসাধারণ হয়েছে। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
ঠিক ধরেছেন!!!! অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।
ঠিকই বলেছেন দিদি আগে এইরকম অনুষ্ঠানে মেহেদী দেওয়ার জন্য বা সাজাতে মানুষ ডাকা হতো আশেপাশের যারা ভালো পারে। কিন্তু এখন তো সবাই পার্লারে ছোটে। আপনার এতো গুণ আমি এককথায় ভাবতে পারছি না। অনেক সুন্দর ছিল মেহেদী ডিজাইন টা। আপনি তো অনেক ভালো পারেন মেহেদী দিতে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে উৎসাহিত করা জন্য।
নকশাটি খুব সুন্দর হয়েছে 👌
ভাগ্নি নিশ্চয়ই ভীষণ খুশি হয়েছে, যদিও তার চোখে মুখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
দুজনের জন্য শুভকামনা রইল 💌
হিহি। ধন্যবাদ আপনাকে।
মেহেদি পরানো মেয়েদের অন্যতম একটি সুখের মধ্যে পড়ে। আমার অবশ্য বেশ ভালই লাগে। যাইহোক একটা সত্যি কথা বলবো দিদি আপনাকে আর আপনার ভাগ্নিকে দেখতে কিন্তু অনেকটা একই রকম লাগছে 😍
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দাদা 🥰🥰
আপু মেহেদীর ডিজাইন খব সুন্দর হয়েছে।আমার ও মেহেদী পরতে ভালো লাগে।আমি ও এক সময় অনেক মেহেদী পরে থাকতাম।এখন কাজ এবং সময়ের জন্য মেহেদী তেমন পরা হয়ে ওঠেনা।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু।
অনেক ধন্যবাদ দিদি নিজের অনুভূতি ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
ওরে বাবা কত সুন্দর করে মেহেদি দিয়েছেন আপনি, আপু যে বেশ দক্ষ তা বুঝে গেছি আমি। তাই এটাও মনে রাখছি, বাংলাদেশে আসলে আপনার কাছ হতে এই সুযোগটা নিবো ফ্রিতে, হা হা হা। আমি একদমই পারি না, কত বকা যে খেয়েছি জীবনে বউ এর কাছ হতে, হি হি হি।
একদম দাদা, আপনাকে আর বৌদি কে একসাথে মেহেন্দি পড়াবো 😜