গুঁড়ো দুধ দিয়ে তৈরি সন্দেশ||১০%বেনিফিট @shy-fox এর জন্য।
নমস্কার বন্ধুরা । আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমি আজকে আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি একটা দুর্দান্ত মিষ্টির রেসিপি । জন্মাষ্টমী শুধু নয় যেকোনো পুজো উপলক্ষে আপনারা খুব সহজে বাড়িতেই এই মিষ্টি তৈরি করতে পারবেন। তাহলে আর দেরি না করে ঝটপট আপনাদের সকলকে রেসিপিটা বলে ফেলি।
তৈরি করবো গুঁড়ো দুধ দিয়ে সন্দেশ
উপকরণ
১.দুধ - ১কাপ
২.ঘি
৩.আমূল গুঁড়ো দুধ - ১কাপ
৪.চিনি আপনাদের স্বাদমতো
৫.খাবার রং
৬.কাজু কিসমিস
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি ওভেনে একটা কড়াই বসিয়ে তার মধ্যে দিয়ে দিয়েছি এক কাপ দুধ এবং তিন চামচ ঘি। গ্যাসের ফ্লেম মিডিয়াম থাকবে।
তারপর দুধের ঘি টাকে একটু মিশিয়ে নেওয়ার পর, এরমধ্যে আমি দিয়ে দিয়েছি হাফ কাপের ও কম চিনি ।চিনি টা আপনারা আপনাদের পছন্দের মত ব্যবহার করতে পারেন।
দ্বিতীয় ধাপ
দ্বিতীয় ধাপে আমরা চিনি মিশিয়ে নেওয়ার পরে, আস্তে আস্তে এক কাপ গুঁড়ো দুধ ওই মিশ্রণের মধ্যে অ্যাড করতে থাকবো। একেবারে সবটা দেব না ।না হলে মেশাতে অসুবিধা হবে ।তাই আস্তে আস্তে আমরা এর মধ্যে গুঁড়োদুধ অ্যাড করবো আর মেশাতে থাকবো।
তৃতীয় ধাপ
এভাবে মিশ্রনটা বেশ গাড়ো হয়ে যাবে। তারপর আস্তে আস্তে ঠিক আটা মাখার সময় যেমন ডো তৈরি হয় সেরকম হয়ে আসবে। কিন্তু গ্যাসের ফ্লেম একেবারেই বাড়ালেই হবে না । লো থেকে মিডিয়াম এর মধ্যেই কাজটা করতে হবে।
চতুর্থ ধাপ
আটার মত তৈরী হয়ে গেলে আমরা একটা প্লেটে মিশ্রনটা নিয়ে নেব। সামান্য ঠান্ডা হওয়ার পরেই হাতে আমরা কি মাখিয়ে নেব। তারপরে মিশ্রণ এর ডো কে দু ভাগ করব। এবং একটি ভাগের সাথে একফোঁটা হলুদ কালার মিশিয়ে নেব।
হালকা হালকা গরম থাকা অবস্থাতেই কাজটা করতে হবে আর হাতে মাখিয়ে নিলে কাজটা করতে বেশি সুবিধা হবে।
পঞ্চম ধাপ
এবার আমি কিছুটা পরিমাণ কাজু কিসমিস ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে নিয়েছি। আর একটা যে সাদা রঙের ডো রয়ে গেছে, তার সাথে ভালোভাবে এই কাজু কিসমিস গুলোকে মিশিয়ে নেব।
ষষ্ঠ ধাপ
সাদা ও হলুদ থেকে লাড্ডু বানিয়ে নিলাম। এবারে আপনারা যেমন ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন ,হলুদ রঙের একটা লাড্ডু তুলে সেটাকে হাতের তালুর সাহায্যে লুচির মতো করে ,তার মাঝখানে দিলাম সাদা কাজু কিসমিস মেশানো লাড্ডুগুলো ।তারপর হলুদ রঙের মুখটা বন্ধ করে দিলাম ।আর লাড্ডুর মতো গোল তৈরি হলো। এভাবেই সবকটা করে নিলাম।
সপ্তম ধাপ
এবার লাড্ডুর মাঝখানে একটা চাকু দিয়ে কাটলেই লাড্ডুর দুভাগ হয়ে যাবে। তারপর আমরা হাতের সাহায্যে এরকম একটা আকৃতি তৈরি করব।
ভাবে সবকটা মিষ্টি তৈরি করে নেওয়ার পর ঠিক এরকম দেখতে হবে।
তাহলে আপনারা দেখতেই পারলেন খুব সহজে কিভাবে সুস্বাদু একটা মিষ্টি বাড়িতেই তৈরি হয়ে গেল। যেকোনো পূজা-পার্বণে এই মিষ্টি বাড়িতে তৈরি করতে পারে অল্প সময়ে। আপনাদের পছন্দমত রং দিয়ে আপনাদের পছন্দমত আকৃতি দিয়ে। আমি মিষ্টিটি জন্মাষ্টমীতে তৈরি করেছিলাম। সকলের সাথে এই রেসিপি শেয়ার করে আমার খুব ভালো লাগলো। আপনাদের কেমন লাগলো, সেই মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
অনেক ধন্যবাদ সকলকে ।
@isha.ish
উফ! এটা কি দেখাইলেন, লোভতো সামলাতে পারছি না আপু। সন্দেশ ছোট বেলায় খুব পছন্দ করতাম, গ্রামের মেলায় গিয়েই সন্দেশ খুঁজতাম আগে আমি। সেই সময়ের সন্দেশগুলোর স্বাদ এখনো মনে আছে।
আপনি খুব সুন্দর করে সন্দেশগুলো তৈরী করেছেন, খুব সহজেই যে কেউ আপনাকে অনুকরণ করে বাড়ীতে তৈরী করতে পারবে। ধন্যবাদ
হাহাহাহা, অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। সন্দেশ খেতে আমিও খুব ভালোবাসি। তাই তো মাঝে মধ্যে বাড়িতেই তৈরি করে ফেলি। আর দাদা দোকানের সন্দেশ আর বাড়ির সন্দেশ e বেশ তফাৎ হয়।খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য। ভালো থাকবেন দাদা।
আপনার সন্দেশ গুলো দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। এই ধরনের সন্দেশ কখনো খাওয়া হয়নি। দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ দাদা। আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগলো।ভালো থাকবেন দাদা।
আপনার থেকে নতুন একটা রেসিপি শিখলাম । সন্দেশ আমি সবসময় দোকান থেকে কিনে খেয়েছি বাসায় কখন বানানো হয়নি । আপনার সন্দেশ মনে হচ্ছে খুব মজা হয়েছে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা ।খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য। আর হ্যাঁ, সত্যিই খেতেও ভালো হয়েছে।আপনি অবশ্যই এই সহজ রেসিপি টা চেষ্টা করুন বাড়িতে।
ভালো থাকুন দাদা।
সন্দেশের কথা শুনেই আমার জিভ পানি চলে এসেছে।আর আপনার তোলা ছবি গুলো দেখে খেতেই ইচ্ছা করছে।😋😋
অনেক সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু।ধাপে ধাপে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার তৈরি সন্দেশ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
হাহাহা, আমারও তাই হয় দাদা। মিষ্টি খেতে বেশ ভালো লাগে। এতো ভালো মন্তব্য করেছেন , অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন দাদা।
বাহ্ দারুন হয়েছে, আপু খুবই সুন্দর হয়েছে আপনার সন্দেশের রেসিপি। আমার খেতে মনে চাচ্ছে। আপনি অনেক সহজেই তৈরী করছেন। আপনার জন্য শুভকামনা
অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। বাড়িতে একবার অবশ্যই চেষ্টা করুন। ভালো থাকুন।
মিষ্টির মধ্যে সন্দেশ আমার অনেক পছন্দের, কিন্তু সমস্যা হলো এক জায়গায় দেখে যতটা খেতে ইচ্ছা হয় খাওয়ার সময় আর খেতে পারিনা মিষ্টি। মিষ্টি বেশি খেলেই আমার পেটের দিকে সমস্যা তৈরি করবে হা হা।যাইহোক সন্দেশের রেসিপি অনেক ভালো হয়েছে।
হায়রে! কি কান্ড ! মিষ্টি খেলে যে সমস্যা হয় আপনার টা শুনে খারাপ লাগলো। আমি ভীষন ভগবানকে বলি যে কোনো দিন যেনো আমার আর মিষ্টির মাঝে বাধা না আসে। 🤣
অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু খুবই সুন্দর হয়েছে আপনার সন্দেশের রেসিপি। দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু। দোকান থেকে কিনে খাওয়া হয়েছে বাসা বানিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি তবে আপনার রেসিপিটি দেখে বাসায় ট্রাই করে দেখব। সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা।
অবশ্যই চেষ্টা করুন। কারণ অল্প সময়ে এই সন্দেশ তৈরি হয়ে যাবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।ভালো থাকুন।
সন্দেশ আমার প্রিয় একটি মিষ্টি। কিন্তু আপনি নিজে দুধ কিসমিস আটা এবং অন্যান্য দ্রব্য দিয়ে অসাধারণ একটি সন্দেশ তৈরি করেছেন। দেখেই ভালো লাগছে। খুব সুন্দর হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা।।
অনেক ধন্যবাদ দাদা। হ্যাঁ দাদা,খেতেও ভালো হয়েছে। বাড়িতে অবশ্যই চেষ্টা করুন। ভালো থাকবেন।
🙂🙂
আপনি সবসময়ই ভালো রেসিপি বানান। রেসিপিগুলি খুব সুস্বাদু ও লোভনীয় হয়। দিদি গুঁড়ো দুধ দিয়ে সন্দেশ বানিয়াছেন। খুব সুন্দর।আপনি এত সুন্দর সুন্দর রেসিপি ও খাবার উপহার দেন তার জন্যে ধন্যবাদ দিদি।।
দাদা আপনার মত সুন্দর পোস্ট লিখতে পারিনা। আপনি খুব ভালো লেখেন। খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য। ভালো থাকুন।
খুব সহজেই কিভাবে সন্দেশ বানানো যায় তা তো আগে জানতাম ই না আপু!!
আজকেই জানলাম যে এতো সহজে বানানো যায়।আমি খুব মিষ্টি খাইনা কিন্তু সন্দেশ,লাড্ডু ভালো লাগে কারণ মিষ্টির পরিমাণ কম থাকে। আচ্ছা একটা কথা বলি!
সন্দেশ গুলো দেখতে কিউট লাগছে। 😛সত্যি বলছি কিন্তু।
মনে হচ্ছে খুব মজা হয়েছে।
হ্যাঁ খেতেও দারুন হয়েছে। আপনার এত সুন্দর মন্তব্য পেয়ে আমি খুশি। ভালো থাকুন। আর বাড়িতেও চেষ্টা করুন।
অবশ্যই চেষ্টা করবো আপু,আপনিও ভালো থাকবেন।